ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ক্যামেরার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও ক্যামেরাতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। ফোন কোম্পানিগুলোও ডিভাইসের প্রচারে ক্যামেরা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা চীনা ব্র্যান্ড রিয়েলমির একটি ফোনের ক্যামেরা নিয়ে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে নেতিবাচক খবর বেরিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর ভাষা একই রকম। কিছু ক্ষেত্রে শিরোনাম ও ভেতরে আক্রমণাত্মক শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। চলুন জেনে আসি এই খবরের সত্যতা কতটুকু?
ব্যবহারকারীদের চাহিদা বিবেচনা করে বেশিরভাগ ফোনের প্রচারেই এখন বিভিন্ন ফিচারযুক্ত একাধিক ক্যামেরার কথা বলা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। গতিশীল বস্তুর স্থিরচিত্র ধারণ, কম আলোতে ঝকঝকে ছবি, স্বয়ংক্রিয় ফোকাস, ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে দেওয়া, বিভিন্ন ইফেক্ট দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য ক্যামেরায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার।
এক্ষেত্রে শুধু ক্যামেরা নয় ফোনের পেছনের অংশে ক্যামেরা বাম্পে অনেকগুলো অপশন যুক্ত হচ্ছে। এরমধ্যে ফোন ক্যামেরার একটি মৌলিক ফিচার হলো ফ্লিকার সেন্সর বা লেন্স। যেটাকে অক্সিলারি লেন্সও বলা হয়। আবার স্মার্টফোনের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেক ব্র্যান্ড অতিরিক্ত ক্যামেরা বাম্পও ব্যবহার করে থাকে। তবে এটি নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
রিয়েলমি সি৭৫ নিয়ে অপপ্রচার
রিয়েলমি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, রিয়েলমি সি৭৫ মডেলের ফোনটির পেছনের অংশে ক্যামেরা বাম্পে প্রতারণামূলকভাবে তিনটি লেন্স দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ফোনটির ক্যামেরা মাত্র একটি। তবে বাকি দুইটি বাম্পের ফিচার নিয়ে কোন তথ্য দেয়নি পোর্টালগুলো। এতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে রিয়েলমির সি৭৫ ফোনটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে।

যদিও রিয়েলমি বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে ফোনটির ক্যামেরা ফিচারের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা। পাশাপাশি রয়েছে ফ্লিকার লেন্স। অর্থাৎ মূল ক্যামেরা সেন্সর ৫০ মেগাপিক্সেল এবং এতে একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। ক্যামেরা বাম্পে লেন্স সদৃশ তৃতীয় অংশটির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। যদিও এটি ফোন কোম্পানিগুলো সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য করে থাকে।
আসলেই কি তা–ই? রিয়েলমি ছাড়া আর কোনো ব্র্যান্ডে কি এমন ক্যামেরা বাম্প নেই?
রিয়েলমি বলছে, তাদের সি৭৫ মডেলের ফোনটির মূল্য ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এটি সাশ্রয়ী মূল্যের মিড রেঞ্জের ফোন। এই ফোনের প্রচারণা হয়েছে মূলত পানি ও ধূলা প্রতিরোধী ফোন হিসেবে। সাধারণত বাজেট ফোনগুলো একটি বিষয়কে গুরত্ব দিয়েই প্রচার করে। যে কারণে স্মার্টফোনটি ব্র্যান্ডটি শুরু থেকেই তাদের আইপি ৬৯ ফিচারকেই গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে আসছে। ক্যামেরার বিষয়ে খুব বেশি প্রচার করেনি ব্র্যান্ডটি। যদিও ইন্টারনেট ঘেটে রিয়েলমির প্রচারণার বিষয়ে গণমাধ্যমে তৈরি কয়েকটি বিশেষ প্রতিবেদন ও ভিডিও স্টোরি পাওয়া গেছে। যেখানে একটি মাত্র ক্যামেরা ও ফ্লিকার লেন্স থাকার বিষয়ে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে। একই সাথে রিয়েলমির সি৭৫ স্মার্টফোনটি হাতে নিয়ে যাচেই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা। যেখানে ফোনটি হাতে নিয়ে প্রথম দেখাতেই স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, তিনটি বাম্পের মধ্যে দুটি ফাংশনিং। আরেকটি পুরোপুরি বন্ধ অবস্থায় আছে। যেকোনো গ্রাহকও প্রথম দেখাতেই তৃতীয়টি বন্ধ থাকার বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

অন্যদিকে রিয়েলমির সি৭৫ মডেলটির সঙ্গে তুলনা করতে সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে আসা আরও চারটি ব্র্যান্ডের মিড রেঞ্জের ফোনের ফিচার যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার প্রযুক্তি বিভাগ। এতে দেখা গেছে, প্রায় সব ব্র্যান্ডের কাছাকাছি মানের ফোনগুলোতে ক্যামেরা বাম্পে একাধিক লেন্স থাকলেও মূলত ক্যামেরা একটি বা দুটি। কিছু ফোনে মূল ক্যামেরার পাশে বা নিচে ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। কোনো কোনো ফোনে অবশ্য ফ্লিকার সেন্সর মূল ক্যামেরার সঙ্গেই যুক্ত আছে। আবার বাম্পের সৌন্দর্যের জন্য লেন্স সদৃশ অংশ রাখার উদাহরণও আছে। রিয়েলমি ছাড়া এমন চারটি ফোন আছে যারা ওয়েসাইটে উল্লেখ করেনি তাদের অতিরিক্ত বাম্পে কি সুবিধা আছে। এরমধ্যে দুটি ব্রান্ডের ফোনে চারটি ক্যামেরা বাম্প থাকলেও তারমধ্যে তিনটি বাম্পে ক্যামেরা ও ফ্লিকার লেন্স থাকলেও বাকি একটি নিয়ে কোন বর্ণনা নেই। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ফোনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা বিক্রেতার থেকে ধারণা নিয়ে কিনতে হবে।
ফ্লিকার লেন্স কি ক্যামেরা?
না, ফ্লিকার লেন্স ক্যামেরা নয়, বরং ক্যামেরায় ধারণ করা ছবির মান উন্নত করতে এটি ব্যবহার করা হয়। ফ্লিকার সেন্সর বা লেন্স মূলত স্পন্দিত আলোর (যেমন ফ্লুরোসেন্ট, এলইডি ইত্যাদি) ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করে সে অনুযায়ী শাটার স্পিড এবং আইএসও সামঞ্জস্য করে। ফলে ছবি বা ভিডিওতে ব্যান্ডিং ইফেক্ট আসে না। ফ্লিকার সেন্সর ছাড়া ধারণা করা ছবি দেখতে এমন হয়:

বর্তমানে বেশিরভাগ ফোন ক্যামেরায় মূল ক্যামেরার সেন্সরের সঙ্গে ফ্লিকার সেন্সর জুড়ে দেওয়া হয়। তবে রিয়েলমি সি৭৫ মডেলের মতো অনেক ফোনে ফ্লিকার সেন্সরের জন্য আলাদা লেন্সও থাকে। এটি ক্যামেরা নয়, বরং ক্যামেরার একটি অংশ মাত্র! বিষয়টি ফোনের কনফিগারেশনে সাধারণত বলা থাকে। যেমনটি রিয়েলমির ওয়েবসাইটেও বলা হয়েছে।
কোনো ফোনে একাধিক ক্যামেরা থাকলে সেগুলোর ফিচার সম্পর্কে আলাদা করে বলা থাকে। যেমন: আইফোন ১৩ প্রো–এর ক্যামেরা বাম্পে তিনটি লেন্স রয়েছে। এখানে মূলত তিনটি ক্যামেরা রয়েছে: টেলিফটো, ওয়াইড এবং আল্ট্রা ওয়াইড। ক্যামেরা বাম্পে ওপরের দিকে ফ্ল্যাশ, নিচের দিকে লেন্সের মতো দেখতে একটি বস্তু রয়েছে। নিচের অংশটি মূলত এলআইডিএআর স্ক্যানার। এই ডিভাইসটি ক্যামেরা থেকে বস্তুর দূরত্ব পরিমাপের জন্য লেজার লাইট ব্যবহার করে। বিশেষ করে কোনো স্থানের মানচিত্র তৈরির জন্য এই ডিভাইসটি খুবই কাজের।
রিয়েলমি কী বলছে
রিয়েলমি সি৭৫ মডেলের ক্যামেরা নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে রিয়েলমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিয়েলমি অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি কখনোই কোথাও উল্লেখ করেনি যে সি৭৫ স্মার্টফোনে তিনটি রিয়ার ক্যামেরা আছে। বরং, রিয়েলমি প্রেস রিলিজ, ভিডিও কনটেন্ট, প্রমোশনাল ম্যাটেরিয়াল, ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ ও অন্যান্য মাধ্যমে বারবার উল্লেখ করেছে ফোনটিতে একটি ৫০ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে ও একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। ফোনটির ব্যাক প্যানেলে দৃশ্যমান তিনটি ক্যামেরা বাম্পের মধ্যে একটি মূল ক্যামেরা লেন্সের জন্য, একটি ফ্লিকার লেন্সের জন্য এবং একটি শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। ক্যামেরা সংক্রান্ত এসব তথ্য রিয়েলমির সেলস পয়েন্ট থেকেও গ্রাহকদের স্পষ্ট করেই বলা হচ্ছে। যদিও সৌন্দর্য বাম্পটি ডাবল টাচ-এ কিউআর কোড স্ক্যান করতেও ব্যবহার করা যায়।
মন্তব্য
সুতরাং কেসিংয়ে একাধিক লেন্স বা লেন্স সদৃশ বাম্প দেখেই অনেকগুলো ক্যামেরা ভাবার কোনো কারণ নেই। স্মার্টফোন শুধু বাইরের আবরণ বা সৌন্দর্য দেখে কেনার বস্তু নয়। কেনার আগে অবশ্যই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফোনটির কনফিগারেশন দেখে নিতে হবে। এক্ষেত্রে রিয়েলমি তিনটি ক্যামেরা বাম্প বা লেন্স সংযুক্ত করে কোন মিথ্যা তথ্য দেয়নি। বরং তারা তাদের ওয়েবসাইটে সুনিদির্ষ্ট করে বলে দিয়েছে। বিউটিফিকেশনের ক্ষেত্রে সাধারণত কোন টেকনিক্যাল তথ্য না থাকায় সাধারণত সেটি কোন ফোন তথ্য যুক্ত করে না। রিয়েলমিও সেটিই করেছে।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ক্যামেরার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও ক্যামেরাতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। ফোন কোম্পানিগুলোও ডিভাইসের প্রচারে ক্যামেরা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা চীনা ব্র্যান্ড রিয়েলমির একটি ফোনের ক্যামেরা নিয়ে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে নেতিবাচক খবর বেরিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর ভাষা একই রকম। কিছু ক্ষেত্রে শিরোনাম ও ভেতরে আক্রমণাত্মক শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। চলুন জেনে আসি এই খবরের সত্যতা কতটুকু?
ব্যবহারকারীদের চাহিদা বিবেচনা করে বেশিরভাগ ফোনের প্রচারেই এখন বিভিন্ন ফিচারযুক্ত একাধিক ক্যামেরার কথা বলা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। গতিশীল বস্তুর স্থিরচিত্র ধারণ, কম আলোতে ঝকঝকে ছবি, স্বয়ংক্রিয় ফোকাস, ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে দেওয়া, বিভিন্ন ইফেক্ট দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য ক্যামেরায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার।
এক্ষেত্রে শুধু ক্যামেরা নয় ফোনের পেছনের অংশে ক্যামেরা বাম্পে অনেকগুলো অপশন যুক্ত হচ্ছে। এরমধ্যে ফোন ক্যামেরার একটি মৌলিক ফিচার হলো ফ্লিকার সেন্সর বা লেন্স। যেটাকে অক্সিলারি লেন্সও বলা হয়। আবার স্মার্টফোনের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেক ব্র্যান্ড অতিরিক্ত ক্যামেরা বাম্পও ব্যবহার করে থাকে। তবে এটি নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
রিয়েলমি সি৭৫ নিয়ে অপপ্রচার
রিয়েলমি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, রিয়েলমি সি৭৫ মডেলের ফোনটির পেছনের অংশে ক্যামেরা বাম্পে প্রতারণামূলকভাবে তিনটি লেন্স দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ফোনটির ক্যামেরা মাত্র একটি। তবে বাকি দুইটি বাম্পের ফিচার নিয়ে কোন তথ্য দেয়নি পোর্টালগুলো। এতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে রিয়েলমির সি৭৫ ফোনটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে।

যদিও রিয়েলমি বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে ফোনটির ক্যামেরা ফিচারের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা। পাশাপাশি রয়েছে ফ্লিকার লেন্স। অর্থাৎ মূল ক্যামেরা সেন্সর ৫০ মেগাপিক্সেল এবং এতে একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। ক্যামেরা বাম্পে লেন্স সদৃশ তৃতীয় অংশটির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। যদিও এটি ফোন কোম্পানিগুলো সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য করে থাকে।
আসলেই কি তা–ই? রিয়েলমি ছাড়া আর কোনো ব্র্যান্ডে কি এমন ক্যামেরা বাম্প নেই?
রিয়েলমি বলছে, তাদের সি৭৫ মডেলের ফোনটির মূল্য ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এটি সাশ্রয়ী মূল্যের মিড রেঞ্জের ফোন। এই ফোনের প্রচারণা হয়েছে মূলত পানি ও ধূলা প্রতিরোধী ফোন হিসেবে। সাধারণত বাজেট ফোনগুলো একটি বিষয়কে গুরত্ব দিয়েই প্রচার করে। যে কারণে স্মার্টফোনটি ব্র্যান্ডটি শুরু থেকেই তাদের আইপি ৬৯ ফিচারকেই গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে আসছে। ক্যামেরার বিষয়ে খুব বেশি প্রচার করেনি ব্র্যান্ডটি। যদিও ইন্টারনেট ঘেটে রিয়েলমির প্রচারণার বিষয়ে গণমাধ্যমে তৈরি কয়েকটি বিশেষ প্রতিবেদন ও ভিডিও স্টোরি পাওয়া গেছে। যেখানে একটি মাত্র ক্যামেরা ও ফ্লিকার লেন্স থাকার বিষয়ে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে। একই সাথে রিয়েলমির সি৭৫ স্মার্টফোনটি হাতে নিয়ে যাচেই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা। যেখানে ফোনটি হাতে নিয়ে প্রথম দেখাতেই স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, তিনটি বাম্পের মধ্যে দুটি ফাংশনিং। আরেকটি পুরোপুরি বন্ধ অবস্থায় আছে। যেকোনো গ্রাহকও প্রথম দেখাতেই তৃতীয়টি বন্ধ থাকার বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

অন্যদিকে রিয়েলমির সি৭৫ মডেলটির সঙ্গে তুলনা করতে সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে আসা আরও চারটি ব্র্যান্ডের মিড রেঞ্জের ফোনের ফিচার যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার প্রযুক্তি বিভাগ। এতে দেখা গেছে, প্রায় সব ব্র্যান্ডের কাছাকাছি মানের ফোনগুলোতে ক্যামেরা বাম্পে একাধিক লেন্স থাকলেও মূলত ক্যামেরা একটি বা দুটি। কিছু ফোনে মূল ক্যামেরার পাশে বা নিচে ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। কোনো কোনো ফোনে অবশ্য ফ্লিকার সেন্সর মূল ক্যামেরার সঙ্গেই যুক্ত আছে। আবার বাম্পের সৌন্দর্যের জন্য লেন্স সদৃশ অংশ রাখার উদাহরণও আছে। রিয়েলমি ছাড়া এমন চারটি ফোন আছে যারা ওয়েসাইটে উল্লেখ করেনি তাদের অতিরিক্ত বাম্পে কি সুবিধা আছে। এরমধ্যে দুটি ব্রান্ডের ফোনে চারটি ক্যামেরা বাম্প থাকলেও তারমধ্যে তিনটি বাম্পে ক্যামেরা ও ফ্লিকার লেন্স থাকলেও বাকি একটি নিয়ে কোন বর্ণনা নেই। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ফোনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা বিক্রেতার থেকে ধারণা নিয়ে কিনতে হবে।
ফ্লিকার লেন্স কি ক্যামেরা?
না, ফ্লিকার লেন্স ক্যামেরা নয়, বরং ক্যামেরায় ধারণ করা ছবির মান উন্নত করতে এটি ব্যবহার করা হয়। ফ্লিকার সেন্সর বা লেন্স মূলত স্পন্দিত আলোর (যেমন ফ্লুরোসেন্ট, এলইডি ইত্যাদি) ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করে সে অনুযায়ী শাটার স্পিড এবং আইএসও সামঞ্জস্য করে। ফলে ছবি বা ভিডিওতে ব্যান্ডিং ইফেক্ট আসে না। ফ্লিকার সেন্সর ছাড়া ধারণা করা ছবি দেখতে এমন হয়:

বর্তমানে বেশিরভাগ ফোন ক্যামেরায় মূল ক্যামেরার সেন্সরের সঙ্গে ফ্লিকার সেন্সর জুড়ে দেওয়া হয়। তবে রিয়েলমি সি৭৫ মডেলের মতো অনেক ফোনে ফ্লিকার সেন্সরের জন্য আলাদা লেন্সও থাকে। এটি ক্যামেরা নয়, বরং ক্যামেরার একটি অংশ মাত্র! বিষয়টি ফোনের কনফিগারেশনে সাধারণত বলা থাকে। যেমনটি রিয়েলমির ওয়েবসাইটেও বলা হয়েছে।
কোনো ফোনে একাধিক ক্যামেরা থাকলে সেগুলোর ফিচার সম্পর্কে আলাদা করে বলা থাকে। যেমন: আইফোন ১৩ প্রো–এর ক্যামেরা বাম্পে তিনটি লেন্স রয়েছে। এখানে মূলত তিনটি ক্যামেরা রয়েছে: টেলিফটো, ওয়াইড এবং আল্ট্রা ওয়াইড। ক্যামেরা বাম্পে ওপরের দিকে ফ্ল্যাশ, নিচের দিকে লেন্সের মতো দেখতে একটি বস্তু রয়েছে। নিচের অংশটি মূলত এলআইডিএআর স্ক্যানার। এই ডিভাইসটি ক্যামেরা থেকে বস্তুর দূরত্ব পরিমাপের জন্য লেজার লাইট ব্যবহার করে। বিশেষ করে কোনো স্থানের মানচিত্র তৈরির জন্য এই ডিভাইসটি খুবই কাজের।
রিয়েলমি কী বলছে
রিয়েলমি সি৭৫ মডেলের ক্যামেরা নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে রিয়েলমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিয়েলমি অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি কখনোই কোথাও উল্লেখ করেনি যে সি৭৫ স্মার্টফোনে তিনটি রিয়ার ক্যামেরা আছে। বরং, রিয়েলমি প্রেস রিলিজ, ভিডিও কনটেন্ট, প্রমোশনাল ম্যাটেরিয়াল, ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ ও অন্যান্য মাধ্যমে বারবার উল্লেখ করেছে ফোনটিতে একটি ৫০ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে ও একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। ফোনটির ব্যাক প্যানেলে দৃশ্যমান তিনটি ক্যামেরা বাম্পের মধ্যে একটি মূল ক্যামেরা লেন্সের জন্য, একটি ফ্লিকার লেন্সের জন্য এবং একটি শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। ক্যামেরা সংক্রান্ত এসব তথ্য রিয়েলমির সেলস পয়েন্ট থেকেও গ্রাহকদের স্পষ্ট করেই বলা হচ্ছে। যদিও সৌন্দর্য বাম্পটি ডাবল টাচ-এ কিউআর কোড স্ক্যান করতেও ব্যবহার করা যায়।
মন্তব্য
সুতরাং কেসিংয়ে একাধিক লেন্স বা লেন্স সদৃশ বাম্প দেখেই অনেকগুলো ক্যামেরা ভাবার কোনো কারণ নেই। স্মার্টফোন শুধু বাইরের আবরণ বা সৌন্দর্য দেখে কেনার বস্তু নয়। কেনার আগে অবশ্যই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফোনটির কনফিগারেশন দেখে নিতে হবে। এক্ষেত্রে রিয়েলমি তিনটি ক্যামেরা বাম্প বা লেন্স সংযুক্ত করে কোন মিথ্যা তথ্য দেয়নি। বরং তারা তাদের ওয়েবসাইটে সুনিদির্ষ্ট করে বলে দিয়েছে। বিউটিফিকেশনের ক্ষেত্রে সাধারণত কোন টেকনিক্যাল তথ্য না থাকায় সাধারণত সেটি কোন ফোন তথ্য যুক্ত করে না। রিয়েলমিও সেটিই করেছে।

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখিটি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
২০ মিনিট আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৪ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখিটি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘এ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্পটি সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাতেই আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখিটি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘এ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্পটি সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাতেই আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ক্যামেরার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও ক্যামেরাতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। ফোন কোম্পানিগুলোও ডিভাইসের প্রচারে ক্যামেরা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা চীনা
২৭ এপ্রিল ২০২৫
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৪ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ক্যামেরার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও ক্যামেরাতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। ফোন কোম্পানিগুলোও ডিভাইসের প্রচারে ক্যামেরা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা চীনা
২৭ এপ্রিল ২০২৫
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখিটি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
২০ মিনিট আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ক্যামেরার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও ক্যামেরাতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। ফোন কোম্পানিগুলোও ডিভাইসের প্রচারে ক্যামেরা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা চীনা
২৭ এপ্রিল ২০২৫
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখিটি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
২০ মিনিট আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রতি প্রবল উৎসাহের কারণে ব্লগ বা টুইটের মতো শব্দগুলো নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫-এর শব্দগুলো বলছে অন্য কথা। এবারের শব্দগুলোতে কৃত্রিমতা, আবেগীয় কারসাজি এবং অদ্ভুত সব ট্রেন্ডের জয়জয়কার।
২০২৫ সালের নির্বাচিত শব্দগুলোর মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল জীবনের একটি বিবর্তনমূলক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ বছর এই শব্দগুলো একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে একটি বিশেষ মানসিক অবস্থার খোঁজ পাওয়া যায়। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিহিলিজম। ভুল তথ্য, এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্বের এই ভিড়ে মানুষ এখন কাকে বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দিহান। এই অনিশ্চয়তাকে একটি ইমোজি দিয়ে সবচেয়ে ভালো প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো ‘কাঁধ ঝাঁকানো’ ইমোজি। অর্থাৎ, ডিজিটাল জীবনের এই অরাজকতায় মানুষ এখন কিছুটা উদাসীন এবং নিরুপায়।

ইন্টারনেটের নতুন জঞ্জাল এআই স্লপ
অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষার প্রধান নির্দেশিকা ম্যাককুয়ারি ডিকশনারি বছরের সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘এআই স্লপ’ শব্দটিকে। এটি মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি নিম্নমানের কনটেন্ট, যা ইন্টারনেটে না চাইতেই আমাদের সামনে চলে আসে। ত্রুটিপূর্ণ এআই ইমেজ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইনে দেওয়া অদ্ভুত সব ক্যারিয়ার পরামর্শ সবই এই স্লপের অন্তর্ভুক্ত। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইন্টারনেটের অর্থহীন তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়ার লড়াইকে ফুটিয়ে তোলে।
প্যারাসোশ্যাল (Parasocial): কৃত্রিম সম্পর্কের মায়া
‘কেমব্রিজ ডিকশনারি’ নির্বাচন করেছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের মানসিক সম্পর্ক, যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো সেলিব্রিটি, কাল্পনিক চরিত্র, এমনকি এআই চ্যাটবটের প্রতি একতরফা টান অনুভব করেন। ১৯৫৬ সালে সমাজবিজ্ঞানীরা শব্দটি তৈরি করলেও ২০২৫ সালে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গায়িকা টেলর সুইফট ও ট্র্যাভিস কেলসের বাগদান নিয়ে ভক্তদের অতি উৎসাহ কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের চ্যাটবটের প্রেমে পড়া—এই ঘটনাগুলো প্যারাস্যোশাল শব্দটির ব্যবহার বাড়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ এখন রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে স্ক্রিনের ওপারের চরিত্রের সঙ্গে বেশি মানসিক সংযোগ খুঁজছে।
রাগের কারসাজি রেজ বাইট (Rage Bait)
‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি’ এ বছর বেছে নিয়েছে ‘রেজ বাইট’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের কনটেন্টকে বোঝায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে রাগান্বিত বা উত্তেজিত করার জন্য তৈরি করা হয়। মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে ট্রাফিক বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো। ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’ বা মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার এই নোংরা কৌশল রাজনৈতিক মেরুকরণকেও ত্বরান্বিত করছে। ২০২৫ সালে এই শব্দের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার বিষয়টির প্রতি আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
৬-৭ (6-7): অর্থহীনতার জয়জয়কার
এবার সবচেয়ে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত নির্বাচনটি করেছে ‘ডিকশনারি ডট কম’। তারা কোনো শব্দ নয়, বরং সংখ্যাকে বছরের সেরা বলে ঘোষণা করেছে। তারা বেছে নিয়েছে ‘৬-৭’। জেনারেশন আলফার এই স্লাং মূলত অর্থহীন এবং অদ্ভুতুড়ে। র্যাপার স্ক্রিলার এর একটি গান থেকে এটি জনপ্রিয় হয়। এটি ব্যবহারের সময় দুই হাত দিয়ে দাঁড়িপাল্লার মতো একটি ভঙ্গি করা হয়। শুধু র্যাপার নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকেও একটি স্কুল এই সাইন পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হলো, এই শব্দের কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই। মূলত কিশোর-কিশোরীরা বড়দের বিভ্রান্ত করতেই এটি বেশি ব্যবহার করে।
ভাইব কোডিং (Vibe Coding): প্রযুক্তির সহজ পাঠ
‘কোলিন্স ডিকশনারি’ বেছে নিয়েছে ‘ভাইব কোডিং’ শব্দটি। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাধারণ ভাষায় কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার কোড লেখানোর পদ্ধতি। ওপেন এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি শব্দটি জনপ্রিয় করেন। এর ফলে এখন কোডিংয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলেও কেবল ‘ভাইব’ বা অনুভূতির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন, ইভিএন এক্সপ্রেস

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রতি প্রবল উৎসাহের কারণে ব্লগ বা টুইটের মতো শব্দগুলো নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫-এর শব্দগুলো বলছে অন্য কথা। এবারের শব্দগুলোতে কৃত্রিমতা, আবেগীয় কারসাজি এবং অদ্ভুত সব ট্রেন্ডের জয়জয়কার।
২০২৫ সালের নির্বাচিত শব্দগুলোর মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল জীবনের একটি বিবর্তনমূলক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ বছর এই শব্দগুলো একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে একটি বিশেষ মানসিক অবস্থার খোঁজ পাওয়া যায়। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিহিলিজম। ভুল তথ্য, এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্বের এই ভিড়ে মানুষ এখন কাকে বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দিহান। এই অনিশ্চয়তাকে একটি ইমোজি দিয়ে সবচেয়ে ভালো প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো ‘কাঁধ ঝাঁকানো’ ইমোজি। অর্থাৎ, ডিজিটাল জীবনের এই অরাজকতায় মানুষ এখন কিছুটা উদাসীন এবং নিরুপায়।

ইন্টারনেটের নতুন জঞ্জাল এআই স্লপ
অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষার প্রধান নির্দেশিকা ম্যাককুয়ারি ডিকশনারি বছরের সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘এআই স্লপ’ শব্দটিকে। এটি মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি নিম্নমানের কনটেন্ট, যা ইন্টারনেটে না চাইতেই আমাদের সামনে চলে আসে। ত্রুটিপূর্ণ এআই ইমেজ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইনে দেওয়া অদ্ভুত সব ক্যারিয়ার পরামর্শ সবই এই স্লপের অন্তর্ভুক্ত। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইন্টারনেটের অর্থহীন তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়ার লড়াইকে ফুটিয়ে তোলে।
প্যারাসোশ্যাল (Parasocial): কৃত্রিম সম্পর্কের মায়া
‘কেমব্রিজ ডিকশনারি’ নির্বাচন করেছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের মানসিক সম্পর্ক, যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো সেলিব্রিটি, কাল্পনিক চরিত্র, এমনকি এআই চ্যাটবটের প্রতি একতরফা টান অনুভব করেন। ১৯৫৬ সালে সমাজবিজ্ঞানীরা শব্দটি তৈরি করলেও ২০২৫ সালে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গায়িকা টেলর সুইফট ও ট্র্যাভিস কেলসের বাগদান নিয়ে ভক্তদের অতি উৎসাহ কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের চ্যাটবটের প্রেমে পড়া—এই ঘটনাগুলো প্যারাস্যোশাল শব্দটির ব্যবহার বাড়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ এখন রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে স্ক্রিনের ওপারের চরিত্রের সঙ্গে বেশি মানসিক সংযোগ খুঁজছে।
রাগের কারসাজি রেজ বাইট (Rage Bait)
‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি’ এ বছর বেছে নিয়েছে ‘রেজ বাইট’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের কনটেন্টকে বোঝায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে রাগান্বিত বা উত্তেজিত করার জন্য তৈরি করা হয়। মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে ট্রাফিক বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো। ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’ বা মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার এই নোংরা কৌশল রাজনৈতিক মেরুকরণকেও ত্বরান্বিত করছে। ২০২৫ সালে এই শব্দের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার বিষয়টির প্রতি আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
৬-৭ (6-7): অর্থহীনতার জয়জয়কার
এবার সবচেয়ে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত নির্বাচনটি করেছে ‘ডিকশনারি ডট কম’। তারা কোনো শব্দ নয়, বরং সংখ্যাকে বছরের সেরা বলে ঘোষণা করেছে। তারা বেছে নিয়েছে ‘৬-৭’। জেনারেশন আলফার এই স্লাং মূলত অর্থহীন এবং অদ্ভুতুড়ে। র্যাপার স্ক্রিলার এর একটি গান থেকে এটি জনপ্রিয় হয়। এটি ব্যবহারের সময় দুই হাত দিয়ে দাঁড়িপাল্লার মতো একটি ভঙ্গি করা হয়। শুধু র্যাপার নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকেও একটি স্কুল এই সাইন পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হলো, এই শব্দের কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই। মূলত কিশোর-কিশোরীরা বড়দের বিভ্রান্ত করতেই এটি বেশি ব্যবহার করে।
ভাইব কোডিং (Vibe Coding): প্রযুক্তির সহজ পাঠ
‘কোলিন্স ডিকশনারি’ বেছে নিয়েছে ‘ভাইব কোডিং’ শব্দটি। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাধারণ ভাষায় কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার কোড লেখানোর পদ্ধতি। ওপেন এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি শব্দটি জনপ্রিয় করেন। এর ফলে এখন কোডিংয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলেও কেবল ‘ভাইব’ বা অনুভূতির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন, ইভিএন এক্সপ্রেস
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ক্যামেরার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোও ক্যামেরাতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। ফোন কোম্পানিগুলোও ডিভাইসের প্রচারে ক্যামেরা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা চীনা
২৭ এপ্রিল ২০২৫
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখিটি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
২০ মিনিট আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৪ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৬ ঘণ্টা আগে