আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বাংলার রান্নাঘর শুধু খাবারের জায়গা নয়, এখানে ঘটে স্বাদ ও আবেগের মেলবন্ধন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। বাংলার রান্নায় এই তিনটি স্বাদের মিশেল এক অনন্য মুখরোচক অভিজ্ঞতা দেয়, যা বিশ্বের অন্য কোনো রান্নায় খুব কমই দেখা যায়।
মিষ্টি, টক আর ঝালের ঐতিহ্য
বাংলার রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের ব্যবহার শুধু স্বাদের জন্য নয়, এটা সংস্কৃতিরও অংশ। বাংলার মানুষ তাদের খাবারে মিষ্টি, টক ও ঝালের এই তিনটি স্বাদ এমনভাবে একত্রিত করে, যেন প্রতিটি পদে স্বাদের একটা নিখুঁত ভারসাম্য তৈরি হয়। অনেকে ঝাল তরকারিতেও অল্প চিনি মিশিয়ে থাকেন। আবার অনেকে মিষ্টি খাবারের স্বাদকে আরও মুখরোচক করতে এর সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে থাকেন। তাই এই তিনটি স্বাদের সংমিশ্রণ বাংলার রান্নায় নতুন কিছু নয়, এটি বহু পুরোনো ঐতিহ্য।
মিষ্টি, টক আর ঝালের সমন্বয়ে কিছু জনপ্রিয় খাবার:
চিংড়ি মালাইকারী
চিংড়ি মালাইকারী বাংলার একটি জনপ্রিয় খাবার, যেখানে নারকেলের মিষ্টি, টক দই আর কাঁচা মরিচের ঝাল একসঙ্গে মিশে এক অপূর্ব স্বাদ তৈরি করে। এই খাবারের স্বাদ এতটাই সমৃদ্ধ যে, এটি শুধু বাংলায় নয়, সারা বিশ্বেই পরিচিত।
আমের ডাল
গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের ডাল বাংলার ঘরে ঘরে খুবই জনপ্রিয়। এই ডালে কাঁচা আমের টক–মিষ্টি, কাঁচা মরিচের ঝাল আর ডালের স্বাদ একসঙ্গে মিশে যায়। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং গরমের দিনে এটি আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
পাতুরি
পাতুরি বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি বানাতে মাছ বা সবজিকে সরিষা বাটা, নারকেল আর কাঁচা মরিচ মিশিয়ে কলপাতা বা লাউপাতা দিয়ে মোড়ানো হয়। এই খাবারে সরিষার ঝাল, নারকেলের মিষ্টি আর মরিচের ঝালের তীব্রতা একসঙ্গে মিশে এক অনন্য স্বাদ তৈরি করে।
টক ডাল
টক ডাল বাংলার আরেকটি জনপ্রিয় খাবার, যেখানে ডাল, টক দই বা তেঁতুলের টক আর কাঁচা মরিচের ঝাল একসঙ্গে মিশে এক অসাধারণ স্বাদ তৈরি করে। এই ডাল সাধারণত ভাত বা লুচির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি আমড়া দিয়েও করা হয়।
ফুচকা
বাংলাদেশের ছোট–বড় সবার পছন্দের খাবার ফুচকা। ফুচকাতে একটি ছোট ছিদ্র করে তার মধ্যে ঝাল মসলা ও কাঁচামরিচ দিয়ে তৈরি আলুর পুর ভরে দেওয়া হয়। অনেকেই ঝাল বাড়াতে অতিরিক্ত গুঁড়া মরিচও দিয়ে থাকেন। এরপর পুর ভর্তি ফুচকা তেঁতুল গোলা পানিতে ডুবিয়ে খাওয়া হয়। এই পানিতে প্রায়ই চিনি মিশানো হয়। ফলে একই সঙ্গে তেঁতুলের টক, চিনির মিষ্টি এবং ঝাল স্বাদ পাওয়া যায়।
মিষ্টি, টক আর ঝালের রসায়ন
মিষ্টি, টক আর ঝালের এই সমন্বয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, এটা আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। মিষ্টি শরীরে শক্তি জোগায়, টক স্বাদ হজমশক্তি বাড়ায়। আর ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে।
বাংলার রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের এই মিশেল শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরও প্রতীক। এই তিনটি স্বাদের অপূর্ব সমন্বয় বাংলার রান্নাকে শুধু স্বাদে নয়, সংস্কৃতিতেও অনন্য করে তুলেছে।
বাংলার রান্নাঘর শুধু খাবারের জায়গা নয়, এখানে ঘটে স্বাদ ও আবেগের মেলবন্ধন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। বাংলার রান্নায় এই তিনটি স্বাদের মিশেল এক অনন্য মুখরোচক অভিজ্ঞতা দেয়, যা বিশ্বের অন্য কোনো রান্নায় খুব কমই দেখা যায়।
মিষ্টি, টক আর ঝালের ঐতিহ্য
বাংলার রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের ব্যবহার শুধু স্বাদের জন্য নয়, এটা সংস্কৃতিরও অংশ। বাংলার মানুষ তাদের খাবারে মিষ্টি, টক ও ঝালের এই তিনটি স্বাদ এমনভাবে একত্রিত করে, যেন প্রতিটি পদে স্বাদের একটা নিখুঁত ভারসাম্য তৈরি হয়। অনেকে ঝাল তরকারিতেও অল্প চিনি মিশিয়ে থাকেন। আবার অনেকে মিষ্টি খাবারের স্বাদকে আরও মুখরোচক করতে এর সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে থাকেন। তাই এই তিনটি স্বাদের সংমিশ্রণ বাংলার রান্নায় নতুন কিছু নয়, এটি বহু পুরোনো ঐতিহ্য।
মিষ্টি, টক আর ঝালের সমন্বয়ে কিছু জনপ্রিয় খাবার:
চিংড়ি মালাইকারী
চিংড়ি মালাইকারী বাংলার একটি জনপ্রিয় খাবার, যেখানে নারকেলের মিষ্টি, টক দই আর কাঁচা মরিচের ঝাল একসঙ্গে মিশে এক অপূর্ব স্বাদ তৈরি করে। এই খাবারের স্বাদ এতটাই সমৃদ্ধ যে, এটি শুধু বাংলায় নয়, সারা বিশ্বেই পরিচিত।
আমের ডাল
গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের ডাল বাংলার ঘরে ঘরে খুবই জনপ্রিয়। এই ডালে কাঁচা আমের টক–মিষ্টি, কাঁচা মরিচের ঝাল আর ডালের স্বাদ একসঙ্গে মিশে যায়। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় এবং গরমের দিনে এটি আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
পাতুরি
পাতুরি বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি বানাতে মাছ বা সবজিকে সরিষা বাটা, নারকেল আর কাঁচা মরিচ মিশিয়ে কলপাতা বা লাউপাতা দিয়ে মোড়ানো হয়। এই খাবারে সরিষার ঝাল, নারকেলের মিষ্টি আর মরিচের ঝালের তীব্রতা একসঙ্গে মিশে এক অনন্য স্বাদ তৈরি করে।
টক ডাল
টক ডাল বাংলার আরেকটি জনপ্রিয় খাবার, যেখানে ডাল, টক দই বা তেঁতুলের টক আর কাঁচা মরিচের ঝাল একসঙ্গে মিশে এক অসাধারণ স্বাদ তৈরি করে। এই ডাল সাধারণত ভাত বা লুচির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি আমড়া দিয়েও করা হয়।
ফুচকা
বাংলাদেশের ছোট–বড় সবার পছন্দের খাবার ফুচকা। ফুচকাতে একটি ছোট ছিদ্র করে তার মধ্যে ঝাল মসলা ও কাঁচামরিচ দিয়ে তৈরি আলুর পুর ভরে দেওয়া হয়। অনেকেই ঝাল বাড়াতে অতিরিক্ত গুঁড়া মরিচও দিয়ে থাকেন। এরপর পুর ভর্তি ফুচকা তেঁতুল গোলা পানিতে ডুবিয়ে খাওয়া হয়। এই পানিতে প্রায়ই চিনি মিশানো হয়। ফলে একই সঙ্গে তেঁতুলের টক, চিনির মিষ্টি এবং ঝাল স্বাদ পাওয়া যায়।
মিষ্টি, টক আর ঝালের রসায়ন
মিষ্টি, টক আর ঝালের এই সমন্বয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, এটা আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। মিষ্টি শরীরে শক্তি জোগায়, টক স্বাদ হজমশক্তি বাড়ায়। আর ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে।
বাংলার রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের এই মিশেল শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরও প্রতীক। এই তিনটি স্বাদের অপূর্ব সমন্বয় বাংলার রান্নাকে শুধু স্বাদে নয়, সংস্কৃতিতেও অনন্য করে তুলেছে।
আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করে। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য গার্ল, আই অ্যাম দ্য চেঞ্জ লিড: গার্লস অন দ্য ফ্রন্টলাইনস অব ক্রাইসিস’ বা ‘আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনের...
২ মিনিট আগেবাড়িতে থাকলে সকালে উঠেই চা বা কফি পান করা অনেকের প্রধান অভ্যাস। কোথাও ছুটিতে গেলেও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না তাঁরা। ভ্রমণের সময় হোটেলের যে কক্ষে থাকেন, সকালে উঠে সেখানেই সকালের চা-কফির পর্ব সেরে নিতে চান অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কেটলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? পরের বার যখন কোনো হোটেল রুমে থাকবেন..
১ ঘণ্টা আগেরক্তে শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নয়। সুস্থ থাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধের জন্যও এটি সমান জরুরি। আমাদের অনেকের ধারণা, ‘আমি তো বেশি মিষ্টি খাই না, তাহলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে কেন?’ কিন্তু আসল সমস্যা হলো কিছু সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস। যেগুলো আমরা...
৩ ঘণ্টা আগেপানামার ছোট্ট পাহাড়ি শহর বোকে। এখানে কফিকে কেবল পানীয় বললে ভুল হবে। এটি একধরনের শিল্প এবং বিলাসিতার মিশ্রণ। বিলাসিতা বলছি; কারণ, এখানে উৎপাদিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি—গেইশা। যার প্রতি কেজি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এর কারণ শুধু কফির স্বাদ নয়, এর উৎপাদন উৎস, চাষের...
৪ ঘণ্টা আগে