ফিচার ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব। সেই জায়গাগুলো তখন হয়ে ওঠে ফ্যাশন, জীবনধারা আর অবসর বিনোদনের কেন্দ্র।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও এই এলাকাগুলোতে ধরা পড়ে সমাজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন বিলাসবহুল পণ্যের দিকে ঝোঁক, স্থানীয় কারুশিল্প থেকে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের প্রবণতা ইত্যাদি। এগুলো পর্যটন ও নগর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে তো বটেই, বিশ্বমঞ্চে শহরগুলোর এক নতুন ধরনের চিত্র তুলে ধরে। আমাদের দেশেও এমন কিছু সুপরিচিত জায়গা আছে, কেনাকাটার জন্য যেগুলো হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর থাকে। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজার (বর্তমানে সংস্কারাধীন) কেবল কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। পুরো পৃথিবীতে এমনি কিছু মনোমুগ্ধকর শপিং গন্তব্য খুঁজে পাবেন, যেগুলোর প্রতিটি মোড় একটি গল্প বলে এবং প্রতিটি ব্লক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সমকালীন প্রবণতাকে একত্র করে।
এশিয়ার জমজমাট শপিং স্ট্রিট
অরচার্ড রোড, সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল এরিয়ায় অবস্থিত অরচার্ড রোড প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের বহু সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। উনিশ শতকের একটি সাধারণ গ্রামীণ রাস্তা থেকে এটি সিঙ্গাপুরের আইকনিক খুচরা বিক্রয় ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি জমজমাট মল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও শীর্ষস্থানীয় বার রয়েছে। ট্যাঙস শপিং মল এই এলাকার অন্যতম আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। আইওএন অরচার্ড নামক বিখ্যাত শপিং সেন্টারের আটটি ফ্লোরজুড়ে ডিওর, গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ফেন্ডি, ভ্যালেন্টিনো, সেফোরা, এইচঅ্যান্ডএমের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩০০ টির বেশি স্টোর রয়েছে এখানে।
গিনজা, টোকি: গিনজা টোকিওর একটি জনপ্রিয় আপ স্কেল শপিং অ্যাভিনিউ। এখানে অসংখ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বুটিক, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরমানি, গুচি, সেন্ট লরেন্ট, শ্যানেল, ডিওর, সোয়ারোভস্কির মতো বিলাসবহুল পণ্যের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এখানে দেখা যায়। এখানে ১৮৯৪ সালে তৈরি একটি ভবনে রয়েছে ওয়াকো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। সপ্তাহান্তে এই পথটি কেবল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মিয়ংডং, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট মিয়ংডং। এটি সিউলের প্রধান শপিং, প্যারেড সার্কিট ও পর্যটন জেলা। বিলাসবহুল ও মধ্যম থেকে উচ্চ মূল্যের ব্র্যান্ড ছাড়াও সেখানে অনেক বিখ্যাত কোরিয়ান কসমেটিক স্টোর রয়েছে। এর নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তাগুলো প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট স্টোর ব্র্যান্ড শিনসেগে ও লোটাসের শাখা রয়েছে এখানে। মিয়ংডংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনারদের তৈরি সর্বশেষ ফ্যাশন পোশাক ও জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিলাসবহুল করিডর
বন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আঠারো শতক থেকে জনপ্রিয় লন্ডনের বন্ড স্ট্রিট বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শপিং স্ট্রিট। মূলত অভিজাতদের কেনাকাটার গন্তব্য এটি। আজও এখানে আরমানি, বারবেরি, শ্যানেল, ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা, হার্মিসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাসপারি, বুলগারি, কার্টিয়ে, ডি বিয়ার্স ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো ব্র্যান্ডের গয়নার বুটিক। এই স্ট্রিটের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট স্টোর হলো ফেনউইক, যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়। উৎসবের মৌসুমে এই পথ আলোকিত ও সজ্জিত থাকে, যা একে ঘুরে দেখার সেরা সময়।
ফিফথ অ্যাভিনিউ ও বেভারলি হিলস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অনেকের কাছে, ফিফথ অ্যাভিনিউ চূড়ান্ত শপিং গন্তব্য। এই অ্যাভিনিউ হারলেমের ওয়েস্ট ১৪৩ তম স্ট্রিট থেকে গ্রিনউইচ ভিলেজের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রাইসলার বিল্ডিং, রকফেলার সেন্টার ও গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের মতো বিশ্বের আইকনিক স্থাপনার অবস্থান। এখানকার ৪৯ থেকে ৫৯ তম স্ট্রিট পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটিতে ইস্টার উপলক্ষে ইস্টার প্যারেড দেখানো হয়। বেভারলি হিলসে শ্যানেল, হ্যারি উইনস্টন, হার্মিস, কার্টিয়ে ও লুই ভিটনের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ বুটিকসহ ১০০ টির বেশি হাই-এন্ড বুটিক ও ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে।
রু দে রিভোলি, প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত রু দে রিভোলি ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি মনোমুগ্ধকর পথ। নেপোলিয়নের শাসনামলে নির্মিত এবং তাঁর রিভোলি যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই পথ প্লাস দে লা বাস্তিল থেকে প্লাস দে লা কনকর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর এক প্রান্তে রয়েছে লুভর মিউজিয়াম ও টুইলেরি গার্ডেনস। অন্য পাশে সেফোরা, জারা, প্রমড, এল’অক্সিটন ও এটামের মতো আন্তর্জাতিক ও ফরাসি ব্র্যান্ডের আউটলেট।
বাহনহফস্ট্রাসে, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের বিলাসবহুল পণ্যগুলো খুচরা বিক্রির জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ডাউনটাউন স্ট্রিট। এর আশপাশে আছে বিশ্বখ্যাত চকলেট উৎপাদক ও বিক্রেতারা, আছে স্টাইলিশ ক্যাফে, ব্যাংক ও গ্র্যান্ড হোটেল। এখানে বুলগারি, হার্মিস, মন্ট ব্লাঙ্ক ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো বৈশ্বিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গ্লোবাস ও জেলমোলির মতো বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে।
স্ট্রোজেট, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে অবস্থিত স্ট্রোজেট ইউরোপের অন্যতম দীর্ঘতম পথচারী শপিং স্ট্রিট। সিটি হল স্কয়ার থেকে কঙ্গেনস নিউটর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্যস্ত পথ বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ও ড্যানিশ বুটিকগুলো জন্য বিখ্যাত। এটি প্রাডা, লুই ভিটন ও মালবেরির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরসহ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কের জন্য পরিচিত।
কালে দে সেরানো, মাদ্রিদ, স্পেন
মাদ্রিদের গোল্ডেন মাইল নামে পরিচিত কালে দে সেরানো বিখ্যাত সালামানকা জেলায় অবস্থিত। এটি বিলাসবহুল ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের নিখুঁত মিশ্রণ। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর ক্যাফে ও দারুণ সব খাবারের দোকানের জন্য এই এলাকা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
ফ্রিডরিখস্ট্রাসে, বার্লিন, জার্মানি
বার্লিনের কেন্দ্রে অবস্থিত ফ্রিডরিখস্ট্রাসে একটি জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট। একসময় বার্লিন প্রাচীর দিয়ে বিভক্ত এই পথ আজ পুনর্মিলিত বার্লিনের প্রতীক। এখানে হুগো বস, ম্যাক্স মারা, কার্ল লেগারফেল্ড ও আরমানির মতো প্রভাবশালী লেবেলের আউটলেট আছে।
ভিয়া দেল করসো, রোম, ইতালি
রোমের প্রধান শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়া দেল করসো। সেখানে বেশ কয়েকটি ইতালীয় ডিজাইনার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি রয়েছে। আইকনিক পিয়াজ্জা ভেনেজিয়া থেকে পিয়াজ্জা দেল পোপোলো পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। বহু শতাব্দীপ্রাচীন ভবন আছে সজ্জিত এই ব্যস্ত পথে। এটি রোমের আকর্ষণ ও আধুনিক ফ্যাশনের নিখুঁত মিশ্রণ।
পিট স্ট্রিট মল, অস্ট্রেলিয়া
সিডনির কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত পিট স্ট্রিট মল। এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শপিং গন্তব্য। মাত্র দুটি ব্লক জুড়ে বিস্তৃত এই পথ কেবল পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সার্ফ শপসহ ৬০০ টির বেশি দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এখানে জারা, এইচঅ্যান্ডএম ও ইউনিক্লোর মতো ব্রান্ডের আউটলেট থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। গ্লাস হাউস, মিডসিটি, দ্য স্ট্র্যান্ড আর্কেড, ওয়েস্টফিল্ড সিডনি ও সিডনি আর্কেড এখানকার জনপ্রিয় শপিং মল। এটি স্ট্রিট পারফরমার ও ক্যাফে সংস্কৃতির সঙ্গে প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা দেবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন উইকের সময় এখানে বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন হাব হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: কন্দে নেস্ট, ইনসাইডার ইনক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব। সেই জায়গাগুলো তখন হয়ে ওঠে ফ্যাশন, জীবনধারা আর অবসর বিনোদনের কেন্দ্র।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও এই এলাকাগুলোতে ধরা পড়ে সমাজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন বিলাসবহুল পণ্যের দিকে ঝোঁক, স্থানীয় কারুশিল্প থেকে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের প্রবণতা ইত্যাদি। এগুলো পর্যটন ও নগর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে তো বটেই, বিশ্বমঞ্চে শহরগুলোর এক নতুন ধরনের চিত্র তুলে ধরে। আমাদের দেশেও এমন কিছু সুপরিচিত জায়গা আছে, কেনাকাটার জন্য যেগুলো হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর থাকে। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজার (বর্তমানে সংস্কারাধীন) কেবল কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। পুরো পৃথিবীতে এমনি কিছু মনোমুগ্ধকর শপিং গন্তব্য খুঁজে পাবেন, যেগুলোর প্রতিটি মোড় একটি গল্প বলে এবং প্রতিটি ব্লক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সমকালীন প্রবণতাকে একত্র করে।
এশিয়ার জমজমাট শপিং স্ট্রিট
অরচার্ড রোড, সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল এরিয়ায় অবস্থিত অরচার্ড রোড প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের বহু সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। উনিশ শতকের একটি সাধারণ গ্রামীণ রাস্তা থেকে এটি সিঙ্গাপুরের আইকনিক খুচরা বিক্রয় ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি জমজমাট মল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও শীর্ষস্থানীয় বার রয়েছে। ট্যাঙস শপিং মল এই এলাকার অন্যতম আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। আইওএন অরচার্ড নামক বিখ্যাত শপিং সেন্টারের আটটি ফ্লোরজুড়ে ডিওর, গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ফেন্ডি, ভ্যালেন্টিনো, সেফোরা, এইচঅ্যান্ডএমের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩০০ টির বেশি স্টোর রয়েছে এখানে।
গিনজা, টোকি: গিনজা টোকিওর একটি জনপ্রিয় আপ স্কেল শপিং অ্যাভিনিউ। এখানে অসংখ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বুটিক, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরমানি, গুচি, সেন্ট লরেন্ট, শ্যানেল, ডিওর, সোয়ারোভস্কির মতো বিলাসবহুল পণ্যের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এখানে দেখা যায়। এখানে ১৮৯৪ সালে তৈরি একটি ভবনে রয়েছে ওয়াকো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। সপ্তাহান্তে এই পথটি কেবল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মিয়ংডং, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট মিয়ংডং। এটি সিউলের প্রধান শপিং, প্যারেড সার্কিট ও পর্যটন জেলা। বিলাসবহুল ও মধ্যম থেকে উচ্চ মূল্যের ব্র্যান্ড ছাড়াও সেখানে অনেক বিখ্যাত কোরিয়ান কসমেটিক স্টোর রয়েছে। এর নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তাগুলো প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট স্টোর ব্র্যান্ড শিনসেগে ও লোটাসের শাখা রয়েছে এখানে। মিয়ংডংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনারদের তৈরি সর্বশেষ ফ্যাশন পোশাক ও জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিলাসবহুল করিডর
বন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আঠারো শতক থেকে জনপ্রিয় লন্ডনের বন্ড স্ট্রিট বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শপিং স্ট্রিট। মূলত অভিজাতদের কেনাকাটার গন্তব্য এটি। আজও এখানে আরমানি, বারবেরি, শ্যানেল, ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা, হার্মিসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাসপারি, বুলগারি, কার্টিয়ে, ডি বিয়ার্স ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো ব্র্যান্ডের গয়নার বুটিক। এই স্ট্রিটের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট স্টোর হলো ফেনউইক, যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়। উৎসবের মৌসুমে এই পথ আলোকিত ও সজ্জিত থাকে, যা একে ঘুরে দেখার সেরা সময়।
ফিফথ অ্যাভিনিউ ও বেভারলি হিলস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অনেকের কাছে, ফিফথ অ্যাভিনিউ চূড়ান্ত শপিং গন্তব্য। এই অ্যাভিনিউ হারলেমের ওয়েস্ট ১৪৩ তম স্ট্রিট থেকে গ্রিনউইচ ভিলেজের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রাইসলার বিল্ডিং, রকফেলার সেন্টার ও গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের মতো বিশ্বের আইকনিক স্থাপনার অবস্থান। এখানকার ৪৯ থেকে ৫৯ তম স্ট্রিট পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটিতে ইস্টার উপলক্ষে ইস্টার প্যারেড দেখানো হয়। বেভারলি হিলসে শ্যানেল, হ্যারি উইনস্টন, হার্মিস, কার্টিয়ে ও লুই ভিটনের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ বুটিকসহ ১০০ টির বেশি হাই-এন্ড বুটিক ও ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে।
রু দে রিভোলি, প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত রু দে রিভোলি ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি মনোমুগ্ধকর পথ। নেপোলিয়নের শাসনামলে নির্মিত এবং তাঁর রিভোলি যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই পথ প্লাস দে লা বাস্তিল থেকে প্লাস দে লা কনকর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর এক প্রান্তে রয়েছে লুভর মিউজিয়াম ও টুইলেরি গার্ডেনস। অন্য পাশে সেফোরা, জারা, প্রমড, এল’অক্সিটন ও এটামের মতো আন্তর্জাতিক ও ফরাসি ব্র্যান্ডের আউটলেট।
বাহনহফস্ট্রাসে, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের বিলাসবহুল পণ্যগুলো খুচরা বিক্রির জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ডাউনটাউন স্ট্রিট। এর আশপাশে আছে বিশ্বখ্যাত চকলেট উৎপাদক ও বিক্রেতারা, আছে স্টাইলিশ ক্যাফে, ব্যাংক ও গ্র্যান্ড হোটেল। এখানে বুলগারি, হার্মিস, মন্ট ব্লাঙ্ক ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো বৈশ্বিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গ্লোবাস ও জেলমোলির মতো বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে।
স্ট্রোজেট, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে অবস্থিত স্ট্রোজেট ইউরোপের অন্যতম দীর্ঘতম পথচারী শপিং স্ট্রিট। সিটি হল স্কয়ার থেকে কঙ্গেনস নিউটর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্যস্ত পথ বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ও ড্যানিশ বুটিকগুলো জন্য বিখ্যাত। এটি প্রাডা, লুই ভিটন ও মালবেরির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরসহ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কের জন্য পরিচিত।
কালে দে সেরানো, মাদ্রিদ, স্পেন
মাদ্রিদের গোল্ডেন মাইল নামে পরিচিত কালে দে সেরানো বিখ্যাত সালামানকা জেলায় অবস্থিত। এটি বিলাসবহুল ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের নিখুঁত মিশ্রণ। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর ক্যাফে ও দারুণ সব খাবারের দোকানের জন্য এই এলাকা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
ফ্রিডরিখস্ট্রাসে, বার্লিন, জার্মানি
বার্লিনের কেন্দ্রে অবস্থিত ফ্রিডরিখস্ট্রাসে একটি জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট। একসময় বার্লিন প্রাচীর দিয়ে বিভক্ত এই পথ আজ পুনর্মিলিত বার্লিনের প্রতীক। এখানে হুগো বস, ম্যাক্স মারা, কার্ল লেগারফেল্ড ও আরমানির মতো প্রভাবশালী লেবেলের আউটলেট আছে।
ভিয়া দেল করসো, রোম, ইতালি
রোমের প্রধান শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়া দেল করসো। সেখানে বেশ কয়েকটি ইতালীয় ডিজাইনার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি রয়েছে। আইকনিক পিয়াজ্জা ভেনেজিয়া থেকে পিয়াজ্জা দেল পোপোলো পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। বহু শতাব্দীপ্রাচীন ভবন আছে সজ্জিত এই ব্যস্ত পথে। এটি রোমের আকর্ষণ ও আধুনিক ফ্যাশনের নিখুঁত মিশ্রণ।
পিট স্ট্রিট মল, অস্ট্রেলিয়া
সিডনির কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত পিট স্ট্রিট মল। এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শপিং গন্তব্য। মাত্র দুটি ব্লক জুড়ে বিস্তৃত এই পথ কেবল পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সার্ফ শপসহ ৬০০ টির বেশি দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এখানে জারা, এইচঅ্যান্ডএম ও ইউনিক্লোর মতো ব্রান্ডের আউটলেট থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। গ্লাস হাউস, মিডসিটি, দ্য স্ট্র্যান্ড আর্কেড, ওয়েস্টফিল্ড সিডনি ও সিডনি আর্কেড এখানকার জনপ্রিয় শপিং মল। এটি স্ট্রিট পারফরমার ও ক্যাফে সংস্কৃতির সঙ্গে প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা দেবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন উইকের সময় এখানে বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন হাব হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: কন্দে নেস্ট, ইনসাইডার ইনক
ফিচার ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব। সেই জায়গাগুলো তখন হয়ে ওঠে ফ্যাশন, জীবনধারা আর অবসর বিনোদনের কেন্দ্র।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও এই এলাকাগুলোতে ধরা পড়ে সমাজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন বিলাসবহুল পণ্যের দিকে ঝোঁক, স্থানীয় কারুশিল্প থেকে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের প্রবণতা ইত্যাদি। এগুলো পর্যটন ও নগর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে তো বটেই, বিশ্বমঞ্চে শহরগুলোর এক নতুন ধরনের চিত্র তুলে ধরে। আমাদের দেশেও এমন কিছু সুপরিচিত জায়গা আছে, কেনাকাটার জন্য যেগুলো হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর থাকে। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজার (বর্তমানে সংস্কারাধীন) কেবল কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। পুরো পৃথিবীতে এমনি কিছু মনোমুগ্ধকর শপিং গন্তব্য খুঁজে পাবেন, যেগুলোর প্রতিটি মোড় একটি গল্প বলে এবং প্রতিটি ব্লক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সমকালীন প্রবণতাকে একত্র করে।
এশিয়ার জমজমাট শপিং স্ট্রিট
অরচার্ড রোড, সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল এরিয়ায় অবস্থিত অরচার্ড রোড প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের বহু সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। উনিশ শতকের একটি সাধারণ গ্রামীণ রাস্তা থেকে এটি সিঙ্গাপুরের আইকনিক খুচরা বিক্রয় ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি জমজমাট মল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও শীর্ষস্থানীয় বার রয়েছে। ট্যাঙস শপিং মল এই এলাকার অন্যতম আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। আইওএন অরচার্ড নামক বিখ্যাত শপিং সেন্টারের আটটি ফ্লোরজুড়ে ডিওর, গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ফেন্ডি, ভ্যালেন্টিনো, সেফোরা, এইচঅ্যান্ডএমের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩০০ টির বেশি স্টোর রয়েছে এখানে।
গিনজা, টোকি: গিনজা টোকিওর একটি জনপ্রিয় আপ স্কেল শপিং অ্যাভিনিউ। এখানে অসংখ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বুটিক, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরমানি, গুচি, সেন্ট লরেন্ট, শ্যানেল, ডিওর, সোয়ারোভস্কির মতো বিলাসবহুল পণ্যের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এখানে দেখা যায়। এখানে ১৮৯৪ সালে তৈরি একটি ভবনে রয়েছে ওয়াকো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। সপ্তাহান্তে এই পথটি কেবল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মিয়ংডং, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট মিয়ংডং। এটি সিউলের প্রধান শপিং, প্যারেড সার্কিট ও পর্যটন জেলা। বিলাসবহুল ও মধ্যম থেকে উচ্চ মূল্যের ব্র্যান্ড ছাড়াও সেখানে অনেক বিখ্যাত কোরিয়ান কসমেটিক স্টোর রয়েছে। এর নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তাগুলো প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট স্টোর ব্র্যান্ড শিনসেগে ও লোটাসের শাখা রয়েছে এখানে। মিয়ংডংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনারদের তৈরি সর্বশেষ ফ্যাশন পোশাক ও জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিলাসবহুল করিডর
বন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আঠারো শতক থেকে জনপ্রিয় লন্ডনের বন্ড স্ট্রিট বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শপিং স্ট্রিট। মূলত অভিজাতদের কেনাকাটার গন্তব্য এটি। আজও এখানে আরমানি, বারবেরি, শ্যানেল, ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা, হার্মিসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাসপারি, বুলগারি, কার্টিয়ে, ডি বিয়ার্স ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো ব্র্যান্ডের গয়নার বুটিক। এই স্ট্রিটের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট স্টোর হলো ফেনউইক, যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়। উৎসবের মৌসুমে এই পথ আলোকিত ও সজ্জিত থাকে, যা একে ঘুরে দেখার সেরা সময়।
ফিফথ অ্যাভিনিউ ও বেভারলি হিলস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অনেকের কাছে, ফিফথ অ্যাভিনিউ চূড়ান্ত শপিং গন্তব্য। এই অ্যাভিনিউ হারলেমের ওয়েস্ট ১৪৩ তম স্ট্রিট থেকে গ্রিনউইচ ভিলেজের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রাইসলার বিল্ডিং, রকফেলার সেন্টার ও গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের মতো বিশ্বের আইকনিক স্থাপনার অবস্থান। এখানকার ৪৯ থেকে ৫৯ তম স্ট্রিট পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটিতে ইস্টার উপলক্ষে ইস্টার প্যারেড দেখানো হয়। বেভারলি হিলসে শ্যানেল, হ্যারি উইনস্টন, হার্মিস, কার্টিয়ে ও লুই ভিটনের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ বুটিকসহ ১০০ টির বেশি হাই-এন্ড বুটিক ও ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে।
রু দে রিভোলি, প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত রু দে রিভোলি ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি মনোমুগ্ধকর পথ। নেপোলিয়নের শাসনামলে নির্মিত এবং তাঁর রিভোলি যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই পথ প্লাস দে লা বাস্তিল থেকে প্লাস দে লা কনকর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর এক প্রান্তে রয়েছে লুভর মিউজিয়াম ও টুইলেরি গার্ডেনস। অন্য পাশে সেফোরা, জারা, প্রমড, এল’অক্সিটন ও এটামের মতো আন্তর্জাতিক ও ফরাসি ব্র্যান্ডের আউটলেট।
বাহনহফস্ট্রাসে, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের বিলাসবহুল পণ্যগুলো খুচরা বিক্রির জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ডাউনটাউন স্ট্রিট। এর আশপাশে আছে বিশ্বখ্যাত চকলেট উৎপাদক ও বিক্রেতারা, আছে স্টাইলিশ ক্যাফে, ব্যাংক ও গ্র্যান্ড হোটেল। এখানে বুলগারি, হার্মিস, মন্ট ব্লাঙ্ক ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো বৈশ্বিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গ্লোবাস ও জেলমোলির মতো বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে।
স্ট্রোজেট, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে অবস্থিত স্ট্রোজেট ইউরোপের অন্যতম দীর্ঘতম পথচারী শপিং স্ট্রিট। সিটি হল স্কয়ার থেকে কঙ্গেনস নিউটর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্যস্ত পথ বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ও ড্যানিশ বুটিকগুলো জন্য বিখ্যাত। এটি প্রাডা, লুই ভিটন ও মালবেরির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরসহ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কের জন্য পরিচিত।
কালে দে সেরানো, মাদ্রিদ, স্পেন
মাদ্রিদের গোল্ডেন মাইল নামে পরিচিত কালে দে সেরানো বিখ্যাত সালামানকা জেলায় অবস্থিত। এটি বিলাসবহুল ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের নিখুঁত মিশ্রণ। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর ক্যাফে ও দারুণ সব খাবারের দোকানের জন্য এই এলাকা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
ফ্রিডরিখস্ট্রাসে, বার্লিন, জার্মানি
বার্লিনের কেন্দ্রে অবস্থিত ফ্রিডরিখস্ট্রাসে একটি জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট। একসময় বার্লিন প্রাচীর দিয়ে বিভক্ত এই পথ আজ পুনর্মিলিত বার্লিনের প্রতীক। এখানে হুগো বস, ম্যাক্স মারা, কার্ল লেগারফেল্ড ও আরমানির মতো প্রভাবশালী লেবেলের আউটলেট আছে।
ভিয়া দেল করসো, রোম, ইতালি
রোমের প্রধান শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়া দেল করসো। সেখানে বেশ কয়েকটি ইতালীয় ডিজাইনার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি রয়েছে। আইকনিক পিয়াজ্জা ভেনেজিয়া থেকে পিয়াজ্জা দেল পোপোলো পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। বহু শতাব্দীপ্রাচীন ভবন আছে সজ্জিত এই ব্যস্ত পথে। এটি রোমের আকর্ষণ ও আধুনিক ফ্যাশনের নিখুঁত মিশ্রণ।
পিট স্ট্রিট মল, অস্ট্রেলিয়া
সিডনির কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত পিট স্ট্রিট মল। এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শপিং গন্তব্য। মাত্র দুটি ব্লক জুড়ে বিস্তৃত এই পথ কেবল পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সার্ফ শপসহ ৬০০ টির বেশি দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এখানে জারা, এইচঅ্যান্ডএম ও ইউনিক্লোর মতো ব্রান্ডের আউটলেট থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। গ্লাস হাউস, মিডসিটি, দ্য স্ট্র্যান্ড আর্কেড, ওয়েস্টফিল্ড সিডনি ও সিডনি আর্কেড এখানকার জনপ্রিয় শপিং মল। এটি স্ট্রিট পারফরমার ও ক্যাফে সংস্কৃতির সঙ্গে প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা দেবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন উইকের সময় এখানে বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন হাব হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: কন্দে নেস্ট, ইনসাইডার ইনক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব। সেই জায়গাগুলো তখন হয়ে ওঠে ফ্যাশন, জীবনধারা আর অবসর বিনোদনের কেন্দ্র।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছাড়াও এই এলাকাগুলোতে ধরা পড়ে সমাজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন বিলাসবহুল পণ্যের দিকে ঝোঁক, স্থানীয় কারুশিল্প থেকে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের প্রবণতা ইত্যাদি। এগুলো পর্যটন ও নগর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে তো বটেই, বিশ্বমঞ্চে শহরগুলোর এক নতুন ধরনের চিত্র তুলে ধরে। আমাদের দেশেও এমন কিছু সুপরিচিত জায়গা আছে, কেনাকাটার জন্য যেগুলো হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর থাকে। রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজার (বর্তমানে সংস্কারাধীন) কেবল কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। পুরো পৃথিবীতে এমনি কিছু মনোমুগ্ধকর শপিং গন্তব্য খুঁজে পাবেন, যেগুলোর প্রতিটি মোড় একটি গল্প বলে এবং প্রতিটি ব্লক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সমকালীন প্রবণতাকে একত্র করে।
এশিয়ার জমজমাট শপিং স্ট্রিট
অরচার্ড রোড, সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল এরিয়ায় অবস্থিত অরচার্ড রোড প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের বহু সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। উনিশ শতকের একটি সাধারণ গ্রামীণ রাস্তা থেকে এটি সিঙ্গাপুরের আইকনিক খুচরা বিক্রয় ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি জমজমাট মল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও শীর্ষস্থানীয় বার রয়েছে। ট্যাঙস শপিং মল এই এলাকার অন্যতম আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। আইওএন অরচার্ড নামক বিখ্যাত শপিং সেন্টারের আটটি ফ্লোরজুড়ে ডিওর, গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ফেন্ডি, ভ্যালেন্টিনো, সেফোরা, এইচঅ্যান্ডএমের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৩০০ টির বেশি স্টোর রয়েছে এখানে।
গিনজা, টোকি: গিনজা টোকিওর একটি জনপ্রিয় আপ স্কেল শপিং অ্যাভিনিউ। এখানে অসংখ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বুটিক, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরমানি, গুচি, সেন্ট লরেন্ট, শ্যানেল, ডিওর, সোয়ারোভস্কির মতো বিলাসবহুল পণ্যের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর এখানে দেখা যায়। এখানে ১৮৯৪ সালে তৈরি একটি ভবনে রয়েছে ওয়াকো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। সপ্তাহান্তে এই পথটি কেবল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মিয়ংডং, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট মিয়ংডং। এটি সিউলের প্রধান শপিং, প্যারেড সার্কিট ও পর্যটন জেলা। বিলাসবহুল ও মধ্যম থেকে উচ্চ মূল্যের ব্র্যান্ড ছাড়াও সেখানে অনেক বিখ্যাত কোরিয়ান কসমেটিক স্টোর রয়েছে। এর নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তাগুলো প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট স্টোর ব্র্যান্ড শিনসেগে ও লোটাসের শাখা রয়েছে এখানে। মিয়ংডংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনারদের তৈরি সর্বশেষ ফ্যাশন পোশাক ও জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিলাসবহুল করিডর
বন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আঠারো শতক থেকে জনপ্রিয় লন্ডনের বন্ড স্ট্রিট বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শপিং স্ট্রিট। মূলত অভিজাতদের কেনাকাটার গন্তব্য এটি। আজও এখানে আরমানি, বারবেরি, শ্যানেল, ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা, হার্মিসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাসপারি, বুলগারি, কার্টিয়ে, ডি বিয়ার্স ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো ব্র্যান্ডের গয়নার বুটিক। এই স্ট্রিটের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট স্টোর হলো ফেনউইক, যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়। উৎসবের মৌসুমে এই পথ আলোকিত ও সজ্জিত থাকে, যা একে ঘুরে দেখার সেরা সময়।
ফিফথ অ্যাভিনিউ ও বেভারলি হিলস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অনেকের কাছে, ফিফথ অ্যাভিনিউ চূড়ান্ত শপিং গন্তব্য। এই অ্যাভিনিউ হারলেমের ওয়েস্ট ১৪৩ তম স্ট্রিট থেকে গ্রিনউইচ ভিলেজের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ক্রাইসলার বিল্ডিং, রকফেলার সেন্টার ও গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের মতো বিশ্বের আইকনিক স্থাপনার অবস্থান। এখানকার ৪৯ থেকে ৫৯ তম স্ট্রিট পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটিতে ইস্টার উপলক্ষে ইস্টার প্যারেড দেখানো হয়। বেভারলি হিলসে শ্যানেল, হ্যারি উইনস্টন, হার্মিস, কার্টিয়ে ও লুই ভিটনের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ বুটিকসহ ১০০ টির বেশি হাই-এন্ড বুটিক ও ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে।
রু দে রিভোলি, প্যারিস, ফ্রান্স
প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত রু দে রিভোলি ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি মনোমুগ্ধকর পথ। নেপোলিয়নের শাসনামলে নির্মিত এবং তাঁর রিভোলি যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই পথ প্লাস দে লা বাস্তিল থেকে প্লাস দে লা কনকর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর এক প্রান্তে রয়েছে লুভর মিউজিয়াম ও টুইলেরি গার্ডেনস। অন্য পাশে সেফোরা, জারা, প্রমড, এল’অক্সিটন ও এটামের মতো আন্তর্জাতিক ও ফরাসি ব্র্যান্ডের আউটলেট।
বাহনহফস্ট্রাসে, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের বিলাসবহুল পণ্যগুলো খুচরা বিক্রির জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ডাউনটাউন স্ট্রিট। এর আশপাশে আছে বিশ্বখ্যাত চকলেট উৎপাদক ও বিক্রেতারা, আছে স্টাইলিশ ক্যাফে, ব্যাংক ও গ্র্যান্ড হোটেল। এখানে বুলগারি, হার্মিস, মন্ট ব্লাঙ্ক ও টিফানি অ্যান্ড কো-এর মতো বৈশ্বিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গ্লোবাস ও জেলমোলির মতো বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে।
স্ট্রোজেট, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে অবস্থিত স্ট্রোজেট ইউরোপের অন্যতম দীর্ঘতম পথচারী শপিং স্ট্রিট। সিটি হল স্কয়ার থেকে কঙ্গেনস নিউটর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্যস্ত পথ বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ও ড্যানিশ বুটিকগুলো জন্য বিখ্যাত। এটি প্রাডা, লুই ভিটন ও মালবেরির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরসহ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কের জন্য পরিচিত।
কালে দে সেরানো, মাদ্রিদ, স্পেন
মাদ্রিদের গোল্ডেন মাইল নামে পরিচিত কালে দে সেরানো বিখ্যাত সালামানকা জেলায় অবস্থিত। এটি বিলাসবহুল ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের নিখুঁত মিশ্রণ। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোমুগ্ধকর ক্যাফে ও দারুণ সব খাবারের দোকানের জন্য এই এলাকা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
ফ্রিডরিখস্ট্রাসে, বার্লিন, জার্মানি
বার্লিনের কেন্দ্রে অবস্থিত ফ্রিডরিখস্ট্রাসে একটি জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট। একসময় বার্লিন প্রাচীর দিয়ে বিভক্ত এই পথ আজ পুনর্মিলিত বার্লিনের প্রতীক। এখানে হুগো বস, ম্যাক্স মারা, কার্ল লেগারফেল্ড ও আরমানির মতো প্রভাবশালী লেবেলের আউটলেট আছে।
ভিয়া দেল করসো, রোম, ইতালি
রোমের প্রধান শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়া দেল করসো। সেখানে বেশ কয়েকটি ইতালীয় ডিজাইনার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি রয়েছে। আইকনিক পিয়াজ্জা ভেনেজিয়া থেকে পিয়াজ্জা দেল পোপোলো পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। বহু শতাব্দীপ্রাচীন ভবন আছে সজ্জিত এই ব্যস্ত পথে। এটি রোমের আকর্ষণ ও আধুনিক ফ্যাশনের নিখুঁত মিশ্রণ।
পিট স্ট্রিট মল, অস্ট্রেলিয়া
সিডনির কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত পিট স্ট্রিট মল। এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শপিং গন্তব্য। মাত্র দুটি ব্লক জুড়ে বিস্তৃত এই পথ কেবল পথচারীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সার্ফ শপসহ ৬০০ টির বেশি দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এখানে জারা, এইচঅ্যান্ডএম ও ইউনিক্লোর মতো ব্রান্ডের আউটলেট থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। গ্লাস হাউস, মিডসিটি, দ্য স্ট্র্যান্ড আর্কেড, ওয়েস্টফিল্ড সিডনি ও সিডনি আর্কেড এখানকার জনপ্রিয় শপিং মল। এটি স্ট্রিট পারফরমার ও ক্যাফে সংস্কৃতির সঙ্গে প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা দেবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন উইকের সময় এখানে বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন হাব হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: কন্দে নেস্ট, ইনসাইডার ইনক
বিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
১৮ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন!
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
বিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
বাঁধাকপির পাকোড়া
উপকরণ
বাঁধাকপি ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টা, কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ ও মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে আলতো হাতে মাখিয়ে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু বাঁধাকপি পাকোড়া। এবার গরম-গরম পরিবেশন করুন।
আলুর শাহি পুরি
উপকরণ
আলু সেদ্ধ ২৫০ গ্রাম, শুকনো মরিচ ভাজা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা কুচি বা ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, বিটলবণ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
ময়দা, বেকিং পাউডার, লবণ, সয়াবিন তেল, পানি একসঙ্গে মাখিয়ে ডো করে ৩০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। এই ফাঁকে আলু সেদ্ধ, শুকনো মরিচ ভাজা গুঁড়ো, বিটলবণ, লবণ, পুদিনাপাতা কুচি বা ধনেপাতা কুচি, পাঁচফোড়ন সব একসঙ্গে চটকে মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করে নিন। ডো লেচি কেটে এবার আট ভাগ করে নিন। পরে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু গরম-গরম শাহি আলু পুরি।
বিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
বাঁধাকপির পাকোড়া
উপকরণ
বাঁধাকপি ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টা, কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ ও মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে আলতো হাতে মাখিয়ে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু বাঁধাকপি পাকোড়া। এবার গরম-গরম পরিবেশন করুন।
আলুর শাহি পুরি
উপকরণ
আলু সেদ্ধ ২৫০ গ্রাম, শুকনো মরিচ ভাজা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা কুচি বা ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, বিটলবণ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
ময়দা, বেকিং পাউডার, লবণ, সয়াবিন তেল, পানি একসঙ্গে মাখিয়ে ডো করে ৩০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। এই ফাঁকে আলু সেদ্ধ, শুকনো মরিচ ভাজা গুঁড়ো, বিটলবণ, লবণ, পুদিনাপাতা কুচি বা ধনেপাতা কুচি, পাঁচফোড়ন সব একসঙ্গে চটকে মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করে নিন। ডো লেচি কেটে এবার আট ভাগ করে নিন। পরে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু গরম-গরম শাহি আলু পুরি।
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব।
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
১৮ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন!
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কপিশপ বাংলাদেশের বর্তমান ও আগ্রহী নতুন বিজ্ঞাপন পেশাজীবীদের জন্য কাঠামোবদ্ধ ও প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সৃজনশীল দক্ষতা বিকাশে কাজ করে আসছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল বিজ্ঞাপনশিল্পে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।
প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন এই শিল্পের অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা: অরূপ সান্যাল, এজেন্সি হেড, মাইটি, তানভীর চৌধুরী, ইসিডি, এশিয়াটিক, হাসিব হাসান চৌধুরী, ইসিডি, অ্যাডকম, সাইফুল আকবর খান, এসসিডি, এএমএল, মেজবাউর রহমান সুমন, ডিরেক্টর, ফেসকার্ড প্রোডাকশনস ও মুশফিকুর রহমান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এক্সপ্রেশনস ও কপিশপ।
পান্থপথের কেওডব্লিউ কোম্পানিতে সীমিত অংশগ্রহণকারী নিয়ে এই কোর্সের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা মুশফিকুর রহমান পাভেল বলেন, ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনজগতের দক্ষতা এখনো মূলত গুরু-শিষ্যধর্মী পদ্ধতির মাধ্যমে আয়ত্ত করা হয়। সেই চর্চাকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও যথাযথ শিক্ষার মানদণ্ডে রূপ দিতে আমরা কোর্সের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছি। অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের তৈরি ইন্ডাস্ট্রি-রিলেভ্যান্ট ও উদাহরণভিত্তিক কারিকুলামের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞাপনকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতায়নই আমাদের লক্ষ্য।’
ড্যাডস্ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ০১৭১৭১৬৫৬৫১ নম্বরে কল অথবা [email protected] অ্যাড্রেসে মেইল করে যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো। ফেইসবুক পেইজ লিঙ্ক
বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কপিশপ বাংলাদেশের বর্তমান ও আগ্রহী নতুন বিজ্ঞাপন পেশাজীবীদের জন্য কাঠামোবদ্ধ ও প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সৃজনশীল দক্ষতা বিকাশে কাজ করে আসছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল বিজ্ঞাপনশিল্পে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।
প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন এই শিল্পের অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা: অরূপ সান্যাল, এজেন্সি হেড, মাইটি, তানভীর চৌধুরী, ইসিডি, এশিয়াটিক, হাসিব হাসান চৌধুরী, ইসিডি, অ্যাডকম, সাইফুল আকবর খান, এসসিডি, এএমএল, মেজবাউর রহমান সুমন, ডিরেক্টর, ফেসকার্ড প্রোডাকশনস ও মুশফিকুর রহমান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এক্সপ্রেশনস ও কপিশপ।
পান্থপথের কেওডব্লিউ কোম্পানিতে সীমিত অংশগ্রহণকারী নিয়ে এই কোর্সের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা মুশফিকুর রহমান পাভেল বলেন, ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনজগতের দক্ষতা এখনো মূলত গুরু-শিষ্যধর্মী পদ্ধতির মাধ্যমে আয়ত্ত করা হয়। সেই চর্চাকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও যথাযথ শিক্ষার মানদণ্ডে রূপ দিতে আমরা কোর্সের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছি। অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের তৈরি ইন্ডাস্ট্রি-রিলেভ্যান্ট ও উদাহরণভিত্তিক কারিকুলামের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞাপনকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতায়নই আমাদের লক্ষ্য।’
ড্যাডস্ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ০১৭১৭১৬৫৬৫১ নম্বরে কল অথবা [email protected] অ্যাড্রেসে মেইল করে যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো। ফেইসবুক পেইজ লিঙ্ক
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব।
১৫ ঘণ্টা আগেবিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
১৮ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন!
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
টার্বুলেন্স অর্থাৎ উড়ন্ত বিমানে ঝাঁকুনি বা অস্থিরতা সাধারণত উদ্বেগের কিছু নয়। কিন্তু এটি কারও কারও কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। নিয়মিত বিমানযাত্রীরা কিছু অনিবার্য বিষয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন; যেমন যাত্রায় দেরি, লম্বা নিরাপত্তা লাইন, বিমানবন্দরে দামি স্ন্যাক্স এবং মাঝেমধ্যে এই টার্বুলেন্স। শেষেরটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হতে পারে, বিশেষ করে সেই যাত্রীদের জন্য, যাঁরা জানেন না টার্বুলেন্স ঠিক কী এবং কেন এটি ঘটে।
যদি পূর্বাভাসে বজ্রঝড় না থাকে, তবু আপনার বিমান কিছুটা টার্বুলেন্সের সম্মুখীন হলে আতঙ্কিত হবেন না।
টার্বুলেন্সের কারণ
বিমানে টার্বুলেন্স বা মধ্য আকাশে ঝাঁকুনির জন্য কোনো একটি কারণ দায়ী নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘টার্বুলেন্স হলো বায়ুমণ্ডলের অস্থির চলাচল। এটি সাধারণত উচ্চ-স্তরের ফ্রন্ট ও বায়ু শিয়ার বা জেট স্ট্রিমের কাছাকাছি বজ্রঝড়, মেঘ অথবা পাহাড়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বাতাসের কারণে ঘটে।’ যখন বায়ুর স্রোত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগুলোর সম্মুখীন হয়, তখন তারা তরঙ্গ সৃষ্টি করে, যা বাতাসে ঘূর্ণির সৃষ্টি করে। এর ফলে টার্বুলেন্স হয়।
কোথায় বেশি ঝাঁকুনি হয়
মাটির স্তর থেকে শুরু করে ক্রুজিং উচ্চতার ওপর টার্বুলেন্স বেশি হয়। আপনি যেকোনো জায়গায় এটি অনুভব করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, অবস্থানের ভিত্তিতে টার্বুলেন্সের ফ্রিকোয়েন্সি বা প্রকোপ পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন ধরনের টার্বুলেন্স হতে পারে। প্রথমটি হলো, পরিষ্কার বায়ু টার্বুলেন্স। এটি মেঘহীন অঞ্চলে হঠাৎ ঘটে যাওয়া মারাত্মক টার্বুলেন্স, যা বিমানকে তীব্রভাবে নাড়িয়ে দেয়। এটি প্রায়ই জেট স্ট্রিম বাতাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি শীতকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশি দেখা যায়। কারণ, তখন জেট স্ট্রিম দক্ষিণে সরে যায়। দ্বিতীয়টি সংবহনজনিত টার্বুলেন্স, যাকে ‘তাপীয় টার্বুলেন্স’ও বলা হয়। এটি বজ্রঝড়সহ সংবহনশীল ঝড়গুলোতে ঘটে এবং শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী বায়ুপ্রবাহের কারণে সৃষ্টি হয়। এই ধরনের ঝাঁকুনি বজ্রঝড়ের অঞ্চলে বেশি হতে পারে। তৃতীয়টি হলো, পর্বত তরঙ্গ টার্বুলেন্স। এটি পাহাড়ের চূড়া থেকে বায়ুপ্রবাহের নিচে সৃষ্ট ঘূর্ণিজনিত টার্বুলেন্স। এই ধরনের ঝাঁকুনি পর্বতময় অঞ্চলের ওপর ও নিচে বেশি হয়।
টার্বুলেন্সের সময় সুরক্ষিত থাকার উপায় টার্বুলেন্সের সময় সুরক্ষিত থাকার সেরা উপায় হলো ফ্লাইট ক্রুর নির্দেশাবলি অনুসরণ করা। আপনার হেডফোন কম ভলিউমে রাখুন, যাতে কোনো ঘোষণা এড়িয়ে না যায়। আপনি যদি ফ্লাইটে ঘুমানোর পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনার সিটবেল্ট সব সময় বেঁধে রাখাই শ্রেয়। টার্বুলেন্স অপ্রত্যাশিতভাবে হতে পারে কিংবা যেকোনো সময় হতে পারে। এমনকি বিভিন্ন তীব্রতার আকস্মিক পরিবর্তন আসতে পারে। তাই নিজেকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত করে রাখুন।
কেন টার্বুলেন্স নিয়ে চিন্তার কিছু নেই
বিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া ফ্লাইট যে অবস্থার মধ্যে উড়ে চলেছে, সে সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক থাকেন ফ্লাইটের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তারা। আবহাওয়াবিদ্যা-সম্পর্কিত তথ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ উন্নত পূর্বাভাস মডেলগুলোর কারণে এখন টার্বুলেন্সের অবস্থান, সময় ও তীব্রতা অনুমান করার ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। পাইলটরা এখন এই পূর্বাভাসগুলো ব্যবহার করে মসৃণ রুট বেছে নিতে পারেন। অথবা তাঁরা এমন পথ বেছে নিতে পারেন, যেন সম্ভাব্য টার্বুলেন্ট পরিস্থিতির জন্য যাত্রী ও ক্রুদের প্রস্তুত করতে পারেন।
টার্বুলেন্স কি আরও খারাপ হচ্ছে
যেকোনো যাত্রায় বিপদ আসতে পারে। একেই মূলত দুর্ঘটনা বলা হয়। সে ক্ষেত্রে নন্দলাল হয়ে ঘরে বসে থাকা তো সম্ভব নয়। তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে জেনে রাখুন, হ্যাঁ, টার্বুলেন্স আরও খারাপ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞের মতে, ‘সাধারণভাবে, ২০০০ সাল থেকে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর তীব্রতা বেড়েছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে উষ্ণায়নের প্রবণতা জেট স্ট্রিমকে প্রভাবিত করে।’
ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের গবেষকদের ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিষ্কার বায়ু টার্বুলেন্স বেড়েছে এবং ১৯৭৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে তা ৫৫ শতাংশ বেশি ঘন ঘন ঘটেছে। একই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ফলগুলো ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যাশিত প্রভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’।
তবে টার্বুলেন্স রিপোর্টিংও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। উন্নত আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল ও এআইয়ের কারণে এখন বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য টার্বুলেন্সের ক্ষেত্রগুলো দ্রুত শনাক্ত করতে পারেন। তাই টার্বুলেন্সের ঘটনা বাড়লেও পাইলট ও আবহাওয়াবিদেরা ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে কম টার্বুলেন্সের আশঙ্কাযুক্ত রুট বেছে নিচ্ছেন। তাই যাত্রীদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে আপনি এখনো উদ্বেগে ভুগলে উড়ানের আগে টার্বুলেন্স পূর্বাভাস একবার দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার
টার্বুলেন্স অর্থাৎ উড়ন্ত বিমানে ঝাঁকুনি বা অস্থিরতা সাধারণত উদ্বেগের কিছু নয়। কিন্তু এটি কারও কারও কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। নিয়মিত বিমানযাত্রীরা কিছু অনিবার্য বিষয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন; যেমন যাত্রায় দেরি, লম্বা নিরাপত্তা লাইন, বিমানবন্দরে দামি স্ন্যাক্স এবং মাঝেমধ্যে এই টার্বুলেন্স। শেষেরটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হতে পারে, বিশেষ করে সেই যাত্রীদের জন্য, যাঁরা জানেন না টার্বুলেন্স ঠিক কী এবং কেন এটি ঘটে।
যদি পূর্বাভাসে বজ্রঝড় না থাকে, তবু আপনার বিমান কিছুটা টার্বুলেন্সের সম্মুখীন হলে আতঙ্কিত হবেন না।
টার্বুলেন্সের কারণ
বিমানে টার্বুলেন্স বা মধ্য আকাশে ঝাঁকুনির জন্য কোনো একটি কারণ দায়ী নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘টার্বুলেন্স হলো বায়ুমণ্ডলের অস্থির চলাচল। এটি সাধারণত উচ্চ-স্তরের ফ্রন্ট ও বায়ু শিয়ার বা জেট স্ট্রিমের কাছাকাছি বজ্রঝড়, মেঘ অথবা পাহাড়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বাতাসের কারণে ঘটে।’ যখন বায়ুর স্রোত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগুলোর সম্মুখীন হয়, তখন তারা তরঙ্গ সৃষ্টি করে, যা বাতাসে ঘূর্ণির সৃষ্টি করে। এর ফলে টার্বুলেন্স হয়।
কোথায় বেশি ঝাঁকুনি হয়
মাটির স্তর থেকে শুরু করে ক্রুজিং উচ্চতার ওপর টার্বুলেন্স বেশি হয়। আপনি যেকোনো জায়গায় এটি অনুভব করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, অবস্থানের ভিত্তিতে টার্বুলেন্সের ফ্রিকোয়েন্সি বা প্রকোপ পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন ধরনের টার্বুলেন্স হতে পারে। প্রথমটি হলো, পরিষ্কার বায়ু টার্বুলেন্স। এটি মেঘহীন অঞ্চলে হঠাৎ ঘটে যাওয়া মারাত্মক টার্বুলেন্স, যা বিমানকে তীব্রভাবে নাড়িয়ে দেয়। এটি প্রায়ই জেট স্ট্রিম বাতাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি শীতকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশি দেখা যায়। কারণ, তখন জেট স্ট্রিম দক্ষিণে সরে যায়। দ্বিতীয়টি সংবহনজনিত টার্বুলেন্স, যাকে ‘তাপীয় টার্বুলেন্স’ও বলা হয়। এটি বজ্রঝড়সহ সংবহনশীল ঝড়গুলোতে ঘটে এবং শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী বায়ুপ্রবাহের কারণে সৃষ্টি হয়। এই ধরনের ঝাঁকুনি বজ্রঝড়ের অঞ্চলে বেশি হতে পারে। তৃতীয়টি হলো, পর্বত তরঙ্গ টার্বুলেন্স। এটি পাহাড়ের চূড়া থেকে বায়ুপ্রবাহের নিচে সৃষ্ট ঘূর্ণিজনিত টার্বুলেন্স। এই ধরনের ঝাঁকুনি পর্বতময় অঞ্চলের ওপর ও নিচে বেশি হয়।
টার্বুলেন্সের সময় সুরক্ষিত থাকার উপায় টার্বুলেন্সের সময় সুরক্ষিত থাকার সেরা উপায় হলো ফ্লাইট ক্রুর নির্দেশাবলি অনুসরণ করা। আপনার হেডফোন কম ভলিউমে রাখুন, যাতে কোনো ঘোষণা এড়িয়ে না যায়। আপনি যদি ফ্লাইটে ঘুমানোর পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনার সিটবেল্ট সব সময় বেঁধে রাখাই শ্রেয়। টার্বুলেন্স অপ্রত্যাশিতভাবে হতে পারে কিংবা যেকোনো সময় হতে পারে। এমনকি বিভিন্ন তীব্রতার আকস্মিক পরিবর্তন আসতে পারে। তাই নিজেকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত করে রাখুন।
কেন টার্বুলেন্স নিয়ে চিন্তার কিছু নেই
বিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া ফ্লাইট যে অবস্থার মধ্যে উড়ে চলেছে, সে সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক থাকেন ফ্লাইটের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তারা। আবহাওয়াবিদ্যা-সম্পর্কিত তথ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ উন্নত পূর্বাভাস মডেলগুলোর কারণে এখন টার্বুলেন্সের অবস্থান, সময় ও তীব্রতা অনুমান করার ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। পাইলটরা এখন এই পূর্বাভাসগুলো ব্যবহার করে মসৃণ রুট বেছে নিতে পারেন। অথবা তাঁরা এমন পথ বেছে নিতে পারেন, যেন সম্ভাব্য টার্বুলেন্ট পরিস্থিতির জন্য যাত্রী ও ক্রুদের প্রস্তুত করতে পারেন।
টার্বুলেন্স কি আরও খারাপ হচ্ছে
যেকোনো যাত্রায় বিপদ আসতে পারে। একেই মূলত দুর্ঘটনা বলা হয়। সে ক্ষেত্রে নন্দলাল হয়ে ঘরে বসে থাকা তো সম্ভব নয়। তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে জেনে রাখুন, হ্যাঁ, টার্বুলেন্স আরও খারাপ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞের মতে, ‘সাধারণভাবে, ২০০০ সাল থেকে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর তীব্রতা বেড়েছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে উষ্ণায়নের প্রবণতা জেট স্ট্রিমকে প্রভাবিত করে।’
ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের গবেষকদের ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিষ্কার বায়ু টার্বুলেন্স বেড়েছে এবং ১৯৭৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে তা ৫৫ শতাংশ বেশি ঘন ঘন ঘটেছে। একই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ফলগুলো ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যাশিত প্রভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’।
তবে টার্বুলেন্স রিপোর্টিংও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। উন্নত আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল ও এআইয়ের কারণে এখন বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য টার্বুলেন্সের ক্ষেত্রগুলো দ্রুত শনাক্ত করতে পারেন। তাই টার্বুলেন্সের ঘটনা বাড়লেও পাইলট ও আবহাওয়াবিদেরা ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে কম টার্বুলেন্সের আশঙ্কাযুক্ত রুট বেছে নিচ্ছেন। তাই যাত্রীদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে আপনি এখনো উদ্বেগে ভুগলে উড়ানের আগে টার্বুলেন্স পূর্বাভাস একবার দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব।
১৫ ঘণ্টা আগেবিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন!
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।
মেষ
আজ আপনার মনে হবে, পৃথিবীর সমস্ত কাজ একাই করে ফেলবেন। কিন্তু সাবধান! পরিবারের কারও সামান্য কথায় আপনার ‘অগ্নি’ রাশি জেগে উঠতে পারে। টাকা-পয়সা একটু ফুর্তি করতে চাইবে, আপনিও তাদের আটকাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে একটু টালমাটাল অবস্থা যাবে। আপনার পার্টনারকে খুশি করতে হলে নিজের রাগটাকে কুরিয়ার করে অন্য গ্রহে পাঠিয়ে দিন! ভাই-বোনের পরামর্শে ব্যবসা বাড়ে, আর ভাই-বোন পরামর্শ না দিলে, ধরে নিন তারা আপনার উন্নতি চায় না। বিবাহযোগ্যদের জন্য দিনটি শুভ। মানে, আজ আপনি বিয়ের সম্বন্ধ এড়াতে গিয়ে সফল হতে পারেন!
বৃষ
আজ মায়ের সঙ্গে আপনার ‘মত-বিরোধ’ হবে। মা বলবেন—‘বিয়ে কর’, আপনি বলবেন—‘খাব কী!’ উচ্চশিক্ষার পথে কিছু ‘কম্পিউটার ভাইরাস’ আসবে, যা আপনার মনোযোগ নষ্ট করবে। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর সাহায্যে আপনার একটি ছোট সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যাটা সম্ভবত, নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড! দিনের শেষে শান্তি চাইলে পরিবারের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য টাকা খরচ করুন। এতে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সে টান পড়লেও অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। নতুন প্রেমের সম্পর্ক আসতে পারে, কিন্তু আগে দেখে নিন তার রান্নার হাত কেমন!
মিথুন
আজ আপনার মস্তিষ্কে সব প্ল্যান এমন ভাবে ঘুরপাক খাবে যে মনে হবে আপনি গুগলের সার্ভার। কিন্তু আসল সমস্যা হলো, হাটে হাঁড়ি ভাঙা যাবে না। কারণ, বলামাত্রই লোক হাসবে। অর্থ সঞ্চয়ের ভালো সুযোগ আছে, কিন্তু তা যেন ফুটপাতের ফুচকা বা চায়ের দোকানেই শেষ না হয়ে যায়। পড়াশোনায় মন বসাতে আজ আপনার মন একটি মিনি ছুটি নেবে। শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসায় উন্নতি। অর্থাৎ আপনার পুরোনো ডায়েরি বা সস্তা চশমা আজ বেশ কদর পেতে পারে। সন্ধ্যায় সপরিবার ভ্রমণের সম্ভাবনা। প্ল্যানটা করুন, কিন্তু ভ্রমণে গিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে যেন খাদে পড়ে না যান!
কর্কট
আজ আপনার অসতর্ক কথাবার্তা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। একটা সামান্য ‘আচ্ছা’ বলতে গিয়ে হয়তো বিরাট কিছু বলে ফেলবেন। উচ্চশিক্ষায় বাধা আসার সম্ভাবনা, তাই পড়ার সময় সোশ্যাল মিডিয়াকে আপাতত ব্লক করুন। পারিবারিক জটিলতায় মানসিক উদ্বেগ বাড়বে। সমাধান? চা বানান, চুপ করে থাকুন এবং মনে মনে বলুন—‘আমি জানি, আমার কোনো দোষ নেই!’ গুরুজনদের স্বাস্থ্য নিয়ে খরচের ভার বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে সাবধান, ছোটখাটো বিষয়েই আজ মহাযুদ্ধের দামামা বাজতে পারে। আজকের দিনে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিন। কারণ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আপনাকে অন্তত চুপ থাকতে শেখাবে।
সিংহ
আজ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হতে পারে। তারা হয়তো আপনার কাছে আসবে, কিন্তু তাদের চা-নাশতার বিল যেন আপনার পকেট থেকে না যায়, সেদিকে নজর রাখুন। আপনি যা চাইবেন, তা পাবেন। চাইলে একবার লটারির টিকিট কেটে দেখতে পারেন। না পেলেও অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন! মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা থাকবে। সন্ধ্যার দিকে আর্থিক অবস্থা অনুকূল হবে। অফিসে গসিপ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, আপনার গসিপ শুনে অন্যরা হাসে, আর আপনার সময় নষ্ট হয়। ভ্রমণ ব্যবসায় মুনাফা বাড়ার ইঙ্গিত। আপনার চার্ম আজ কাজে লাগান, দেখবেন লোকে আপনাকে দেখেই খুশি।
কন্যা
আজ আপনি প্রতিটি সমস্যার সমাধান পাবেন। কী সমস্যা? বেশির ভাগ সমস্যাই টাকাপয়সার। বিনিয়োগে লাভজনক ফল মিলবে। তার মানে, আজ গ্রহের প্রভাব এতই ভালো যে, আপনার পুরোনো বাতিল করা জামাকাপড় বেচে দিলেও আজ লাভ হতে পারে! অবিবাহিতদের বিয়ের যোগে বাধা আসতে পারে। চিন্তা নেই, এটি আসলে ‘আরও কিছুদিন স্বাধীনতা উপভোগ করার’ বার্তা। ব্যবসায়ীদের প্রচুর অর্থ উপার্জনের ইঙ্গিত। কিন্তু আঘাতপ্রাপ্তি ও রক্তপাতের আশঙ্কা আছে। সাবধানে চলাফেরা করুন, বিশেষ করে যদি আপনার পার্টনার রেগে থাকেন!
তুলা
আজ আপনার ব্যক্তিত্বের উন্নতি হবে এবং কঠোর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হবে। অফিসে আপনার চিন্তাভাবনার প্রশংসা হতে পারে। আপনার সবচেয়ে বড় গুণ আজ হবে আপনার ‘কূটনীতি’। অর্থাৎ আপনি কীভাবে মিষ্টি হেসে আপনার কাজটা অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। নিজের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নশীল থাকুন। কারণ, চিকিৎসার জন্য আজ প্রচুর অর্থব্যয় হতে পারে। বন্ধুর কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। অর্থাৎ বন্ধুকে ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাবেন না। অবসর সময় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে ব্যয় করার পরিকল্পনা করুন। অহেতুক বিতর্কে যাবেন না। আপনার স্ত্রীর চিন্তাভাবনা গ্রাহ্য করুন, বিশেষ করে যখন কোনো ‘বিরাট পরিকল্পনা’ করছেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনাকে অনুভূতিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নইলে সামান্য কারণেই চোখে জল আসতে পারে। আর্থিকভাবে আপনি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই আজ শপিংয়ে যাওয়া একদম বন্ধ! যদি শপিংয়ে যেতেই হয়, তাহলে মানিব্যাগ বাসায় রেখে যান। রোমান্সের দিক থেকে দিনটি ভালো। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। ব্যবসা আগের চেয়ে ভালো হবে। পুরোনো জিনিস বা গয়নায় বিনিয়োগ করুন, যা আপনাকে অন্তত খারাপ সময়ে কাজে দেবে। মনে রাখবেন, ইতিবাচক চিন্তা আপনার জীবন পরিবর্তন করবে; কিন্তু আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স পরিবর্তন করতে পারবে না।
ধনু
আজ আপনি কেনাকাটার পাশাপাশি কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম দিয়ে দিনটি শুরু করুন। যদি না করেন, তবে সন্ধ্যায় নিজেকেই নিজে কিক মারতে পারেন! আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে; তবে খুব বেশি ব্যয় না করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। তাই ফোন বন্ধ করে, টিভি রিমোট লুকিয়ে রেখে পরিবারকে সময় দিন। সততা এবং ইতিবাচকতার মাধ্যমে উত্তেজনা কমবে। নতুন ধারণা আসবে, তবে সেগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য আপনাকে একটু ‘ধনু-সংযম’ দেখাতে হবে।
মকর
আজ আপনি আপনার শখ পূরণ করতে পারেন। শখটা যদি হয় ‘সারা দিন ঘুমোনো’, তবে শুভ। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা সারাতে হাসির মাধ্যমে থেরাপি চালান। হাসতে হাসতে যদি পেটে ব্যথা হয়, তবে সেটা আপনার কর্মফল! ঘনিষ্ঠের পরামর্শ থেকে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। খুব বড় বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকুন, অন্যথায় ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি শুভ। আপনি আজ সতেজ বোধ করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, বড় বিনিয়োগ মানেই বড় ঝুঁকি!
কুম্ভ
আজ আপনার জীবনে সুখ আসবে। সিনিয়ররা আপনার চিন্তাভাবনা বুঝবে এবং প্রশংসা করবে। অফিসে সহকর্মীর সমর্থন পাবেন, যার কারণে কাজটি দ্রুত শেষ করা যেতে পারে। সহকর্মী খুশি থাকলে টি-পার্টি দিতে ভুলবেন না। আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হতে পারে এবং সঞ্চয় করতে সফল হতে পারেন। কিন্তু আজ আপনার স্ত্রীর চিন্তাভাবনা উপেক্ষা করবেন না, অন্যথায় সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে। আপনি বিভ্রান্ত হলেও সমর্থন পাবেন, যা আপনাকে নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবে। তবে এই সম্ভাবনা মানে এই না যে আপনি আজকে চাঁদে যাবেন!
মীন
আজ মীন রাশির জাতক-জাতিকারা বন্ধুদের সমর্থন পাবেন। ব্যবসায় লাভ আপনার মুখে হাসি ফোটাবে। আজ আপনি প্রিয়জনের মধ্যে সুখ ভাগ করে নেবেন। ভ্রমণ উপকারী হবে। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ভালো ফল পেতে পারেন। স্বামী বা স্ত্রীর বিশ্বস্ততা আপনাকে খুশি করবে। যদি না পান, তাহলে আজই ‘অন্য কারও’ খোঁজ শুরু করবেন না, ধৈর্য ধরুন! অর্থ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই সতর্ক থাকুন। প্রেমকে আরও গভীর করুন। আজকের দিনটি ধৈর্য, আত্মসংযম এবং ইতিবাচক চিন্তার দিন।
আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।
মেষ
আজ আপনার মনে হবে, পৃথিবীর সমস্ত কাজ একাই করে ফেলবেন। কিন্তু সাবধান! পরিবারের কারও সামান্য কথায় আপনার ‘অগ্নি’ রাশি জেগে উঠতে পারে। টাকা-পয়সা একটু ফুর্তি করতে চাইবে, আপনিও তাদের আটকাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে একটু টালমাটাল অবস্থা যাবে। আপনার পার্টনারকে খুশি করতে হলে নিজের রাগটাকে কুরিয়ার করে অন্য গ্রহে পাঠিয়ে দিন! ভাই-বোনের পরামর্শে ব্যবসা বাড়ে, আর ভাই-বোন পরামর্শ না দিলে, ধরে নিন তারা আপনার উন্নতি চায় না। বিবাহযোগ্যদের জন্য দিনটি শুভ। মানে, আজ আপনি বিয়ের সম্বন্ধ এড়াতে গিয়ে সফল হতে পারেন!
বৃষ
আজ মায়ের সঙ্গে আপনার ‘মত-বিরোধ’ হবে। মা বলবেন—‘বিয়ে কর’, আপনি বলবেন—‘খাব কী!’ উচ্চশিক্ষার পথে কিছু ‘কম্পিউটার ভাইরাস’ আসবে, যা আপনার মনোযোগ নষ্ট করবে। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর সাহায্যে আপনার একটি ছোট সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যাটা সম্ভবত, নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড! দিনের শেষে শান্তি চাইলে পরিবারের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য টাকা খরচ করুন। এতে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সে টান পড়লেও অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। নতুন প্রেমের সম্পর্ক আসতে পারে, কিন্তু আগে দেখে নিন তার রান্নার হাত কেমন!
মিথুন
আজ আপনার মস্তিষ্কে সব প্ল্যান এমন ভাবে ঘুরপাক খাবে যে মনে হবে আপনি গুগলের সার্ভার। কিন্তু আসল সমস্যা হলো, হাটে হাঁড়ি ভাঙা যাবে না। কারণ, বলামাত্রই লোক হাসবে। অর্থ সঞ্চয়ের ভালো সুযোগ আছে, কিন্তু তা যেন ফুটপাতের ফুচকা বা চায়ের দোকানেই শেষ না হয়ে যায়। পড়াশোনায় মন বসাতে আজ আপনার মন একটি মিনি ছুটি নেবে। শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসায় উন্নতি। অর্থাৎ আপনার পুরোনো ডায়েরি বা সস্তা চশমা আজ বেশ কদর পেতে পারে। সন্ধ্যায় সপরিবার ভ্রমণের সম্ভাবনা। প্ল্যানটা করুন, কিন্তু ভ্রমণে গিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে যেন খাদে পড়ে না যান!
কর্কট
আজ আপনার অসতর্ক কথাবার্তা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। একটা সামান্য ‘আচ্ছা’ বলতে গিয়ে হয়তো বিরাট কিছু বলে ফেলবেন। উচ্চশিক্ষায় বাধা আসার সম্ভাবনা, তাই পড়ার সময় সোশ্যাল মিডিয়াকে আপাতত ব্লক করুন। পারিবারিক জটিলতায় মানসিক উদ্বেগ বাড়বে। সমাধান? চা বানান, চুপ করে থাকুন এবং মনে মনে বলুন—‘আমি জানি, আমার কোনো দোষ নেই!’ গুরুজনদের স্বাস্থ্য নিয়ে খরচের ভার বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে সাবধান, ছোটখাটো বিষয়েই আজ মহাযুদ্ধের দামামা বাজতে পারে। আজকের দিনে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিন। কারণ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আপনাকে অন্তত চুপ থাকতে শেখাবে।
সিংহ
আজ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হতে পারে। তারা হয়তো আপনার কাছে আসবে, কিন্তু তাদের চা-নাশতার বিল যেন আপনার পকেট থেকে না যায়, সেদিকে নজর রাখুন। আপনি যা চাইবেন, তা পাবেন। চাইলে একবার লটারির টিকিট কেটে দেখতে পারেন। না পেলেও অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন! মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা থাকবে। সন্ধ্যার দিকে আর্থিক অবস্থা অনুকূল হবে। অফিসে গসিপ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, আপনার গসিপ শুনে অন্যরা হাসে, আর আপনার সময় নষ্ট হয়। ভ্রমণ ব্যবসায় মুনাফা বাড়ার ইঙ্গিত। আপনার চার্ম আজ কাজে লাগান, দেখবেন লোকে আপনাকে দেখেই খুশি।
কন্যা
আজ আপনি প্রতিটি সমস্যার সমাধান পাবেন। কী সমস্যা? বেশির ভাগ সমস্যাই টাকাপয়সার। বিনিয়োগে লাভজনক ফল মিলবে। তার মানে, আজ গ্রহের প্রভাব এতই ভালো যে, আপনার পুরোনো বাতিল করা জামাকাপড় বেচে দিলেও আজ লাভ হতে পারে! অবিবাহিতদের বিয়ের যোগে বাধা আসতে পারে। চিন্তা নেই, এটি আসলে ‘আরও কিছুদিন স্বাধীনতা উপভোগ করার’ বার্তা। ব্যবসায়ীদের প্রচুর অর্থ উপার্জনের ইঙ্গিত। কিন্তু আঘাতপ্রাপ্তি ও রক্তপাতের আশঙ্কা আছে। সাবধানে চলাফেরা করুন, বিশেষ করে যদি আপনার পার্টনার রেগে থাকেন!
তুলা
আজ আপনার ব্যক্তিত্বের উন্নতি হবে এবং কঠোর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হবে। অফিসে আপনার চিন্তাভাবনার প্রশংসা হতে পারে। আপনার সবচেয়ে বড় গুণ আজ হবে আপনার ‘কূটনীতি’। অর্থাৎ আপনি কীভাবে মিষ্টি হেসে আপনার কাজটা অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। নিজের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নশীল থাকুন। কারণ, চিকিৎসার জন্য আজ প্রচুর অর্থব্যয় হতে পারে। বন্ধুর কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। অর্থাৎ বন্ধুকে ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাবেন না। অবসর সময় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে ব্যয় করার পরিকল্পনা করুন। অহেতুক বিতর্কে যাবেন না। আপনার স্ত্রীর চিন্তাভাবনা গ্রাহ্য করুন, বিশেষ করে যখন কোনো ‘বিরাট পরিকল্পনা’ করছেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনাকে অনুভূতিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নইলে সামান্য কারণেই চোখে জল আসতে পারে। আর্থিকভাবে আপনি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই আজ শপিংয়ে যাওয়া একদম বন্ধ! যদি শপিংয়ে যেতেই হয়, তাহলে মানিব্যাগ বাসায় রেখে যান। রোমান্সের দিক থেকে দিনটি ভালো। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। ব্যবসা আগের চেয়ে ভালো হবে। পুরোনো জিনিস বা গয়নায় বিনিয়োগ করুন, যা আপনাকে অন্তত খারাপ সময়ে কাজে দেবে। মনে রাখবেন, ইতিবাচক চিন্তা আপনার জীবন পরিবর্তন করবে; কিন্তু আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স পরিবর্তন করতে পারবে না।
ধনু
আজ আপনি কেনাকাটার পাশাপাশি কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম দিয়ে দিনটি শুরু করুন। যদি না করেন, তবে সন্ধ্যায় নিজেকেই নিজে কিক মারতে পারেন! আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে; তবে খুব বেশি ব্যয় না করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। তাই ফোন বন্ধ করে, টিভি রিমোট লুকিয়ে রেখে পরিবারকে সময় দিন। সততা এবং ইতিবাচকতার মাধ্যমে উত্তেজনা কমবে। নতুন ধারণা আসবে, তবে সেগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য আপনাকে একটু ‘ধনু-সংযম’ দেখাতে হবে।
মকর
আজ আপনি আপনার শখ পূরণ করতে পারেন। শখটা যদি হয় ‘সারা দিন ঘুমোনো’, তবে শুভ। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা সারাতে হাসির মাধ্যমে থেরাপি চালান। হাসতে হাসতে যদি পেটে ব্যথা হয়, তবে সেটা আপনার কর্মফল! ঘনিষ্ঠের পরামর্শ থেকে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। খুব বড় বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকুন, অন্যথায় ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি শুভ। আপনি আজ সতেজ বোধ করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, বড় বিনিয়োগ মানেই বড় ঝুঁকি!
কুম্ভ
আজ আপনার জীবনে সুখ আসবে। সিনিয়ররা আপনার চিন্তাভাবনা বুঝবে এবং প্রশংসা করবে। অফিসে সহকর্মীর সমর্থন পাবেন, যার কারণে কাজটি দ্রুত শেষ করা যেতে পারে। সহকর্মী খুশি থাকলে টি-পার্টি দিতে ভুলবেন না। আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হতে পারে এবং সঞ্চয় করতে সফল হতে পারেন। কিন্তু আজ আপনার স্ত্রীর চিন্তাভাবনা উপেক্ষা করবেন না, অন্যথায় সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে। আপনি বিভ্রান্ত হলেও সমর্থন পাবেন, যা আপনাকে নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবে। তবে এই সম্ভাবনা মানে এই না যে আপনি আজকে চাঁদে যাবেন!
মীন
আজ মীন রাশির জাতক-জাতিকারা বন্ধুদের সমর্থন পাবেন। ব্যবসায় লাভ আপনার মুখে হাসি ফোটাবে। আজ আপনি প্রিয়জনের মধ্যে সুখ ভাগ করে নেবেন। ভ্রমণ উপকারী হবে। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ভালো ফল পেতে পারেন। স্বামী বা স্ত্রীর বিশ্বস্ততা আপনাকে খুশি করবে। যদি না পান, তাহলে আজই ‘অন্য কারও’ খোঁজ শুরু করবেন না, ধৈর্য ধরুন! অর্থ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই সতর্ক থাকুন। প্রেমকে আরও গভীর করুন। আজকের দিনটি ধৈর্য, আত্মসংযম এবং ইতিবাচক চিন্তার দিন।
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব।
১৫ ঘণ্টা আগেবিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
১৮ ঘণ্টা আগে