সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘আকাশতলে উঠল ফুটে
আলোর শতদল।
পাপড়িগুলি থরে থরে
ছড়ালো দিক্-দিগন্তরে,
ঢেকে গেল অন্ধকারের
নিবিড় কালো জল।’
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দুর্গাপূজার আগমনী সুর বেজে গেছে। চারদিকে খুশির রোশনাই। পূজা মানেই আনন্দ, পূজা মানেই ছুটি। পূজা মানেই সাজগোজের আতিশয্য়। বাড়ির পূজা হলে তো কথাই নেই। ভিড়ভাট্টা আর যানজটপূর্ণ শহরেও যখন পূজার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে, তখনো নারী ট্রেন্ডি ঘরানার পোশাক ছেড়ে পাটভাঙা শাড়িতেই নিজেকে সাজাতে ভালোবাসে।
মেপে কুচি কাটায় ওস্তাদ ৫ মিনিটে শাড়ি পরা মেয়েটি কিন্তু আজকাল আর অন্যদের ঈর্ষার পাত্র হন না। কারণ, সময়টা এখন এমন যে—আপনি শাড়ি যেভাবেই পরুন না কেন, যদি সেটাকে ক্যারি করতে পারেন, তবেই কেল্লাফতে। তবে এত ঘটা করে যে কথাটা বলতে এসেছি, সেটা এই শাড়ি পরার ধরন নয়। চলতি বছর শাড়ির মোটিফে যে পদ্ম রাজত্ব করছে, সে খবর নিশ্চয়ই টের পেয়েছেন! ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, সিকুইন বা সুই-সুতার কাজেও পদ্ম কিন্তু ফুলের রানি হয়েই রইল এ বছর। হয় শুধু পদ্ম, নয়তো পদ্মপাতার ওপর কলিসহ পদ্মফুল অথবা পুরো শাড়িটাই পদ্মপুকুরের মতো সেজে হাজির হয়েছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর শো-রুম বা ফেসবুক পেজে।
ফ্যাশন হাউসের কথা যদি বাদই রাখি, তবুও কি পদ্মফুলের রূপকে এড়াতে পারছেন শাড়িপ্রেমী নারীরা? পদ্ম বিলে ঘুরে বেড়ানো আর ফটোশুটের জন্য নিজেরাই একরঙা হ্যান্ডলুমের শাড়ি কিনে পদ্ম মোটিফের হ্যান্ডব্লক করে নিচ্ছেন। নকশাকে আরও জমকালো করতে বক্ল প্রিন্টের চারপাশে কাঁথাস্টিচ করে চুমকি বা পুতি বসিয়ে নিচ্ছেন নিজেরাই। আবার ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন পেজ, যেখানে দেশীয় পোশাক পাওয়া যায়, সেগুলোর কোনো কোনোটি থেকে চাইলে কাস্টমাইজ করেও পদ্মপুকুর শাড়ি বানিয়ে নেওয়া যায়। এ ধরনের শাড়িগুলো মূলত হাফ সিল্কের ওপর স্ক্রিন প্রিন্টের হয়ে থাকে। ওজনে হালকা হওয়ায় পরতেও সহজ হয় আবার যেকোনো অনুষ্ঠান ও ঋতুতেও পরার উপযোগী এসব শাড়ি।
পদ্মফুল দেবী দুর্গার পবিত্র আসন, শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক। নির্মল পদ্ম যেমন কাদামাটিতে থেকেও অকলুষিত, তেমনি মা দুর্গা দুঃখ থেকে টেনে নেন আলোয়। দুর্গাপূজার অঞ্জলিতে পদ্ম নিবেদন মানেই ভক্তি আর আশীর্বাদের বন্ধন। এ কারণেই সাতকাহন এবারের পূজার শাড়িতে রেখেছে পদ্মফুলের ছোঁয়া। নূরুন্নাহার নীলা স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার, সাতকাহন
দুর্গাপূজায় অষ্টমীর দিন দেবীকে সন্তুষ্ট করতে ১০৮টি পদ্মফুলের জোগান দিতে হয়। আর তাই পূজার পোশাকেও পদ্মফুলের মোটিফ ব্যবহৃত হয়েছে। দেবীর প্রিয় এই ফুলের সৌন্দর্য গায়ে তুলতে তাই তরুণীদের অনেকে পদ্ম মোটিফের শাড়িতে নিজেকে সাজাতে চান। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোও এ সময় পূজার অন্যান্য মোটিফের সঙ্গে গুরুত্ব দেয় পদ্ম মোটিফেও। আর চলতি বছর পদ্ম মোটিফ কেবল শাড়িতেই নয়, জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্লাউজ পিস, কুর্তি, ওড়না, কটি ও অন্যান্য পোশাকেও।
দেশীয় ফ্যাশন উদ্যোগ সাতকাহনের বেশ কয়েকটি শাড়িতে ব্যবহৃত হয়েছে পদ্মফুলের মোটিফ। বলা যায়, তাদের শারদ সংগ্রহে এবারের বিশেষ আকর্ষণ এই পদ্ম মোটিফের শাড়ি ও ব্লাউজ।
পূজার জন্য় বিশেষভাবে নকশা করা লাল-সাদা শাড়ির কুচি ও আঁচলে পদ্মফুলের ঘন নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য সাদা ব্লাউজেও রয়েছে একই রকম পদ্মফুলের ব্লক প্রিন্ট।
সাতকাহন নিয়ে এসেছে উষ্ণরঙা এক্সক্লুসিভ একটি শাড়ি। শাড়ির চওড়া পাড় ও জমিনে পদ্ম মোটিফের স্ক্রিন প্রিন্ট করা। পাড়ের অংশে আকারে বড় ও শাড়ির ছোট করে পদ্মের নকশা রয়েছে। বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে আঁচলে বসানো হয়েছে ট্যাসেল।
যাঁরা শীতল রঙের শাড়িতে নিজেকে সাজাতে চান, তাঁদের জন্যও রয়েছে সাতকাহনের পূজার শাড়ি। গাঢ় নীল শাড়ির পাড়ে করা হয়েছে ঢেউ তোলা পদ্মপুকুরের ব্লক প্রিন্ট। এর ধারঘেঁষে শর্ষে ফুলরঙা যে পাড়টি রয়েছে, তা শাড়ির আবেদন বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কয়েকগুণ। এই শাড়ির আঁচলে এবং ব্লাউজ পিসের পিঠ ও হাতায়ও পদ্মফুলের মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে।
‘আকাশতলে উঠল ফুটে
আলোর শতদল।
পাপড়িগুলি থরে থরে
ছড়ালো দিক্-দিগন্তরে,
ঢেকে গেল অন্ধকারের
নিবিড় কালো জল।’
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দুর্গাপূজার আগমনী সুর বেজে গেছে। চারদিকে খুশির রোশনাই। পূজা মানেই আনন্দ, পূজা মানেই ছুটি। পূজা মানেই সাজগোজের আতিশয্য়। বাড়ির পূজা হলে তো কথাই নেই। ভিড়ভাট্টা আর যানজটপূর্ণ শহরেও যখন পূজার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে, তখনো নারী ট্রেন্ডি ঘরানার পোশাক ছেড়ে পাটভাঙা শাড়িতেই নিজেকে সাজাতে ভালোবাসে।
মেপে কুচি কাটায় ওস্তাদ ৫ মিনিটে শাড়ি পরা মেয়েটি কিন্তু আজকাল আর অন্যদের ঈর্ষার পাত্র হন না। কারণ, সময়টা এখন এমন যে—আপনি শাড়ি যেভাবেই পরুন না কেন, যদি সেটাকে ক্যারি করতে পারেন, তবেই কেল্লাফতে। তবে এত ঘটা করে যে কথাটা বলতে এসেছি, সেটা এই শাড়ি পরার ধরন নয়। চলতি বছর শাড়ির মোটিফে যে পদ্ম রাজত্ব করছে, সে খবর নিশ্চয়ই টের পেয়েছেন! ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, সিকুইন বা সুই-সুতার কাজেও পদ্ম কিন্তু ফুলের রানি হয়েই রইল এ বছর। হয় শুধু পদ্ম, নয়তো পদ্মপাতার ওপর কলিসহ পদ্মফুল অথবা পুরো শাড়িটাই পদ্মপুকুরের মতো সেজে হাজির হয়েছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর শো-রুম বা ফেসবুক পেজে।
ফ্যাশন হাউসের কথা যদি বাদই রাখি, তবুও কি পদ্মফুলের রূপকে এড়াতে পারছেন শাড়িপ্রেমী নারীরা? পদ্ম বিলে ঘুরে বেড়ানো আর ফটোশুটের জন্য নিজেরাই একরঙা হ্যান্ডলুমের শাড়ি কিনে পদ্ম মোটিফের হ্যান্ডব্লক করে নিচ্ছেন। নকশাকে আরও জমকালো করতে বক্ল প্রিন্টের চারপাশে কাঁথাস্টিচ করে চুমকি বা পুতি বসিয়ে নিচ্ছেন নিজেরাই। আবার ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন পেজ, যেখানে দেশীয় পোশাক পাওয়া যায়, সেগুলোর কোনো কোনোটি থেকে চাইলে কাস্টমাইজ করেও পদ্মপুকুর শাড়ি বানিয়ে নেওয়া যায়। এ ধরনের শাড়িগুলো মূলত হাফ সিল্কের ওপর স্ক্রিন প্রিন্টের হয়ে থাকে। ওজনে হালকা হওয়ায় পরতেও সহজ হয় আবার যেকোনো অনুষ্ঠান ও ঋতুতেও পরার উপযোগী এসব শাড়ি।
পদ্মফুল দেবী দুর্গার পবিত্র আসন, শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক। নির্মল পদ্ম যেমন কাদামাটিতে থেকেও অকলুষিত, তেমনি মা দুর্গা দুঃখ থেকে টেনে নেন আলোয়। দুর্গাপূজার অঞ্জলিতে পদ্ম নিবেদন মানেই ভক্তি আর আশীর্বাদের বন্ধন। এ কারণেই সাতকাহন এবারের পূজার শাড়িতে রেখেছে পদ্মফুলের ছোঁয়া। নূরুন্নাহার নীলা স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার, সাতকাহন
দুর্গাপূজায় অষ্টমীর দিন দেবীকে সন্তুষ্ট করতে ১০৮টি পদ্মফুলের জোগান দিতে হয়। আর তাই পূজার পোশাকেও পদ্মফুলের মোটিফ ব্যবহৃত হয়েছে। দেবীর প্রিয় এই ফুলের সৌন্দর্য গায়ে তুলতে তাই তরুণীদের অনেকে পদ্ম মোটিফের শাড়িতে নিজেকে সাজাতে চান। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোও এ সময় পূজার অন্যান্য মোটিফের সঙ্গে গুরুত্ব দেয় পদ্ম মোটিফেও। আর চলতি বছর পদ্ম মোটিফ কেবল শাড়িতেই নয়, জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্লাউজ পিস, কুর্তি, ওড়না, কটি ও অন্যান্য পোশাকেও।
দেশীয় ফ্যাশন উদ্যোগ সাতকাহনের বেশ কয়েকটি শাড়িতে ব্যবহৃত হয়েছে পদ্মফুলের মোটিফ। বলা যায়, তাদের শারদ সংগ্রহে এবারের বিশেষ আকর্ষণ এই পদ্ম মোটিফের শাড়ি ও ব্লাউজ।
পূজার জন্য় বিশেষভাবে নকশা করা লাল-সাদা শাড়ির কুচি ও আঁচলে পদ্মফুলের ঘন নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য সাদা ব্লাউজেও রয়েছে একই রকম পদ্মফুলের ব্লক প্রিন্ট।
সাতকাহন নিয়ে এসেছে উষ্ণরঙা এক্সক্লুসিভ একটি শাড়ি। শাড়ির চওড়া পাড় ও জমিনে পদ্ম মোটিফের স্ক্রিন প্রিন্ট করা। পাড়ের অংশে আকারে বড় ও শাড়ির ছোট করে পদ্মের নকশা রয়েছে। বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে আঁচলে বসানো হয়েছে ট্যাসেল।
যাঁরা শীতল রঙের শাড়িতে নিজেকে সাজাতে চান, তাঁদের জন্যও রয়েছে সাতকাহনের পূজার শাড়ি। গাঢ় নীল শাড়ির পাড়ে করা হয়েছে ঢেউ তোলা পদ্মপুকুরের ব্লক প্রিন্ট। এর ধারঘেঁষে শর্ষে ফুলরঙা যে পাড়টি রয়েছে, তা শাড়ির আবেদন বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কয়েকগুণ। এই শাড়ির আঁচলে এবং ব্লাউজ পিসের পিঠ ও হাতায়ও পদ্মফুলের মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে।
পূজায় বাড়িতে মিষ্টি থাকবে না, তা কি হয়? কয়েক ধরনের মিষ্টির অর্ডার করার কথা নিশ্চয়ই ভাবছেন? এবার পূজায় জলখাবারের জন্য রসগোল্লাটা না হয় নিজেই তৈরি করে চমকে দিলেন পরিবারের সবাইকে। আপনাদের জন্য রসগোল্লার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৫ ঘণ্টা আগেব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাঁত ব্রাশ করা। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
৫ ঘণ্টা আগেস্বস্তিকা মুখার্জি। অনেকের কাছে স্বস্তিকা মানে প্রাণের মানুষ। আবার কারও কাছে তিনি জীবনীশক্তির উৎস। তাঁকে দেখে যেন মেলে আত্মবিশ্বাসের পথ। দৃঢ় হয় মনোবল। নায়িকা বলতে আমাদের কল্পনায় যে চিরাচরিত প্রতিমা ভেসে ওঠে, তা থেকে অনেকটাই আলাদা এই লাস্যময়ী।
৮ ঘণ্টা আগেসময়টা ১৯৫৩ সালের জুন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের অটোয়া শহরের অ্যালান বল নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন। তাঁর গন্তব্য পুয়ের্তো রিকো। সেখানে খালা মেরির কফি বাগানে গ্রীষ্মকালের ছুটি কাটাবেন। সেই ভ্রমণের জন্য তাঁকে নিজে টাকা জোগাড় করতে হয়েছিল কয়েক বছর ধরে বাড়তি
১০ ঘণ্টা আগে