Ajker Patrika

কনে দেখা আলোয়

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৪০
কনে দেখা আলোয়

কনে দেখতে গিয়ে ঠায় বসে আছেন। প্রথমে লেবুজল পান আর তারপর মিষ্টিমুখ। ঘরের ভেতরে খানিক উঁকিঝুঁকি দিয়েও কনের দেখা মিলছে না। মিলবে কী করে? শেষ বিকেলের লালচে আভা জানালা গলিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে তবেই না কনেকে সামনে আনা হবে। পশ্চিমমুখী জানালার কোনাকুনি পাতা চেয়ারে এসে বসবেন কনে। সূর্যের লালচে-সোনালি আভা কনের মুখে এসে পড়লে তাঁকে আরও উজ্জ্বল দেখাবে, তাই তো এত কসরত।

কনে দেখা বিয়ের প্রথম ধাপ কি না, এই আধুনিক যুগে এসে সে নিয়ে খানিক বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এটি যে আনুষ্ঠানিক বিয়ের প্রথম ধাপ, সেটা অস্বীকার করা যায় না। তাই এ দিন কনের সাজ এমন হওয়া চাই যেন রূপ-লাবণ্যের সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ হয়। আলমারি থেকে সবচেয়ে উজ্জ্বল আর দামি শাড়িটা বের করার আগে একবার ভেবে নেওয়া চাই শাড়ির রং কনের রূপকে ঠিকঠাক বের করে আনতে পারবে কি না। পাশাপাশি সাজটাও হওয়া চাই আড়ম্বরহীন, যাতে অযথা ভারী না লাগে। গোটা সাজপোশাকেই যেন বিরাজ করে স্নিগ্ধতা।

শাড়িই সেরা
কনে দেখার আয়োজনে বিয়ের পাত্রীকে সাধারণত শাড়িই পরানো হয়। সে ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের বা ভারী কাজের শাড়ি এদিন এড়িয়ে চলাই ভালো। তাতে কনের স্বাভাবিক গায়ের রং ও লাবণ্য ঢাকা পড়ে যায়। বেছে নিন প্যাস্টেল শেডের কোনো শাড়ি। তা হতে পারে জামদানি, হাফসিল্ক, জাপানি সিল্ক, জর্জেট, তসর বা একেবারেই হালকা-পাতলা ওজনের কোনো কাতান শাড়ি। শাড়ির জমিনে যেন ঘন কাজ না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির আঁচল লম্বা রেখে অল্প কুচি দিয়ে শাড়ি গুছিয়ে পরে নিন। এতে প্রয়োজনে আঁচল দিয়ে খোঁপার ওপর ছোট্ট ঘোমটা তুলে দেওয়া যাবে। তবে ঘোমটা দিতে চাইলে খোঁপায় ও কাঁধের অংশে শাড়ি এমনভাবে পিনআপ করে নিতে হবে যাতে বারবার ঘোমটা তুলে নেওয়ার ঝামেলা না থাকে।

ছিমছাম গয়না
কনে দেখানোর ক্ষেত্রে আগেকার সময়ে মা-খালারা পাত্রীর হাতে, কানে, গলায় সোনার গয়না পরানোর পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু কালের ধারাবাহিকতায় সেই ধারণা পাল্টেছে। সোনার গয়নার বদলে এখন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে মিনিমাল গয়না পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা। এমন গয়না বেছে নিন যেখানে কান, গলা কিংবা হাতে একই নকশা ও একই রঙের গয়না থাকে। এতে সাজটা পরিপূর্ণ লাগবে দেখতে। বেছে নিতে পারেন রুপা, পাথর কিংবা মুক্তার গয়না।

সাজে স্নিগ্ধতা
হালকা ফাউন্ডেশন দিয়ে ফেস পাউডারের বেজ মেকআপ করে নিন। মুখের দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। কনট্যুরিং করতে চাইলে পাউডার কনট্যুরিং কিট ব্যবহার করুন। চোখে পাউডার আইশ্যাডোর বাদামি শেড ব্যবহার করতে পারেন। চোখের কোলে হালকা কাজল এবং ওপরে চিকন করে আইলাইনারের রেখা এঁকে দিন। মাসকারার কথা কিন্তু ভুলবেন না। এদিন গ্লসি বা শিমারিং লিপস্টিক এড়িয়ে ম্যাট বা ক্রিম বেজড লিপ কালার ব্যবহার করুন। হালকা সাজের সঙ্গে লাল, মেরুনসহ যেকোনো গাঢ় রঙের লিপস্টিক হলেও মানাবে বেশ। ন্যুড লিপস্টিক যেকোনো মেকআপ লুকের সঙ্গে মানানসই। এ জন্য ‘সিম্পল টু গর্জিয়াস’ যেকোনো লুকের জন্য ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। পিচ, ন্যুড পিংক, মভ, টেরাকোটা ইত্যাদি রংও দারুণ মানাবে এই দিনের সাজে। চুলের সাজে টুইস্ট, সাইড বান, ফ্রেঞ্চ বেণি কিংবা কার্ল করে চুল বাঁধলেও ভালো দেখাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শান্তর হেঁটে বিশ্বভ্রমণের ৬০০ দিন

মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
ঢাকা থেকে ২০২৪ সালের ২২ মার্চ হেঁটে বিশ্বভ্রমণ শুরু করেছিলেন সাইফুল ইসলাম শান্ত। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা থেকে ২০২৪ সালের ২২ মার্চ হেঁটে বিশ্বভ্রমণ শুরু করেছিলেন সাইফুল ইসলাম শান্ত। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনাটি প্রায় গল্পের মতোই শোনায় যে, বাংলাদেশের এক তরুণ হেঁটে বিশ্বভ্রমণ করছেন! গল্প নয়, এটি সত্যি ঘটনা। ঢাকা থেকে ২০২৪ সালের ২২ মার্চ হেঁটে বিশ্বভ্রমণ শুরু করেন সাইফুল ইসলাম শান্ত। গতকাল ১১ নভেম্বর তাঁর এই যাত্রা পৌঁছাল ৬০০তম দিনে। বিভিন্ন দেশ ঘুরে তিনি এখন রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ায়। বাংলাদেশের বাইরে তিনি ইতিমধ্যে হেঁটে ভ্রমণ করেছেন ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর।

এ বিশেষ দিনটিতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম শান্তর সঙ্গে। প্রথমেই তিনি বললেন, ‘কীভাবে এত দ্রুত সময় কেটে গেল, বুঝতেই পারিনি। অচেনা দেশ, অচেনা মানুষ এবং অজানা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে। তবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ আমাকে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে। আমি আরও পরিণত হয়েছি।’

হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে যেসব দেশে স্থলসীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি, সেসব দেশে তিনি প্রবেশ করেছিলেন ফেরি বা ফ্লাইটে। এরপর নির্দিষ্ট দেশটির ভেতরে হেঁটে ভ্রমণ করেছেন। শান্তর এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ভিসা পাওয়া। এ ঘটনা তাঁর ভ্রমণের গতিকে অনেক সময় ধীর করে দিয়েছে।

প্রস্তুতিকে সহজ করেছে ম্যারাথন

শান্ত একজন প্রতিভাবান অ্যাথলেট। তিনি টাটা স্টিল ২৫ হাজার কিলোমিটার ম্যারাথন, দার্জিলিং হিল ম্যারাথন, ঢাকা হাফ ম্যারাথন, বিগ বাংলা হাফ ম্যারাথন, জিনিয়াস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভার্চুয়াল রানসহ অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন। ডেয়ার টু স্টেয়ার চ্যালঞ্জের মতো কঠিন সিঁড়ি দৌড়েও অংশ নিয়েছেন তিনি। তাঁর ধৈর্য, প্রস্তুতি ও মনোবল এসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। সমুদ্র ও নদীতে সাঁতার কাটার পাশাপাশি তিতাস নদীতে একটানা ৫ কিলোমিটার সাঁতারও কেটেছেন শান্ত।

ইন্দোনেশিয়ার কাবুপাতেন প্রোবোলিংগোতে শান্ত। ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার কাবুপাতেন প্রোবোলিংগোতে শান্ত। ছবি: সংগৃহীত

ভ্রমণের মুহূর্ত রেকর্ড

শান্ত তাঁর হাঁটার মুহূর্ত স্ট্রাভা ও পোলার স্টেপ অ্যাপের মাধ্যমে রেকর্ড করছেন। এই অ্যাপগুলো তিনি দৈনিক কত কিলোমিটার হেঁটেছেন, কোন পথে হেঁটেছে—এসব ডেটা লাইভ রেকর্ড করে। যে কেউ চাইলে এই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর ভ্রমণের ইতিহাস দেখে নিতে পারেন। এটি শুধু হিসাব রাখার জন্য নয়, এর মাধ্যমে শান্ত নিজের ভ্রমণের ছাপ রেখে যেতে চান।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অভিজ্ঞতা

বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণে চ্যালেঞ্জের কথা প্রায় সব পর্যটকের কাছ থেকেই শোনা যায়। দিন দিন বিষয়টি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শান্তকে। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে, সীমান্ত পার হওয়া পর্যন্ত নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁকে। ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ওভারস্টে বা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি থাকার কারণে দিন দিন বিদেশভ্রমণ আরও কঠিন হয়ে উঠছে। শান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণ করা খুবই কঠিন। পাসপোর্টের এমন দুর্নাম কিন্তু নিজে নিজে হয়নি, আমরাই করেছি। ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে অনেকে থেকে যান, সে কারণে এই অবস্থা।’

সবার প্রতি কৃতজ্ঞ

শান্তর এই যাত্রা একার পক্ষে সম্ভব হয়নি। অসংখ্য মানুষের সহায়তা, অতিথিপরায়ণতা এবং বন্ধুদের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না বলে জানান তিনি। শান্ত বলেন, ‘আমার এ যাত্রার প্রতিটি মুহূর্তে অসংখ্য মানুষের অবদান রয়েছে। বিভিন্ন সময় এমন মানুষের সহযোগিতা আমি পেয়েছি, যেটি আরও সাহস জুগিয়েছে। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

দেশে প্রস্তুতি

বাংলাদেশ থেকে ভারত পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার হেঁটেছেন শান্ত। দেশের সব জেলা মিলিয়ে হেঁটেছেন ৩ হাজার কিলোমিটার। কুমিল্লা থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত হেঁটেছেন ১ হাজার কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটার ও ৭১ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন ২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জে। বান্দরবান থেকে আলীকদম পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এসব চ্যালেঞ্জ তাঁকে বিশ্বভ্রমণের জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানসিক চাপ কমাতে নতুন ট্রেন্ড ‘অন্ধকারে গোসল’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অন্ধকারে গোসল করলে প্রশান্তি মেলে। ছবি: পেক্সেলস
অন্ধকারে গোসল করলে প্রশান্তি মেলে। ছবি: পেক্সেলস

ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।

মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করতে অনেকে জীবনযাত্রায় আনছেন নতুন নতুন পরিবর্তন। সম্প্রতি অনলাইনে এমনই এক ট্রেন্ড বেশ চোখে পড়ছে। তা হলো—‘ডার্ক শাওয়ারিং’।

‘ডার্ক শাওয়ারিং’-এর মানে হলো সম্পূর্ণ অন্ধকারে গোসল করা। আপনি যখন গোসল করবেন তখন সেখানে কোনো আলো থাকবে না। অন্ধকারে শরীরের ইন্দ্রিয়গুলো গভীরভাবে কাজ করে। যার ফলে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় আরও গভীর, মনোযোগী ও প্রশান্তিদায়ক।

অন্ধকারে গোসল করা শুধু নতুনত্ব নয়, এর রয়েছে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক উপকারও। এই পদ্ধতিকে অনেকেই মানসিক স্বস্তি এবং স্ট্রেস কমানোর একটি সহজ উপায় হিসেবে দেখছেন।

ডার্ক শাওয়ারিং-এর উপকারিতা

১. সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি

চোখের দৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলে শরীরের অন্য ইন্দ্রিয়গুলো, বিশেষ করে হাতের স্পর্শে কিছু বোঝার অনুভূতি তীব্রভাবে সক্রিয় হয়। পানির স্পর্শ, উষ্ণতা বা ঠান্ডার অনুভূতি আরও গভীরভাবে টের পাওয়া যায়। এতে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।

২. মানসিক প্রশান্তি ও ধ্যানের অনুভূতি

অন্ধকারে গোসল ধ্যানের মতো শান্ত ও মনোযোগী হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা দেয়। মন শান্ত হয়, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমে। ধীরে ধীরে শরীর ও মন দুটোই আরাম পায়।

৩. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে

পানির তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন এবং ত্বকে পানির প্রবাহ শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। এর ফলে শরীর সতেজ থাকে এবং পেশির টান কমে।

৪. মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপ কমায়

ক্যালিফোর্নিয়ার এমেন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানিয়েল এমেন বলেন, হালকা আলো বা অন্ধকার পরিবেশ মস্তিষ্কের ‘হুমকি শনাক্ত করার রাডার’ বা ‘থ্রেট রাডার’-কে বিশ্রামের সুযোগ দেয়।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, আলো মস্তিষ্ককে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করে। তাই আলো কমলে মস্তিষ্কে উত্তেজনা কমে এবং যুক্তিসংগত চিন্তা ফিরে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি শান্ত, স্পষ্ট ও স্থিতিশীল অনুভূতি দেয়।

ড. এমেনের মতে, দৃষ্টিগত তথ্য কমে গেলে মস্তিষ্কে সেন্সরি চাপও কমে যায়। ফলে ভয় ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণকারী অংশের প্রতিক্রিয়া কমে। যার প্রভাবে মন শান্ত ও ফুরফুরে হয়ে ওঠে।

‘ডার্ক শাওয়ারিং’ করবেন যেভাবে

অন্ধকারে গোসলে উপকার পেতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে—

১. অন্ধকার পরিবেশ তৈরি

স্নানঘরের আলো নিভিয়ে দিতে হবে অথবা ভারী পর্দা বা গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে যাতে ভেতরে যতটা সম্ভব অন্ধকার তৈরি করা যায়।

২. মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন সবকিছু থেকে দূরে

মোবাইল, মিউজিক বা অন্য কোনো ডিভাইস রাখবেন না যার শব্দে বা আলোতে মনোযোগ ব্যাহত হতে পারে। পুরোপুরি নিজের শরীর ও অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে মন দিন।

৩. ইন্দ্রিয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিন

ত্বকে পানির স্পর্শ এবং পানির শব্দ আর সাবান বা শ্যাম্পুর গন্ধের দিকে মনোযোগ দিন। চাইলে ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইলের মতো সুগন্ধি রাখতে পারেন, যা প্রশান্তি দেয়।

৪. মস্তিষ্কের বিশ্রাম মেলে এমন পরিবেশ তৈরি করুন

ড. ড্যানিয়েল এমেনের ভাষায়, ‘মস্তিষ্ক পূর্বানুমান অনুযায়ী চলে। আপনি মস্তিষ্ককে শান্ত করতে কিছু করছেন না বরং এমন এক পরিবেশ তৈরি করছেন যেখানে মস্তিষ্ক নিজে থেকেই ধীরে বিশ্রামে চলে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বারান্দায় ফোটা ফুল দিয়েই হোক চুলের যত্ন

ফিচার ডেস্ক
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন ফুলটি দিয়ে কোন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করবেন।

অকালে চুল পাকা রোধে সহায়ক অপরাজিতা

অপরাজিতা ফুলের নির্যাস অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমায়। ৮-১০টি অপরাজিতা ফুল বাটা, ২ চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস ব্যবহারে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করেও পানিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে রং বের করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হলে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। শ্যাম্পুর পর চুলের শেষ ধোয়ায় এই পানি ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারের কাজ হবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ঝলমলে চুল পেতে জবা ফুল

জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার চল বেশ পুরোনো। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাডায়। এই ফুলে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘সি’, যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়।

৫-৬টি জবা ফুল, ৮-১০টি জবা ফুলের পাতা, ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরির জন্য জবা ফুল ও পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার একসঙ্গে বেটে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। বাটার সময় সামান্য পানি যোগ করতে পারেন। সবশেষে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এ প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও চুলের মসৃণ ভাব ও জেল্লা ফিরে পেতে তিনটি জবা ফুল পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ফুলগুলো বেটে তাতে ৩ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে মেখে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এ প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

শীতে চুলের খুশি দূর করবে গাঁদা ফুল

গাঁদা ফুলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক বানাতে ৪-৫টি গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি বের করে নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা কাপ টকদই ও ১ চামচ মধু মেশান। খুব ভালো করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ প্যাকটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।

চুলের আগা ফাটা কমাবে গোলাপ

গোলাপ চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে যেকোনো রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল খুব কার্যকর। চুল ধোয়ার আগে বা পরে দু-ভাবেই এই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। চুলের আগা ফাটা দূর করতে, চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। একমুঠ তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর পাপড়িগুলো তুলে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাথার তালুতে, পুরো চুলে ও আগায় বেশি পরিমাণে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।

সূত্র: বি বিউটিফুল ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার

ফিচার ডেস্ক
ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, চিনি এক কাপ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, জর্দা রং সামান্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী।

প্রণালি

জলপাই সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে চিনি, লবণ, বিট লবণ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন, সিরকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে রসুনের কোয়ার ফোড়ন দিন। পরে মাখিয়ে রাখা জলপাই দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। জলপাই থেকে তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে সামান্য জর্দা রং দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত