প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
নারীদের সাজসজ্জার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ ফেক আইল্যাশ বা কৃত্রিম পাপড়ি। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহারের চল অনেক আগে থেকেই আছে। বর্তমান যুগে চোখের জন্য তৈরি বিশেষায়িত আঠা দিয়ে পাপড়িগুলো লাগানো হয়। উন্নত আঠা যখন ছিল না তখন কৃত্রিম পাপড়ি সুঁই দিয়ে সেলাই করে চোখের পাতায় লাগানো হতো!
এই ভয়ানক প্রক্রিয়াটি ‘ডান্ডি কুরিয়ার’ নামের একটি স্কটিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। উনিশ শতকে কৃত্রিম পাপড়ি চোখে লাগানোর জন্য সাধারণ সেলাই করার সুঁই ব্যবহার করা হতো। যার চোখে পাপড়ি লাগানো হতো তাঁরই মাথা থেকে চুল সংগ্রহ করা হতো। এরপর চুলগুলো সুঁইয়ে ঢুকিয়ে চোখের পাতার নিচের সীমানা বরাবর সেলাই করে লাগানো হতো। ব্যথা যেন কম অনুভূত হয় এ জন্য চোখের পাপড়িতে কোকেইনের একটি দ্রবণ ব্যবহার করা হতো। এর জন্য ছিল পেশাদার। এই পেশাদারেরা দক্ষতার সঙ্গে চোখের পাতার শেষ প্রান্ত দিয়ে বহিঃত্বক ও ট্র্যাগাসের তরুণাস্থির মধ্য দিয়ে সুই চালাত।
এভাবে চোখের পাপড়ি শুধু ধনী ও সাহসী ব্যক্তিরাই লাগাতে পারতেন! এরপর একটি কার্লিং টংগস বা কোঁকড়ানো চিমটা দিয়ে চোখের পাপড়িগুলোকে সুন্দর আকার দেওয়া হতো। আর এই অস্ত্রোপচারের পরের দিন পর্যন্ত চোখ ব্যান্ডেজ দিয়ে বাঁধানো থাকত।
৩ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে পুরুষ ও নারী উভয়েই চোখের পাপড়ি ঘন দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মলম ব্যবহার করত। এগুলো চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানোর হতো। চোখের পাপড়ি কালো করার জন্য ম্যালাকাইটের মতো উপকরণ ব্যবহার করা হতো। পুরুষ ও নারীরা কৃত্রিম রং যা সাধারণ সিসা সালফাইড দিয়ে তৈরি করা হয়, সেগুলো চোখে প্রয়োগ করত। চোখে কাজলও পরা হতো।
প্রায় ৭৫৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে দার্শনিক প্লিনি দ্য এল্ডার বলেন, চোখের পাপড়ি ছোট হওয়াকে বার্ধক্যের লক্ষণ বলে মনে করত রোমানরা। তাই চোখের পাপড়ি বড় করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করে তারা। এ জন্য পোড়া কর্ক ও কয়লা ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘ পাপড়ি নৈতিকতা এবং কুমারীত্বের প্রতীক বলেও বিশ্বাস করা হতো।
তবে মধ্যযুগে গির্জাগুলোতে বড় পাপড়ির বিরুদ্ধে বলা হতো। এ জন্য নারীরা চোখের পাপড়ি ও ভ্রু তুলে ফেলত। পাপড়ি তুলে ফেলার জন্য তারা যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করত সেটিও ছিল বিপজ্জনক। কারণ পাপড়ি ধুলো–ময়লা থেকে চোখকে রক্ষা করে।
১৯১১ সালে কানাডীয় উদ্ভাবক আনা টেলর কৃত্রিম পাপড়ি পেটেন্ট করেন। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে নকল পাপড়ি ও এগুলো লাগানোর আঠা ছিল। এসব পাপড়ি মানুষের চুল থেকেই তৈরি করা হয়।
এরপরে জার্মান হেয়ারড্রেসার কার্ল নেসলার নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলুনে কৃত্রিম পাপড়ি লাগানোর সেবা দেওয়া শুরু করেন।
১৯১৬ সালে ‘ইনটলারেন্স’ সিনেমা শুটিংয়ের সময় পরিচালক ডি. ডব্লিউ. গ্রিফিথ লক্ষ্য করেন, অভিনেত্রী সিনা ওয়েনের চোখ ক্যামেরায় ভালো ভাবে ফুটে উঠছে না। তাই নকল পাপড়ি তৈরির জন্য তিনি একজন পরচুলা প্রস্তুতকারককে নিযুক্ত করেন। তিনি একটি পাপড়ি বানিয়ে অভিনেত্রীর চোখে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেন। এরপর থেকেই চোখে নকল পাপড়ি লাগানোর চল জনপ্রিয় হয়।
মেরিলিন মনরো, জুডি গারল্যান্ড ও রিটা হেওয়ার্থের মতো অভিনেত্রীরা ভারী নকল পাপড়ি পরতেন। ২০২৫ সাল নাগাদ কৃত্রিম পাপড়ির বাজার ১৬০ কোটি ডলার হবে বলে ধারণা করা হয়।
তথ্যসূত্র: ওর্ডার মেটারিয়া
নারীদের সাজসজ্জার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ ফেক আইল্যাশ বা কৃত্রিম পাপড়ি। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহারের চল অনেক আগে থেকেই আছে। বর্তমান যুগে চোখের জন্য তৈরি বিশেষায়িত আঠা দিয়ে পাপড়িগুলো লাগানো হয়। উন্নত আঠা যখন ছিল না তখন কৃত্রিম পাপড়ি সুঁই দিয়ে সেলাই করে চোখের পাতায় লাগানো হতো!
এই ভয়ানক প্রক্রিয়াটি ‘ডান্ডি কুরিয়ার’ নামের একটি স্কটিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। উনিশ শতকে কৃত্রিম পাপড়ি চোখে লাগানোর জন্য সাধারণ সেলাই করার সুঁই ব্যবহার করা হতো। যার চোখে পাপড়ি লাগানো হতো তাঁরই মাথা থেকে চুল সংগ্রহ করা হতো। এরপর চুলগুলো সুঁইয়ে ঢুকিয়ে চোখের পাতার নিচের সীমানা বরাবর সেলাই করে লাগানো হতো। ব্যথা যেন কম অনুভূত হয় এ জন্য চোখের পাপড়িতে কোকেইনের একটি দ্রবণ ব্যবহার করা হতো। এর জন্য ছিল পেশাদার। এই পেশাদারেরা দক্ষতার সঙ্গে চোখের পাতার শেষ প্রান্ত দিয়ে বহিঃত্বক ও ট্র্যাগাসের তরুণাস্থির মধ্য দিয়ে সুই চালাত।
এভাবে চোখের পাপড়ি শুধু ধনী ও সাহসী ব্যক্তিরাই লাগাতে পারতেন! এরপর একটি কার্লিং টংগস বা কোঁকড়ানো চিমটা দিয়ে চোখের পাপড়িগুলোকে সুন্দর আকার দেওয়া হতো। আর এই অস্ত্রোপচারের পরের দিন পর্যন্ত চোখ ব্যান্ডেজ দিয়ে বাঁধানো থাকত।
৩ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে পুরুষ ও নারী উভয়েই চোখের পাপড়ি ঘন দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মলম ব্যবহার করত। এগুলো চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানোর হতো। চোখের পাপড়ি কালো করার জন্য ম্যালাকাইটের মতো উপকরণ ব্যবহার করা হতো। পুরুষ ও নারীরা কৃত্রিম রং যা সাধারণ সিসা সালফাইড দিয়ে তৈরি করা হয়, সেগুলো চোখে প্রয়োগ করত। চোখে কাজলও পরা হতো।
প্রায় ৭৫৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে দার্শনিক প্লিনি দ্য এল্ডার বলেন, চোখের পাপড়ি ছোট হওয়াকে বার্ধক্যের লক্ষণ বলে মনে করত রোমানরা। তাই চোখের পাপড়ি বড় করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করে তারা। এ জন্য পোড়া কর্ক ও কয়লা ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘ পাপড়ি নৈতিকতা এবং কুমারীত্বের প্রতীক বলেও বিশ্বাস করা হতো।
তবে মধ্যযুগে গির্জাগুলোতে বড় পাপড়ির বিরুদ্ধে বলা হতো। এ জন্য নারীরা চোখের পাপড়ি ও ভ্রু তুলে ফেলত। পাপড়ি তুলে ফেলার জন্য তারা যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করত সেটিও ছিল বিপজ্জনক। কারণ পাপড়ি ধুলো–ময়লা থেকে চোখকে রক্ষা করে।
১৯১১ সালে কানাডীয় উদ্ভাবক আনা টেলর কৃত্রিম পাপড়ি পেটেন্ট করেন। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে নকল পাপড়ি ও এগুলো লাগানোর আঠা ছিল। এসব পাপড়ি মানুষের চুল থেকেই তৈরি করা হয়।
এরপরে জার্মান হেয়ারড্রেসার কার্ল নেসলার নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলুনে কৃত্রিম পাপড়ি লাগানোর সেবা দেওয়া শুরু করেন।
১৯১৬ সালে ‘ইনটলারেন্স’ সিনেমা শুটিংয়ের সময় পরিচালক ডি. ডব্লিউ. গ্রিফিথ লক্ষ্য করেন, অভিনেত্রী সিনা ওয়েনের চোখ ক্যামেরায় ভালো ভাবে ফুটে উঠছে না। তাই নকল পাপড়ি তৈরির জন্য তিনি একজন পরচুলা প্রস্তুতকারককে নিযুক্ত করেন। তিনি একটি পাপড়ি বানিয়ে অভিনেত্রীর চোখে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেন। এরপর থেকেই চোখে নকল পাপড়ি লাগানোর চল জনপ্রিয় হয়।
মেরিলিন মনরো, জুডি গারল্যান্ড ও রিটা হেওয়ার্থের মতো অভিনেত্রীরা ভারী নকল পাপড়ি পরতেন। ২০২৫ সাল নাগাদ কৃত্রিম পাপড়ির বাজার ১৬০ কোটি ডলার হবে বলে ধারণা করা হয়।
তথ্যসূত্র: ওর্ডার মেটারিয়া
‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
৩ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
১৩ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
১৪ ঘণ্টা আগে