বিশ্ব চা দিবস
সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ধারণা করা হয়, তুরস্কে প্রথম চা এসেছিল পঞ্চম শতাব্দীতে—সিল্ক রুটের ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। তাঁরা চীন থেকে চা পাতা নিয়ে আসতেন। সে সময় খুব অল্পসংখ্যক মানুষই চা পান করতেন। যেটুকু চা আসত, তার অধিকাংশই ব্যবহৃত হতো সুগন্ধি তৈরিতে। ধীরে ধীরে এ পানীয়ের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, সকালে নাশতার টেবিলেও পরিবেশিত হতে থাকে চা। ধীরে ধীরে দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়ে পরিণত হয় এটি।
তুরস্কে চা পানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় বিশ শতকে। সে সময় তুরস্কের রাইজ প্রদেশে সরকারিভাবে চা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তুর্কির বিভিন্ন অঞ্চলে চা চাষ করা হয় এবং তুর্কির সংস্কৃতিতে এটি অনন্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, অফিস, বাড়ি, বাজার—সবখানেই উপভোগ ও সৌজন্যের মাধ্যম হয়ে উঠেছে চা। তবে এক কাপ রং চা নিয়েই এতক্ষণ আলাপ করছি, এটা একটু আশ্চর্যজনক না? আসলে টার্কিশ চা তৈরির একটি আলাদা প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়া ও পরিবেশনের জন্যই এই চা মন কেড়েছে বিদেশিদেরও।
টার্কিশ চা তৈরির প্রক্রিয়া
খুব ভালো মানের যেকোনো ‘ব্ল্যাক রাইজ টি’ দিয়ে টার্কিশ চা তৈরি করা যায়। চায়ের মান পরীক্ষা করতে এক কাপ গরম পানিতে এক চিমটি চা-পাতা ছেড়ে দিন। যদি ধীরে ধীরে পানির রং বদলায়, তাহলে বুঝতে হবে, ভালো চা-পাতাই আপনি বেছে নিয়েছেন। তবে যদি খুব দ্রুত পানির রং পরিবর্তন হয়, তাহলে চা-পাতা বদলে নিন, সেটি খারাপ চা-পাতা।
তুর্কিরা চা তৈরির জন্য ফিল্টার করা পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নেয়। এতে করে চায়ের তরতাজা স্বাদ পাওয়া যায় বলে তাদের ধারণা। গাঢ় লিকারের চা স্বাদে খানিকটা তেতো, সঙ্গে হালকা মিষ্টি। তবে তেতো ও মিষ্টি মিলেমিশে যেন বিদঘুটে স্বাদ না হয়, সে জন্য এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় টার্কিশ চা। এই বিশেষ চা তৈরির জন্য দুটো কেটলি ব্যবহৃত হয়। একটি কেটলিতে পানি ফুটতে থাকে এবং সেই কেটলির ওপরে বসানো থাকে আরেকটি কেটলি। তাতে ভাপে ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে টার্কিশ চা। দুই কাপ পানিতে এক চা চামচ চা-পাতা বা দুই কাপ চায়ের জন্য একটি টি ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মনে রাখতে হবে, নিচের কেটলির পানি ফুটতে থাকবে এবং সেই তাপমাত্রাতেই ওপরের কেটলির পানিতে চা-পাতা ধীরে ধীরে রং ছড়াতে থাকবে। কারও কাছে যদি কেটলি না থাকে, তাহলে একটির ওপর আরেকটি বসানো যায় এমন দুটো সস প্যান হলেও এই চা বানানো যাবে।
পরিবেশন
টার্কিশ চা পরিবেশনের ধরনও কিন্তু তুর্কি সংস্কৃতির একটি অংশ। এ চায়ের কাপের ওপর ছাঁকনি ধরে ওপরের কেটলি থেকে চায়ের মিশ্রণটি কাপে এক-চতুর্থাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ ঢালা হয়। তারপর নিচের বড় কেটলি থেকে ফুটন্ত জল দিয়ে কাপের বাকি অংশ পূর্ণ করে দেওয়া হয়। আগেই বলা হয়েছে, টার্কিশ চা বিশেষ এক ধরনের গ্লাসে পরিবেশন করা হয়। এই টিউলিপ আকৃতির গ্লাসটি আবার একটি পিরিচের ওপর রাখা হয়। সেই পিরিচের এক পাশে চিনির কিউব রাখা থাকে। যাঁদের মিষ্টি যোগ করার প্রয়োজন, তাঁরা যেন যোগ করে নিতে পারেন। ইস্তাম্বুলে গ্লুটেন-ফ্রি বাকলাভার সঙ্গে টার্কিশ চা জনপ্রিয় জুটি। আর জানেনই তো, বাকলাভা তুরস্কের জনপ্রিয় একটি ডেজার্ট আইটেম।
সূত্র: সিম্পল গ্লুটেন ফ্রি কিচেন
ধারণা করা হয়, তুরস্কে প্রথম চা এসেছিল পঞ্চম শতাব্দীতে—সিল্ক রুটের ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। তাঁরা চীন থেকে চা পাতা নিয়ে আসতেন। সে সময় খুব অল্পসংখ্যক মানুষই চা পান করতেন। যেটুকু চা আসত, তার অধিকাংশই ব্যবহৃত হতো সুগন্ধি তৈরিতে। ধীরে ধীরে এ পানীয়ের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, সকালে নাশতার টেবিলেও পরিবেশিত হতে থাকে চা। ধীরে ধীরে দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়ে পরিণত হয় এটি।
তুরস্কে চা পানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় বিশ শতকে। সে সময় তুরস্কের রাইজ প্রদেশে সরকারিভাবে চা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তুর্কির বিভিন্ন অঞ্চলে চা চাষ করা হয় এবং তুর্কির সংস্কৃতিতে এটি অনন্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, অফিস, বাড়ি, বাজার—সবখানেই উপভোগ ও সৌজন্যের মাধ্যম হয়ে উঠেছে চা। তবে এক কাপ রং চা নিয়েই এতক্ষণ আলাপ করছি, এটা একটু আশ্চর্যজনক না? আসলে টার্কিশ চা তৈরির একটি আলাদা প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়া ও পরিবেশনের জন্যই এই চা মন কেড়েছে বিদেশিদেরও।
টার্কিশ চা তৈরির প্রক্রিয়া
খুব ভালো মানের যেকোনো ‘ব্ল্যাক রাইজ টি’ দিয়ে টার্কিশ চা তৈরি করা যায়। চায়ের মান পরীক্ষা করতে এক কাপ গরম পানিতে এক চিমটি চা-পাতা ছেড়ে দিন। যদি ধীরে ধীরে পানির রং বদলায়, তাহলে বুঝতে হবে, ভালো চা-পাতাই আপনি বেছে নিয়েছেন। তবে যদি খুব দ্রুত পানির রং পরিবর্তন হয়, তাহলে চা-পাতা বদলে নিন, সেটি খারাপ চা-পাতা।
তুর্কিরা চা তৈরির জন্য ফিল্টার করা পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নেয়। এতে করে চায়ের তরতাজা স্বাদ পাওয়া যায় বলে তাদের ধারণা। গাঢ় লিকারের চা স্বাদে খানিকটা তেতো, সঙ্গে হালকা মিষ্টি। তবে তেতো ও মিষ্টি মিলেমিশে যেন বিদঘুটে স্বাদ না হয়, সে জন্য এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় টার্কিশ চা। এই বিশেষ চা তৈরির জন্য দুটো কেটলি ব্যবহৃত হয়। একটি কেটলিতে পানি ফুটতে থাকে এবং সেই কেটলির ওপরে বসানো থাকে আরেকটি কেটলি। তাতে ভাপে ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে টার্কিশ চা। দুই কাপ পানিতে এক চা চামচ চা-পাতা বা দুই কাপ চায়ের জন্য একটি টি ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মনে রাখতে হবে, নিচের কেটলির পানি ফুটতে থাকবে এবং সেই তাপমাত্রাতেই ওপরের কেটলির পানিতে চা-পাতা ধীরে ধীরে রং ছড়াতে থাকবে। কারও কাছে যদি কেটলি না থাকে, তাহলে একটির ওপর আরেকটি বসানো যায় এমন দুটো সস প্যান হলেও এই চা বানানো যাবে।
পরিবেশন
টার্কিশ চা পরিবেশনের ধরনও কিন্তু তুর্কি সংস্কৃতির একটি অংশ। এ চায়ের কাপের ওপর ছাঁকনি ধরে ওপরের কেটলি থেকে চায়ের মিশ্রণটি কাপে এক-চতুর্থাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ ঢালা হয়। তারপর নিচের বড় কেটলি থেকে ফুটন্ত জল দিয়ে কাপের বাকি অংশ পূর্ণ করে দেওয়া হয়। আগেই বলা হয়েছে, টার্কিশ চা বিশেষ এক ধরনের গ্লাসে পরিবেশন করা হয়। এই টিউলিপ আকৃতির গ্লাসটি আবার একটি পিরিচের ওপর রাখা হয়। সেই পিরিচের এক পাশে চিনির কিউব রাখা থাকে। যাঁদের মিষ্টি যোগ করার প্রয়োজন, তাঁরা যেন যোগ করে নিতে পারেন। ইস্তাম্বুলে গ্লুটেন-ফ্রি বাকলাভার সঙ্গে টার্কিশ চা জনপ্রিয় জুটি। আর জানেনই তো, বাকলাভা তুরস্কের জনপ্রিয় একটি ডেজার্ট আইটেম।
সূত্র: সিম্পল গ্লুটেন ফ্রি কিচেন
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেবন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
১০ ঘণ্টা আগেকোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রতিবারই পরিকল্পনা করেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্র আর বাড়িতে সমানতালে ব্যস্ত থাকায় পূজায় মিষ্টিমুখের জন্য ভরসা করতে হয় মিষ্টির দোকান আর অনলাইন-ভিত্তিক খাবারের পেজগুলোর ওপর। এবার আটঘাট বেঁধেই পরিকল্পনা করেছেন, অল্প করে হলেও ঘরেই তৈরি হবে দশমীর খাবার। আর শেষপাতে থাকবে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
১৩ ঘণ্টা আগে