Ajker Patrika

বিশ্বের জনবহুল মহানগরীর তালিকা প্রকাশ, ঢাকার অবস্থান কত

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ০৬
জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান চার। ছবি: পেক্সেল
জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান চার। ছবি: পেক্সেল

আমাদের এই পৃথিবী দ্রুত নগরায়ণের দিকে এগোচ্ছে। বিশ্বজুড়ে শহরগুলো এখন জনসংখ্যা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শহরগুলো কানায় কানায় ভরে উঠছে কোটি কোটি মানুষে। যারা একসঙ্গে জীবন যাপন করছে। ইউএন-ওয়ার্ল্ড হ্যাবিট্যাট ও অন্যান্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর একটি তালিকা পাওয়া যায়। সেই তালিকার প্রথমে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও। তালিকাটি একঝলকে দেখলে বোঝা যায়, এশিয়া মহাদেশ এই তালিকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছে। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত, তা ভাবছেন তো?

শীর্ষ স্থানগুলো এশিয়ার দখলে

এ বছর শীর্ষ ২০টি জনবহুল শহরের মধ্যে ১৩টিই এশিয়ায় অবস্থিত। এই মেগা শহরগুলো থেকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রবণতা। ১৩টি দেশের মধ্যে প্রথম চারটিই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত।

৩৭ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। ছবি: পেক্সেলস
৩৭ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। ছবি: পেক্সেলস

টোকিও: তালিকার প্রথম শহর টোকিও। জনসংখ্যার হার ক্রমেই নিম্নমুখী হলেও জাপানের রাজধানী শহরটিতে বসবাস করে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই শহর প্রাচীন মন্দির ও আধুনিক অবকাঠামোর সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। এর সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ও অর্থনৈতিক সুযোগ একে শীর্ষ স্থানে রেখেছে।

নয়াদিল্লি: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বর্তমান জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন। শহরটি দ্রুত নগরায়ণের সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্যকেও ধরে রেখেছে। নয়ডা ও গুরু গ্রামের মতো উপশহরগুলোকে নিয়ে গঠিত এর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন তীব্র যানজট ও দূষণের মুখেও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।

সাংহাই: চীনের সাংহাই শহর তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। শহরটির জনসংখ্যা ৩০ দশমিক ৪ মিলিয়ন। শহরটি চীনের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এর আকাশচুম্বী অট্টালিকা, আধুনিক অবকাঠামো এবং দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা শহরটিকে সব সময় কর্মচঞ্চল রাখে।

ঢাকা: ২৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে ঢাকা। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও দ্রুত বর্ধনশীল শহর এটি। পোশাকশিল্প ও অনানুষ্ঠানিক খাতে চাকরির সন্ধানে আসা মানুষের স্রোত শহরটিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হৃৎপিণ্ডে পরিণত করেছে। তবে ঢাকা এখন আবাসন ও যানজটের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

অন্যান্য এশীয় নগরীর অবস্থান ও জনসংখ্যা

তালিকায় নবম অবস্থানে আছে ভারতের মুম্বাই। এই শহরের জনসংখ্যা ২২ মিলিয়ন। ব্রিটিশ শাসনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে দেশের বর্তমান শহুরে গতিশীলতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এই শহর। দশম অবস্থানে আছে জাপানের ওসাকা। শহরটির জনসংখ্যা ১৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এটি জাপানের হনশুতে অবস্থিত প্রধান বন্দর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র; যা আধুনিক স্থাপত্য ও প্রাণবন্ত স্ট্রিট ফুডের জন্য পরিচিত।

৩৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় শহর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। ছবি:পেক্সেলস
৩৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় শহর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। ছবি:পেক্সেলস

এই শীর্ষ ১০-এর বাইরেও এশিয়ার জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে গুয়াংঝু (চীন, ১৮ দশমিক ২ মিলিয়ন), করাচি (পাকিস্তান, ১৮ দশমিক ১ মিলিয়ন), কলকাতা (ভারত, ১৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন), ম্যানিলা (ফিলিপাইন, ১৫ দশমিক ২ মিলিয়ন) এবং তিয়ানজিন (চীন, ১৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন)।

অন্যান্য অঞ্চলের মেগাসিটি

বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম শহরের তালিকায় এশিয়া প্রাধান্য বিস্তার করলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে মেগাসিটি। সেগুলোর মধ্যে মিসরের কায়রো আছে তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে। শহরটির জনসংখ্যা ২৩ মিলিয়ন। আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল ও ঐতিহাসিক কেন্দ্র এটি। কিংবদন্তির নীলনদের তীরে অবস্থিত এই শহর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। যানজট নিরসনে নতুন প্রশাসনিক রাজধানী তৈরি করছে মিসর।

দক্ষিণ আমেরিকা: তালিকায় এই মহাদেশের দুটি শহর আছে। এর একটি হলো ব্রাজিলের প্রাণবন্ত আর্থিক কেন্দ্র সাও পাওলো। শহরটির জনসংখ্যা ২২ দশমিক ৯ মিলিয়ন। তার সঙ্গে আছে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস। সে শহরের জনসংখ্যা ১৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন।

উত্তর আমেরিকা: এই মহাদেশের একটি শহর তালিকায় প্রথম ২০টি শহরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। সেটি হলো মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি। শহরটির জনসংখ্যা ২২ দশমিক ৭ মিলিয়ন। এটি এই মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজধানী এবং অ্যাজটেক সাম্রাজ্যের টেনোচটিটলানের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত।

আফ্রিকা: এই মহাদেশের তিনটি শহর তালিকায় স্থান পেয়েছে। মিসরের রাজধানী কায়রোর পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা। শহরটির জনসংখ্যা ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন। এ ছাড়া নাইজেরিয়ার লাগোস তালিকায় আছে ১৭ দশমিক ২ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে।

চীনের সাংহাই আছে তালিকার তৃতীয় নম্বরে। ছবি: পেক্সেলস
চীনের সাংহাই আছে তালিকার তৃতীয় নম্বরে। ছবি: পেক্সেলস

ইউরোপ: ইউরোপের একটি শহর আছে জনবহুল শহরের তালিকায়। সেটি হলো তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুল। এর জনসংখ্যা ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন। এটি বিশ্বের ১৫তম বৃহত্তম শহর এবং ইউরোপের বৃহত্তম নগরী।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতের প্রবণতা

জাতিসংঘের অনুমান, এ বছর বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়নে পৌঁছাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৯ দশমিক ৭ বিলিয়নে উন্নীত হবে। নগরায়ণ দ্রুত হচ্ছে এবং বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষ বর্তমানে এমন জায়গায় বাস করে, যেখানে জনসংখ্যা সর্বোচ্চ বা তার কাছাকাছি পর্যায়ে আছে। এদিকে ভারত এ বছর ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে তার স্থান ধরে রেখেছে। সংখ্যাটি ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়। অন্যদিকে মস্কো ও প্যারিসের মতো ইউরোপের কিছু প্রধান নগরীর জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে।

এই মেগা শহরগুলো শুধু জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে নয়, এগুলো মানব ইতিহাসের গতিশীলতা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির একে অপরের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জীবন্ত উদাহরণ।

সূত্র: ইউএন, ওয়ার্ল্ড হ্যাবিট্যাট, দ্য ইকোনমিক টাইমস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তরুণ প্রজন্মের নিরীক্ষামূলক পোশাকে টেরাকোটা

নাহিন আশরাফ 
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ  মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান

বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির গল্প। বহু আগে থেকে বাংলার মাটিতে মসজিদ, মন্দির ও গৃহসজ্জায় দেখা যায় টেরাকোটার ব্যবহার। প্রাচীনকালের সেই মসজিদ ও মন্দির থেকে উঠে আসা টেরাকোটা জায়গা করে নেয় ফ্যাশন দুনিয়ায়। খুব অল্প সময়ে নতুন প্রজন্মের কাছে এর নকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচীন কিছু স্থাপনায় টেরাকোটার ব্যবহার দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী ও বাঘা মসজিদ, দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদ, যশোরের চাঁচড়া শিবমন্দির, কুমিল্লার শালবন বিহার ও জগন্নাথ মন্দির এবং নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুরের প্রাচীন স্থাপনায় টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায়। এগুলো মূলত এই অঞ্চলে টেরাকোটা শিল্পের প্রাচীনতম নিদর্শন। মাটি ও আগুনের সহায়তায় সৃজনশীল মানুষ আজ থেকে কয়েক শ বছর আগে এসব শিল্পের চর্চা করত।

ফ্যাশনে এই টেরাকোটা এখন অনন্য ট্রেন্ড। তরুণেরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এটি নিয়ে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে টেরাকোটাসমৃদ্ধ স্থাপনাগুলো যে রং ধারণ করেছে, বর্তমান সময়ের ডিজাইনাররা পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে তাকে বেছে নিচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, নকশাকারেরা টেরাকোটায় ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন ও মোটিফ ব্যবহার করছেন পোশাকের নকশা করার কাজে। কখনো সেগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন নিজের চিন্তাভাবনা।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পের বিভিন্ন মোটিফ নানাভাবে পোশাকে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি এর আগে ক্লাবহাউস নামের একটি ফ্যাশন হাউসের ডিজাইনার ছিলেন। আব্দুল্লাহ জানান, তাঁর নিরীক্ষামূলক পোশাকের ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল রাজশাহীর বাঘা মসজিদ ও দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির।

ধর্মীয় এই স্থাপনাগুলো ইতিহাস, সংস্কৃতি ও নান্দনিকতার বড় উদাহরণ। বাঘা মসজিদের দেয়াল ও দরজায় পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও জ্যামিতিক নকশার নিখুঁত কারুকাজ দেখা যায়। আবার কান্তজিউ মন্দিরে রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলা, বিভিন্ন পুরাণ কাহিনিসহ ফুল ও লতাপাতার নকশা।

এই দুইয়ের মিশ্রণে আব্দুল্লাহ তৈরি করেছেন টেরাকোটাকেন্দ্রিক নকশা ও রঙের পোশাক। টেরাকোটার রঙের সঙ্গে পোশাক আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি ব্যবহার করেছেন হাতে আঁকা মাটির মোটিফ, ব্লক প্রিন্ট, টেরাকোটা টেক্সচার এমব্রয়ডারি, জামদানির নকশা ইত্যাদি। এ ছাড়া পোশাকে অ্যাকসেসরিজ হিসেবে যোগ করা হয়েছে নানান লেইস, কোকোনাট বাটন, টারসেল ইত্যাদি।

মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ  মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান

আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের কথা বিবেচনায় রেখে মূলত তিনি এসব পোশাকের নকশা করেছেন, যাতে আধুনিকতার পাশাপাশি এই প্রজন্মের তরুণেরা নিজেদের ঐতিহ্যকেও ভালো করে চিনতে এবং জানতে পারেন।

তরুণ প্রজন্মের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পোড়ামাটির উষ্ণ বাদামি-কমলা রঙের টোন এখন জিনস, জ্যাকেট, স্কার্ট কিংবা গাউনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার কামিজে যেমন টেরাকোটার বিভিন্ন অনুষঙ্গের ছোঁয়া আছে, তেমনি আছে ওয়েস্টার্ন পোশাকে। আব্দুল্লাহর আশা, শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজের মতো দেশীয় পোশাকে টেরাকোটার নকশা ও অন্যান্য বিষয় যেমন সবাই গ্রহণ করে নিয়েছিল, ওয়েস্টার্ন পোশাকে এর উপস্থিতিকেও মানুষ তেমন আপন করে নেবে। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল—সব ধরনের লুকের সঙ্গে এ ধরনের নকশা মানিয়ে যায়। তা ছাড়া গায়ের

রং যেমনই হোক না কেন, টেরাকোটার রং প্রায় সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় বলে স্বচ্ছন্দে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যে কেউ চাইলে এ ধরনের নকশার পোশাক ব্যবহার করতে পারে।

টেরাকোটার এই বিশেষ কালেকশনের নাম দেওয়া হয়েছে ক্লে স্টোন। আগামী প্রজন্ম যাতে আধুনিকতার পাশাপাশি নিজের শিকড়কে ভুলে না যায়, তাই এ ধরনের পোশাক তৈরিতে আগ্রহ আব্দুল্লাহ ভুঁইয়ার।

হারিয়ে যাওয়া মসজিদ কিংবা মন্দির থেকে টেরাকোটা যখন উঠে আসে আধুনিক ফ্যাশনে, তখন নতুন করে পুরোনো গল্প প্রাণ পায়। আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া পোশাকে সে গল্পই শোনাতে চান এই প্রজন্মের মানুষদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৪
আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

মেষ

আজ কর্মক্ষেত্রে আপনার কাঁধে নতুন দায়িত্ব চাপানো হতে পারে। এটা আসলে ‘ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক’ কম, আর বসের ‘সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজটা আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেওয়ার’ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বেশি। খরচ করার আগে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বিশেষ করে মধ্যরাতে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপে ‘আমি তো শুধু দেখছিলাম’ বলে অর্ডার দেওয়ার মারাত্মক প্রবণতা আজ রাশ টেনে ধরুন। আপনার পকেটের গ্রহরা আজ হরতাল ডেকেছে।

বৃষ

পরিশ্রমের ফল আজ আপনি মনে হয় সঠিকভাবেই পাবেন! অর্থাৎ, এত দিন যে উপেক্ষিত হয়েছেন, তার একটা ক্ষীণ হলেও ফল মিলবে। আর্থিক দিকটা মোটামুটি ভালো, কিন্তু শনিদেব ফিসফিস করে বলছেন, ‘বড় বিনিয়োগ? ওহ, প্লিজ! আরও কয়েকটা বছর ইএমআই দিতে থাকুন, তারপর দেখা যাবে।’ মজুত মালের দাম বাড়ার যোগ রয়েছে—তাই ফ্রিজের ভেতরের পুরোনো আচারটা আজ ফেলবেন না, ওটাই আপনার ভবিষ্যৎ সম্পদ।

মিথুন

যদি একটু বুদ্ধি খাটাতে পারেন, সৌভাগ্য আজ পিছে-পিছে ঘুরবে। তবে যে বুদ্ধিটা খাটাবেন, সেটা যেন লটারির টিকিট কাটার বুদ্ধি না হয়! সৃষ্টিশীল কাজে অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে, মানে আপনার বহুদিনের জমে থাকা আর্ট প্রজেক্টে আজ একটা লাইন বেশি আঁকা হতে পারে। তবে আজকের দিনে কারও গাড়িতে চাপার সাহস দেখাবেন না—কারণ রাশি বলছে, আজকের ‘অরা’ গাড়ির টায়ার পাংচার করার জন্য যথেষ্ট।

কর্কট

আজ সারা দিনটা আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে নিজেই প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। যদি জীবনে প্রেম আসে, তবে তাকে সাদরে গ্রহণ করুন, কিন্তু প্রেমপত্রটা যেন মেসেঞ্জারে না দিয়ে হাতে লেখা হয়—গ্রহরা আজও রোম্যান্টিক জিনিস পছন্দ করে। শিক্ষকদের জন্য দিনটি খুব শুভ। তবে কোনো উঁচু জায়গায় ওঠা থেকে বিরত থাকুন। সিঁড়ি, মই, এমনকি আপনার ‘উঁচু ভাবনার ঘোড়া’—সবকিছু থেকেই দূরে থাকুন।

সিংহ

সৌভাগ্য আজ দরজায় কড়া নাড়বে, কিন্তু সিংহমশাই, ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাটা সৌভাগ্যের চেয়ে শক্তিশালী। সাবধানে থাকবেন, নইলে নিজের হাতেই সব ভেস্তে যেতে পারে। ভাইবোনেরা যদি কোনো আবদার করে, দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না—কারণ ফিরিয়ে দিলে তারা যে মহাভারত শুরু করবে, তাতে আজকের শান্ত দিনটা কুরুক্ষেত্রে পরিণত হবে।

কন্যা

আজ প্রোডাকটিভিটি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হবে। চাইবেন কাজ করতে, কিন্তু মস্তিষ্ক বলবে, ‘আগে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশনগুলো শেষ করি।’ অপ্রত্যাশিত কিছু সমস্যা পরিকল্পনাকে বিলম্বিত করতে পারে। চিন্তা নেই, পরিকল্পনা ভন্ডুল করার মধ্যেই তো জীবনের মজা! আত্মসমীক্ষা করুন—হয়তো জীবনের একমাত্র সমস্যা হলো, আপনি নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবেন।

তুলা

আজ ক্যারিয়ারে কিছু ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা হতে পারে। ভয় পাবেন না, সব ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহদের ওপর চাপিয়ে দিন। বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে আজ অতিথি সমাগমের যোগ! তারা কাছে এসে কফি খাবে, গল্প করবে, আর বাড়িতে টিভির রিমোটটা লুকিয়ে রেখে চলে যাবে। শুধু সেই দায়িত্বগুলোই নিন, যেগুলো আপনি চোখ বন্ধ করে করতে পারবেন—যেমন, রিমোটটা খোঁজা।

বৃশ্চিক

কর্ম নিয়ে মনে চিন্তা থাকলেও, কর্মসংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হবে না। ঝামেলা হবে আপনার কথা বলা নিয়ে। যাঁরা খুব বেশি কথা বলেন, তাঁরা হালকা রাশ টানুন! আপনার জিভ আজ বিষাক্ত সাপের মতো—কখন কাকে ছোবল দেবে, বোঝা মুশকিল। বরং ঘরের আসবাব কেনার দিকে মন দিন। অন্তত নতুন সোফা আপনার অতিরিক্ত বকবকানি শুনে বিরক্ত হবে না।

ধনু

জমি বা বাড়ি কেনার ইচ্ছা থাকলে আজ কিনুন। গ্রহ বলছে, আজ কেনার যোগ দারুণ! তবে কেনার আগে নিশ্চিত হোন যে, আপনি গুগল ম্যাপে বাড়ির আসল ঠিকানা দিচ্ছেন—পাশের বাড়িরটা নয়। যদি টাকা কোথাও আটকে থাকে, তবে তা পুনরুদ্ধার হতে পারে। যারা টাকা নিয়েছিল, তারা হয়তো আপনার ক্রমাগত তাগাদার ভয়ে শেষমেশ বিরক্ত হয়ে ফেরত দেবে।

মকর

আজকের দিনটি আপনার জন্য অনুকূল হবে। আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী হবে। অর্থাৎ, মানিব্যাগ খুলে একটা ৫০০ টাকার নোট দেখতে পেতে পাবেন, যেটা আপনার মনেই ছিল না। প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীরা আজ মনোযোগ দিন। অন্যথায়, ভাগ্য আপনাকে নিয়ে একটা মজার কবিতা লিখে দেবে। টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ আসবে। সাবধান! টিমওয়ার্কে আপনার পুরো ক্রেডিট যেন অন্য কেউ নিয়ে না যায়।

কুম্ভ

আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে, আজ বন্ধুকে দেওয়া ধার যেন ভুলে না যান! পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবেন। নতুন অতিথির আগমনের যোগ রয়েছে—নতুন অতিথি মানে হয়তো কোনো দূর সম্পর্কের খালা বা চাচি, যিনি বাড়িতে এসে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চাইবেন। নিজেকে একটু সময় দিন। অন্যথায়, এত সুযোগের ভিড়ে কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবেন, সেটা নিয়েই বিভ্রান্ত হবেন।

মীন

আপনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্তগুলোই আজ উপকারে আসবে। অপরিচিতদের বিশ্বাস করবেন না। বিশেষ করে, যে লোকটা আপনাকে এসে বলবে, ‘আমি আপনার পুরোনো বন্ধু, ভুলে গেছেন?’—তাকে বিশ্বাস করবেন না। বাবা-মায়ের দোয়ায় মুলতবি কাজ সম্পন্ন হবে। ব্যবসায়ীরা দিনটিকে লাভজনক বলে মনে করবেন। আর বিবাহিত জীবন? তা আজ সুখী হবেই হবে। কারণ, মাঝে মাঝে সুখী না হয়ে উপায় থাকে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এ বছর বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আপেল ফ্লেভারের সুগন্ধি

ফারিয়া রহমান খান 
মডেল: সোনালি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মডেল: সোনালি। ছবি: আজকের পত্রিকা

আপেল, শুধুই কি একটি উপাদেয় ফল? চলতি বছর এর সুবাস পারফিউম জগতে ‘মাস্ট হ্যাভ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেরি বা স্ট্রবেরির মতো মিষ্টি সুবাসকে ছাড়িয়ে আপেলের সুবাস এখন সুগন্ধি বাজারে রাজত্ব করছে। এর কারণ হিসেবে বিশ্বের অনেক সুগন্ধি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চেরি ফ্লেভারের সুগন্ধি অনেকের কাছে খুব মিষ্টি মনে হতে পারে। কিন্তু আপেলের নোটগুলো সতেজ ও প্রাণবন্ত হওয়ায় অনেকের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। ২০০০ সালের শুরুতে ডিকেএনওয়াই বি ডেলিশাসের মতো আপেল ফ্লেভারের সুগন্ধিগুলো বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল; যা নতুন করে ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে।

আপেল সুগন্ধির জনপ্রিয়তার বেশ কিছু কারণ—

  • প্রথমত, আপেল সুগন্ধির একটি নস্টালজিক আবেদন রয়েছে। এই সুবাস আমাদের ছেলেবেলায় নিয়ে যায়। হালকা শীত শীত ভাব হলেই সুন্দর মিষ্টি সুবাসের আপেল বাসায় আসত। অথবা কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে সুন্দর সতেজ আপেল নিয়ে যাওয়া হতো। আবার আপেল ফ্লেভারের শ্যাম্পু বা বডি মিস্ট তখন ছিল নাইন্টিজের নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে, আপেল পারফিউম আমাদের মধ্যে নস্টালজিক অনুভূতি জাগিয়ে কিছু ‘আরামদায়ক স্মৃতি’তে নিয়ে যায়।
  • দ্বিতীয়ত, সুগন্ধি বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জি এখন মজাদার, প্রাণবন্ত ও অভিব্যক্তিপূর্ণ সুগন্ধি পছন্দ করে। আপেল সুগন্ধি তাদের এই চাহিদা পূরণ করে। আপেলের সুবাস মন ভালো করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা ও আশাবাদের অনুভূতিও দেয়।
  • তৃতীয়ত, আপেল মূলত শীতকালীন ফল, তাই এই সুবাস শীতকালের আরামদায়ক আবহাওয়াকেই মনে করিয়ে দেয়। মূলত শরৎকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে আপেলের সুবাস একধরনের সুন্দর অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

আপেল পারফিউম কখন ব্যবহারের সেরা সময়

আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সুগন্ধির রুচিতেও পরিবর্তন আসে। ঠিক যখন প্রকৃতিতে শীতের আমেজ আসে ও গাছের পাতা ঝরে যেতে শুরু করে, তখন আপেলের সুবাস আমাদের মধ্যে এক প্রাণবন্ত অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপেলের সুবাস একধরনের সতেজ, উষ্ণ ও আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। ফলে শীতকালে এই সুবাস প্রশান্তি এনে দেয়। সাধারণত, শরৎকাল শুরু হওয়ার আগেই আপনি আপেলের সুগন্ধি ব্যবহার শুরু করতে পারেন।

আপেলের সুবাস আসলে কেমন

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপেলের নোটে থাকে একটু রসাল, মিষ্টি ও হালকা টক ভাব। লাল আপেলের নোট হয় মিষ্টি আবার সবুজ আপেলের নোটে থাকে হালকা অ্যাসিডিক ভাব। আপেলের সুবাস বহুমুখী—এটি গোলাপ ও জুঁইয়ের মতো ফুলের পাশাপাশি নাশপাতিসহ বিভিন্ন ফলের সুবাসের সঙ্গে সুন্দর মিশে যায়। আবার দারুচিনি, চন্দন, এলাচি ও উদের মতো উষ্ণ উপাদানের সঙ্গে মিশেও খুব সুন্দর সুবাস তৈরি করে।

আপেল সুগন্ধির কিছু সেরা মিশেল

আপেলের সুবাসকে কিছু অন্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যেমন—

  • মিষ্টি ও ভ্যানিলা: কিছু সুগন্ধিতে আপেলের সঙ্গে ভ্যানিলার সুবাস যোগ করা হচ্ছে। ফলে মিষ্টি ও আরামদায়ক সুবাস তৈরি হয়। আবার আপেলের সঙ্গে ভ্যানিলা ও চন্দন কাঠের মিশ্রণ একটা বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে।
  • ককটেল ও সতেজতা: কিছু ব্র্যান্ড আপেলের সঙ্গে হালকা বুজি নোট যোগ করছে। আপেলের সঙ্গে দারুচিনি কিংবা এলাচির মতো উষ্ণ টোন মেশালে অনেকটা মসলাদার সিডারের অনুভূতি দেয়। এটি আকর্ষণীয় সুবাস তৈরি করে।
  • ফল ও কস্তুরি: কিছু সুগন্ধিতে আপেলের সঙ্গে পেয়ারা, নাশপাতি কিংবা অন্য কোনো ফলের সতেজতার পাশাপাশি বেস নোটে থাকে কস্তুরি
  • বা চন্দন। এই সুবাস একধরনের উষ্ণ অনুভূতি এনে দেয়।
  • ফুলের সঙ্গে: গোলাপ বা টিউলিপের মতো ক্ল্যাসিক সুবাসের সঙ্গেও আপেল যোগ করা হচ্ছে। আপেলের মিষ্টি ও সতেজ সুবাস ফুলের তীব্র সুগন্ধকে হালকা ও প্রাণবন্ত করে তোলে। এই ঘ্রাণ বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী। আপনি যদি সুগন্ধির কালেকশনে সতেজ ও মজাদার সুবাস যোগ করতে চান, তাহলে আপেল সুগন্ধিই হতে পারে সেরা পছন্দ।

সূত্র: কসমোপলিটন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এক পাশে সিঁথি কেটে চুলের যে স্টাইলগুলো করতে পারেন

তুষ্টি মনোয়ার
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ০৪
ব্লান্ট বব। ছবি: কসমোপলিটন
ব্লান্ট বব। ছবি: কসমোপলিটন

সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।

ব্লান্ট বব

যাঁরা আরেকটু বেশি আধুনিক ও ম্যানেজেবল হেয়ার স্টাইল পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য ব্লান্ট বব একটি দারুণ স্টাইল। থুতনি বা চোয়াল পর্যন্ত কাটা এই বব কাটে আপনাকে দেখাবে স্টাইলিশ ও প্রাণবন্ত। যাঁদের চুল ঘন, তাঁদের এই স্টাইল খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়। এই কাটে এক পাশে সিঁথি করে একটু জেল বা সেরাম ব্যবহারে দারুণ লুক তৈরি হয়; তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি খুব জনপ্রিয়।

স্লিকড ব্যাক বান। ছবি: কসমোপলিটন
স্লিকড ব্যাক বান। ছবি: কসমোপলিটন

স্লিকড ব্যাক বান

তীব্র গরমে স্লিকড ব্যাক বান খুবই ভালো অপশন। পাশের সিঁথি ঠিক রেখে সব চুল মসৃণ করে পেছনে টেনে একটা খোঁপা করে নিন। কপালের দুই পাশে কিছু চুল ছেড়ে রেখে দিতে পারেন। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে। এই স্টাইল যেকোনো পোশাকের সঙ্গে চমৎকারভাবে মানিয়ে যায়।

শোল্ডার লেন্থ লেয়ার। ছবি: কসমোপলিটন
শোল্ডার লেন্থ লেয়ার। ছবি: কসমোপলিটন

শোল্ডার লেন্থ লেয়ার

ঘন চুল যাঁদের, তাঁদের কাঁধ সমান লেয়ারে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়। সঙ্গে এটি চুলে ঢেউখেলানো ভাব ও টেক্সচারও যোগ করে। এই কাটের সঙ্গে এক পাশে সিঁথি করলে চুলে তাৎক্ষণিক ঘনত্ব আসে এবং গরমে চুল সামলানোও সহজ হয়। কলেজ, অফিস বা যেকোনো অনুষ্ঠানে চুলের এই স্টাইল বেশ মানানসই।

হাফ আপ, হাফ ডাউন। ছবি: কসমোপলিটন
হাফ আপ, হাফ ডাউন। ছবি: কসমোপলিটন

হাফ আপ, হাফ ডাউন

এটি ছোট চুলের একটি দারুণ স্টাইল। পাশে সিঁথি ঠিক রেখে মাথার ওপরের কিছু চুল নিয়ে একটি পনিটেইল বা বান করতে পারেন। এতে ঘাড়ের দিকে চুল পড়ে না থাকায় গরমে আরাম দেবে, আবার পেছনের দিকে চুল ছাড়া থাকায় স্টাইল স্টেটমেন্টও বজায় থাকবে।

গ্রোন আউট পিক্সি। ছবি: কসমোপলিটন
গ্রোন আউট পিক্সি। ছবি: কসমোপলিটন

গ্রোন-আউট-পিক্সি

যাঁদের চুলে পিক্সি কাট করা ছিল এবং চুল খানিকটা লম্বা হয়েছে, তাঁদের জন্য এই স্টাইল। এক পাশে সিঁথি করলে এই পিক্সি কাট চুলে টেক্সচার ও ঢেউখেলানো ভাব যোগ হয়। ট্রেন্ডি ও সহজে ম্যানেজেবল হওয়ার কারণে ব্যস্ত নারীদের জন্য এটি আদর্শ একটি স্টাইল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত