ফিচার ডেস্ক
সারা বছর খেজুর খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। তবে রমজান মাস এলে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণে। বাজারে অনেক ধরনের খেজুরের সমারোহ তখন দেখা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকায় শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ১০০ গ্রাম খেজুরে রয়েছে ২৭৭ ক্যালরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া রয়েছে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রন এবং ভিটামিন বি৬।
ফাইবার সমৃদ্ধ
খেজুর ফাইবারে পরিপূর্ণ। এ কারণে পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পাচনতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। খেজুরের ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ৭টি খেজুর খান তাদের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। এটি শরীরকে ক্ষতিকর সক্রিয় কেমিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ক্যানসার, আলঝেইমার এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে। এটি বিশেষত ফ্লাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এর ফলে এটি প্রদাহ কমাতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে
খেজুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে। এ ছাড়া এটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যেমন আলঝেইমারের প্রতিরোধে সাহায্য করে। খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব মস্তিষ্কের কোষকে সতেজ রাখে।
বাচ্চা প্রসবে সাহায্য করে
গর্ভাবস্থার শেষদিকে খেজুর খাওয়া গর্ভাশয়কে সংকুচিত হতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া প্রসব প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব গর্ভবতী মায়েরা গর্ভধারণের শেষ সপ্তাহগুলোতে খেজুর নিয়মিত খেয়েছেন তাদের প্রসবের সময় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তারা আরও কম পরিশ্রমে প্রসব করতে পেরেছিলেন। খেজুরে থাকা কিছু বিশেষ উপাদান যেমন ট্যানিনস, অক্সিটোসিন হরমোনের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে গর্ভাশয়ের সংকোচন ঘটায় এবং প্রসব প্রক্রিয়া সহজ করে। তবে, খেজুর খাওয়ার পরিমাণ ও সময়ে সতর্কতা অবলম্বন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস
খেজুর প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস। যেটি সাদা চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টির পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে। খেজুরের মিষ্টি স্বাদ এবং প্রাকৃতিক শর্করা শরীরের জন্য ভালো এবং এটি স্বাস্থ্যকর মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, এতে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকায় এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
হাড়ের উপকার
খেজুর শুধু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যেমন ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব হাড়ের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ফসফরাস হাড়ের নমনীয়তা এবং গঠন বজায় রাখে। ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এর ফলে। এ ছাড়া, খেজুরে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও হাড়ের কোষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে খেজুর। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয় এতে রক্তে শর্করা স্তরের দ্রুত বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত ফল। তবে এর ক্যালরি বেশি থাকে, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। নিয়মিত খেজুর খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য উপকারে আসবে। কিন্তু তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: হেলথ লাইন
সারা বছর খেজুর খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। তবে রমজান মাস এলে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণে। বাজারে অনেক ধরনের খেজুরের সমারোহ তখন দেখা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকায় শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ১০০ গ্রাম খেজুরে রয়েছে ২৭৭ ক্যালরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া রয়েছে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রন এবং ভিটামিন বি৬।
ফাইবার সমৃদ্ধ
খেজুর ফাইবারে পরিপূর্ণ। এ কারণে পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পাচনতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। খেজুরের ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ৭টি খেজুর খান তাদের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। এটি শরীরকে ক্ষতিকর সক্রিয় কেমিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ক্যানসার, আলঝেইমার এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে। এটি বিশেষত ফ্লাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এর ফলে এটি প্রদাহ কমাতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে
খেজুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে। এ ছাড়া এটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যেমন আলঝেইমারের প্রতিরোধে সাহায্য করে। খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব মস্তিষ্কের কোষকে সতেজ রাখে।
বাচ্চা প্রসবে সাহায্য করে
গর্ভাবস্থার শেষদিকে খেজুর খাওয়া গর্ভাশয়কে সংকুচিত হতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া প্রসব প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব গর্ভবতী মায়েরা গর্ভধারণের শেষ সপ্তাহগুলোতে খেজুর নিয়মিত খেয়েছেন তাদের প্রসবের সময় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তারা আরও কম পরিশ্রমে প্রসব করতে পেরেছিলেন। খেজুরে থাকা কিছু বিশেষ উপাদান যেমন ট্যানিনস, অক্সিটোসিন হরমোনের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে গর্ভাশয়ের সংকোচন ঘটায় এবং প্রসব প্রক্রিয়া সহজ করে। তবে, খেজুর খাওয়ার পরিমাণ ও সময়ে সতর্কতা অবলম্বন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস
খেজুর প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস। যেটি সাদা চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টির পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে। খেজুরের মিষ্টি স্বাদ এবং প্রাকৃতিক শর্করা শরীরের জন্য ভালো এবং এটি স্বাস্থ্যকর মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, এতে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকায় এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
হাড়ের উপকার
খেজুর শুধু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যেমন ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব হাড়ের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ফসফরাস হাড়ের নমনীয়তা এবং গঠন বজায় রাখে। ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এর ফলে। এ ছাড়া, খেজুরে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও হাড়ের কোষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে খেজুর। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয় এতে রক্তে শর্করা স্তরের দ্রুত বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত ফল। তবে এর ক্যালরি বেশি থাকে, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। নিয়মিত খেজুর খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য উপকারে আসবে। কিন্তু তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: হেলথ লাইন
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
৭ ঘণ্টা আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
১২ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
১ দিন আগে