Ajker Patrika

ফ্যাশনে থাকুক ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন

অনন্যা দাস
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫০
ফ্যাশনে থাকুক ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন

‘কী পোশাক আনিয়াছ কিনে’ পূজায় এ প্রশ্ন শুনতে হবে; অনিবার্য। শাস্ত্রাচার তো আছে। সেটা মুখ্য বিষয়। কিন্তু শাস্ত্রাচারের অনুষঙ্গ যে উৎসব, তাতে পোশাক প্রধান উপকরণ। পূজার কটা দিন কী পরা হবে, এ নিয়ে চলে হাজারো জল্পনা-কল্পনা। এ বছরের পূজার কেনাকাটাও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। হরেক রকম নকশা আর রঙের পোশাকে সেজে উঠেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। কেনা হবে বিস্তর। কিন্তু পূজার লগ্ন ধরে কী পরবেন?

মহাষষ্ঠী
দুর্গাপূজার প্রথম দিন। এদিন আয়োজনের ঘনঘটা থাকে প্রচুর। ফলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গ থাকে না। কিন্তু প্রথম দিন বলে একটা স্নিগ্ধতা থাকে চারদিকে। হালকা কটনের হ্যান্ডলুম বা টাঙ্গাইল শাড়ি এদিনের জন্য মানানসই। সুতির শাড়িতে খুব হালকা সুতা বা লেইসের কাজও ইদানীং বেশ ট্রেন্ডি। হালকা বা প্রাকৃতিক রঙের শাড়ি বেশি মানানসই হবে। শাড়ি পরতে না চাইলে সুতির কুর্তা, পালাজো বা সালোয়ার সেট বেছে নিতে পারেন। অনুষঙ্গ হিসেবে থাকতে পারে হালকা সিলভার গয়না। সেই সঙ্গে খোলা চুল বা হাতখোঁপা বেশ ভালো মানাবে। এদিন খানিক নির্ভার থাকুন পোশাকে ও সাজে।

মহাসপ্তমী
সপ্তমী তিথি থেকে পূজার আবেশ শুরু হয় বেশি। চারদিক ঢাকের শব্দ আর ধূপের ঘ্রাণে মেতে থাকে। হালকা মেজাজে প্যান্ডেল হপিং বা পূজা দেখাও শুরু হয় সপ্তমী থেকে। এদিন নারীরা বেছে নিতে পারেন জর্জেট, অরগাঞ্জা বা শিফনের শাড়ি কিংবা সেমি মসলিন। ব্লাউজের ডিজাইনে আনতে পারেন বৈচিত্র্য—ডিপ ব্যাক, স্লিভলেস বা বোট নেক। যাঁরা শাড়ি ছাড়া ফিউশনধর্মী পোশাক পরতে চান, তাঁদের জন্য ইন্দো-ওয়েস্টার্ন অথবা অ্যাসিমেট্রিক স্কার্টের সঙ্গে ট্রেন্ডি টপও হতে পারে অনন্য স্টাইল। সেই সঙ্গে চাইলে ওভারলেয়ার হিসেবে একটি কেপ বা কোট যুক্ত করতে পারেন।

মহাষ্টমী
মহাষ্টমীর দিনটি দুর্গাপূজার অন্যতম আকর্ষণ। মন্দিরে মন্দিরে চলে অঞ্জলির আয়োজন। এ জন্য নারী বা পুরুষ—উভয়েই বেছে নিতে পারেন সুতির হালকা মেজাজের পোশাক। সুতির এক রঙের কোনো শাড়ি পরতে পারেন এ সময়। অঞ্জলি শেষে ঘুরতে যাওয়ার জন্য পরতে পারেন লাল, মেরুন বা সোনালি বেনারসি শাড়ির সঙ্গে হেভি টেম্পল জুয়েলারি। ছেলেরাও একই রঙের ফিটেড বা একটু ঢিলেঢালা পাঞ্জাবি পরতে পারেন। সঙ্গে জিনস। পায়ে স্যান্ডেল।

সন্ধ্যার ঘোরাঘুরিতে পরতে পারেন বেনারসি বা কাঞ্জিভরমের মতো সিল্কের শাড়ি। রানি গোলাপি, মেরুন বা সোনালি রঙের সিল্ক শাড়ি এই পূজার জন্য আদর্শ। এর সঙ্গে খোঁপায় ফুলের মালা আর হালকা মেকআপ আপনার লুককে দেবে পূর্ণতা। 

মহানবমী
নবমীর দিনটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ। অষ্টমীতে ঘোরাঘুরি না হলেও অন্তত এ দিন ঘুরতে বেরোবেন প্রায় সবাই। তাই পোশাকেও থাকা চাই উৎসবের ভাব। নরম রং বা শিমারি টেক্সচারের শাড়ি পরুন এ সময়। এথনিক কুর্তি আর ফ্লেয়ারড স্কার্ট বা পালাজো প্যান্ট এ দিনের জন্য অসাধারণ। ব্লক প্রিন্টেড বা মিরর ওয়ার্কের কুর্তির সঙ্গে লেয়ারড স্কার্টের ফিউশন কম্বো দেবে ট্রেন্ডি লুক। এর সঙ্গে জাঙ্ক জুয়েলারি এবং খোলা চুলসাজকে করে তুলবে আকর্ষণীয়।

বিজয়া দশমী
বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা ও দেবীর বিসর্জন অনুষ্ঠান। এদিন ঐতিহ্যগতভাবে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরেন নারীরা। সিঁদুর খেলার জন্য সুতির লাল পাড় সাদা শাড়ি বেছে নিন। আর এবাড়ি-সেবাড়ি নিমন্ত্রণে যাওয়ার জন্য পরতে পারেন সিল্ক বা জামদানি। যাঁরা কিছু ভিন্নতা খুঁজছেন, তাঁদের জন্য কাঁথা স্টিচ বা অ্যাপ্লিক শাড়ি হতে পারে দারুণ বিকল্প। চুলে খোঁপা, খোঁপায় ফুলের মালা আর সেই সঙ্গে সোনার ঝুমকা আপনার লুককে দেবে সনাতনি অথচ অভিজাত ছোঁয়া। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত