যাঁদের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে, তাঁদের কাছে আলাদা করে চা দিবসের গল্প পেড়ে লাভ নেই। চা–প্রেমীদের কাছে এক কাপ চা কেবল ‘বিরতি’ নয়, চা পানের প্রতিটি মুহূর্তই তাঁদের কাছে আড়মোড়া ভেঙে নতুন করে জেগে ওঠার মতো। আলসেমি আর জড়তা ভেঙে নতুন করে কাজে ফেরার উদ্যম বা নতুন কিছু করার প্রয়াস পাওয়া যায় যেন এই প্রিয় চায়ের কাপ থেকেই।
আজ ২১ মে, মঙ্গলবার; বিশ্ব চা দিবস। অর্থাৎ আজকের দিনটি চা প্রেমীদের দিন। চা আমাদের জীবনের সঙ্গে যে কত ভাবে জড়িয়ে আছে তার কোনো হিসেব নেই। এক বিশাল জনগোষ্ঠী চা চাষের সঙ্গে যুক্ত। চায়ের সঙ্গেই তাদের জন্ম–মৃত্যু। একটি শ্রেণি এর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই দুটির বাইরে যাঁরা, তারাই আসলে চা–প্রেমী। কারণ পুরো পৃথিবীর সেই সব মানুষই প্রতিদিন আনুমানিক ৫ বিলিয়ন কাপ চা পান করেন! এই চায়ের বড় অংশ এখন ঢোকানো থাকে ব্যাগে, যাকে আমরা টি–ব্যাগ নামে চিনি। চা দিয়ে তো বটেই, এই ব্যাগও এখন আর ফেলনা নয়। আর কিছু না হোক টি–ব্যাগের ওপর এখন আঁকা হচ্ছে ছবি, বিচিত্র বিষয়ের ও রঙের ছবি।
চায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বেশ কয়েক বছর ধরে টি–ব্যাগের ওপর ছবি আঁকেন মো. সাদিত উজ জামান। প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও টি–ব্যাগের মতো জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল বা ফেলে দেওয়া জিনিস নিয়েও সৃজনশীল কাজ করেন তিনি। কী করে ফেলে দেওয়া উপকরণকে চিত্রকর্মে রূপান্তর করা যায়, সেটাই তাঁর ভাবনা।
চা পান করার পর কাপ থেকে টি-ব্যাগ তুলে নেন সাদিত। এরপর টি–ব্যাগের নিচের অংশ কাঁচি দিয়ে কেটে চা পাতাগুলো বের করে গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিয়ে ব্যাগটাকে রোদে শুকিয়ে নেন। এরপরই ছবি আঁকেন তার ওপর। টি–ব্যাগ স্টোরিজ নামে ফেসবুকে তাঁর একটি পেজ আছে। সেখানে ঢুঁ দিলেই দেখা যায় টি–ব্যাগের ওই ছোট্ট ক্যানভাসের ওপর প্রতিনিয়তই ষড়্ঋতুর বিভিন্ন রূপ তিনি এঁকে চলেছেন। চলছে ভরা গ্রীষ্মকাল। সাদিতের টি–ব্যাগের ক্যানভাসে এখন ফুটে উঠেছে গ্রীষ্মের চিত্রাবলি।
জ্যৈষ্ঠের গনগনে দুপুরে চোখে যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে যায় মাথায় একরাশ সিঁদুরে লাল ফুল সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মোহময় কৃষ্ণচূড়া। চলন্ত রিকশায় যেতে যেতে হয়তো আপনিও গেয়ে ওঠেন ‘গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী,/ কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী।’
বিকেলে সহসা কালো করে মেঘ করেছে। ঘন নীলচে ধূসর মেঘের সামনে দাঁড়িয়েই যেন বৃষ্টির অপেক্ষা করছে ফুলভর্তি কৃষ্ণচূড়া গাছটি। তিনটি টি–ব্যাগকে একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে ছবিটি এঁকেছেন শিল্পী।
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুর পেরিয়ে যখন বাড়ি ফিরছেন তখন এমন দৃশ্য় হরহামেশাই চোখে পড়বে, গলির মোরে, পথের ধারে। মাঝেমধ্যে একটু থামতে হয়, টকটকে লাল দেখে একটা তরমুজ কিনে তবেই বাড়ি ফেরাটা যুক্তিসংগত বলে ঠাহর হয়।
সাদিতের টি–ব্যাগের গল্পে ফুটে উঠেছে কালবৈশাখী ঝরের চিত্র। আকাশ কাঁপিয়ে বিজলি চমকাচ্ছে, ওই তো দেখা যাচ্ছে!
ছবিটা পূর্ণিমা সন্ধ্যার কথা জানান দিচ্ছে। কবির ভাষায়, ‘পূর্ণিমা সন্ধ্যায়, তোমার রজনীগন্ধায়/ রূপসাগরের পাড়ের পানে উদাসী মন ধায়।’
চিরচেনা একটি ছবি। গ্রীষ্মের দুপুরে পুকুর ছেয়ে গেছে কচুরিপানার ফুলে। সেখানেই ভেসে আছে পুরোনো ডিঙি নৌকা।
এই গরমে কি আর হুড না তুলে রিকশায় চড়া যায়? রিকশাটা এমনই একটু নতুন আর হুডটা একটু বড় হলেই যাত্রাটা ভালো হয়, তাই না?
লু হাওয়াকে উড়িয়ে দিয়ে যখন এক পশলা বৃষ্টি নামে। তখন পায়ের কাছে এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে কৃষ্ণচূড়া। সেও তো বৃষ্টি বিলাসেরই অংশ।
বৈশাখ হোক বা জ্যৈষ্ঠ, টিএসসি চত্বরে গেলেই যাঁদের বাহারি চা না হলে চলে না; তাঁদের জন্যই ছবিটি এঁকেছেন শিল্পী। টি–ব্যাগে বাঁ দিক থেকে আঁকা হয়েছে দুধ চা, কড়া লিকারের রং চা, লেবু চা আর নীল অপরাজিতার চা।
সবশেষে চা দিবসে এমন একটি ছবি না হলে চলে? চা বাগানে মন দিয়ে কাজ করছেন এক নারী শ্রমিক। সবুজে সবুজে ছেয়ে আছে তাঁর চারপাশ।
যাঁদের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে, তাঁদের কাছে আলাদা করে চা দিবসের গল্প পেড়ে লাভ নেই। চা–প্রেমীদের কাছে এক কাপ চা কেবল ‘বিরতি’ নয়, চা পানের প্রতিটি মুহূর্তই তাঁদের কাছে আড়মোড়া ভেঙে নতুন করে জেগে ওঠার মতো। আলসেমি আর জড়তা ভেঙে নতুন করে কাজে ফেরার উদ্যম বা নতুন কিছু করার প্রয়াস পাওয়া যায় যেন এই প্রিয় চায়ের কাপ থেকেই।
আজ ২১ মে, মঙ্গলবার; বিশ্ব চা দিবস। অর্থাৎ আজকের দিনটি চা প্রেমীদের দিন। চা আমাদের জীবনের সঙ্গে যে কত ভাবে জড়িয়ে আছে তার কোনো হিসেব নেই। এক বিশাল জনগোষ্ঠী চা চাষের সঙ্গে যুক্ত। চায়ের সঙ্গেই তাদের জন্ম–মৃত্যু। একটি শ্রেণি এর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই দুটির বাইরে যাঁরা, তারাই আসলে চা–প্রেমী। কারণ পুরো পৃথিবীর সেই সব মানুষই প্রতিদিন আনুমানিক ৫ বিলিয়ন কাপ চা পান করেন! এই চায়ের বড় অংশ এখন ঢোকানো থাকে ব্যাগে, যাকে আমরা টি–ব্যাগ নামে চিনি। চা দিয়ে তো বটেই, এই ব্যাগও এখন আর ফেলনা নয়। আর কিছু না হোক টি–ব্যাগের ওপর এখন আঁকা হচ্ছে ছবি, বিচিত্র বিষয়ের ও রঙের ছবি।
চায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বেশ কয়েক বছর ধরে টি–ব্যাগের ওপর ছবি আঁকেন মো. সাদিত উজ জামান। প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও টি–ব্যাগের মতো জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল বা ফেলে দেওয়া জিনিস নিয়েও সৃজনশীল কাজ করেন তিনি। কী করে ফেলে দেওয়া উপকরণকে চিত্রকর্মে রূপান্তর করা যায়, সেটাই তাঁর ভাবনা।
চা পান করার পর কাপ থেকে টি-ব্যাগ তুলে নেন সাদিত। এরপর টি–ব্যাগের নিচের অংশ কাঁচি দিয়ে কেটে চা পাতাগুলো বের করে গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিয়ে ব্যাগটাকে রোদে শুকিয়ে নেন। এরপরই ছবি আঁকেন তার ওপর। টি–ব্যাগ স্টোরিজ নামে ফেসবুকে তাঁর একটি পেজ আছে। সেখানে ঢুঁ দিলেই দেখা যায় টি–ব্যাগের ওই ছোট্ট ক্যানভাসের ওপর প্রতিনিয়তই ষড়্ঋতুর বিভিন্ন রূপ তিনি এঁকে চলেছেন। চলছে ভরা গ্রীষ্মকাল। সাদিতের টি–ব্যাগের ক্যানভাসে এখন ফুটে উঠেছে গ্রীষ্মের চিত্রাবলি।
জ্যৈষ্ঠের গনগনে দুপুরে চোখে যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে যায় মাথায় একরাশ সিঁদুরে লাল ফুল সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মোহময় কৃষ্ণচূড়া। চলন্ত রিকশায় যেতে যেতে হয়তো আপনিও গেয়ে ওঠেন ‘গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী,/ কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী।’
বিকেলে সহসা কালো করে মেঘ করেছে। ঘন নীলচে ধূসর মেঘের সামনে দাঁড়িয়েই যেন বৃষ্টির অপেক্ষা করছে ফুলভর্তি কৃষ্ণচূড়া গাছটি। তিনটি টি–ব্যাগকে একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে ছবিটি এঁকেছেন শিল্পী।
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুর পেরিয়ে যখন বাড়ি ফিরছেন তখন এমন দৃশ্য় হরহামেশাই চোখে পড়বে, গলির মোরে, পথের ধারে। মাঝেমধ্যে একটু থামতে হয়, টকটকে লাল দেখে একটা তরমুজ কিনে তবেই বাড়ি ফেরাটা যুক্তিসংগত বলে ঠাহর হয়।
সাদিতের টি–ব্যাগের গল্পে ফুটে উঠেছে কালবৈশাখী ঝরের চিত্র। আকাশ কাঁপিয়ে বিজলি চমকাচ্ছে, ওই তো দেখা যাচ্ছে!
ছবিটা পূর্ণিমা সন্ধ্যার কথা জানান দিচ্ছে। কবির ভাষায়, ‘পূর্ণিমা সন্ধ্যায়, তোমার রজনীগন্ধায়/ রূপসাগরের পাড়ের পানে উদাসী মন ধায়।’
চিরচেনা একটি ছবি। গ্রীষ্মের দুপুরে পুকুর ছেয়ে গেছে কচুরিপানার ফুলে। সেখানেই ভেসে আছে পুরোনো ডিঙি নৌকা।
এই গরমে কি আর হুড না তুলে রিকশায় চড়া যায়? রিকশাটা এমনই একটু নতুন আর হুডটা একটু বড় হলেই যাত্রাটা ভালো হয়, তাই না?
লু হাওয়াকে উড়িয়ে দিয়ে যখন এক পশলা বৃষ্টি নামে। তখন পায়ের কাছে এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে কৃষ্ণচূড়া। সেও তো বৃষ্টি বিলাসেরই অংশ।
বৈশাখ হোক বা জ্যৈষ্ঠ, টিএসসি চত্বরে গেলেই যাঁদের বাহারি চা না হলে চলে না; তাঁদের জন্যই ছবিটি এঁকেছেন শিল্পী। টি–ব্যাগে বাঁ দিক থেকে আঁকা হয়েছে দুধ চা, কড়া লিকারের রং চা, লেবু চা আর নীল অপরাজিতার চা।
সবশেষে চা দিবসে এমন একটি ছবি না হলে চলে? চা বাগানে মন দিয়ে কাজ করছেন এক নারী শ্রমিক। সবুজে সবুজে ছেয়ে আছে তাঁর চারপাশ।
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেবন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
১৩ ঘণ্টা আগেকোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিবারই পরিকল্পনা করেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্র আর বাড়িতে সমানতালে ব্যস্ত থাকায় পূজায় মিষ্টিমুখের জন্য ভরসা করতে হয় মিষ্টির দোকান আর অনলাইন-ভিত্তিক খাবারের পেজগুলোর ওপর। এবার আটঘাট বেঁধেই পরিকল্পনা করেছেন, অল্প করে হলেও ঘরেই তৈরি হবে দশমীর খাবার। আর শেষপাতে থাকবে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
১৬ ঘণ্টা আগে