নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কখনো খেয়েছেন পুলিশের তারা, কখনো বসেছেন খোলা আকাশের নিচে। তবুও নতুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই বুনেছেন নতুন স্বপ্ন। হতাশ না হয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। করোনার সময়ে শুরু করা উদ্যোগটি নিয়ে এখনো অনেক স্বপ্ন দেখেন সোহানা শোভা। ক্লে দিয়ে গয়না বানিয়ে বিক্রি করা দিয়ে শুরু তাঁর উদ্যোক্তা জীবনের। সেখান থেকেই বানিয়েছেন মাটির গয়না, মেটালের গয়না, তারপর শাড়ি।
ছোট পুঁজিতে কাজ শুরু। তাই খানিকটা সময় লেগেছে সোহানার বিমূর্ত নামের পেজটির পরিচিতি পেতে। ধীরে ধীরে তাঁর পণ্যে আসতে থাকে বৈচিত্র্য। ২০২১ সালে বইমেলার সামনে ছোট্ট স্টল নিয়ে বসেছিলেন তিনি। আজও সেই স্মৃতি অমলিন। সোহানা বলেন, ’বইমেলার সামনে বসেছিলাম স্টল নিয়ে। কতবার পুলিশ উঠিয়ে দিয়েছে! আবারও বসেছি।’ ধীরে ধীরে কাজের পরিধি বাড়িয়েছেন তিনি। চারুকলার তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী জানান, তাঁর অনুপ্রেরণা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ’বড় ভাইয়া–আপুরা’। তাঁরা অনেকেই অনেক কিছু বানিয়ে বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পেয়ে সোহানার এই উদ্যোগ। তাঁকে সাহায্য করেন বড় বোন সহেলী পারভিন রুবা। বড় বোন ফ্যাশান ডিজাইনার হওয়ার সুবাদে সোহানা কাপড়ের পণ্য তৈরিতে সাহায্য পান তাঁর কাছ থেকে। সোহানা জানান, বড় বোনের সঙ্গে শাড়ি ও গয়নার পাশাপাশি তরল ও শক্ত সাবান নিয়েও কাজ শুরু করেছেন।
সোনাহার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভারের বিজিবি ব্যাংকুয়েট হলে। সেখানে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন’স ডে–২০২৪’ শিরোনামের একটি প্রদর্শনীতে নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সোহানার মতো আরও অনেক উদ্যোক্তা নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কার্নিভ্যাল। আজ ছিল তার শেষ দিন। দুদিন ব্যাপী এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল, নারীর ক্ষমতায়নকে সমৃদ্ধ করা। এখানে ১৫০ জনেরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা ফৌজিয়া ডেইজি। তিনি একজন স্থপতি। ২০১৬ সাল থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পথ চলা শুরু তাঁর। বর্তমানে খুলনায় একটি আউটলেট আছে ফৌজিয়ার। তিনি জানান, শখের বশে এ কাজ করেন তিনি। হ্যান্ড পেইন্ট আর হাতের কাজের শাড়ি তৈরি করেন ফৌজিয়া। তাঁর সঙ্গে কাজ করেন বেশ কয়েকজন কারিগর।
বাংলাদেশ কার্নিভ্যালের কো ফাউন্ডার রুবাইয়াৎ অদিতি জানান, ’বাংলাদেশ কার্নিভ্যাল প্রতি বছরই এমন আয়োজন করে। এবারে ঈদের আগে নারী দিবস পড়ে যাওয়ায় দিবসটিকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তাদের নিয়ে এমন আয়োজন করা হয়েছে। এটা শুধু ঈদের কেনাবেচার জন্য নয়। সেলারদের মধ্যেও একটা নেটওয়ার্কিং তৈরি হবে এর মাধ্যমে। এতে তাঁদের ব্যবসা আইডিয়া বাড়ে।’
আয়োজনটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। অংশগ্রহণকারীরা সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বারীশ হকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এ ছাড়া একটি মানসিক ও মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গতকাল। আজ শেষ দিন অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আসান খান প্রোডাকশন থেকে একটি ফ্যাশান শো এর আয়োজন করা হয়।
কখনো খেয়েছেন পুলিশের তারা, কখনো বসেছেন খোলা আকাশের নিচে। তবুও নতুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই বুনেছেন নতুন স্বপ্ন। হতাশ না হয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। করোনার সময়ে শুরু করা উদ্যোগটি নিয়ে এখনো অনেক স্বপ্ন দেখেন সোহানা শোভা। ক্লে দিয়ে গয়না বানিয়ে বিক্রি করা দিয়ে শুরু তাঁর উদ্যোক্তা জীবনের। সেখান থেকেই বানিয়েছেন মাটির গয়না, মেটালের গয়না, তারপর শাড়ি।
ছোট পুঁজিতে কাজ শুরু। তাই খানিকটা সময় লেগেছে সোহানার বিমূর্ত নামের পেজটির পরিচিতি পেতে। ধীরে ধীরে তাঁর পণ্যে আসতে থাকে বৈচিত্র্য। ২০২১ সালে বইমেলার সামনে ছোট্ট স্টল নিয়ে বসেছিলেন তিনি। আজও সেই স্মৃতি অমলিন। সোহানা বলেন, ’বইমেলার সামনে বসেছিলাম স্টল নিয়ে। কতবার পুলিশ উঠিয়ে দিয়েছে! আবারও বসেছি।’ ধীরে ধীরে কাজের পরিধি বাড়িয়েছেন তিনি। চারুকলার তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী জানান, তাঁর অনুপ্রেরণা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ’বড় ভাইয়া–আপুরা’। তাঁরা অনেকেই অনেক কিছু বানিয়ে বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পেয়ে সোহানার এই উদ্যোগ। তাঁকে সাহায্য করেন বড় বোন সহেলী পারভিন রুবা। বড় বোন ফ্যাশান ডিজাইনার হওয়ার সুবাদে সোহানা কাপড়ের পণ্য তৈরিতে সাহায্য পান তাঁর কাছ থেকে। সোহানা জানান, বড় বোনের সঙ্গে শাড়ি ও গয়নার পাশাপাশি তরল ও শক্ত সাবান নিয়েও কাজ শুরু করেছেন।
সোনাহার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভারের বিজিবি ব্যাংকুয়েট হলে। সেখানে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন’স ডে–২০২৪’ শিরোনামের একটি প্রদর্শনীতে নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সোহানার মতো আরও অনেক উদ্যোক্তা নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কার্নিভ্যাল। আজ ছিল তার শেষ দিন। দুদিন ব্যাপী এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল, নারীর ক্ষমতায়নকে সমৃদ্ধ করা। এখানে ১৫০ জনেরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা ফৌজিয়া ডেইজি। তিনি একজন স্থপতি। ২০১৬ সাল থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পথ চলা শুরু তাঁর। বর্তমানে খুলনায় একটি আউটলেট আছে ফৌজিয়ার। তিনি জানান, শখের বশে এ কাজ করেন তিনি। হ্যান্ড পেইন্ট আর হাতের কাজের শাড়ি তৈরি করেন ফৌজিয়া। তাঁর সঙ্গে কাজ করেন বেশ কয়েকজন কারিগর।
বাংলাদেশ কার্নিভ্যালের কো ফাউন্ডার রুবাইয়াৎ অদিতি জানান, ’বাংলাদেশ কার্নিভ্যাল প্রতি বছরই এমন আয়োজন করে। এবারে ঈদের আগে নারী দিবস পড়ে যাওয়ায় দিবসটিকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তাদের নিয়ে এমন আয়োজন করা হয়েছে। এটা শুধু ঈদের কেনাবেচার জন্য নয়। সেলারদের মধ্যেও একটা নেটওয়ার্কিং তৈরি হবে এর মাধ্যমে। এতে তাঁদের ব্যবসা আইডিয়া বাড়ে।’
আয়োজনটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। অংশগ্রহণকারীরা সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বারীশ হকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এ ছাড়া একটি মানসিক ও মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গতকাল। আজ শেষ দিন অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আসান খান প্রোডাকশন থেকে একটি ফ্যাশান শো এর আয়োজন করা হয়।
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন, চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৯ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
২১ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের...
২১ ঘণ্টা আগেআজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে।
২১ ঘণ্টা আগে