জীবনধারা ডেস্ক
সকালবেলা রোদ উঠেছে দেখে গৃহকর্মী কাপড় ধুয়ে বারান্দায় মেলে দিয়েছেন। বৃষ্টির আভাস নেই দেখে আপনিও ভেজা কাপড়ের চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে অফিস কিংবা কাজে বাইরে চলে গেলেন। কিন্তু কে জানত, সহসা বৃষ্টি নামবে! প্রায় সারা দিনই থেমে থেমে বৃষ্টি নামল। এবার কী উপায়? কাপড় তো শুকালোই না বরং বৃষ্টির ছাঁটে স্যাঁতসেঁতে হয়ে রইল।
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ঠিকভাবে শুকানো দারুণ ঝামেলার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ভেজা থাকার ফলে বাজে গন্ধও দেখা দেয় কাপড়ে। বর্ষাকালে কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজে কাপড় শুকানো যাবে।
কাপড়ের অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন
ভারী কাপড়, যেমন জিনসের প্যান্ট, পোলো শার্ট, বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথ এগুলো ধোয়ার পর বাথরুমের স্ট্যান্ডে কিছুক্ষণ ঝুলিয়ে রেখে দিন। এতে কাপড়ের বাড়তি পানি ঝরে যাবে। ফলে কাপড় শুকাতে অপেক্ষাকৃত কম সময় প্রয়োজন হবে। পানি ঝরে যাওয়ার পর ঘরে দড়ি টাঙিয়ে কাপড়গুলো নেড়ে দিতে পারেন। যদি বাসার বাইরে না যান তাহলে যে ঘরে থাকবেন সে ঘরেই কাপড় শুকান। তাতে ফ্যানের বাতাসে কাপড় শুকিয়ে যাবে এবং বিদ্যুৎ অপচয় কম হবে। এ ছাড়া রাতে ঘুমানোর সময় মশারির ওপর অপেক্ষাকৃত পাতলা কাপড়গুলো নেড়ে দিতে পারেন। তাতে সারা রাতে কাপড় ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে।
হ্যাঙ্গারে শুকাতে দিন
ভেজা কাপড় দড়িতে শুকাতে দেওয়ার বদলে হ্যাঙ্গারে শুকাতে দিতে পারেন। হ্যাঙ্গারে বাতাস চলাচল সহজ বলে কাপড় তুলনামূলক দ্রুত শুকায়।
হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করুন
বৃষ্টির দিনে মোটা বা ভারী কাপড় পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। সহজে শুকিয়ে যায় ও ধোয়া সহজ এ সময় এমন কাপড় পরাই ভালো। কম সময়ের মধ্যে কাপড় শুকানোর জন্য হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ভেজা কাপড় চিপে পানি নিংড়ে নিয়ে সতর্ক ভাবে ইস্ত্রি করে ফ্যানের বাতাসে নেড়ে দিলে দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
ভেজা কাপড়ের দুর্গন্ধ এড়াতে
কাপড় ভালোভাবে না শুকালে দুর্গন্ধ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাপড়গুলো ভালোভাবে ইস্ত্রি করে নিতে হবে। ইস্ত্রি করার সময় পছন্দের সুগন্ধি কাপড়ে স্প্রে করলে ভেজা কাপড়ের দুর্গন্ধ থাকবে না।
ঘরের আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে ভাব কমাতে
অনেক সময় টানা বৃষ্টিদিনে ঘরে পুরোদমে ফ্যান ছেড়ে রাখলেও কাপড় শুকাতে চায় না। এর কারণ ঘরের মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা। এ জন্য মেঝেও স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে কখনো কখনো। ঘরের আর্দ্রতা কমাতে একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ লবণ নিয়ে ঘরের এক কোনায় রেখে দিতে হবে। এটি ঘরের বাড়তি আর্দ্রতা শুষে নেবে। পাশাপাশি কাপড়ও সহজে শুকিয়ে যাবে। এ ছাড়া ঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে আরও কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন।
ঘরে বাতাস চলাচল করতে দিন
ঘরের দরজা–জানালা সারাক্ষণ বন্ধ রাখলে তাতে গুমোট ভাব তৈরি হয়। ফলে এই মৌসুমে ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে। ঘরে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে বাড়ির সব দরজা জানা খুলে দিন। বাড়িতে থাকলে সারা দিন জানালা খুলে রাখুন, যাতে বাতাসের সঙ্গে বাইরের আলোও ঘরে প্রবেশ করতে পারে। পর্যাপ্ত আলো বাতাসের চলাচলে ঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
বর্ষায় হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন
রোদের প্রকোপ ঠেকাতে পুরো গ্রীষ্মকাল জানালায় গাঢ় রঙের ভারী পর্দা টাঙিয়ে রাখেন অনেকে। মোটা ও ভারী কাপড়ের পর্দা বাতাস থেকে আর্দ্রতা বেশি শোষণ করে। এতে পুরো ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। এবার সেগুলো নামিয়ে ফেলুন। হালকা রঙের পাতলা পর্দা টাঙিয়ে দিন এই বর্ষায়। এতে ঘর স্যাঁতসেঁতে হবে না।
মেঝে পরিষ্কারে মনযোগ দিন
বর্ষাকালে এমনিতেই মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। মেঝেতে এক ধরনের আঠালো ভাবও থাকে অনেক সময়। তাই সপ্তাহে একবার জীবাণুনাশক ও ডিটারজেন্ট মেশানো পানি দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ফ্যান ছেড়ে ভালোভাবে মেঝে শুকিয়ে নিতে হবে।
বর্ষায় কার্পেট নয়
এই ঋতুতে বসার ঘরে কার্পেট বিছানো থেকে বিরত থাকুন। কারণ কার্পেট বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে বলে ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা দেয়।
সূত্র: হ্যালো লন্ড্রি
সকালবেলা রোদ উঠেছে দেখে গৃহকর্মী কাপড় ধুয়ে বারান্দায় মেলে দিয়েছেন। বৃষ্টির আভাস নেই দেখে আপনিও ভেজা কাপড়ের চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে অফিস কিংবা কাজে বাইরে চলে গেলেন। কিন্তু কে জানত, সহসা বৃষ্টি নামবে! প্রায় সারা দিনই থেমে থেমে বৃষ্টি নামল। এবার কী উপায়? কাপড় তো শুকালোই না বরং বৃষ্টির ছাঁটে স্যাঁতসেঁতে হয়ে রইল।
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ঠিকভাবে শুকানো দারুণ ঝামেলার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ভেজা থাকার ফলে বাজে গন্ধও দেখা দেয় কাপড়ে। বর্ষাকালে কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজে কাপড় শুকানো যাবে।
কাপড়ের অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন
ভারী কাপড়, যেমন জিনসের প্যান্ট, পোলো শার্ট, বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথ এগুলো ধোয়ার পর বাথরুমের স্ট্যান্ডে কিছুক্ষণ ঝুলিয়ে রেখে দিন। এতে কাপড়ের বাড়তি পানি ঝরে যাবে। ফলে কাপড় শুকাতে অপেক্ষাকৃত কম সময় প্রয়োজন হবে। পানি ঝরে যাওয়ার পর ঘরে দড়ি টাঙিয়ে কাপড়গুলো নেড়ে দিতে পারেন। যদি বাসার বাইরে না যান তাহলে যে ঘরে থাকবেন সে ঘরেই কাপড় শুকান। তাতে ফ্যানের বাতাসে কাপড় শুকিয়ে যাবে এবং বিদ্যুৎ অপচয় কম হবে। এ ছাড়া রাতে ঘুমানোর সময় মশারির ওপর অপেক্ষাকৃত পাতলা কাপড়গুলো নেড়ে দিতে পারেন। তাতে সারা রাতে কাপড় ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে।
হ্যাঙ্গারে শুকাতে দিন
ভেজা কাপড় দড়িতে শুকাতে দেওয়ার বদলে হ্যাঙ্গারে শুকাতে দিতে পারেন। হ্যাঙ্গারে বাতাস চলাচল সহজ বলে কাপড় তুলনামূলক দ্রুত শুকায়।
হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করুন
বৃষ্টির দিনে মোটা বা ভারী কাপড় পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। সহজে শুকিয়ে যায় ও ধোয়া সহজ এ সময় এমন কাপড় পরাই ভালো। কম সময়ের মধ্যে কাপড় শুকানোর জন্য হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ভেজা কাপড় চিপে পানি নিংড়ে নিয়ে সতর্ক ভাবে ইস্ত্রি করে ফ্যানের বাতাসে নেড়ে দিলে দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
ভেজা কাপড়ের দুর্গন্ধ এড়াতে
কাপড় ভালোভাবে না শুকালে দুর্গন্ধ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাপড়গুলো ভালোভাবে ইস্ত্রি করে নিতে হবে। ইস্ত্রি করার সময় পছন্দের সুগন্ধি কাপড়ে স্প্রে করলে ভেজা কাপড়ের দুর্গন্ধ থাকবে না।
ঘরের আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে ভাব কমাতে
অনেক সময় টানা বৃষ্টিদিনে ঘরে পুরোদমে ফ্যান ছেড়ে রাখলেও কাপড় শুকাতে চায় না। এর কারণ ঘরের মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা। এ জন্য মেঝেও স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে কখনো কখনো। ঘরের আর্দ্রতা কমাতে একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ লবণ নিয়ে ঘরের এক কোনায় রেখে দিতে হবে। এটি ঘরের বাড়তি আর্দ্রতা শুষে নেবে। পাশাপাশি কাপড়ও সহজে শুকিয়ে যাবে। এ ছাড়া ঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে আরও কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন।
ঘরে বাতাস চলাচল করতে দিন
ঘরের দরজা–জানালা সারাক্ষণ বন্ধ রাখলে তাতে গুমোট ভাব তৈরি হয়। ফলে এই মৌসুমে ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে। ঘরে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে বাড়ির সব দরজা জানা খুলে দিন। বাড়িতে থাকলে সারা দিন জানালা খুলে রাখুন, যাতে বাতাসের সঙ্গে বাইরের আলোও ঘরে প্রবেশ করতে পারে। পর্যাপ্ত আলো বাতাসের চলাচলে ঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
বর্ষায় হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন
রোদের প্রকোপ ঠেকাতে পুরো গ্রীষ্মকাল জানালায় গাঢ় রঙের ভারী পর্দা টাঙিয়ে রাখেন অনেকে। মোটা ও ভারী কাপড়ের পর্দা বাতাস থেকে আর্দ্রতা বেশি শোষণ করে। এতে পুরো ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। এবার সেগুলো নামিয়ে ফেলুন। হালকা রঙের পাতলা পর্দা টাঙিয়ে দিন এই বর্ষায়। এতে ঘর স্যাঁতসেঁতে হবে না।
মেঝে পরিষ্কারে মনযোগ দিন
বর্ষাকালে এমনিতেই মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। মেঝেতে এক ধরনের আঠালো ভাবও থাকে অনেক সময়। তাই সপ্তাহে একবার জীবাণুনাশক ও ডিটারজেন্ট মেশানো পানি দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ফ্যান ছেড়ে ভালোভাবে মেঝে শুকিয়ে নিতে হবে।
বর্ষায় কার্পেট নয়
এই ঋতুতে বসার ঘরে কার্পেট বিছানো থেকে বিরত থাকুন। কারণ কার্পেট বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে বলে ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা দেয়।
সূত্র: হ্যালো লন্ড্রি
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
৮ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
১০ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
১০ ঘণ্টা আগে