আমিনুল ইসলাম নাবিল
উচ্চশিক্ষা, চাকরি, ব্যবসাসহ জীবন ও জীবিকার নানা তাগিদে মানুষজন ঢাকামুখী হয়েছে। ঢাকা হয়ে উঠেছে নানা অঞ্চলের মানুষের কেন্দ্রস্থল। এখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার উপায় নেই কার অঞ্চল কোথায়। সবার মাঝেই যেন আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করে প্রমিত ভাষায় কথা বলার আপ্রাণ চেষ্টা। শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক প্রেক্ষাপট, চাকরির ক্ষেত্র সবকিছুই গড়ে উঠেছে প্রমিত ভাষাকে কেন্দ্র করেই। ফলে ইচ্ছায়, কিংবা অনিচ্ছায় মানুষ আঞ্চলিক ভাষার বদলে প্রমিত ভাষাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।
ঠিক কোন তাড়নায় আঞ্চলিক ভাষা ছেড়ে প্রমিত ভাষায় কথা বলা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান খান বলেন, ‘প্রমিত ভাষায় কথা না বললে মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা অযোগ্যতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। প্রেজেন্টেশনে ভালো নম্বর, বিতর্ক-সাংস্কৃতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে ভালো দক্ষতা-পদবি, চাকরির সাক্ষাৎকারে সাফল্য, অফিসের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রমিত উচ্চারণ সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রমিত উচ্চারণ ভালো করে—এমন মানুষেরাই টেলিভিশন কিংবা সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নেয়।’
প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়নের আকাঙ্ক্ষা, অবমূল্যায়ন হওয়ার শঙ্কা থেকেই মানুষ আঞ্চলিকতা পরিহার করে প্রমিত উচ্চারণের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করেন তিনি।
ইমরান খান আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। বরিশালের ভাষা নিয়ে মানুষজন নানা মশকরা করে। বিশেষ করে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত নাটক দেখে তাদের মাঝে এই প্রবণতা বাড়ছে। ‘এ মনু’, ‘গেদু’, ‘ডাইলে নুন দেছো না দেবা’ ইত্যাদি শব্দ নিয়ে বিদ্রূপের শেষ নেই। শুধু যে বরিশাল অঞ্চলের ভাষা নিয়েই মানুষ বিদ্রূপ করে, তা নয়, অন্য অঞ্চলের ভাষা নিয়েও ঠাট্টা করার প্রবণতা আছে। এসব থেকে বাঁচতে অনেকটা বাধ্য হয়েই মানুষকে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে হয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী দীপাঞ্জলি রায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ঢাকার বাইরের স্কুল-কলেজ থেকে আসে। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার জন্য অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। সবার সঙ্গে চলতে গেলে, বন্ধুত্ব গড়তে গেলে আঞ্চলিক ভাষা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। বন্ধু বাড়ানোর তাগিদে এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় থেকেই মূলত তাঁরা আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করে প্রমিত ভাষার চর্চা করেন।’
‘এ ছাড়াও অনেক সময় একই পরিবেশে থাকতে থাকতে ভাষাটা এমনিতেই পরিবর্তন হয়ে যায়। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়েই ভাষার পরিবর্তনটা চলে আসে’, যোগ করেন দীপাঞ্জলি রায়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহযোগী আফসানা আলম বলেন, ‘আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেই যে কাউকে আনস্মার্ট ভাবতে হবে—এমন ধারণা ঠিক নয়। এটাকে সীমাবদ্ধ না রেখে উন্মুক্ত করা দরকার। অঞ্চলভেদে ভাষার যে বৈচিত্র্য, এটার ভাষার সৌন্দর্য।’
আঞ্চলিক ভাষা থাকবে, তবে সেই সঙ্গে প্রমিত ভাষার চর্চা জরুরি উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. শাহাদাত হোসেন নিপু বলেন, ‘মাতৃভাষা বলতে বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষার একটা প্রমিত রূপ আছে। আঞ্চলিক ভাষা থাকবে। কিন্তু আমরা ভাষাটাকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্রমিত উচ্চারণে অবশ্যই আমাদের যেতে হবে। যার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাব এবং বিশ্ব বাঙালি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করব।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, ‘আঞ্চলিক ভাষায় অবশ্যই কথা বলব। কিন্তু যখন এমন জায়গায় যাব, যেখানে সকল অঞ্চলের মানুষের উপস্থিতি আছে, সেখানে যোগাযোগের স্বার্থে অবশ্যই প্রমিত ভাষাটা চলে আসবে। সে হিসেবে প্রমিত ভাষা জানা জরুরি। ভাষার বিকাশ ও বিবর্তনের ধারাতেই প্রমিত ভাষা এসেছে। এটিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। সারা বিশ্বে বাংলাকে পরিচিত করানোর যে বিষয়, সেটা প্রমিত ভাষাতেই অনেক বেশি সম্ভব। প্রমিত ভাষা মূলত আমাদের ভাষাকেই সমৃদ্ধ করে। আমি মনে করি আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে প্রমিত ভাষার কোনো বিরোধ নেই।’
মুক্তা বাড়ৈ আরও বলেন, ‘আমরা যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নততর শিখরে যাব, সেই জায়গায় কিন্তু প্রমিত ভাষা যোগসূত্র তৈরি করে। আঞ্চলিক ভাষার চেয়ে প্রমিত ভাষা দিয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। আঞ্চলিক ভাষা তো থাকবেই। তবে আমি মনে করি ছোটবেলা থেকেই প্রমিত ভাষাটা শেখানো জরুরি। অনেক সময় এক অঞ্চলের মানুষ আরেক অঞ্চলের মানুষের ভাষা বুঝতে পারে না। এতে আঞ্চলিক ভাষাগত যে বৈষম্য তৈরি হয়, সেটি কমে আসবে।’
আরও পড়ুন:
উচ্চশিক্ষা, চাকরি, ব্যবসাসহ জীবন ও জীবিকার নানা তাগিদে মানুষজন ঢাকামুখী হয়েছে। ঢাকা হয়ে উঠেছে নানা অঞ্চলের মানুষের কেন্দ্রস্থল। এখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার উপায় নেই কার অঞ্চল কোথায়। সবার মাঝেই যেন আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করে প্রমিত ভাষায় কথা বলার আপ্রাণ চেষ্টা। শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক প্রেক্ষাপট, চাকরির ক্ষেত্র সবকিছুই গড়ে উঠেছে প্রমিত ভাষাকে কেন্দ্র করেই। ফলে ইচ্ছায়, কিংবা অনিচ্ছায় মানুষ আঞ্চলিক ভাষার বদলে প্রমিত ভাষাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।
ঠিক কোন তাড়নায় আঞ্চলিক ভাষা ছেড়ে প্রমিত ভাষায় কথা বলা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান খান বলেন, ‘প্রমিত ভাষায় কথা না বললে মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা অযোগ্যতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। প্রেজেন্টেশনে ভালো নম্বর, বিতর্ক-সাংস্কৃতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে ভালো দক্ষতা-পদবি, চাকরির সাক্ষাৎকারে সাফল্য, অফিসের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রমিত উচ্চারণ সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রমিত উচ্চারণ ভালো করে—এমন মানুষেরাই টেলিভিশন কিংবা সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নেয়।’
প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়নের আকাঙ্ক্ষা, অবমূল্যায়ন হওয়ার শঙ্কা থেকেই মানুষ আঞ্চলিকতা পরিহার করে প্রমিত উচ্চারণের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করেন তিনি।
ইমরান খান আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। বরিশালের ভাষা নিয়ে মানুষজন নানা মশকরা করে। বিশেষ করে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত নাটক দেখে তাদের মাঝে এই প্রবণতা বাড়ছে। ‘এ মনু’, ‘গেদু’, ‘ডাইলে নুন দেছো না দেবা’ ইত্যাদি শব্দ নিয়ে বিদ্রূপের শেষ নেই। শুধু যে বরিশাল অঞ্চলের ভাষা নিয়েই মানুষ বিদ্রূপ করে, তা নয়, অন্য অঞ্চলের ভাষা নিয়েও ঠাট্টা করার প্রবণতা আছে। এসব থেকে বাঁচতে অনেকটা বাধ্য হয়েই মানুষকে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে হয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী দীপাঞ্জলি রায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ঢাকার বাইরের স্কুল-কলেজ থেকে আসে। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার জন্য অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। সবার সঙ্গে চলতে গেলে, বন্ধুত্ব গড়তে গেলে আঞ্চলিক ভাষা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। বন্ধু বাড়ানোর তাগিদে এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় থেকেই মূলত তাঁরা আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করে প্রমিত ভাষার চর্চা করেন।’
‘এ ছাড়াও অনেক সময় একই পরিবেশে থাকতে থাকতে ভাষাটা এমনিতেই পরিবর্তন হয়ে যায়। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়েই ভাষার পরিবর্তনটা চলে আসে’, যোগ করেন দীপাঞ্জলি রায়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহযোগী আফসানা আলম বলেন, ‘আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেই যে কাউকে আনস্মার্ট ভাবতে হবে—এমন ধারণা ঠিক নয়। এটাকে সীমাবদ্ধ না রেখে উন্মুক্ত করা দরকার। অঞ্চলভেদে ভাষার যে বৈচিত্র্য, এটার ভাষার সৌন্দর্য।’
আঞ্চলিক ভাষা থাকবে, তবে সেই সঙ্গে প্রমিত ভাষার চর্চা জরুরি উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. শাহাদাত হোসেন নিপু বলেন, ‘মাতৃভাষা বলতে বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষার একটা প্রমিত রূপ আছে। আঞ্চলিক ভাষা থাকবে। কিন্তু আমরা ভাষাটাকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্রমিত উচ্চারণে অবশ্যই আমাদের যেতে হবে। যার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাব এবং বিশ্ব বাঙালি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করব।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, ‘আঞ্চলিক ভাষায় অবশ্যই কথা বলব। কিন্তু যখন এমন জায়গায় যাব, যেখানে সকল অঞ্চলের মানুষের উপস্থিতি আছে, সেখানে যোগাযোগের স্বার্থে অবশ্যই প্রমিত ভাষাটা চলে আসবে। সে হিসেবে প্রমিত ভাষা জানা জরুরি। ভাষার বিকাশ ও বিবর্তনের ধারাতেই প্রমিত ভাষা এসেছে। এটিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। সারা বিশ্বে বাংলাকে পরিচিত করানোর যে বিষয়, সেটা প্রমিত ভাষাতেই অনেক বেশি সম্ভব। প্রমিত ভাষা মূলত আমাদের ভাষাকেই সমৃদ্ধ করে। আমি মনে করি আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে প্রমিত ভাষার কোনো বিরোধ নেই।’
মুক্তা বাড়ৈ আরও বলেন, ‘আমরা যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নততর শিখরে যাব, সেই জায়গায় কিন্তু প্রমিত ভাষা যোগসূত্র তৈরি করে। আঞ্চলিক ভাষার চেয়ে প্রমিত ভাষা দিয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। আঞ্চলিক ভাষা তো থাকবেই। তবে আমি মনে করি ছোটবেলা থেকেই প্রমিত ভাষাটা শেখানো জরুরি। অনেক সময় এক অঞ্চলের মানুষ আরেক অঞ্চলের মানুষের ভাষা বুঝতে পারে না। এতে আঞ্চলিক ভাষাগত যে বৈষম্য তৈরি হয়, সেটি কমে আসবে।’
আরও পড়ুন:
মে দিবস মানেই ছুটির দিন। এদিন সকাল-সকাল কাজে যাওয়ার তাড়া নেই। আর এবার তো মে দিবস বৃহস্পতিবার পড়ায় সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে আরও একটা দিন বাড়তি ছুটি পাওয়া গেল। তাতেই মনটা ফুরফুরে লাগছে, তাই না? তবে এক দিন বেশি ছুটি পেয়ে কি শুয়ে-বসেই কাটাবেন? মে মাসের প্রথম দিনটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্যাপন করতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগেবছরের পর বছর ধরে যদি প্রিয় ডেনিমের পোশাকগুলো পরতে চান, তাহলে যত্ন তো নিতেই হবে। কিছু উপায় জেনে নিলে যত্ন নেওয়াটাও হবে সহজ। আজ ৩০ এপ্রিল, ডেনিম দিবস। আজ থেকেই মেনে চলুন ডেনিমের পোশাক ভালো রাখার উপায়গুলো।
১২ ঘণ্টা আগেটক দইয়ে চিনি, নাকি লবণ মেশাবেন, সেটা নির্ভর করছে দই খাওয়ার কারণের ওপর। অর্থাৎ কেন দই খাচ্ছেন, তার ওপর। দুটির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন। টক দইয়ে উপস্থিত প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং প্রোবায়োটিকসের কারণে নিয়মিত টাটকা দই খাওয়া কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
১ দিন আগেবলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
১ দিন আগে