অলকানন্দা রায়, ঢাকা
হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল।
এনে দে, এনে দে, নইলে বাঁধব না বাঁধব না চুল।…
কাজী নজরুল ইসলাম
কেন বাঁধবে! ফুল নইলে চুলের বাহার হয় নাকি? অভিমান তাই হতেই পারে। রক্তকরবী চুলে গুঁজে মাঠের বাঁশি শুনে ছুটে বেড়ানো হোক সে নন্দিনী কিংবা অন্য কেউ। চুলে ফুলের সাজ তাদের চাই-ই চাই। নন্দিনী কিংবা গ্রাম্য কিশোরী সবার চুল সাজাতে ফুলের জুড়ি মেলা ভার। কাঁঠালচাঁপা, দোলনচাঁপা, টগর, বেলি, কামিনী, কাঠগোলাপ, কাঠবেলির আবেদন ছাপিয়ে নানা রকম অর্কিড বা পথের পাশের নামহারা কোনো ফুল একগুচ্ছ চুলে জড়ালেই নন্দিনীদের মনের মতো সাজের ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে ওঠে কানায় কানায়।
চুলে চুলে ফুলে ফুলে
সময় বদলেছে। বদলেছে নারীর সাজের ধরন আর সাজের অনুষঙ্গ। চুলের সাজেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পনিটেইল, ফ্রেঞ্চ বেণি, এলোমেলো খোঁপা, হাত খোঁপার চিরন্তন রূপ তো আছেই, সেই সঙ্গে চুলে বাহারি রং ও ঢঙের ফুল মেয়েদের সৌন্দর্যে যোগ করে স্নিগ্ধতা। ছোট-বড় সব বয়সী নারীই সময়, বয়স, কোথায় যাচ্ছি, কোন ধরনের অনুষ্ঠান, ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় রেখে পছন্দের ফুল দিয়ে চুল সাজিয়ে মুহূর্তকে করে তুলতে পারেন রঙিন। বিয়ে, জন্মদিন, রাতের যেকোনো জমকালো অনুষ্ঠান কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চুলে ফুল পরলে সাজে আসবে ভিন্নমাত্রা।
রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘চুলে ফুল সাজতে পারে নানা ভাবে। তবে চুলে পরার ফুল হিসেবে লাল গোলাপ আর বেলকুড়ির মালা বা গাজরা প্রাধান্য পেয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।’
কোথায় পাবেন
ঢাকা শহরের প্রায় প্রতিটি মোড়েই ফুলের দোকান বসে। সেগুলো থেকে কিনতে পারেন। অথবা ফেসবুক পেজ থেকেও অর্ডার করা যায় এখন পছন্দের ফুল। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা শহরে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে যেকোনো ফুল।
দরদাম
প্রতি পিস ফুলের দাম শুরু হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা। পিস হিসেবে কিংবা তোড়া হিসেবেও পাওয়া যায় যেকোনো ধরনের ফুল।
সাজে বৈচিত্র্য আনতে লাল গোলাপের পাশাপাশি বেছে নেওয়া যেতে পারে ভিন্ন রঙের গোলাপও। চন্দ্রমল্লিকা, জারবারা বা জিনিয়া ফুল চুলের সাজকে দেবে নতুন মাত্রা। এই ফুলগুলোর বাহারি রং আর গোলাকার আকৃতি হওয়ায় সহজেই মন কাড়ে সবার। কানের পাশে গুঁজে দিতে বা খোঁপায় পরার জন্য এই ফুলগুলো বেশ মানিয়ে যায়। একেবারেই অন্য কিছু করতে চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে গন্ধরাজ, রঙ্গন, জিপসি, গ্লাডিওলাস, চাঁপা, বকুল, মধু মঞ্জরি, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, অপরাজিতার মালা বা কাঠগোলাপের মতো ফুল।
চাই তো বর্ষার কদম ফুলও চুলের সাজে যোগ করা যেতে পারে। পোশাকে ব্যবহৃত রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চুলে পরে নিতে পারেন হরেক রঙের ফুল। সাদা, গোলাপি, কমলা, হলুদ ইত্যাদি রঙের ফুল আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে বহুগুণ।
চুল সাজাতে অর্কিডের মতো মিষ্টি ফুল আর হয় না। একসময় অর্কিড দুষ্প্রাপ্য থাকলেও এখন বাজারে সহজলভ্য। অর্কিডের নানা রঙের সম্ভার থেকে সহজেই বেছে নিতে পারেন আপনার প্রিয় রংটি। খোলা চুলে গুঁজে কিংবা এলোমেলো বেণির খাঁজে গুঁজে দেওয়া যায় অর্কিড।
শাড়ির পরে
অনেকেই মনে করেন, শাড়ি ছাড়া অন্য কোনো পোশাকে চুলে ফুল পরলে ভালো দেখাবে না। শুধু শাড়ি কেন, সালোয়ার-কামিজ বা পশ্চিমা ধাঁচের টপ, ফতুয়ার সঙ্গেও ফুল সমান মানানসই। তবে সে ক্ষেত্রে চুলে ফুল সাজানোর ধরনে আনতে হবে একটু ভিন্নতা, তবেই সাজ হবে নজরকাড়া।
যাঁরা ফুল দিয়ে চুল সাজাতে ভালোবাসেন, তাঁরা মুখের আকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে ফুল দিয়ে চুল সাজাতে পারেন। যাঁদের লম্বা মুখ ও লম্বা চুল, তাঁরা কানের পাশের চুলে পছন্দের ছোট ছোট ফুল লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে চুল বেশি লম্বা হলে খোঁপায় পরতে পারেন প্রিয় ফুল। ছোট চুল বা গোল মুখে খোলা চুলের একপাশে একটি ফুল পরা যায়। বেলি ফুলের মালা খোঁপায় মানায় বেশি। তবে বেণিতে জড়িয়ে নিলেও ভালো লাগবে। শাড়ির সঙ্গে খোঁপা, বেণি বা খোলা চুল—সবকিছুতেই ফুল পরতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ বা ফতুয়ার সঙ্গে ফুল পরতে চাইলে বাঁধা চুলেই বেশি ভালো লাগে। এ ক্ষেত্রে কানের পাশে ফুল গুঁজে দিতে পারেন।
বাহারি ফুল সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শুধু তাজা ফুলই নয়, চুলে পরার জন্য এখন পাওয়া যায় নানা রকমের কাপড়, প্লাস্টিক ও ফাইবারের তৈরি ফুল। এগুলো দেখতেও অনেকটা তাজা ফুল বলে ভ্রম হয়। তাজা ফুল না পেলে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য এগুলো দিয়েই সেজে নিতে পারেন চটজলদি।
জীবনধারা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল।
এনে দে, এনে দে, নইলে বাঁধব না বাঁধব না চুল।…
কাজী নজরুল ইসলাম
কেন বাঁধবে! ফুল নইলে চুলের বাহার হয় নাকি? অভিমান তাই হতেই পারে। রক্তকরবী চুলে গুঁজে মাঠের বাঁশি শুনে ছুটে বেড়ানো হোক সে নন্দিনী কিংবা অন্য কেউ। চুলে ফুলের সাজ তাদের চাই-ই চাই। নন্দিনী কিংবা গ্রাম্য কিশোরী সবার চুল সাজাতে ফুলের জুড়ি মেলা ভার। কাঁঠালচাঁপা, দোলনচাঁপা, টগর, বেলি, কামিনী, কাঠগোলাপ, কাঠবেলির আবেদন ছাপিয়ে নানা রকম অর্কিড বা পথের পাশের নামহারা কোনো ফুল একগুচ্ছ চুলে জড়ালেই নন্দিনীদের মনের মতো সাজের ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে ওঠে কানায় কানায়।
চুলে চুলে ফুলে ফুলে
সময় বদলেছে। বদলেছে নারীর সাজের ধরন আর সাজের অনুষঙ্গ। চুলের সাজেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পনিটেইল, ফ্রেঞ্চ বেণি, এলোমেলো খোঁপা, হাত খোঁপার চিরন্তন রূপ তো আছেই, সেই সঙ্গে চুলে বাহারি রং ও ঢঙের ফুল মেয়েদের সৌন্দর্যে যোগ করে স্নিগ্ধতা। ছোট-বড় সব বয়সী নারীই সময়, বয়স, কোথায় যাচ্ছি, কোন ধরনের অনুষ্ঠান, ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় রেখে পছন্দের ফুল দিয়ে চুল সাজিয়ে মুহূর্তকে করে তুলতে পারেন রঙিন। বিয়ে, জন্মদিন, রাতের যেকোনো জমকালো অনুষ্ঠান কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চুলে ফুল পরলে সাজে আসবে ভিন্নমাত্রা।
রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘চুলে ফুল সাজতে পারে নানা ভাবে। তবে চুলে পরার ফুল হিসেবে লাল গোলাপ আর বেলকুড়ির মালা বা গাজরা প্রাধান্য পেয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।’
কোথায় পাবেন
ঢাকা শহরের প্রায় প্রতিটি মোড়েই ফুলের দোকান বসে। সেগুলো থেকে কিনতে পারেন। অথবা ফেসবুক পেজ থেকেও অর্ডার করা যায় এখন পছন্দের ফুল। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা শহরে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে যেকোনো ফুল।
দরদাম
প্রতি পিস ফুলের দাম শুরু হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা। পিস হিসেবে কিংবা তোড়া হিসেবেও পাওয়া যায় যেকোনো ধরনের ফুল।
সাজে বৈচিত্র্য আনতে লাল গোলাপের পাশাপাশি বেছে নেওয়া যেতে পারে ভিন্ন রঙের গোলাপও। চন্দ্রমল্লিকা, জারবারা বা জিনিয়া ফুল চুলের সাজকে দেবে নতুন মাত্রা। এই ফুলগুলোর বাহারি রং আর গোলাকার আকৃতি হওয়ায় সহজেই মন কাড়ে সবার। কানের পাশে গুঁজে দিতে বা খোঁপায় পরার জন্য এই ফুলগুলো বেশ মানিয়ে যায়। একেবারেই অন্য কিছু করতে চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে গন্ধরাজ, রঙ্গন, জিপসি, গ্লাডিওলাস, চাঁপা, বকুল, মধু মঞ্জরি, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, অপরাজিতার মালা বা কাঠগোলাপের মতো ফুল।
চাই তো বর্ষার কদম ফুলও চুলের সাজে যোগ করা যেতে পারে। পোশাকে ব্যবহৃত রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চুলে পরে নিতে পারেন হরেক রঙের ফুল। সাদা, গোলাপি, কমলা, হলুদ ইত্যাদি রঙের ফুল আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে বহুগুণ।
চুল সাজাতে অর্কিডের মতো মিষ্টি ফুল আর হয় না। একসময় অর্কিড দুষ্প্রাপ্য থাকলেও এখন বাজারে সহজলভ্য। অর্কিডের নানা রঙের সম্ভার থেকে সহজেই বেছে নিতে পারেন আপনার প্রিয় রংটি। খোলা চুলে গুঁজে কিংবা এলোমেলো বেণির খাঁজে গুঁজে দেওয়া যায় অর্কিড।
শাড়ির পরে
অনেকেই মনে করেন, শাড়ি ছাড়া অন্য কোনো পোশাকে চুলে ফুল পরলে ভালো দেখাবে না। শুধু শাড়ি কেন, সালোয়ার-কামিজ বা পশ্চিমা ধাঁচের টপ, ফতুয়ার সঙ্গেও ফুল সমান মানানসই। তবে সে ক্ষেত্রে চুলে ফুল সাজানোর ধরনে আনতে হবে একটু ভিন্নতা, তবেই সাজ হবে নজরকাড়া।
যাঁরা ফুল দিয়ে চুল সাজাতে ভালোবাসেন, তাঁরা মুখের আকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে ফুল দিয়ে চুল সাজাতে পারেন। যাঁদের লম্বা মুখ ও লম্বা চুল, তাঁরা কানের পাশের চুলে পছন্দের ছোট ছোট ফুল লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে চুল বেশি লম্বা হলে খোঁপায় পরতে পারেন প্রিয় ফুল। ছোট চুল বা গোল মুখে খোলা চুলের একপাশে একটি ফুল পরা যায়। বেলি ফুলের মালা খোঁপায় মানায় বেশি। তবে বেণিতে জড়িয়ে নিলেও ভালো লাগবে। শাড়ির সঙ্গে খোঁপা, বেণি বা খোলা চুল—সবকিছুতেই ফুল পরতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ বা ফতুয়ার সঙ্গে ফুল পরতে চাইলে বাঁধা চুলেই বেশি ভালো লাগে। এ ক্ষেত্রে কানের পাশে ফুল গুঁজে দিতে পারেন।
বাহারি ফুল সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শুধু তাজা ফুলই নয়, চুলে পরার জন্য এখন পাওয়া যায় নানা রকমের কাপড়, প্লাস্টিক ও ফাইবারের তৈরি ফুল। এগুলো দেখতেও অনেকটা তাজা ফুল বলে ভ্রম হয়। তাজা ফুল না পেলে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য এগুলো দিয়েই সেজে নিতে পারেন চটজলদি।
জীবনধারা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
২১ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
১ দিন আগে