
কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৯ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১১ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৫ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।
তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।
সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।
এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।
তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।
সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।
এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১১ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৫ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৯ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৫ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৯ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১১ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
৯ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১১ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৫ ঘণ্টা আগে