ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। এখন বিভিন্ন ধরনের দূষণ যেভাবে বেড়েছে, তাতে এর বিরূপ প্রভাব ত্বকে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া মেকআপ, ধুলোবালি, তেল, মরা কোষ ও ব্যাকটেরিয়া ত্বকে জমে রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ফলে দিনে দিনে ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, দেখা দেয় ব্রণ, র্যাশসহ অন্যান্য সমস্যা। যদি ত্বককে খুব বেশি নিষ্প্রভ দেখায়, অতিরিক্ত ব্রণ দেখা দেয় ও কোমলতা হারিয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এখনই সময় ত্বককে ডিটক্স করার।
ত্বক ডিটক্স করা মানে হচ্ছে আমাদের ত্বকে যেসব ক্ষতিকর উপাদান, দূষণ ও মরা কোষ জমে আছে, সেগুলো যতটা সম্ভব গভীর থেকে অপসারণ করা। ত্বক ডিটক্স বা বিষমুক্তকরণকে রোজকার অভ্যাসে রূপান্তর করতে পারলে ত্বকের হারানো জৌলুশ ফিরে পাওয়া সম্ভব।
স্নান
রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘শরীর ডিটক্স বা বিষমুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় নিয়মিত স্নান করা। অনেকে শীতের সময় প্রতিদিন স্নান করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ এ সময়ে অনেক ধুলোবালি থাকে।’
হালকা গরম পানিতে একটুখানি এপসম লবণ বা স্নানের উপযোগী যেকোনো লবণ ও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মেশান। এবার সেই পানিতে গোসল সেরে নিন। খুব ঝরঝরে লাগবে। জানান শারমিন কচি।
জেনে রাখা ভালো
মুখে বারবার হাত দেওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। এতে করে তেল, ধুলো, ময়লা ও জীবাণু ত্বকের সংস্পর্শে আসতে পারে।
ডিটক্স পানি
‘ত্বককে বিষমুক্ত করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এর মাধ্যমে শরীরে জমা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ত্বকে স্বাভাবিক জেল্লা ফুটে ওঠে। শরীর ও ত্বককে বিষমুক্ত করতে ডিটক্স পানি পান করা যায়। ঘরোয়া উপায়ে এই পানি বানানো যায়। এক গ্লাস পানিতে লেবু ও শসা গোল গোল করে কেটে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর মধ্য়ে একটু আদাকুচিও দেওয়া যায়। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।’
ডিটক্স প্যাক উজ্জ্বল, সজীব ত্বকের গোপন রহস্য।
শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ
ত্বক থেকে সহজে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করতে প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
কয়েকটি প্যাক:
একটা বাটিতে ১ চামচ নিমপাতাবাটা, ১ চামচ বেসন, গোলাপজল ও ১ চা-চামচ দই মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি ১০ মিনিট মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হবে।
২ চা-চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে আধা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো শরীরে ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ছোট তোয়ালে দিয়ে ত্বক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে স্নান করে নিন। ত্বক বিষমুক্ত করার জন্য এটা খুব ভালো ও সহজ উপায়।
কোকো পাউডার, কফি, মধু আর টক দই পরিমাণমতো মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হলে ম্যাসাজ করে স্নান করে ফেলুন। চটজলদি ত্বক গভীরভাবে পরিচ্ছন্ন করতে এই প্যাকটির জুড়ি নেই।
সপ্তাহে দুই দিন পানিতে নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই পানির ভাপ নিন ৫-৭ মিনিট। এতে মুখ থেকে জীবাণু সব বেরিয়ে আসবে। তবে ভাপ নেওয়ার আগে মুখ ভালোভাবে ডিপ ক্লিনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভাপ নেওয়ার পর কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে পুরো মুখে ঘষে নিন। এতে রোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ধুলোবালি প্রবেশ করবে না।
আরও পড়ুন:
ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। এখন বিভিন্ন ধরনের দূষণ যেভাবে বেড়েছে, তাতে এর বিরূপ প্রভাব ত্বকে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া মেকআপ, ধুলোবালি, তেল, মরা কোষ ও ব্যাকটেরিয়া ত্বকে জমে রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ফলে দিনে দিনে ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, দেখা দেয় ব্রণ, র্যাশসহ অন্যান্য সমস্যা। যদি ত্বককে খুব বেশি নিষ্প্রভ দেখায়, অতিরিক্ত ব্রণ দেখা দেয় ও কোমলতা হারিয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এখনই সময় ত্বককে ডিটক্স করার।
ত্বক ডিটক্স করা মানে হচ্ছে আমাদের ত্বকে যেসব ক্ষতিকর উপাদান, দূষণ ও মরা কোষ জমে আছে, সেগুলো যতটা সম্ভব গভীর থেকে অপসারণ করা। ত্বক ডিটক্স বা বিষমুক্তকরণকে রোজকার অভ্যাসে রূপান্তর করতে পারলে ত্বকের হারানো জৌলুশ ফিরে পাওয়া সম্ভব।
স্নান
রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘শরীর ডিটক্স বা বিষমুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় নিয়মিত স্নান করা। অনেকে শীতের সময় প্রতিদিন স্নান করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ এ সময়ে অনেক ধুলোবালি থাকে।’
হালকা গরম পানিতে একটুখানি এপসম লবণ বা স্নানের উপযোগী যেকোনো লবণ ও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মেশান। এবার সেই পানিতে গোসল সেরে নিন। খুব ঝরঝরে লাগবে। জানান শারমিন কচি।
জেনে রাখা ভালো
মুখে বারবার হাত দেওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। এতে করে তেল, ধুলো, ময়লা ও জীবাণু ত্বকের সংস্পর্শে আসতে পারে।
ডিটক্স পানি
‘ত্বককে বিষমুক্ত করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এর মাধ্যমে শরীরে জমা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ত্বকে স্বাভাবিক জেল্লা ফুটে ওঠে। শরীর ও ত্বককে বিষমুক্ত করতে ডিটক্স পানি পান করা যায়। ঘরোয়া উপায়ে এই পানি বানানো যায়। এক গ্লাস পানিতে লেবু ও শসা গোল গোল করে কেটে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর মধ্য়ে একটু আদাকুচিও দেওয়া যায়। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।’
ডিটক্স প্যাক উজ্জ্বল, সজীব ত্বকের গোপন রহস্য।
শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ
ত্বক থেকে সহজে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করতে প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
কয়েকটি প্যাক:
একটা বাটিতে ১ চামচ নিমপাতাবাটা, ১ চামচ বেসন, গোলাপজল ও ১ চা-চামচ দই মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি ১০ মিনিট মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হবে।
২ চা-চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে আধা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো শরীরে ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ছোট তোয়ালে দিয়ে ত্বক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে স্নান করে নিন। ত্বক বিষমুক্ত করার জন্য এটা খুব ভালো ও সহজ উপায়।
কোকো পাউডার, কফি, মধু আর টক দই পরিমাণমতো মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হলে ম্যাসাজ করে স্নান করে ফেলুন। চটজলদি ত্বক গভীরভাবে পরিচ্ছন্ন করতে এই প্যাকটির জুড়ি নেই।
সপ্তাহে দুই দিন পানিতে নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই পানির ভাপ নিন ৫-৭ মিনিট। এতে মুখ থেকে জীবাণু সব বেরিয়ে আসবে। তবে ভাপ নেওয়ার আগে মুখ ভালোভাবে ডিপ ক্লিনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভাপ নেওয়ার পর কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে পুরো মুখে ঘষে নিন। এতে রোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ধুলোবালি প্রবেশ করবে না।
আরও পড়ুন:
‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
২১ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
১ দিন আগে