জাহীদ রেজা নূর

নিউইয়র্কে এখন চনমনে আবহাওয়া। শুধু একটা শার্ট গায়েই বেরিয়ে পড়া যায় রাস্তায়। রাস্তায় মানুষও কম, তাই হাঁটাচলায় মনে হয় না, এই বুঝি কোভিডের জীবাণু নিয়ে ঘুরছে কেউ আশপাশে।
গতবারও এখানে এসেছিলাম কোভিডের মধ্যেই। অক্টোবর মাসে। তখন অবশ্য ভয়টা বেশি ছিল। ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তখনো সুড়ঙ্গের অন্য মুখ অনেক দূরে। এর মধ্যে মার্কিন দেশে নির্বাচন হয়েছে; হয়েছে ক্ষমতাবদল। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বদলে এখন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জায়গা করে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসে। সাদা দালানের নতুন ভাড়াটে বিশ্ব রাজনীতিতে আবার যুদ্ধের আমদানি করবেন কি না, সে সংশয় রয়েছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু মার্কিন দেশ থেকে কোভিড হটানোর ব্যাপারে বাইডেন যে খুবই সজাগ, সে বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম এখানে চলছে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে।
এখানে ভ্যাকসিন এখন সহজলভ্য। রাস্তাঘাটেই বেশ কিছু ফার্মেসির নামে ঝুলতে দেখলাম বিজ্ঞাপন। যেকোনো লোকালয়েই যে কেউ নিজেকে সুরক্ষিত করে তুলতে পারেন ভ্যাকসিন দিয়ে। বয়সের বাধাটাও উঠে গেছে। যেকোনো বয়সী মানুষ এখন ভ্যাকসিন দিয়ে নিতে পারেন। তার চেয়ে বড় কথা, যারা দু ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা যদি মাস্ক না পরেন, তাহলেও আর সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্যা একটাই—কারা দু–ডোজ দিয়েছেন, সেটা জানা যাবে কীভাবে? এ নিয়েই এখন কাজ হচ্ছে। নিউইয়র্কের গভর্নরের বেশ কিছু ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার আয়োজন শুরু হয়েছে। শহর পর্যায়ের নির্বাচনও এসে গেছে। দেড় শ মানুষ একত্রিত হতে পারবেন বলে বলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে বন্ধ অনেক কিছুই খুলে যাচ্ছে।
গাড়িতে আর পদযাত্রায় দেখলাম, মানুষ এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। রাষ্ট্রীয় আর ব্যক্তিগত অর্থনীতিতে যে বিশাল শূন্যতা এসেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার নানা আয়োজন চলছে এই দেশের সর্বত্রই। হোম অফিস বদলে গিয়ে আবার স্বাভাবিক অফিস–আদালতের আহ্বান এসেছে। আরও বড় একটা সুসংবাদ—খুলে যাচ্ছে ব্রডওয়ে! ম্যানহাটনের নাটকপাড়ায় আবার জমবে মেলা। দিনের পর দিন এই পাড়ার সংস্কৃতির লোকেরা বুভুক্ষু ছিল শিল্পতৃষ্ণায়! সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ব্রডওয়ে। আগাম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, গত বছরের ১২ মার্চ নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ঘোষণা করেছিলেন—২০২১ সালের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্রডওয়ে শো। যারা ২০১৯ সাল থেকেই টিকিট কিনেছিলেন নানা নাটকের, তারা খুব হতাশ হয়েছিলেন সে সময়। টিকিটের টাকা ফেরত পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ঘটনা তো অর্থপ্রাপ্তির নয়। শিল্প–ক্ষুধা নিবারণের পথ গিয়েছিল বন্ধ হয়ে। এর পর বেশ কয়েকবার ব্রডওয়ে খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে, কিন্তু কোভিড তাতে বাধা দিয়েছে।
অতিমারি ব্রডওয়ের বিশাল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘হ্যামিলটন’, ‘কিং লিয়র’–এর মতো শোগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ ডলারের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা সে সময়েই শুনেছি, ব্রডওয়ে শোয়ের সঙ্গে যুক্ত ৫১ হাজার শিল্পী ও ম্যানেজারের মধ্যে ১১০০ জন সে সময়েই চাকরি হারিয়েছেন। শুধু কি তাই? ব্রডওয়েজুড়ে যাদের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল, তারাও তো পড়েছেন সংকটে। শুধু শিল্পী আর ম্যানেজারেরাই তো ব্রডওয়ে বাঁচিয়ে রাখেন না। ব্রডওয়েজুড়ে যে দোকানদারেরা আছেন, ট্যাক্সিচালকেরা আছেন, রেস্তোরাঁর মালিকেরা আছেন, তাঁদের বাঁচিয়ে রাখবে কে?
ব্রডওয়ে বন্ধ থাকলে নিউইয়র্ক আরও অনেকভাবেই সংকটে পড়ে। হাজার হাজার পর্যটক আসেন এখানে, যারা একবারের জন্য হলেও ব্রডওয়ে শো দেখতে চান। অতিমারি সেই পর্যটকের স্রোত মন্থর করে দিয়েছে। ফলে ব্রডওয়ে শো, রেস্তোরাঁ, হোটেল, ট্যাক্সি সবই হোঁচট খেয়েছে।
এখানে একটিমাত্র ঘটনা বলে রাখি, তাতেই বোঝা যাবে ব্রডওয়েহীন নিউইয়র্কের আর্তনাদ। মিশিগানের হেনরি পিঙ্কনি ২৫ বছর ধরে নিয়ম করে পরিবার–পরিজনসহ ব্রডওয়ে শো দেখতে আসতেন। এখন তাঁর বয়স ৬৮ বছর। তিনি অন্তত আটটি ব্রডওয়ে শোয়ের আগাম টিকিট কিনেছিলেন। অতিমারির কারণে ব্রডওয়ে বন্ধ হলে ফেরত পেয়েছেন টাকা। তাতে তাঁর মনের খিদে মেটেনি। টাকার চেয়ে তাঁর কাছে ব্রডওয়ে শো অনেক বড়।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টাইমস স্কয়ার অ্যালায়েন্সের সভাপতি টিম টম্পকিনসের কথা শোনা যাক। তিনি বলেছেন, ‘ব্রডওয়ে হচ্ছে মধু, যা মৌমাছিদের টেনে আনে।’ আর টাইমস স্কয়ার? এই জায়গা নিয়ে আলাদা করে বলার আছে অনেক কিছু। মানুষবিহীন টাইমস স্কয়ার কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। নিউইয়র্ক সারা রাত জেগে থাকে, ঘুমায় না—এ কথা বললে প্রথমেই টাইমস স্কয়ারের কথাই মনে আসে। হাঁটাহাঁটি, যন্ত্রযানে আসা, চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ক্যানভাসারের দল ইত্যাদি না দেখলে টাইমস স্কয়ারকে বোঝাই যাবে না, যা অতিমারির এই সময়ে রীতিমতো যেন বিরান প্রান্তর।
এখনো যাইনি যদিও, কিন্তু বুঝতে পারছি একটু একটু করে জেগে উঠছে টাইমস স্কয়ার। এখনো যাইনি সেখানে। কিন্তু যাব। দেখে আসব, কীভাবে অতিমারির চোখ এড়িয়ে আবার জেগে উঠছে টাইমস স্কয়ার, আর ব্রডওয়ে।
ব্র্যাডক অ্যাভিনিউ
প্রতিদিনের হাঁটাহাঁটির মধ্যে একদিন গেলাম ব্র্যাডক স্ট্রিটের একটি পার্কে। এ এলাকায় ভারতীয়, বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের বসত। একটু বয়স্ক মানুষেরা বিকেলের দিকে বেঞ্চিগুলোয় বসে আলাপ করেন। প্রতিদিনের আড্ডা সেটা। দেশ থেকে বহু দূর দেশে এসেছেন। কিন্তু এখনো ভাষা নিজেরটাই, আলাপ নিজ গোত্রের মানুষের সঙ্গেই। জীবনের শেষ দিনগুলো বিদেশ–বিভুঁইয়ে কাটাচ্ছেন তাঁরা, অথচ অনেকেরই আর দেশে ফেরার উপায় নেই।
‘প্রীত’ নামে এখানে একটি ভারতীয়–আমেরিকান সুপারশপ আছে। মসলাপাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমাদের দেশের মানুষ দেশ থেকে এখানে আসার সময় নানা কিছু নিয়ে আসেন। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, চাইলে সবকিছুই এখানে পাওয়া যায়। আমরা যে উচ্ছে কিনলাম, কিংবা এ এলাকায় পটল না পেয়ে হিলসাইড অ্যাভিনিউতে গিয়ে কিনে আনলাম, সেটা কোনো দৈব ঘটনা নয়। চাইলে বাঘের চোখও মিলবে এখানে। পারসনস বুলেভার্ড, আর জ্যাকসন হাইটসের বাঙালি সমাচার তো আলাদাভাবেই দিতে হবে।
একটা অন্যরকম কথা বলি। খাবার দাবার কিংবা লন্ড্রির কাপড় টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ট্রলির প্রয়োজন, সে রকমই একটি ট্রলি পড়ে থাকতে দেখলাম ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে কিংবা নতুন কিছু কেনা হলে পুরোনোটা ফেলে দেওয়াই এখানকার রীতি। প্রায় নতুন একটা জিনিস এমনিতেই ফেলে দেওয়া হয় নতুন কিছু কেনা হলে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সরকারি লোকজন সেগুলো বয়ে নিয়ে যায়, ফেলে দেয়। কত যে নয়নাভিরাম জিনিস ফেলে দেওয়া হয়!
একটা ট্রলি পড়ে ছিল রাস্তায়। যখন হাঁটতে হাঁটতে ব্র্যাডকের শেষ মাথায় চলে গেলাম, তখন যাওয়ার পথেই চোখে পড়েছিল ট্রলিটা। ফেরার পথে দেখি, সেভাবেই পড়ে আছে সেটা। একবার ইচ্ছে হলো, নিয়ে আসি। এটা তো ফেলেই দেওয়া হয়েছে। হয়তো নতুন আরও সুন্দর একটি ট্রলি কিনেছে কেউ, তাই পুরোনোটার এই দশা।
অনেকেই এসব বাড়িতে বয়ে নিয়ে যান। সেটা দোষের নয়। আমারও একবার ইচ্ছে হলো, নিয়ে যাই। কিন্তু পরক্ষণেই মধ্যবিত্ত বাঙালি সংস্কার এসে বাধা দিল। অন্যের জিনিস না বলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে সংস্কার আছে, তা থেকে বের হতে পারলাম না। ফলে অনলাইনে একটি সুন্দর ট্রলি কিনে ফেলা হলো।
নিজেদের ট্রলি! মন ভালো করে দেওয়া ট্রলি। কুইন্স ভিলেজজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়ানো আছে যে লন্ড্রি শিল্প, তার সিংহভাগেরই মালিক চীনা–আমেরিকানেরা। কিছু ২৫ সেন্টের কয়েন নিয়ে তাদের লন্ড্রিতে গিয়ে কাপড় কেচে, শুকিয়ে নিয়ে আসার চল আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি এখন।

নিউইয়র্কে এখন চনমনে আবহাওয়া। শুধু একটা শার্ট গায়েই বেরিয়ে পড়া যায় রাস্তায়। রাস্তায় মানুষও কম, তাই হাঁটাচলায় মনে হয় না, এই বুঝি কোভিডের জীবাণু নিয়ে ঘুরছে কেউ আশপাশে।
গতবারও এখানে এসেছিলাম কোভিডের মধ্যেই। অক্টোবর মাসে। তখন অবশ্য ভয়টা বেশি ছিল। ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তখনো সুড়ঙ্গের অন্য মুখ অনেক দূরে। এর মধ্যে মার্কিন দেশে নির্বাচন হয়েছে; হয়েছে ক্ষমতাবদল। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বদলে এখন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জায়গা করে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসে। সাদা দালানের নতুন ভাড়াটে বিশ্ব রাজনীতিতে আবার যুদ্ধের আমদানি করবেন কি না, সে সংশয় রয়েছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু মার্কিন দেশ থেকে কোভিড হটানোর ব্যাপারে বাইডেন যে খুবই সজাগ, সে বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম এখানে চলছে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে।
এখানে ভ্যাকসিন এখন সহজলভ্য। রাস্তাঘাটেই বেশ কিছু ফার্মেসির নামে ঝুলতে দেখলাম বিজ্ঞাপন। যেকোনো লোকালয়েই যে কেউ নিজেকে সুরক্ষিত করে তুলতে পারেন ভ্যাকসিন দিয়ে। বয়সের বাধাটাও উঠে গেছে। যেকোনো বয়সী মানুষ এখন ভ্যাকসিন দিয়ে নিতে পারেন। তার চেয়ে বড় কথা, যারা দু ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা যদি মাস্ক না পরেন, তাহলেও আর সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্যা একটাই—কারা দু–ডোজ দিয়েছেন, সেটা জানা যাবে কীভাবে? এ নিয়েই এখন কাজ হচ্ছে। নিউইয়র্কের গভর্নরের বেশ কিছু ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার আয়োজন শুরু হয়েছে। শহর পর্যায়ের নির্বাচনও এসে গেছে। দেড় শ মানুষ একত্রিত হতে পারবেন বলে বলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে বন্ধ অনেক কিছুই খুলে যাচ্ছে।
গাড়িতে আর পদযাত্রায় দেখলাম, মানুষ এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। রাষ্ট্রীয় আর ব্যক্তিগত অর্থনীতিতে যে বিশাল শূন্যতা এসেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার নানা আয়োজন চলছে এই দেশের সর্বত্রই। হোম অফিস বদলে গিয়ে আবার স্বাভাবিক অফিস–আদালতের আহ্বান এসেছে। আরও বড় একটা সুসংবাদ—খুলে যাচ্ছে ব্রডওয়ে! ম্যানহাটনের নাটকপাড়ায় আবার জমবে মেলা। দিনের পর দিন এই পাড়ার সংস্কৃতির লোকেরা বুভুক্ষু ছিল শিল্পতৃষ্ণায়! সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ব্রডওয়ে। আগাম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, গত বছরের ১২ মার্চ নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ঘোষণা করেছিলেন—২০২১ সালের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্রডওয়ে শো। যারা ২০১৯ সাল থেকেই টিকিট কিনেছিলেন নানা নাটকের, তারা খুব হতাশ হয়েছিলেন সে সময়। টিকিটের টাকা ফেরত পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ঘটনা তো অর্থপ্রাপ্তির নয়। শিল্প–ক্ষুধা নিবারণের পথ গিয়েছিল বন্ধ হয়ে। এর পর বেশ কয়েকবার ব্রডওয়ে খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে, কিন্তু কোভিড তাতে বাধা দিয়েছে।
অতিমারি ব্রডওয়ের বিশাল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘হ্যামিলটন’, ‘কিং লিয়র’–এর মতো শোগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ ডলারের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা সে সময়েই শুনেছি, ব্রডওয়ে শোয়ের সঙ্গে যুক্ত ৫১ হাজার শিল্পী ও ম্যানেজারের মধ্যে ১১০০ জন সে সময়েই চাকরি হারিয়েছেন। শুধু কি তাই? ব্রডওয়েজুড়ে যাদের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল, তারাও তো পড়েছেন সংকটে। শুধু শিল্পী আর ম্যানেজারেরাই তো ব্রডওয়ে বাঁচিয়ে রাখেন না। ব্রডওয়েজুড়ে যে দোকানদারেরা আছেন, ট্যাক্সিচালকেরা আছেন, রেস্তোরাঁর মালিকেরা আছেন, তাঁদের বাঁচিয়ে রাখবে কে?
ব্রডওয়ে বন্ধ থাকলে নিউইয়র্ক আরও অনেকভাবেই সংকটে পড়ে। হাজার হাজার পর্যটক আসেন এখানে, যারা একবারের জন্য হলেও ব্রডওয়ে শো দেখতে চান। অতিমারি সেই পর্যটকের স্রোত মন্থর করে দিয়েছে। ফলে ব্রডওয়ে শো, রেস্তোরাঁ, হোটেল, ট্যাক্সি সবই হোঁচট খেয়েছে।
এখানে একটিমাত্র ঘটনা বলে রাখি, তাতেই বোঝা যাবে ব্রডওয়েহীন নিউইয়র্কের আর্তনাদ। মিশিগানের হেনরি পিঙ্কনি ২৫ বছর ধরে নিয়ম করে পরিবার–পরিজনসহ ব্রডওয়ে শো দেখতে আসতেন। এখন তাঁর বয়স ৬৮ বছর। তিনি অন্তত আটটি ব্রডওয়ে শোয়ের আগাম টিকিট কিনেছিলেন। অতিমারির কারণে ব্রডওয়ে বন্ধ হলে ফেরত পেয়েছেন টাকা। তাতে তাঁর মনের খিদে মেটেনি। টাকার চেয়ে তাঁর কাছে ব্রডওয়ে শো অনেক বড়।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টাইমস স্কয়ার অ্যালায়েন্সের সভাপতি টিম টম্পকিনসের কথা শোনা যাক। তিনি বলেছেন, ‘ব্রডওয়ে হচ্ছে মধু, যা মৌমাছিদের টেনে আনে।’ আর টাইমস স্কয়ার? এই জায়গা নিয়ে আলাদা করে বলার আছে অনেক কিছু। মানুষবিহীন টাইমস স্কয়ার কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। নিউইয়র্ক সারা রাত জেগে থাকে, ঘুমায় না—এ কথা বললে প্রথমেই টাইমস স্কয়ারের কথাই মনে আসে। হাঁটাহাঁটি, যন্ত্রযানে আসা, চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ক্যানভাসারের দল ইত্যাদি না দেখলে টাইমস স্কয়ারকে বোঝাই যাবে না, যা অতিমারির এই সময়ে রীতিমতো যেন বিরান প্রান্তর।
এখনো যাইনি যদিও, কিন্তু বুঝতে পারছি একটু একটু করে জেগে উঠছে টাইমস স্কয়ার। এখনো যাইনি সেখানে। কিন্তু যাব। দেখে আসব, কীভাবে অতিমারির চোখ এড়িয়ে আবার জেগে উঠছে টাইমস স্কয়ার, আর ব্রডওয়ে।
ব্র্যাডক অ্যাভিনিউ
প্রতিদিনের হাঁটাহাঁটির মধ্যে একদিন গেলাম ব্র্যাডক স্ট্রিটের একটি পার্কে। এ এলাকায় ভারতীয়, বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের বসত। একটু বয়স্ক মানুষেরা বিকেলের দিকে বেঞ্চিগুলোয় বসে আলাপ করেন। প্রতিদিনের আড্ডা সেটা। দেশ থেকে বহু দূর দেশে এসেছেন। কিন্তু এখনো ভাষা নিজেরটাই, আলাপ নিজ গোত্রের মানুষের সঙ্গেই। জীবনের শেষ দিনগুলো বিদেশ–বিভুঁইয়ে কাটাচ্ছেন তাঁরা, অথচ অনেকেরই আর দেশে ফেরার উপায় নেই।
‘প্রীত’ নামে এখানে একটি ভারতীয়–আমেরিকান সুপারশপ আছে। মসলাপাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমাদের দেশের মানুষ দেশ থেকে এখানে আসার সময় নানা কিছু নিয়ে আসেন। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, চাইলে সবকিছুই এখানে পাওয়া যায়। আমরা যে উচ্ছে কিনলাম, কিংবা এ এলাকায় পটল না পেয়ে হিলসাইড অ্যাভিনিউতে গিয়ে কিনে আনলাম, সেটা কোনো দৈব ঘটনা নয়। চাইলে বাঘের চোখও মিলবে এখানে। পারসনস বুলেভার্ড, আর জ্যাকসন হাইটসের বাঙালি সমাচার তো আলাদাভাবেই দিতে হবে।
একটা অন্যরকম কথা বলি। খাবার দাবার কিংবা লন্ড্রির কাপড় টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ট্রলির প্রয়োজন, সে রকমই একটি ট্রলি পড়ে থাকতে দেখলাম ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে কিংবা নতুন কিছু কেনা হলে পুরোনোটা ফেলে দেওয়াই এখানকার রীতি। প্রায় নতুন একটা জিনিস এমনিতেই ফেলে দেওয়া হয় নতুন কিছু কেনা হলে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সরকারি লোকজন সেগুলো বয়ে নিয়ে যায়, ফেলে দেয়। কত যে নয়নাভিরাম জিনিস ফেলে দেওয়া হয়!
একটা ট্রলি পড়ে ছিল রাস্তায়। যখন হাঁটতে হাঁটতে ব্র্যাডকের শেষ মাথায় চলে গেলাম, তখন যাওয়ার পথেই চোখে পড়েছিল ট্রলিটা। ফেরার পথে দেখি, সেভাবেই পড়ে আছে সেটা। একবার ইচ্ছে হলো, নিয়ে আসি। এটা তো ফেলেই দেওয়া হয়েছে। হয়তো নতুন আরও সুন্দর একটি ট্রলি কিনেছে কেউ, তাই পুরোনোটার এই দশা।
অনেকেই এসব বাড়িতে বয়ে নিয়ে যান। সেটা দোষের নয়। আমারও একবার ইচ্ছে হলো, নিয়ে যাই। কিন্তু পরক্ষণেই মধ্যবিত্ত বাঙালি সংস্কার এসে বাধা দিল। অন্যের জিনিস না বলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে সংস্কার আছে, তা থেকে বের হতে পারলাম না। ফলে অনলাইনে একটি সুন্দর ট্রলি কিনে ফেলা হলো।
নিজেদের ট্রলি! মন ভালো করে দেওয়া ট্রলি। কুইন্স ভিলেজজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়ানো আছে যে লন্ড্রি শিল্প, তার সিংহভাগেরই মালিক চীনা–আমেরিকানেরা। কিছু ২৫ সেন্টের কয়েন নিয়ে তাদের লন্ড্রিতে গিয়ে কাপড় কেচে, শুকিয়ে নিয়ে আসার চল আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি এখন।

গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ মিনিট আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
২০ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
১ দিন আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস এক কেজি, বাঁধাকপি একটা, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ২ থেকে ৩ পিস করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ করে, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এক টেবিল চামচ করে, জিরাগুঁড়া এক চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ এবং ৫ থেকে ৬টা কাঁচা মরিচ ফালি।
প্রণালি
গরুর মাংস ধুয়ে রাখুন। বাঁধাকপি চিকন করে ভাজির মতো কেটে ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লালচে করে ভেজে তাতে এলাচি, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন। এবার আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য নেড়ে নিন। অল্প পানি দিয়ে হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে মাংস দিয়ে ঢেকে রান্না করুন কম আঁচে। সেদ্ধ হলে বাঁধাকপি দিয়ে আবারও ঢেকে রান্না করুন। এবার হয়ে এলে জিরা ও গরমমসলার গুঁড়া এবং কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন। রেডি হয়ে গেল বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংস।

গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস এক কেজি, বাঁধাকপি একটা, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ২ থেকে ৩ পিস করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ করে, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এক টেবিল চামচ করে, জিরাগুঁড়া এক চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ এবং ৫ থেকে ৬টা কাঁচা মরিচ ফালি।
প্রণালি
গরুর মাংস ধুয়ে রাখুন। বাঁধাকপি চিকন করে ভাজির মতো কেটে ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লালচে করে ভেজে তাতে এলাচি, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন। এবার আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য নেড়ে নিন। অল্প পানি দিয়ে হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে মাংস দিয়ে ঢেকে রান্না করুন কম আঁচে। সেদ্ধ হলে বাঁধাকপি দিয়ে আবারও ঢেকে রান্না করুন। এবার হয়ে এলে জিরা ও গরমমসলার গুঁড়া এবং কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন। রেডি হয়ে গেল বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংস।

খুলে যাচ্ছে নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে! ম্যানহাটনের নাটকপাড়ায় আবার জমবে মেলা। দিনের পর দিন এই পাড়ার সংস্কৃতির লোকেরা বুভুক্ষু ছিল শিল্পতৃষ্ণায়! সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ব্রডওয়ে। আগাম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
২১ মে ২০২১
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
২০ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
১ দিন আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
শহরের ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের সাহায্যের জন্য অনেকে গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীল। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্রের নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে কেমন গৃহকর্মী আপনি নিয়োগ দিয়েছেন, তার ওপর। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন কিনা, সেটার ওপরও আপনার নিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ, তাদের নিয়োগে সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যেমন কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া থেকে শুরু করে জরুরি কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করা উচিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন—
জরুরি নথি সংগ্রহে রাখুন
কোনো চাকরিতে নিয়োগের আগে অফিসে যেমন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তেমনি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন কিছু কাগজ তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে অন্তত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি রাখুন। অবশ্যই চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে নেবেন। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি চেয়ে নেবেন বা তুলে নেবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে থাকলে প্রয়োজনে আইনগতভাবে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়। এটি দিতে না চাইলে সেই গৃহকর্মীকে নিয়োগ না দেওয়াই নিরাপদ।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করে নিন
গৃহকর্মীর বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর নিন। সঙ্গে পরিবারের আরও দু-একজনের নম্বর রাখতে পারলে ভালো হয়। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে খোঁজ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে বা পরিচিত কাউকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে ঠিকানা যাচাই করে নিন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশপাশ সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নিন
সাধারণত শহরের বাড়িগুলোয় দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী একই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করে, আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও কাজ করে এরা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ তাদের বাসা সাধারণত পাশাপাশি এলাকাতেই হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য়ে তারা কাজ নেয়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম।
কিন্তু নির্দিষ্ট কারও মাধ্যমে এমন কোনো গৃহকর্মী যদি নিয়োগ দেন, যিনি এলাকার নন, সে ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছেন তার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও সংগ্রহে রাখুন। গৃহকর্মী আগে কোথায় কাজ করেছে, কত দিন করেছে, সে সম্পর্কেও তথ্য নিন।
নতুন এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার বা পরিচিত প্রতিবেশীর সুপারিশে গৃহকর্মী নেওয়া যেতে পারে। তবে সেখানেও ছবি, পরিচয়পত্র ও শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ জরুরি।
কাজের ধরন, সময় ও বেতন স্পষ্টভাবে ঠিক করুন
কী কাজ করবেন, কত সময় কাজ করবেন, এ বিষয়গুলো শুরুতেই পরিষ্কার না করলে পরে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অতিরিক্ত কাজ চাপানোর প্রবণতা দ্বন্দ্ব বাড়ায়। মাসিক বেতন, বেতন দেওয়ার তারিখ ও ছুটির বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেওয়া জরুরি। অস্পষ্টতা থাকলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা—উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যক্তিগত আলমারি নিজেই পরিষ্কার করুন
গৃহকর্মী নিয়োগের সময় স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন কোন কোন জিনিস আপনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এতে একটা স্বাস্থ্যকর সীমারেখা বজায় থাকবে। ব্যক্তিগত ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে এমন ড্রয়ার বা আলমারি নিজ হাতে গোছান ও পরিষ্কার করুন। এতে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
সূত্র: বুমার্স ও অন্যান্য

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
শহরের ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের সাহায্যের জন্য অনেকে গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীল। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্রের নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে কেমন গৃহকর্মী আপনি নিয়োগ দিয়েছেন, তার ওপর। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন কিনা, সেটার ওপরও আপনার নিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ, তাদের নিয়োগে সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যেমন কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া থেকে শুরু করে জরুরি কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করা উচিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন—
জরুরি নথি সংগ্রহে রাখুন
কোনো চাকরিতে নিয়োগের আগে অফিসে যেমন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তেমনি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন কিছু কাগজ তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে অন্তত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি রাখুন। অবশ্যই চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে নেবেন। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি চেয়ে নেবেন বা তুলে নেবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে থাকলে প্রয়োজনে আইনগতভাবে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়। এটি দিতে না চাইলে সেই গৃহকর্মীকে নিয়োগ না দেওয়াই নিরাপদ।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করে নিন
গৃহকর্মীর বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর নিন। সঙ্গে পরিবারের আরও দু-একজনের নম্বর রাখতে পারলে ভালো হয়। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে খোঁজ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে বা পরিচিত কাউকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে ঠিকানা যাচাই করে নিন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশপাশ সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নিন
সাধারণত শহরের বাড়িগুলোয় দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী একই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করে, আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও কাজ করে এরা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ তাদের বাসা সাধারণত পাশাপাশি এলাকাতেই হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য়ে তারা কাজ নেয়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম।
কিন্তু নির্দিষ্ট কারও মাধ্যমে এমন কোনো গৃহকর্মী যদি নিয়োগ দেন, যিনি এলাকার নন, সে ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছেন তার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও সংগ্রহে রাখুন। গৃহকর্মী আগে কোথায় কাজ করেছে, কত দিন করেছে, সে সম্পর্কেও তথ্য নিন।
নতুন এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার বা পরিচিত প্রতিবেশীর সুপারিশে গৃহকর্মী নেওয়া যেতে পারে। তবে সেখানেও ছবি, পরিচয়পত্র ও শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ জরুরি।
কাজের ধরন, সময় ও বেতন স্পষ্টভাবে ঠিক করুন
কী কাজ করবেন, কত সময় কাজ করবেন, এ বিষয়গুলো শুরুতেই পরিষ্কার না করলে পরে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অতিরিক্ত কাজ চাপানোর প্রবণতা দ্বন্দ্ব বাড়ায়। মাসিক বেতন, বেতন দেওয়ার তারিখ ও ছুটির বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেওয়া জরুরি। অস্পষ্টতা থাকলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা—উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যক্তিগত আলমারি নিজেই পরিষ্কার করুন
গৃহকর্মী নিয়োগের সময় স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন কোন কোন জিনিস আপনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এতে একটা স্বাস্থ্যকর সীমারেখা বজায় থাকবে। ব্যক্তিগত ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে এমন ড্রয়ার বা আলমারি নিজ হাতে গোছান ও পরিষ্কার করুন। এতে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
সূত্র: বুমার্স ও অন্যান্য

খুলে যাচ্ছে নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে! ম্যানহাটনের নাটকপাড়ায় আবার জমবে মেলা। দিনের পর দিন এই পাড়ার সংস্কৃতির লোকেরা বুভুক্ষু ছিল শিল্পতৃষ্ণায়! সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ব্রডওয়ে। আগাম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
২১ মে ২০২১
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ মিনিট আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
১ দিন আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীত এলে অনেকের পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় তৃষ্ণা কম অনুভূত হওয়ায় আমরা বুঝতেই পারি না, শরীর ধীরে ধীরে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। অথচ শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।
গরম লেবুপানি দিয়ে দিন শুরু
শীতের সকালে ঠান্ডা পানি পান অনেকের কাছে অস্বস্তিকর। এর বদলে দিন শুরু করুন এক কাপ গরম লেবুপানি দিয়ে। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়ার মতে, এতে শরীর ধীরে সতেজ হয়ে ওঠে এবং দিনের শুরুতে পানি পানের অভ্যাস তৈরি হয়। লেবুপানি হজমে সহায়তা করে, শরীরে ভিটামিন সি জোগায় এবং মনও ভালো রাখে। গরম পানি গলাও আরাম দেয়।
এর সহজ রেসিপি হলো, পানি ফুটিয়ে অর্ধেক লেবুর রস মেশান, চাইলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। এতে সকালেই প্রায় আধা লিটার পানি শরীরে যায়।
চায়ের কাপেও থাকুক হাইড্রেশন

শীতে চা শুধু তৃষ্ণা মেটানোর পানীয় নয়, অনেকের কাছে এটি আনন্দের সঙ্গী। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত চা বারবার পান করলে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই সাধারণ দুধ-চা বা মসলা চায়ের বদলে হারবাল চা বেছে নেওয়া বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। পুদিনা, ক্যামোমাইল কিংবা তুলসী অথবা আদা চা শরীরে পানির ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উষ্ণতাও দেয়। প্রতিটি কাপ হারবাল চা থেকে শরীর পায় বাড়তি তরল, যা শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় বিশেষভাবে উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যামোমাইল চা মানসিক প্রশান্তি আনে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে, যা শীতকালে অনেকের অনিদ্রা কমাতে সহায়ক। অন্যদিকে আদা ও তুলসী শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর, বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লুর মৌসুমে।
স্যুপ ও মৌসুমি ফল খান
শীতকাল স্যুপ খাওয়ার সেরা সময়। টমেটো স্যুপ, সবজি বা চিকেন স্যুপ শরীর উষ্ণ রাখার পাশাপাশি পানির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবারের সঙ্গে হালকা স্যুপ যোগ করলে আলাদা করে বেশি পানি পান করতে হয় না। এতে হজমেও সুবিধা হয় এবং শীতের সময় ভারী খাবার খাওয়ার ফলে যে অস্বস্তি তৈরি হয়, তা কমে।

পানিশূন্যতা এড়াতে শীতকালে মৌসুমি ফল খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। কমলা, মৌসুমি লেবু ও লাল গাজরের মতো রসাল ফল স্বাভাবিকভাবে শরীরে পানি জোগায় এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। এসব ফল খেলে একদিকে যেমন শরীরে পানির ভারসাম্য থাকে, অন্যদিকে তেমনই অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
ইলেকট্রোলাইটের দিকেও নজর দিন
শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়, শরীরে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে দরকার সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট। শীতে আমরা অনেক সময় বিষয়টি ভুলে যাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনে ইলেকট্রোলাইট পাউডার বা ট্যাবলেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্লান্তি কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
পানির জন্য রিমাইন্ডার সেট করুন
কাজের চাপ, ছুটির ব্যস্ততা বা সপ্তাহের অলস ছুটির দিন পানি পান ভুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করা বেশ কাজে দেয়। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়া বলেন, মজার নাম দিয়ে অ্যালার্ম সেট করলে সেটি মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মনও ভালো করে। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্ম দিলে অজান্তেই পানি পানের লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়।
শীতের ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরের পানির প্রয়োজন কমে না। গরম পানীয়, স্যুপ, ফল আর সামান্য সচেতনতার মাধ্যমেই শীতজুড়ে সুস্থ ও সতেজ থাকা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

শীত এলে অনেকের পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় তৃষ্ণা কম অনুভূত হওয়ায় আমরা বুঝতেই পারি না, শরীর ধীরে ধীরে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। অথচ শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।
গরম লেবুপানি দিয়ে দিন শুরু
শীতের সকালে ঠান্ডা পানি পান অনেকের কাছে অস্বস্তিকর। এর বদলে দিন শুরু করুন এক কাপ গরম লেবুপানি দিয়ে। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়ার মতে, এতে শরীর ধীরে সতেজ হয়ে ওঠে এবং দিনের শুরুতে পানি পানের অভ্যাস তৈরি হয়। লেবুপানি হজমে সহায়তা করে, শরীরে ভিটামিন সি জোগায় এবং মনও ভালো রাখে। গরম পানি গলাও আরাম দেয়।
এর সহজ রেসিপি হলো, পানি ফুটিয়ে অর্ধেক লেবুর রস মেশান, চাইলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। এতে সকালেই প্রায় আধা লিটার পানি শরীরে যায়।
চায়ের কাপেও থাকুক হাইড্রেশন

শীতে চা শুধু তৃষ্ণা মেটানোর পানীয় নয়, অনেকের কাছে এটি আনন্দের সঙ্গী। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত চা বারবার পান করলে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই সাধারণ দুধ-চা বা মসলা চায়ের বদলে হারবাল চা বেছে নেওয়া বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। পুদিনা, ক্যামোমাইল কিংবা তুলসী অথবা আদা চা শরীরে পানির ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উষ্ণতাও দেয়। প্রতিটি কাপ হারবাল চা থেকে শরীর পায় বাড়তি তরল, যা শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় বিশেষভাবে উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যামোমাইল চা মানসিক প্রশান্তি আনে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে, যা শীতকালে অনেকের অনিদ্রা কমাতে সহায়ক। অন্যদিকে আদা ও তুলসী শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর, বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লুর মৌসুমে।
স্যুপ ও মৌসুমি ফল খান
শীতকাল স্যুপ খাওয়ার সেরা সময়। টমেটো স্যুপ, সবজি বা চিকেন স্যুপ শরীর উষ্ণ রাখার পাশাপাশি পানির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবারের সঙ্গে হালকা স্যুপ যোগ করলে আলাদা করে বেশি পানি পান করতে হয় না। এতে হজমেও সুবিধা হয় এবং শীতের সময় ভারী খাবার খাওয়ার ফলে যে অস্বস্তি তৈরি হয়, তা কমে।

পানিশূন্যতা এড়াতে শীতকালে মৌসুমি ফল খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। কমলা, মৌসুমি লেবু ও লাল গাজরের মতো রসাল ফল স্বাভাবিকভাবে শরীরে পানি জোগায় এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। এসব ফল খেলে একদিকে যেমন শরীরে পানির ভারসাম্য থাকে, অন্যদিকে তেমনই অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
ইলেকট্রোলাইটের দিকেও নজর দিন
শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়, শরীরে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে দরকার সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট। শীতে আমরা অনেক সময় বিষয়টি ভুলে যাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনে ইলেকট্রোলাইট পাউডার বা ট্যাবলেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্লান্তি কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
পানির জন্য রিমাইন্ডার সেট করুন
কাজের চাপ, ছুটির ব্যস্ততা বা সপ্তাহের অলস ছুটির দিন পানি পান ভুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করা বেশ কাজে দেয়। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়া বলেন, মজার নাম দিয়ে অ্যালার্ম সেট করলে সেটি মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মনও ভালো করে। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্ম দিলে অজান্তেই পানি পানের লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়।
শীতের ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরের পানির প্রয়োজন কমে না। গরম পানীয়, স্যুপ, ফল আর সামান্য সচেতনতার মাধ্যমেই শীতজুড়ে সুস্থ ও সতেজ থাকা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

খুলে যাচ্ছে নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে! ম্যানহাটনের নাটকপাড়ায় আবার জমবে মেলা। দিনের পর দিন এই পাড়ার সংস্কৃতির লোকেরা বুভুক্ষু ছিল শিল্পতৃষ্ণায়! সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ব্রডওয়ে। আগাম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
২১ মে ২০২১
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ মিনিট আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
২০ ঘণ্টা আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
১ দিন আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

পরোটা-কিমা কিংবা সন্ধ্যাবেলার চায়ের সঙ্গী গরম-গরম বাকরখানি। কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।
টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলীর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষাটতম। এই তালিকা শুধু একটি র্যাঙ্কিং নয়, এটি একটি দেশের প্রাচীন, মসলাদার এবং আবেগঘন খাবারের গল্প। যে গল্পগুলো এশিয়া মহাদেশের ভারত থেকে জাপান হয়ে ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এই গল্পের একটি বিশেষ অংশজুড়ে আছে আমাদের নিজস্ব খাদ্যসংস্কৃতি, যা বহুকালের ইতিহাস ও বৈচিত্র্য বহন করে। আন্তর্জাতিক সমালোচকদের চোখে কেমন ছিল আমাদের এই স্বাদের যাত্রা এবং কোন কোন খাবার পেল ‘মাস্ট ট্রাই’ তকমা? চারটি খাবারকে মাস্ট ট্রাই তকমা দেওয়া হয়েছে। তালিকার প্রথমে আছে চমচম, এরপর কিমা, তারপর টিক্কা, আরও আছে পরোটা এবং শেষে বাকরখানি।

তালিকায় পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে এশিয়া মহাদেশের ২১টি দেশের খাবার। বাংলাদেশসহ তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলো হলো জাপান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লেবানন, ফিলিপাইন, ইরাক, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, জর্জিয়া, কাতার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
পূর্ব এশীয়র জাদু

এই অঞ্চলে সুস্বাদু ‘উমামি’ ফ্লেভার এবং ভাত-নুডলসের ব্যবহার প্রধান। জাপান ও চীনের রন্ধনশৈলী বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত। তালিকায় প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে জাপানিজ রন্ধনশৈলী। তালিকায় তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। স্বাদের সূক্ষ্মতা এবং উপকরণের বিশুদ্ধতা জাপানি খাবারের মূল আকর্ষণ। দেশটির ‘মাস্ট ট্রাই’ খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াগিউ, আকামি টুনা, হামামাৎসু গিয়োজা, নেগিতোরোডন ও ওতোরো নিগিরি সুশি। বিস্তৃত বৈচিত্র্য এবং আঞ্চলিক বিশেষত্বের জন্য পরিচিত চীনা রন্ধনশৈলীর স্থান অষ্টম। তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো হলো ঝেংজিয়াও, লানঝো লামিয়ান, শেং চৌ, ইয়ুশিয়ং ও সিউ মেই। গাঁজানো বা ফার্মেন্টেড খাবার, মসলাদার সস এবং গ্রিলড মাংসের জন্য কোরিয়ান খাবার পরিচিত। উনিশতম অবস্থানে থাকা এই দেশের রন্ধনশৈলীতে বিখ্যাত পদগুলো হলো গেজাং, চিকেন, বানচান, গালবি ও ইয়ুকহো।
কারি, ডাল এবং রুটিনির্ভর দক্ষিণ এশীয়
এই অঞ্চলের খাবারগুলো মসলার জটিল মিশ্রণ ও গভীর স্বাদের জন্য বিখ্যাত। তালিকায় ১৩তম অবস্থানে থাকা ভারতীয় রন্ধনশৈলীর অঞ্চলভেদে বৈচিত্র্য থাকলেও তাদের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সুগন্ধি মসলার ব্যবহার। দেশটির মাস্ট ট্রাই খাবারের তালিকায় রয়েছে বাটার গার্লিক নান, অমৃতসরি কুলচা, গরমমসলা, পরোটা ও মুথিয়া। ৬২তম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার রন্ধনশৈলী নারকেল দুধ, সামুদ্রিক খাবার এবং শ্রীলঙ্কার নিজস্ব মসলার জন্য জনপ্রিয়। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলন সিনামন, বাত কুলু বাধো, কার্ড অ্যান্ড ট্রেকেল, কারি লিভস (বা কারি পাতা) ও কুকুল মাস কারি। ৭৩তম স্থানে থাকা পাকিস্তানি রন্ধনশৈলী ভারী গ্রিলড মাংস, রুটি এবং সুগন্ধি বিরিয়ানির জন্য পরিচিত। মাস্ট ট্রাই খাবার হলো কিমা, মুরগ কারাহি, বাসমতী, পরোটা ও চাপলি কাবাব।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়
এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে তাজা গুল্ম, লেমন গ্রাস এবং টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদের একটি নিখুঁত ভারসাম্য দেখা যায়। তালিকায় দশম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ান রন্ধনশৈলী। দেশটির বিভিন্ন দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম নাসি পাডাং, বাওয়াং গোরেং, সাতে কাম্বিং, সিওমাই ও সতো বেতাউই। এদিকে টাটকা উপকরণ এবং হালকা স্বাদের জন্য ভিয়েতনামের খাবার জনপ্রিয়। ১৬তম স্থানে থাকা এই দেশের সেরা পদগুলো হলো বো নুং জ্যাম, বান মি, চা কা লা ভং, মি কোয়াং ও থিত খো টাউ।

তালিকার ২৪তম স্থানে আছে থাই রন্ধনশৈলী। এর পরেই আছে ফিলিপাইন। এরপর ২৯তম স্থানে আছে মালয়েশিয়া, ৯০তম স্থানে সিঙ্গাপুর ও ৯৬তম স্থানে আছে লাওসের খাবার। থাই খাবারের মূল আকর্ষণ হলো এর সুষম স্বাদের মিশ্রণ। টক ও নোনতা স্বাদের প্রাধান্য দেখা যায় ফিলিপাইনের খাবারে। মালয়, চীনা ও ভারতীয় স্বাদের মিশ্রণ পাওয়া যায় মালয়েশিয়ান রন্ধনশৈলীতে। সিঙ্গাপুরের রন্ধনশৈলীতে বহুজাতিক প্রভাব স্পষ্ট। লাওসের খাবার প্রধানত স্টিকি রাইস, তাজা ভেষজ এবং লাব নামক মাংসের সালাদের জন্য পরিচিত।
মধ্যপ্রাচ্য ও লেভান্টাইন
কাবাব, রুটি, দই এবং বিশেষ মসলার মিশ্রণের জন্য এই অঞ্চলের খাবার বিখ্যাত। তালিকায় ৩৭তম স্থানে আছে ফিলিস্তিন রন্ধনশৈলী। যেখানে প্রায়শই দানাশস্য, জলপাই তেল এবং স্থানীয় মসলার ব্যবহার দেখা যায়। তালিকায় ৪২তম স্থানে থাকা ইরানি রন্ধনশৈলীর মূল বৈশিষ্ট্য ভাত—বিশেষত জাফরান দেওয়া চেলো, মাংসের স্টু এবং শুকনো ফলের ব্যবহার। লেভান্টাইন স্বাদের এক চমৎকার উদাহরণ সিরিয়ান খাবার। তালিকায় তাদের স্থান ৪৫তম। ৭১তম স্থানে থাকা ইরাকি রন্ধনশৈলী প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতার উত্তরাধিকার বহনকারী ভারী ও পুষ্টিকর খাবার। মধ্য এশীয় এবং ভারতীয় প্রভাবের মিশ্রণ আছে আফগান রন্ধনশৈলীতে। তালিকায় তাদের স্থান ৭৪তম। তালিকার ৯৯তম দেশটির নাম কাতার।
মধ্য এশিয়া ও ককেশাস
ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড খাবার, ডাম্পলিং এবং দুধ দিয়ে তৈরি খাবারের ব্যবহার এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে গুরুত্বপূর্ণ। তালিকায় ৮৭তম স্থানে আছে আর্মেনিয়ান রন্ধনশৈলী। ককেশাস অঞ্চলের প্রাচীন এই রন্ধনশৈলীতে রুটি, কাবাব এবং ডাম্পলিং উল্লেখযোগ্য। ৯৮তম স্থানে আছে কাজাখস্তানি রন্ধনশৈলী। মধ্য এশীয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মাংস, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার এবং মাংসের পদ দেশটির প্রধান আকর্ষণ। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সামসা, শুজিক, লাগমান, কেসপে ও বাউরসাক।
সূত্র: টেস্ট অ্যাটলাস

পরোটা-কিমা কিংবা সন্ধ্যাবেলার চায়ের সঙ্গী গরম-গরম বাকরখানি। কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।
টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলীর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষাটতম। এই তালিকা শুধু একটি র্যাঙ্কিং নয়, এটি একটি দেশের প্রাচীন, মসলাদার এবং আবেগঘন খাবারের গল্প। যে গল্পগুলো এশিয়া মহাদেশের ভারত থেকে জাপান হয়ে ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এই গল্পের একটি বিশেষ অংশজুড়ে আছে আমাদের নিজস্ব খাদ্যসংস্কৃতি, যা বহুকালের ইতিহাস ও বৈচিত্র্য বহন করে। আন্তর্জাতিক সমালোচকদের চোখে কেমন ছিল আমাদের এই স্বাদের যাত্রা এবং কোন কোন খাবার পেল ‘মাস্ট ট্রাই’ তকমা? চারটি খাবারকে মাস্ট ট্রাই তকমা দেওয়া হয়েছে। তালিকার প্রথমে আছে চমচম, এরপর কিমা, তারপর টিক্কা, আরও আছে পরোটা এবং শেষে বাকরখানি।

তালিকায় পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে এশিয়া মহাদেশের ২১টি দেশের খাবার। বাংলাদেশসহ তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলো হলো জাপান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লেবানন, ফিলিপাইন, ইরাক, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, জর্জিয়া, কাতার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
পূর্ব এশীয়র জাদু

এই অঞ্চলে সুস্বাদু ‘উমামি’ ফ্লেভার এবং ভাত-নুডলসের ব্যবহার প্রধান। জাপান ও চীনের রন্ধনশৈলী বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত। তালিকায় প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে জাপানিজ রন্ধনশৈলী। তালিকায় তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। স্বাদের সূক্ষ্মতা এবং উপকরণের বিশুদ্ধতা জাপানি খাবারের মূল আকর্ষণ। দেশটির ‘মাস্ট ট্রাই’ খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াগিউ, আকামি টুনা, হামামাৎসু গিয়োজা, নেগিতোরোডন ও ওতোরো নিগিরি সুশি। বিস্তৃত বৈচিত্র্য এবং আঞ্চলিক বিশেষত্বের জন্য পরিচিত চীনা রন্ধনশৈলীর স্থান অষ্টম। তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো হলো ঝেংজিয়াও, লানঝো লামিয়ান, শেং চৌ, ইয়ুশিয়ং ও সিউ মেই। গাঁজানো বা ফার্মেন্টেড খাবার, মসলাদার সস এবং গ্রিলড মাংসের জন্য কোরিয়ান খাবার পরিচিত। উনিশতম অবস্থানে থাকা এই দেশের রন্ধনশৈলীতে বিখ্যাত পদগুলো হলো গেজাং, চিকেন, বানচান, গালবি ও ইয়ুকহো।
কারি, ডাল এবং রুটিনির্ভর দক্ষিণ এশীয়
এই অঞ্চলের খাবারগুলো মসলার জটিল মিশ্রণ ও গভীর স্বাদের জন্য বিখ্যাত। তালিকায় ১৩তম অবস্থানে থাকা ভারতীয় রন্ধনশৈলীর অঞ্চলভেদে বৈচিত্র্য থাকলেও তাদের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সুগন্ধি মসলার ব্যবহার। দেশটির মাস্ট ট্রাই খাবারের তালিকায় রয়েছে বাটার গার্লিক নান, অমৃতসরি কুলচা, গরমমসলা, পরোটা ও মুথিয়া। ৬২তম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার রন্ধনশৈলী নারকেল দুধ, সামুদ্রিক খাবার এবং শ্রীলঙ্কার নিজস্ব মসলার জন্য জনপ্রিয়। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলন সিনামন, বাত কুলু বাধো, কার্ড অ্যান্ড ট্রেকেল, কারি লিভস (বা কারি পাতা) ও কুকুল মাস কারি। ৭৩তম স্থানে থাকা পাকিস্তানি রন্ধনশৈলী ভারী গ্রিলড মাংস, রুটি এবং সুগন্ধি বিরিয়ানির জন্য পরিচিত। মাস্ট ট্রাই খাবার হলো কিমা, মুরগ কারাহি, বাসমতী, পরোটা ও চাপলি কাবাব।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়
এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে তাজা গুল্ম, লেমন গ্রাস এবং টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদের একটি নিখুঁত ভারসাম্য দেখা যায়। তালিকায় দশম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ান রন্ধনশৈলী। দেশটির বিভিন্ন দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম নাসি পাডাং, বাওয়াং গোরেং, সাতে কাম্বিং, সিওমাই ও সতো বেতাউই। এদিকে টাটকা উপকরণ এবং হালকা স্বাদের জন্য ভিয়েতনামের খাবার জনপ্রিয়। ১৬তম স্থানে থাকা এই দেশের সেরা পদগুলো হলো বো নুং জ্যাম, বান মি, চা কা লা ভং, মি কোয়াং ও থিত খো টাউ।

তালিকার ২৪তম স্থানে আছে থাই রন্ধনশৈলী। এর পরেই আছে ফিলিপাইন। এরপর ২৯তম স্থানে আছে মালয়েশিয়া, ৯০তম স্থানে সিঙ্গাপুর ও ৯৬তম স্থানে আছে লাওসের খাবার। থাই খাবারের মূল আকর্ষণ হলো এর সুষম স্বাদের মিশ্রণ। টক ও নোনতা স্বাদের প্রাধান্য দেখা যায় ফিলিপাইনের খাবারে। মালয়, চীনা ও ভারতীয় স্বাদের মিশ্রণ পাওয়া যায় মালয়েশিয়ান রন্ধনশৈলীতে। সিঙ্গাপুরের রন্ধনশৈলীতে বহুজাতিক প্রভাব স্পষ্ট। লাওসের খাবার প্রধানত স্টিকি রাইস, তাজা ভেষজ এবং লাব নামক মাংসের সালাদের জন্য পরিচিত।
মধ্যপ্রাচ্য ও লেভান্টাইন
কাবাব, রুটি, দই এবং বিশেষ মসলার মিশ্রণের জন্য এই অঞ্চলের খাবার বিখ্যাত। তালিকায় ৩৭তম স্থানে আছে ফিলিস্তিন রন্ধনশৈলী। যেখানে প্রায়শই দানাশস্য, জলপাই তেল এবং স্থানীয় মসলার ব্যবহার দেখা যায়। তালিকায় ৪২তম স্থানে থাকা ইরানি রন্ধনশৈলীর মূল বৈশিষ্ট্য ভাত—বিশেষত জাফরান দেওয়া চেলো, মাংসের স্টু এবং শুকনো ফলের ব্যবহার। লেভান্টাইন স্বাদের এক চমৎকার উদাহরণ সিরিয়ান খাবার। তালিকায় তাদের স্থান ৪৫তম। ৭১তম স্থানে থাকা ইরাকি রন্ধনশৈলী প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতার উত্তরাধিকার বহনকারী ভারী ও পুষ্টিকর খাবার। মধ্য এশীয় এবং ভারতীয় প্রভাবের মিশ্রণ আছে আফগান রন্ধনশৈলীতে। তালিকায় তাদের স্থান ৭৪তম। তালিকার ৯৯তম দেশটির নাম কাতার।
মধ্য এশিয়া ও ককেশাস
ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড খাবার, ডাম্পলিং এবং দুধ দিয়ে তৈরি খাবারের ব্যবহার এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে গুরুত্বপূর্ণ। তালিকায় ৮৭তম স্থানে আছে আর্মেনিয়ান রন্ধনশৈলী। ককেশাস অঞ্চলের প্রাচীন এই রন্ধনশৈলীতে রুটি, কাবাব এবং ডাম্পলিং উল্লেখযোগ্য। ৯৮তম স্থানে আছে কাজাখস্তানি রন্ধনশৈলী। মধ্য এশীয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মাংস, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার এবং মাংসের পদ দেশটির প্রধান আকর্ষণ। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সামসা, শুজিক, লাগমান, কেসপে ও বাউরসাক।
সূত্র: টেস্ট অ্যাটলাস

খুলে যাচ্ছে নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে! ম্যানহাটনের নাটকপাড়ায় আবার জমবে মেলা। দিনের পর দিন এই পাড়ার সংস্কৃতির লোকেরা বুভুক্ষু ছিল শিল্পতৃষ্ণায়! সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ব্রডওয়ে। আগাম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
২১ মে ২০২১
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১০ মিনিট আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
২০ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
১ দিন আগে