এই গরমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত মারাত্মক ধরনের নানান রোগ। এগুলো প্রতিরোধ করতে সঠিক নিয়মে বিশুদ্ধ করে পানি পান করা জরুরি। পানি কীভাবে বিশুদ্ধ করা যায়, তা কমবেশি সবাই জানেন। আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এই দিনকে সামনে রেখে তাই পানি বিশুদ্ধ করার কিছু পদ্ধতি এখানে তুলে ধরা হলো।
১. পানি ফুটানো
পানি বিশুদ্ধিকরণের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় ফুটানো। এই পদ্ধতিতে একটি পাত্রে পরিষ্কার পানিকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফুটাতে হবে এবং ফুটন্ত অবস্থায় ২-৩ মিনিট রেখে দিতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে পানি ঠান্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে রেখে দিতে হবে।
যারা বেশি উঁচু জায়গায় থাকেন, তাদের উচিত নিচু জায়গায় বসবাসকারীদের চাইতে বেশি সময় ধরে পানি ফোটানো। কারণ উচ্চতায় কম তাপমাত্রাতেই পানি ফুটতে আরম্ভ করে।
২. ফিল্টার বা ছাকন
ছাকন প্রক্রিয়া পানি বিশুদ্ধিকরণের একটা কার্যকরী উপায় এবং যথাযথ উপকরণ ব্যবহার করতে পারলে পানিকে সব ধরনের দূষিত পদার্থ থেকেই মুক্ত করা যায়।
রাসায়নিক এবং ভৌতিক উভয় প্রক্রিয়াতেই পানি ফিল্টার করা যায়। ফিল্টার করলে পানির সকল খনিজ লবণ দূরীভূত হয় না, তাই এটি পানি বিশুদ্ধিকরণের অন্যান্য পদ্ধতির চাইতে বেশি স্বাস্থ্যকর।
ছাকন প্রক্রিয়ায় খরচও কম এবং এছাড়া এটি করার সময় পানির অপচয়ও হয় না তেমন। বাজারে বিভিন্ন আকৃতির এবং ধরনের ফিল্টার কিনতে পাওয়া যায়।
৩. ডিস্টিলেশন বা পাতন
এই পদ্ধতিতে তাপ প্রয়োগ করে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা হয়, এবং বাষ্প হিসাবেই বিশুদ্ধ পানি সংগৃহীত হয়। পরে ঠান্ডা করলে পানি পাওয়া যায়।
তবে এটি খুব ধীর প্রক্রিয়া এবং ব্যয়বহুল। যে সমস্ত ক্ষেত্রে একেবারে অপরিশোধিত পানি ছাড়া আর কোনো উৎস থাকে না তাদের জন্য এই পদ্ধতি উপযোগী।
পাতনের জন্য আলাদা যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। ঘরে করতে চাইলে একটা বড়ো পাত্রে পানি দিয়ে তার ভিতরে ছোটো একটা পাত্র দিতে হবে, এবং ঢাকনিটা
উলটো করে বড়ো পাত্রটায় বসিয়ে দিতে হবে। বাষ্পীভূত পানি ঢাকনিতে লেগে তরল হয়ে ছোটো পাত্রে জমা হবে।
৪. ক্লোরিনেশন
ক্লোরিন একটি শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ এবং দীর্ঘদিন ধরেই ঘরের পানি বিশুদ্ধ করতে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। ক্লোরিন দিয়ে সহজেই জীবাণু, পরজীবী এবং অন্যান্য অণুজীবকে মারা যায়। ক্লোরিন ট্যাবলেট বা তরল ক্লোরিন দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়।
এটি সস্তা এবং কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা জরুরি। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদেরকে ক্লোরিন ব্যবহারের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার করলে সেটি উষ্ণ পানিতে দিতে হয়, কারণ ক্লোরিন ট্যাবলেট পানিতে দ্রবীভূত হয় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
পানি বিশুদ্ধ করে পান করতে পারলেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেকগুলো রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে পারব। তাই নিজের সুবিধামতো যে কোনো একটি পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করে নিয়ে পান করাটা জরুরি।
সূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ
এই গরমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত মারাত্মক ধরনের নানান রোগ। এগুলো প্রতিরোধ করতে সঠিক নিয়মে বিশুদ্ধ করে পানি পান করা জরুরি। পানি কীভাবে বিশুদ্ধ করা যায়, তা কমবেশি সবাই জানেন। আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এই দিনকে সামনে রেখে তাই পানি বিশুদ্ধ করার কিছু পদ্ধতি এখানে তুলে ধরা হলো।
১. পানি ফুটানো
পানি বিশুদ্ধিকরণের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় ফুটানো। এই পদ্ধতিতে একটি পাত্রে পরিষ্কার পানিকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফুটাতে হবে এবং ফুটন্ত অবস্থায় ২-৩ মিনিট রেখে দিতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে পানি ঠান্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে রেখে দিতে হবে।
যারা বেশি উঁচু জায়গায় থাকেন, তাদের উচিত নিচু জায়গায় বসবাসকারীদের চাইতে বেশি সময় ধরে পানি ফোটানো। কারণ উচ্চতায় কম তাপমাত্রাতেই পানি ফুটতে আরম্ভ করে।
২. ফিল্টার বা ছাকন
ছাকন প্রক্রিয়া পানি বিশুদ্ধিকরণের একটা কার্যকরী উপায় এবং যথাযথ উপকরণ ব্যবহার করতে পারলে পানিকে সব ধরনের দূষিত পদার্থ থেকেই মুক্ত করা যায়।
রাসায়নিক এবং ভৌতিক উভয় প্রক্রিয়াতেই পানি ফিল্টার করা যায়। ফিল্টার করলে পানির সকল খনিজ লবণ দূরীভূত হয় না, তাই এটি পানি বিশুদ্ধিকরণের অন্যান্য পদ্ধতির চাইতে বেশি স্বাস্থ্যকর।
ছাকন প্রক্রিয়ায় খরচও কম এবং এছাড়া এটি করার সময় পানির অপচয়ও হয় না তেমন। বাজারে বিভিন্ন আকৃতির এবং ধরনের ফিল্টার কিনতে পাওয়া যায়।
৩. ডিস্টিলেশন বা পাতন
এই পদ্ধতিতে তাপ প্রয়োগ করে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা হয়, এবং বাষ্প হিসাবেই বিশুদ্ধ পানি সংগৃহীত হয়। পরে ঠান্ডা করলে পানি পাওয়া যায়।
তবে এটি খুব ধীর প্রক্রিয়া এবং ব্যয়বহুল। যে সমস্ত ক্ষেত্রে একেবারে অপরিশোধিত পানি ছাড়া আর কোনো উৎস থাকে না তাদের জন্য এই পদ্ধতি উপযোগী।
পাতনের জন্য আলাদা যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। ঘরে করতে চাইলে একটা বড়ো পাত্রে পানি দিয়ে তার ভিতরে ছোটো একটা পাত্র দিতে হবে, এবং ঢাকনিটা
উলটো করে বড়ো পাত্রটায় বসিয়ে দিতে হবে। বাষ্পীভূত পানি ঢাকনিতে লেগে তরল হয়ে ছোটো পাত্রে জমা হবে।
৪. ক্লোরিনেশন
ক্লোরিন একটি শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ এবং দীর্ঘদিন ধরেই ঘরের পানি বিশুদ্ধ করতে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। ক্লোরিন দিয়ে সহজেই জীবাণু, পরজীবী এবং অন্যান্য অণুজীবকে মারা যায়। ক্লোরিন ট্যাবলেট বা তরল ক্লোরিন দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়।
এটি সস্তা এবং কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা জরুরি। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদেরকে ক্লোরিন ব্যবহারের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার করলে সেটি উষ্ণ পানিতে দিতে হয়, কারণ ক্লোরিন ট্যাবলেট পানিতে দ্রবীভূত হয় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
পানি বিশুদ্ধ করে পান করতে পারলেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেকগুলো রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে পারব। তাই নিজের সুবিধামতো যে কোনো একটি পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করে নিয়ে পান করাটা জরুরি।
সূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ
কফি পানকারীদের যকৃতের রোগ, যেমন লিভার ক্যানসার, ফাইব্রোসিস অর্থাৎ যকৃতে দাগ বা ক্ষত টিস্যু ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অর্থাৎ যকৃতে চর্বি জমার আশঙ্কা কম। ফাইব্রোসিসের একটি গুরুতর পর্যায় সিরোসিস। এই পর্যায়ে যকৃৎ আর সঠিকভাবে কাজ করে না। এমন জটিল রোগেরও ঝুঁকি কমায় কফি।
১ ঘণ্টা আগেআপেল কেটে রাখলে কেন কালো হয়ে যায়? কিংবা পনিরে কেন ফুটো থাকে? খাবার নিয়ে এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরতে থাকে আমাদের মনে। খাবার আর পানীয়র রহস্য উদ্ঘাটনের চেয়ে মজার আর কী হতে পারে? দিনের পর দিন যে প্রশ্নগুলো আমাদের মনে ঘুরপাক খায়, তার উত্তরগুলো যখন বিজ্ঞান আর রান্নাঘরের ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসে, বিষয়টি আসল
৩ ঘণ্টা আগেমিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেবন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
১৮ ঘণ্টা আগে