ড. মো. আজহারুল ইসলাম
হঠাৎ একদিন
জুবায়েরের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে। সুঠাম দেহ আর চাঙা মনের মানুষ বলে বন্ধুমহলে পরিচিত। একদিন শোয়া থেকে উঠতে গিয়ে জুবায়েরের চারপাশ হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এল। টানা দুই দিন একই রকম ঘটনা ঘটল। শোয়া থেকে বসা, বসা থেকে দাঁড়াতে গেলেই মাথা চক্কর দেয়, অন্ধকার দেখেন কিছুক্ষণ। একটু পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে যান। তবে ক্লান্তিবোধ থাকে সারা দিন। কী ব্যাপার? দেরি না করে কাছের চিকিৎসকের কাছে গেলেন তিনি। চিকিৎসক রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করালেন। সব ঠিক আছে, শুধু রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপন নিয়ে দিলেন একগাদা পরামর্শ।
জীবনের পড়ন্ত বিকেল
সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
জুবায়েরের এই সময়টাকে মধ্য বয়স বলা যায়। মধ্য বয়স আসলে কোন সময়টা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিভেদে মধ্য বয়সের পরিধির পার্থক্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩৫ থেকে ৫০ বছরের সীমাকে মধ্য বয়স ধরা যায়। এই বয়সে প্রবেশ করলে মানুষ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন, যাকে অনেকেই ‘মধ্য বয়সের সংকট’ নামে চিত্রিত করেন।
লাভ-ক্ষতির হিসাব
জীবনকে কয়েকটা ধাপে ভাগ করলে মধ্য বয়স অন্যতম একটা ধাপ। প্রতিটি ধাপের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা রয়েছে। একটি ধাপের চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ হলে পরবর্তী ধাপ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে। এই বয়সে একজন ব্যক্তি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, তাঁর ওপর পড়েছে গুরুদায়িত্ব। একদিকে তাঁকে ছোটদের লালনপালন করতে হচ্ছে, অন্যদিকে যত্ন নিতে হচ্ছে বয়স্কদের। তাঁর কাঁধে পড়েছে পরিবারের বিশাল অর্থনৈতিক চাপ। এই চাপ সামলাতে সামলাতে ব্যক্তিটি খেয়াল করেন, জীবনের প্রায় অর্ধেকটা চলে গেছে। এত দিন অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে চলা মানুষটি এখন নিজেই অনেকের ভরসার জায়গা। শুরু হয় লাভ-ক্ষতির হিসাব।
আগের মতো নেই
মধ্য বয়সে বাহ্যিক অবয়বের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। তারুণ্যের উচ্ছলতা উবে গিয়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপোজ ঘটে। নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরে দেখা যায় নানা অসুখ। অন্যকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় মনের ভেতরে জ্বলে আগুন। অনেকেই এ সময়ে কাছের মানুষকে নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। মানুষটা কি আসলেই ভালোবাসে, নাকি শুধু অভিনয় করেই গেল! কেউ কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
সমস্যা কেন হয়
মধ্য বয়সে যদি জীবনের লক্ষ্য, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অস্বচ্ছ থাকে, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট ফারাক দেখা দেয়, দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক নাজুক থাকে, আধ্যাত্মিক চেতনা পরিষ্কার না হয়, তাহলে একজন ব্যক্তির এ রকম মানসিক সংকটে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে।
সমস্যার প্রকাশ যেভাবে
এই সংকটে পড়লে অনেকের মন ভার হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। কোনো কাজেই আনন্দ বা উদ্যম থাকে না। জীবনকে উদ্দেশ্যহীন মনে হয়। মৃত্যুচিন্তা আসতে পারে। জীবন, সংসার, কাজ নিয়ে বিরক্তিবোধ দেখা দিতে পারে। যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে। এসব উপসর্গের সঙ্গে বিষণ্নতার উপসর্গের অনেক মিল থাকলেও এগুলোকে সাধারণত মধ্য বয়সের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যেকোনো বয়সের যে কেউ বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন।
কী করবেন
আপনার শারীরিক পরিবর্তনগুলো সাধারণত বিকাশজনিত। আর সামাজিক পরিবর্তনগুলো হয় সাংস্কৃতিক কারণে। কমবেশি প্রত্যেক মানুষ এসবের মধ্য দিয়ে যায়। বিরক্ত বা হতাশ না হয়ে মনোযোগী হোন। পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে খেয়াল করুন। কোন কোন জায়গায় ঠিক কী কী ভিন্নতা লক্ষ করছেন? এই ভিন্নতার ফলে আপনি কেমন বোধ করছেন?
যেহেতু শারীরিক পরিবর্তনগুলো প্রাকৃতিক, বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই সেগুলোকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। এই অবধারিত অবস্থাকে ঘৃণা না করে আলিঙ্গন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভাবা শুরু করলে, নিজের সঙ্গে নিজের একটা স্বস্তির সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে নতুন অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুন্দর উপায় আপনি নিজেই বের করতে পারবেন।
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিতে ভুলবেন না। সম্পর্ক মানুষের তৈরি, তার যত্নের দরকার আছে। এতে প্রয়োজন হতে পারে সংযোজন কিংবা বিয়োজনের। একসময়ের বন্ধুর দেখা হয়তো এখন না-ও পেতে পারেন, নতুন কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে অসুবিধা নেই। সম্পর্ক শক্তির উৎস, আবার কষ্টেরও উৎস। খেয়াল করুন, অযত্ন অথবা অবহেলায় আপনার সম্পর্কগুলো আপনাকে শক্তি না দিয়ে কষ্ট দিচ্ছে কি না।
আধ্যাত্মিকতা নিয়ে স্বচ্ছ থাকা খুবই জরুরি। আধ্যাত্মিকতা অনুধাবনের বিষয়, শেখানোর কিছু নেই। নিজেকে সময় দিন। যত দ্রুত এ বিষয়ে স্বচ্ছতায় পৌঁছাতে পারবেন, ততই মঙ্গল। বস্তুগত জিনিসের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনে যেন চরম মূল্য দিতে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকা ভালো।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং, সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হঠাৎ একদিন
জুবায়েরের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে। সুঠাম দেহ আর চাঙা মনের মানুষ বলে বন্ধুমহলে পরিচিত। একদিন শোয়া থেকে উঠতে গিয়ে জুবায়েরের চারপাশ হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এল। টানা দুই দিন একই রকম ঘটনা ঘটল। শোয়া থেকে বসা, বসা থেকে দাঁড়াতে গেলেই মাথা চক্কর দেয়, অন্ধকার দেখেন কিছুক্ষণ। একটু পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে যান। তবে ক্লান্তিবোধ থাকে সারা দিন। কী ব্যাপার? দেরি না করে কাছের চিকিৎসকের কাছে গেলেন তিনি। চিকিৎসক রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করালেন। সব ঠিক আছে, শুধু রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপন নিয়ে দিলেন একগাদা পরামর্শ।
জীবনের পড়ন্ত বিকেল
সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
জুবায়েরের এই সময়টাকে মধ্য বয়স বলা যায়। মধ্য বয়স আসলে কোন সময়টা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিভেদে মধ্য বয়সের পরিধির পার্থক্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩৫ থেকে ৫০ বছরের সীমাকে মধ্য বয়স ধরা যায়। এই বয়সে প্রবেশ করলে মানুষ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন, যাকে অনেকেই ‘মধ্য বয়সের সংকট’ নামে চিত্রিত করেন।
লাভ-ক্ষতির হিসাব
জীবনকে কয়েকটা ধাপে ভাগ করলে মধ্য বয়স অন্যতম একটা ধাপ। প্রতিটি ধাপের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা রয়েছে। একটি ধাপের চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ হলে পরবর্তী ধাপ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে। এই বয়সে একজন ব্যক্তি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, তাঁর ওপর পড়েছে গুরুদায়িত্ব। একদিকে তাঁকে ছোটদের লালনপালন করতে হচ্ছে, অন্যদিকে যত্ন নিতে হচ্ছে বয়স্কদের। তাঁর কাঁধে পড়েছে পরিবারের বিশাল অর্থনৈতিক চাপ। এই চাপ সামলাতে সামলাতে ব্যক্তিটি খেয়াল করেন, জীবনের প্রায় অর্ধেকটা চলে গেছে। এত দিন অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে চলা মানুষটি এখন নিজেই অনেকের ভরসার জায়গা। শুরু হয় লাভ-ক্ষতির হিসাব।
আগের মতো নেই
মধ্য বয়সে বাহ্যিক অবয়বের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। তারুণ্যের উচ্ছলতা উবে গিয়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপোজ ঘটে। নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরে দেখা যায় নানা অসুখ। অন্যকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় মনের ভেতরে জ্বলে আগুন। অনেকেই এ সময়ে কাছের মানুষকে নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। মানুষটা কি আসলেই ভালোবাসে, নাকি শুধু অভিনয় করেই গেল! কেউ কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
সমস্যা কেন হয়
মধ্য বয়সে যদি জীবনের লক্ষ্য, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অস্বচ্ছ থাকে, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট ফারাক দেখা দেয়, দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক নাজুক থাকে, আধ্যাত্মিক চেতনা পরিষ্কার না হয়, তাহলে একজন ব্যক্তির এ রকম মানসিক সংকটে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে।
সমস্যার প্রকাশ যেভাবে
এই সংকটে পড়লে অনেকের মন ভার হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। কোনো কাজেই আনন্দ বা উদ্যম থাকে না। জীবনকে উদ্দেশ্যহীন মনে হয়। মৃত্যুচিন্তা আসতে পারে। জীবন, সংসার, কাজ নিয়ে বিরক্তিবোধ দেখা দিতে পারে। যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে। এসব উপসর্গের সঙ্গে বিষণ্নতার উপসর্গের অনেক মিল থাকলেও এগুলোকে সাধারণত মধ্য বয়সের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যেকোনো বয়সের যে কেউ বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন।
কী করবেন
আপনার শারীরিক পরিবর্তনগুলো সাধারণত বিকাশজনিত। আর সামাজিক পরিবর্তনগুলো হয় সাংস্কৃতিক কারণে। কমবেশি প্রত্যেক মানুষ এসবের মধ্য দিয়ে যায়। বিরক্ত বা হতাশ না হয়ে মনোযোগী হোন। পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে খেয়াল করুন। কোন কোন জায়গায় ঠিক কী কী ভিন্নতা লক্ষ করছেন? এই ভিন্নতার ফলে আপনি কেমন বোধ করছেন?
যেহেতু শারীরিক পরিবর্তনগুলো প্রাকৃতিক, বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই সেগুলোকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। এই অবধারিত অবস্থাকে ঘৃণা না করে আলিঙ্গন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভাবা শুরু করলে, নিজের সঙ্গে নিজের একটা স্বস্তির সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে নতুন অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুন্দর উপায় আপনি নিজেই বের করতে পারবেন।
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিতে ভুলবেন না। সম্পর্ক মানুষের তৈরি, তার যত্নের দরকার আছে। এতে প্রয়োজন হতে পারে সংযোজন কিংবা বিয়োজনের। একসময়ের বন্ধুর দেখা হয়তো এখন না-ও পেতে পারেন, নতুন কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে অসুবিধা নেই। সম্পর্ক শক্তির উৎস, আবার কষ্টেরও উৎস। খেয়াল করুন, অযত্ন অথবা অবহেলায় আপনার সম্পর্কগুলো আপনাকে শক্তি না দিয়ে কষ্ট দিচ্ছে কি না।
আধ্যাত্মিকতা নিয়ে স্বচ্ছ থাকা খুবই জরুরি। আধ্যাত্মিকতা অনুধাবনের বিষয়, শেখানোর কিছু নেই। নিজেকে সময় দিন। যত দ্রুত এ বিষয়ে স্বচ্ছতায় পৌঁছাতে পারবেন, ততই মঙ্গল। বস্তুগত জিনিসের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনে যেন চরম মূল্য দিতে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকা ভালো।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং, সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেট মানেই যেন নিসর্গের হাতছানি! কোথাও টিলার গায়ে চা-গাছের সবুজ চাদর, কোথাও পাথরের মাঝে পানির শীতল পরশ, কোথাওবা জল-বৃক্ষের মিতালি। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বের এই জনপদে নানা রূপে, নানা রঙে ধরা দিয়েছে প্রকৃতি। এমনই এক রূপের ডালি বিছানো রয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে।
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের রুক্ষ মরুভূমি আর বিশাল পাথরের স্তূপের মধ্যে লুকিয়ে আছে অদ্ভুত সব গুহা। কোটি কোটি বছর ধরে তৈরি হওয়া এই গুহাগুলো শুধু প্রাকৃতিক বিস্ময় নয়, এগুলো বৈজ্ঞানিক এবং পর্যটনের জন্যও অমূল্য সম্পদ। সৌদি আরব এরই মধ্যে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন শহর ও স্থানকে নতুন...
৭ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন পাহাড়ে ঘুরে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন অনেকে। গহিন পাহাড়ে আধুনিক ব্যবস্থাপনা থাকে না বলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। যদিও এর উপায় হিসেবে তাঁবু টানিয়ে রাত কাটানো বেশ পরিচিত। তবে এই পাহাড়প্রেমীদের জন্য একটু ভিন্ন ধরনের ভাবনার বিষয়টি ভেবেছিল যুক্তরাজ্যের মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশন।
৮ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যা কমে যাওয়া এবং বয়স্কদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন পৃথিবীর অনেক দেশ। ইউরোপের কিছু দেশ বিশেষভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন। সেখানে গ্রামীণ এলাকা ও ছোট শহরগুলো ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অঞ্চলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং নতুন নাগরিক আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দেশ আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে