মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম।
আগে সাইকেল ছিল বেশ উঁচু। সেই সাইকেলে সিক্স–সেভেনে পড়া বালকেরা উঠলে পা প্যাডেল অব্দি পৌঁছাত না। তাকে বিস্তর এ-পাশ ও-পাশ করতে হতো। তারপর একদিন তার পা ঠিক প্যাডেল ছুঁয়ে ফেলল। তখন হাফপ্যান্ট থেকে ফুলপ্যান্টে উত্তরণ। ফুলপ্যান্ট মানেই প্রেমপত্র লেখার বয়স, কারও জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা।
এখন বাজারে হরেক রকমের সাইকেল– ছোট, বড়, মাঝারি। চালকের সুবিধা অনুসারে সাইকেলের আকার। যে যেমন চান সবই আছে। কেউ আর হাফপ্যাডেল সাইকেল চালান না, তার দরকার হয় না।
মাঝখানে সাইকেলের ব্যবহার থিতিয়ে গেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে সাইকেল। একসময় শুধু পুরুষেরা চালালেও এখন মেয়েদেরও পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দুই চাকার এ বাহনটি। এখন সাইকেল শুধু বাহনই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও। যোগ হয়েছে বৈচিত্র্যময় নকশা এবং যান্ত্রিক সুবিধায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
সাইকেল কেনার আগে মনে রাখতে হবে নিজের দৈহিক উচ্চতা ও ওজন এবং কোন রাস্তায় সাইকেল চালাবেন তার ধারণা। প্রাথমিকভাবে এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখলে পাবেন নিজের জন্য উপযুক্ত সাইকেল।
বয়সভেদে সাইকেলের আকার বয়স, ওজন, রাস্তা অনুযায়ী তিন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ১২, ১৬, ২০, ২৪ ও ২৬ সাইজের সাইকেল পাওয়া যায় কিনতে। সাইকেল কিনতে গেলে অনেক কথা শুনতে পাবেন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি পরিচিত নন। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাইকেল সাধারণত দুভাবে দেখা হয়–এক. সাধারণ সাইকেল, দুই. গিয়ারযুক্ত সাইকেল। যুগ যুগ ধরে আমরা যে সাইকেল ব্যবহার করে আসছি, সেটা সাধারণ সাইকেল।
দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেলচালকদের বেশি যান্ত্রিক সুবিধা দিতে আছে গিয়ার সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা এই দুটি উপকরণে তৈরি হয় সাইকেল। বেশির ভাগ সাইকেলের কাঠামো লোহার হলেও যন্ত্রাংশগুলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেল ওজনে হালকা হয়, তাই এগুলো চালানো সহজ। যাঁদের উচ্চতা বেশি এবং যাঁরা মজবুত সাইকেল কিনতে চান, তাঁদের জন্য ভালো লোহার তৈরি সাইকেল।
সাইকেলের বাজারে শোনা যাবে জাম্পিং, সিঙ্গেল জাম্পিং ইত্যাদি শব্দ। এগুলো মূলত শকঅবজারভার সুবিধাযুক্ত সাইকেল। এ ধরনের সাইকেল অমসৃণ বা অফট্র্যাক রাস্তায় চলার জন্য ভালো। জাম্পিং সাইকেলের একটি হলো সিঙ্গেল জাম্পিং, অর্থাৎ এ ধরনের সাইকেলের সামনের চাকার সঙ্গে শকঅবজারভার লাগানো থাকে। আর ডাবল জাম্পিং সাইকেলের সামনে-পেছনে দুদিকেই শকঅবজারভার লাগানো থাকে। এ ছাড়া আমাদের দেশে সীমিতসংখ্যায় হলেও পাওয়া যায় ফোল্ডিং সাইকেল। এগুলো ফোল্ড করে সহজে বহন করা যায়। মেয়েদের জন্য সাধারণত সাইকেলের মূল কাঠামোর রড থাকে না বা থাকলেও সেটি নিচু থাকে অথবা বাঁকানো থাকে।
উপকারিতা
সাইকেল চালানো একধরনের শারীরিক অনুশীলনও বটে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাইকেল চালানোর সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগগুলো দূরে রাখে। এ ছাড়া সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম।
আগে সাইকেল ছিল বেশ উঁচু। সেই সাইকেলে সিক্স–সেভেনে পড়া বালকেরা উঠলে পা প্যাডেল অব্দি পৌঁছাত না। তাকে বিস্তর এ-পাশ ও-পাশ করতে হতো। তারপর একদিন তার পা ঠিক প্যাডেল ছুঁয়ে ফেলল। তখন হাফপ্যান্ট থেকে ফুলপ্যান্টে উত্তরণ। ফুলপ্যান্ট মানেই প্রেমপত্র লেখার বয়স, কারও জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা।
এখন বাজারে হরেক রকমের সাইকেল– ছোট, বড়, মাঝারি। চালকের সুবিধা অনুসারে সাইকেলের আকার। যে যেমন চান সবই আছে। কেউ আর হাফপ্যাডেল সাইকেল চালান না, তার দরকার হয় না।
মাঝখানে সাইকেলের ব্যবহার থিতিয়ে গেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে সাইকেল। একসময় শুধু পুরুষেরা চালালেও এখন মেয়েদেরও পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দুই চাকার এ বাহনটি। এখন সাইকেল শুধু বাহনই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও। যোগ হয়েছে বৈচিত্র্যময় নকশা এবং যান্ত্রিক সুবিধায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
সাইকেল কেনার আগে মনে রাখতে হবে নিজের দৈহিক উচ্চতা ও ওজন এবং কোন রাস্তায় সাইকেল চালাবেন তার ধারণা। প্রাথমিকভাবে এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখলে পাবেন নিজের জন্য উপযুক্ত সাইকেল।
বয়সভেদে সাইকেলের আকার বয়স, ওজন, রাস্তা অনুযায়ী তিন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ১২, ১৬, ২০, ২৪ ও ২৬ সাইজের সাইকেল পাওয়া যায় কিনতে। সাইকেল কিনতে গেলে অনেক কথা শুনতে পাবেন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি পরিচিত নন। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাইকেল সাধারণত দুভাবে দেখা হয়–এক. সাধারণ সাইকেল, দুই. গিয়ারযুক্ত সাইকেল। যুগ যুগ ধরে আমরা যে সাইকেল ব্যবহার করে আসছি, সেটা সাধারণ সাইকেল।
দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেলচালকদের বেশি যান্ত্রিক সুবিধা দিতে আছে গিয়ার সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা এই দুটি উপকরণে তৈরি হয় সাইকেল। বেশির ভাগ সাইকেলের কাঠামো লোহার হলেও যন্ত্রাংশগুলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেল ওজনে হালকা হয়, তাই এগুলো চালানো সহজ। যাঁদের উচ্চতা বেশি এবং যাঁরা মজবুত সাইকেল কিনতে চান, তাঁদের জন্য ভালো লোহার তৈরি সাইকেল।
সাইকেলের বাজারে শোনা যাবে জাম্পিং, সিঙ্গেল জাম্পিং ইত্যাদি শব্দ। এগুলো মূলত শকঅবজারভার সুবিধাযুক্ত সাইকেল। এ ধরনের সাইকেল অমসৃণ বা অফট্র্যাক রাস্তায় চলার জন্য ভালো। জাম্পিং সাইকেলের একটি হলো সিঙ্গেল জাম্পিং, অর্থাৎ এ ধরনের সাইকেলের সামনের চাকার সঙ্গে শকঅবজারভার লাগানো থাকে। আর ডাবল জাম্পিং সাইকেলের সামনে-পেছনে দুদিকেই শকঅবজারভার লাগানো থাকে। এ ছাড়া আমাদের দেশে সীমিতসংখ্যায় হলেও পাওয়া যায় ফোল্ডিং সাইকেল। এগুলো ফোল্ড করে সহজে বহন করা যায়। মেয়েদের জন্য সাধারণত সাইকেলের মূল কাঠামোর রড থাকে না বা থাকলেও সেটি নিচু থাকে অথবা বাঁকানো থাকে।
উপকারিতা
সাইকেল চালানো একধরনের শারীরিক অনুশীলনও বটে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাইকেল চালানোর সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগগুলো দূরে রাখে। এ ছাড়া সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।
মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম।
আগে সাইকেল ছিল বেশ উঁচু। সেই সাইকেলে সিক্স–সেভেনে পড়া বালকেরা উঠলে পা প্যাডেল অব্দি পৌঁছাত না। তাকে বিস্তর এ-পাশ ও-পাশ করতে হতো। তারপর একদিন তার পা ঠিক প্যাডেল ছুঁয়ে ফেলল। তখন হাফপ্যান্ট থেকে ফুলপ্যান্টে উত্তরণ। ফুলপ্যান্ট মানেই প্রেমপত্র লেখার বয়স, কারও জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা।
এখন বাজারে হরেক রকমের সাইকেল– ছোট, বড়, মাঝারি। চালকের সুবিধা অনুসারে সাইকেলের আকার। যে যেমন চান সবই আছে। কেউ আর হাফপ্যাডেল সাইকেল চালান না, তার দরকার হয় না।
মাঝখানে সাইকেলের ব্যবহার থিতিয়ে গেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে সাইকেল। একসময় শুধু পুরুষেরা চালালেও এখন মেয়েদেরও পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দুই চাকার এ বাহনটি। এখন সাইকেল শুধু বাহনই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও। যোগ হয়েছে বৈচিত্র্যময় নকশা এবং যান্ত্রিক সুবিধায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
সাইকেল কেনার আগে মনে রাখতে হবে নিজের দৈহিক উচ্চতা ও ওজন এবং কোন রাস্তায় সাইকেল চালাবেন তার ধারণা। প্রাথমিকভাবে এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখলে পাবেন নিজের জন্য উপযুক্ত সাইকেল।
বয়সভেদে সাইকেলের আকার বয়স, ওজন, রাস্তা অনুযায়ী তিন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ১২, ১৬, ২০, ২৪ ও ২৬ সাইজের সাইকেল পাওয়া যায় কিনতে। সাইকেল কিনতে গেলে অনেক কথা শুনতে পাবেন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি পরিচিত নন। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাইকেল সাধারণত দুভাবে দেখা হয়–এক. সাধারণ সাইকেল, দুই. গিয়ারযুক্ত সাইকেল। যুগ যুগ ধরে আমরা যে সাইকেল ব্যবহার করে আসছি, সেটা সাধারণ সাইকেল।
দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেলচালকদের বেশি যান্ত্রিক সুবিধা দিতে আছে গিয়ার সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা এই দুটি উপকরণে তৈরি হয় সাইকেল। বেশির ভাগ সাইকেলের কাঠামো লোহার হলেও যন্ত্রাংশগুলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেল ওজনে হালকা হয়, তাই এগুলো চালানো সহজ। যাঁদের উচ্চতা বেশি এবং যাঁরা মজবুত সাইকেল কিনতে চান, তাঁদের জন্য ভালো লোহার তৈরি সাইকেল।
সাইকেলের বাজারে শোনা যাবে জাম্পিং, সিঙ্গেল জাম্পিং ইত্যাদি শব্দ। এগুলো মূলত শকঅবজারভার সুবিধাযুক্ত সাইকেল। এ ধরনের সাইকেল অমসৃণ বা অফট্র্যাক রাস্তায় চলার জন্য ভালো। জাম্পিং সাইকেলের একটি হলো সিঙ্গেল জাম্পিং, অর্থাৎ এ ধরনের সাইকেলের সামনের চাকার সঙ্গে শকঅবজারভার লাগানো থাকে। আর ডাবল জাম্পিং সাইকেলের সামনে-পেছনে দুদিকেই শকঅবজারভার লাগানো থাকে। এ ছাড়া আমাদের দেশে সীমিতসংখ্যায় হলেও পাওয়া যায় ফোল্ডিং সাইকেল। এগুলো ফোল্ড করে সহজে বহন করা যায়। মেয়েদের জন্য সাধারণত সাইকেলের মূল কাঠামোর রড থাকে না বা থাকলেও সেটি নিচু থাকে অথবা বাঁকানো থাকে।
উপকারিতা
সাইকেল চালানো একধরনের শারীরিক অনুশীলনও বটে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাইকেল চালানোর সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগগুলো দূরে রাখে। এ ছাড়া সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম।
আগে সাইকেল ছিল বেশ উঁচু। সেই সাইকেলে সিক্স–সেভেনে পড়া বালকেরা উঠলে পা প্যাডেল অব্দি পৌঁছাত না। তাকে বিস্তর এ-পাশ ও-পাশ করতে হতো। তারপর একদিন তার পা ঠিক প্যাডেল ছুঁয়ে ফেলল। তখন হাফপ্যান্ট থেকে ফুলপ্যান্টে উত্তরণ। ফুলপ্যান্ট মানেই প্রেমপত্র লেখার বয়স, কারও জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা।
এখন বাজারে হরেক রকমের সাইকেল– ছোট, বড়, মাঝারি। চালকের সুবিধা অনুসারে সাইকেলের আকার। যে যেমন চান সবই আছে। কেউ আর হাফপ্যাডেল সাইকেল চালান না, তার দরকার হয় না।
মাঝখানে সাইকেলের ব্যবহার থিতিয়ে গেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে সাইকেল। একসময় শুধু পুরুষেরা চালালেও এখন মেয়েদেরও পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দুই চাকার এ বাহনটি। এখন সাইকেল শুধু বাহনই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও। যোগ হয়েছে বৈচিত্র্যময় নকশা এবং যান্ত্রিক সুবিধায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
সাইকেল কেনার আগে মনে রাখতে হবে নিজের দৈহিক উচ্চতা ও ওজন এবং কোন রাস্তায় সাইকেল চালাবেন তার ধারণা। প্রাথমিকভাবে এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখলে পাবেন নিজের জন্য উপযুক্ত সাইকেল।
বয়সভেদে সাইকেলের আকার বয়স, ওজন, রাস্তা অনুযায়ী তিন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ১২, ১৬, ২০, ২৪ ও ২৬ সাইজের সাইকেল পাওয়া যায় কিনতে। সাইকেল কিনতে গেলে অনেক কথা শুনতে পাবেন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি পরিচিত নন। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাইকেল সাধারণত দুভাবে দেখা হয়–এক. সাধারণ সাইকেল, দুই. গিয়ারযুক্ত সাইকেল। যুগ যুগ ধরে আমরা যে সাইকেল ব্যবহার করে আসছি, সেটা সাধারণ সাইকেল।
দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেলচালকদের বেশি যান্ত্রিক সুবিধা দিতে আছে গিয়ার সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা এই দুটি উপকরণে তৈরি হয় সাইকেল। বেশির ভাগ সাইকেলের কাঠামো লোহার হলেও যন্ত্রাংশগুলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেল ওজনে হালকা হয়, তাই এগুলো চালানো সহজ। যাঁদের উচ্চতা বেশি এবং যাঁরা মজবুত সাইকেল কিনতে চান, তাঁদের জন্য ভালো লোহার তৈরি সাইকেল।
সাইকেলের বাজারে শোনা যাবে জাম্পিং, সিঙ্গেল জাম্পিং ইত্যাদি শব্দ। এগুলো মূলত শকঅবজারভার সুবিধাযুক্ত সাইকেল। এ ধরনের সাইকেল অমসৃণ বা অফট্র্যাক রাস্তায় চলার জন্য ভালো। জাম্পিং সাইকেলের একটি হলো সিঙ্গেল জাম্পিং, অর্থাৎ এ ধরনের সাইকেলের সামনের চাকার সঙ্গে শকঅবজারভার লাগানো থাকে। আর ডাবল জাম্পিং সাইকেলের সামনে-পেছনে দুদিকেই শকঅবজারভার লাগানো থাকে। এ ছাড়া আমাদের দেশে সীমিতসংখ্যায় হলেও পাওয়া যায় ফোল্ডিং সাইকেল। এগুলো ফোল্ড করে সহজে বহন করা যায়। মেয়েদের জন্য সাধারণত সাইকেলের মূল কাঠামোর রড থাকে না বা থাকলেও সেটি নিচু থাকে অথবা বাঁকানো থাকে।
উপকারিতা
সাইকেল চালানো একধরনের শারীরিক অনুশীলনও বটে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাইকেল চালানোর সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগগুলো দূরে রাখে। এ ছাড়া সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৯ মিনিট আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
২ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৪ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করার জন্য এখন স্পঞ্জের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়; বিশেষ করে শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে খাবারের নোংরা এই স্পঞ্জের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এগুলোতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। শক্তপোক্ত স্পঞ্জও একসময় পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়। এর চেয়ে খারাপ...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন ফুলটি দিয়ে কোন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করবেন।
অকালে চুল পাকা রোধে সহায়ক অপরাজিতা
অপরাজিতা ফুলের নির্যাস অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমায়। ৮-১০টি অপরাজিতা ফুল বাটা, ২ চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস ব্যবহারে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করেও পানিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে রং বের করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হলে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। শ্যাম্পুর পর চুলের শেষ ধোয়ায় এই পানি ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারের কাজ হবে।

ঝলমলে চুল পেতে জবা ফুল
জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার চল বেশ পুরোনো। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাডায়। এই ফুলে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘সি’, যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়।
৫-৬টি জবা ফুল, ৮-১০টি জবা ফুলের পাতা, ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরির জন্য জবা ফুল ও পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার একসঙ্গে বেটে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। বাটার সময় সামান্য পানি যোগ করতে পারেন। সবশেষে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এ প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও চুলের মসৃণ ভাব ও জেল্লা ফিরে পেতে তিনটি জবা ফুল পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ফুলগুলো বেটে তাতে ৩ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে মেখে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এ প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।

শীতে চুলের খুশি দূর করবে গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক বানাতে ৪-৫টি গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি বের করে নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা কাপ টকদই ও ১ চামচ মধু মেশান। খুব ভালো করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ প্যাকটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।
চুলের আগা ফাটা কমাবে গোলাপ
গোলাপ চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে যেকোনো রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল খুব কার্যকর। চুল ধোয়ার আগে বা পরে দু-ভাবেই এই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। চুলের আগা ফাটা দূর করতে, চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। একমুঠ তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর পাপড়িগুলো তুলে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাথার তালুতে, পুরো চুলে ও আগায় বেশি পরিমাণে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
সূত্র: বি বিউটিফুল ও অন্যান্য

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন ফুলটি দিয়ে কোন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করবেন।
অকালে চুল পাকা রোধে সহায়ক অপরাজিতা
অপরাজিতা ফুলের নির্যাস অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমায়। ৮-১০টি অপরাজিতা ফুল বাটা, ২ চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস ব্যবহারে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করেও পানিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে রং বের করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হলে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। শ্যাম্পুর পর চুলের শেষ ধোয়ায় এই পানি ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারের কাজ হবে।

ঝলমলে চুল পেতে জবা ফুল
জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার চল বেশ পুরোনো। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাডায়। এই ফুলে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘সি’, যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়।
৫-৬টি জবা ফুল, ৮-১০টি জবা ফুলের পাতা, ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরির জন্য জবা ফুল ও পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার একসঙ্গে বেটে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। বাটার সময় সামান্য পানি যোগ করতে পারেন। সবশেষে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এ প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও চুলের মসৃণ ভাব ও জেল্লা ফিরে পেতে তিনটি জবা ফুল পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ফুলগুলো বেটে তাতে ৩ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে মেখে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এ প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।

শীতে চুলের খুশি দূর করবে গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক বানাতে ৪-৫টি গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি বের করে নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা কাপ টকদই ও ১ চামচ মধু মেশান। খুব ভালো করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ প্যাকটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।
চুলের আগা ফাটা কমাবে গোলাপ
গোলাপ চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে যেকোনো রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল খুব কার্যকর। চুল ধোয়ার আগে বা পরে দু-ভাবেই এই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। চুলের আগা ফাটা দূর করতে, চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। একমুঠ তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর পাপড়িগুলো তুলে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাথার তালুতে, পুরো চুলে ও আগায় বেশি পরিমাণে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
সূত্র: বি বিউটিফুল ও অন্যান্য

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম
২০ আগস্ট ২০২১
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
২ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৪ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করার জন্য এখন স্পঞ্জের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়; বিশেষ করে শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে খাবারের নোংরা এই স্পঞ্জের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এগুলোতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। শক্তপোক্ত স্পঞ্জও একসময় পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়। এর চেয়ে খারাপ...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, চিনি এক কাপ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, জর্দা রং সামান্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী।
প্রণালি
জলপাই সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে চিনি, লবণ, বিট লবণ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন, সিরকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে রসুনের কোয়ার ফোড়ন দিন। পরে মাখিয়ে রাখা জলপাই দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। জলপাই থেকে তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে সামান্য জর্দা রং দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার।

জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, চিনি এক কাপ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, জর্দা রং সামান্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী।
প্রণালি
জলপাই সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে চিনি, লবণ, বিট লবণ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন, সিরকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে রসুনের কোয়ার ফোড়ন দিন। পরে মাখিয়ে রাখা জলপাই দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। জলপাই থেকে তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে সামান্য জর্দা রং দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার।

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম
২০ আগস্ট ২০২১
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৯ মিনিট আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৪ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করার জন্য এখন স্পঞ্জের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়; বিশেষ করে শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে খাবারের নোংরা এই স্পঞ্জের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এগুলোতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। শক্তপোক্ত স্পঞ্জও একসময় পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়। এর চেয়ে খারাপ...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!
ফুজিমোতো ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘মিশেলিন তারকা’ পাওয়া সুশি মাস্টারদের অধীনে কাজ করেছেন। অসংখ্য জাতের জাপানি চাল তাঁর হাতে রান্না হয়েছে। তবু আজকের বাক্সটি তাঁর কাছে নতুন। বাক্সের ভেতর রয়েছে ২০১৬ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃত বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল—কিনমেমাই প্রিমিয়াম।
কিন্তু দাম বেশি হলেই কি স্বাদে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়? ফুজিমোতো সেই উত্তর খুঁজতে হাঁড়িতে চাল চড়ালেন। তিনি হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ৪২০ গ্রাম চাল। পরীক্ষা করার সুযোগ কম। তিনি দ্রুত চাল ধুয়ে, অল্প সময় ভিজিয়ে রেখে হাঁড়িতে চাপালেন। ঢাকনা খোলার পর রান্না করা দানাগুলো ঝিনুকের মুক্তার মতো চকচক করছিল। আকার নিখুঁত, হালকা ঘ্রাণ, পরিষ্কার ঝিলিক! তবে রেস্তোরাঁয় এই চাল যে চলবে না, সেটি বুঝতে পারলেন। দাম এত বেশি যে অতিথিদের বাজেট তিন গুণ হয়ে যাবে। এত দামে কে খাবে!
জাপানের চাল
জাপানে চাল দিয়ে তৈরি খাবারের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সুশির স্বাদের ৮০ শতাংশ নির্ভর করে চালের ওপর। এমনটাই বলেন জাপানের শীর্ষস্থানীয় শেফরা। তিন হাজার বছর ধরে জাপানে চালকে পবিত্র খাবার হিসেবে মনে করা হয়। আজ দেশটিতে তিন শর বেশি জাতের ধান উৎপন্ন হয়। বৈচিত্র্য, স্বাদ, ঘ্রাণ—সব মিলিয়েই জাপানি চালের নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। সুশি, সাকে, মোচি ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও জাপানি চালের রপ্তানি তেমন সফলতা পায়নি। এই হতাশাই একজন মানুষকে নতুন পথে চিন্তা করতে বাধ্য করে।

এক স্বপ্নবাজ বৃদ্ধের উদ্যোগ
ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের টয়ো রাইস করপোরেশনের চেয়ারম্যান কেইজি সাইকা। এখন তাঁর বয়স ৯১ বছর। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের গল্পটা শুরু হয় ২০১৬ সালে। সাইকার স্বপ্ন ছিল, বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ না করে জাপানি চালকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। তখনই তাঁর মনে হলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কথা। তিনি ভাবলেন, এমন কিছু তৈরি করতে হবে, যা আগে কেউ করেনি। এটি বেশ সাহসী উদ্যোগ ছিল। তিনি তৈরি করলেন কিনমেমাই প্রিমিয়াম, যার দাম রাখা হলো প্রকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি, প্রতি কেজি ১০৯ ডলার। বিক্রি হবে কি? এ নিয়ে সন্দেহ ছিল।
শুধু দাম বাড়িয়ে নয়, গুণেও বিশ্বের সেরা
কিনমেমাই প্রিমিয়াম আসলে শুধু দামি চাল নয়; এটি তৈরির প্রতিটি ধাপে রয়েছে ভীষণ যত্ন ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।

বাছাই: প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার জাতের চাল থেকে ৪ থেকে ৬টি সেরা জাত বেছে নেওয়া হয়। স্বাদের পাশাপাশি দানার এনজাইম কার্যকারিতা পর্যন্ত পরীক্ষা করেন সাইকা।
মজুত করা: চালের দানা কয়েক মাস রেখে দেওয়া হয়। এতে চালের মধ্যে মিষ্টতা, ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণ বাড়ে।
সীমিত উৎপাদন: কিনমেমাই প্রিমিয়াম খুব সীমিত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। প্রতিবছর মাত্র কয়েক শ বাক্স। এর বিশেষত্ব হলো, প্রতিবছর এই চালের মিশ্রণ বদলে যায়। যে বছর যেসব জাতের চাল সবচেয়ে মানসম্পন্ন হয়, সেগুলো বেছে নতুন বার্ষিক ব্লেন্ড তৈরি করা হয়। এই চাল সাধারণত দামি উপহার বা বিশেষ উৎসবে দেওয়া হয়। নির্বাচিত কৃষকদের টোকিওতে ডেকে সম্মান জানানো হয়।
যুদ্ধোত্তর দুর্ভিক্ষ থেকে চালের প্রতি প্রেম
সাইকাকে চালের প্রতি গভীর আগ্রহী করে তুলেছিল শৈশবের এক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন মাকুরাজাকির কারণে চারদিকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বীজ, মাছ, পাখি ইত্যাদি যে যা সংগ্রহ করতে পারতেন, সেগুলো দিয়ে কোনোভাবে দিন পার করতেন। সেই দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা চালের প্রতি তাঁর আবেগ তৈরি করে দেয়। খাবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বাঁচার তাগিদ থেকে জন্ম নেয় তাঁর আজীবনের লক্ষ্য—জাপানি চালকে আরও উন্নত করা।
৯১ বছর বয়সেও প্রতিদিন কারখানায়
৯১ বছর বয়সেও সাইকা আজও প্রতিদিন কাজ করেন। বয়স বাড়লেও তাঁর গতি কমেনি। জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই এখনো একই উদ্যমে তিনি কর্মক্ষেত্রে হাজির হন, নিজের কাজ শেষ করেন এবং আশপাশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যান।
কিনমেমাই প্রিমিয়াম শুধু দামি চাল নয়, এটি একজন মানুষের জীবনের গল্প, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, কৃষকের পরিশ্রম এবং জাপানের চাল-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক।

হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!
ফুজিমোতো ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘মিশেলিন তারকা’ পাওয়া সুশি মাস্টারদের অধীনে কাজ করেছেন। অসংখ্য জাতের জাপানি চাল তাঁর হাতে রান্না হয়েছে। তবু আজকের বাক্সটি তাঁর কাছে নতুন। বাক্সের ভেতর রয়েছে ২০১৬ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃত বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল—কিনমেমাই প্রিমিয়াম।
কিন্তু দাম বেশি হলেই কি স্বাদে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়? ফুজিমোতো সেই উত্তর খুঁজতে হাঁড়িতে চাল চড়ালেন। তিনি হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ৪২০ গ্রাম চাল। পরীক্ষা করার সুযোগ কম। তিনি দ্রুত চাল ধুয়ে, অল্প সময় ভিজিয়ে রেখে হাঁড়িতে চাপালেন। ঢাকনা খোলার পর রান্না করা দানাগুলো ঝিনুকের মুক্তার মতো চকচক করছিল। আকার নিখুঁত, হালকা ঘ্রাণ, পরিষ্কার ঝিলিক! তবে রেস্তোরাঁয় এই চাল যে চলবে না, সেটি বুঝতে পারলেন। দাম এত বেশি যে অতিথিদের বাজেট তিন গুণ হয়ে যাবে। এত দামে কে খাবে!
জাপানের চাল
জাপানে চাল দিয়ে তৈরি খাবারের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সুশির স্বাদের ৮০ শতাংশ নির্ভর করে চালের ওপর। এমনটাই বলেন জাপানের শীর্ষস্থানীয় শেফরা। তিন হাজার বছর ধরে জাপানে চালকে পবিত্র খাবার হিসেবে মনে করা হয়। আজ দেশটিতে তিন শর বেশি জাতের ধান উৎপন্ন হয়। বৈচিত্র্য, স্বাদ, ঘ্রাণ—সব মিলিয়েই জাপানি চালের নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। সুশি, সাকে, মোচি ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও জাপানি চালের রপ্তানি তেমন সফলতা পায়নি। এই হতাশাই একজন মানুষকে নতুন পথে চিন্তা করতে বাধ্য করে।

এক স্বপ্নবাজ বৃদ্ধের উদ্যোগ
ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের টয়ো রাইস করপোরেশনের চেয়ারম্যান কেইজি সাইকা। এখন তাঁর বয়স ৯১ বছর। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের গল্পটা শুরু হয় ২০১৬ সালে। সাইকার স্বপ্ন ছিল, বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ না করে জাপানি চালকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। তখনই তাঁর মনে হলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কথা। তিনি ভাবলেন, এমন কিছু তৈরি করতে হবে, যা আগে কেউ করেনি। এটি বেশ সাহসী উদ্যোগ ছিল। তিনি তৈরি করলেন কিনমেমাই প্রিমিয়াম, যার দাম রাখা হলো প্রকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি, প্রতি কেজি ১০৯ ডলার। বিক্রি হবে কি? এ নিয়ে সন্দেহ ছিল।
শুধু দাম বাড়িয়ে নয়, গুণেও বিশ্বের সেরা
কিনমেমাই প্রিমিয়াম আসলে শুধু দামি চাল নয়; এটি তৈরির প্রতিটি ধাপে রয়েছে ভীষণ যত্ন ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।

বাছাই: প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার জাতের চাল থেকে ৪ থেকে ৬টি সেরা জাত বেছে নেওয়া হয়। স্বাদের পাশাপাশি দানার এনজাইম কার্যকারিতা পর্যন্ত পরীক্ষা করেন সাইকা।
মজুত করা: চালের দানা কয়েক মাস রেখে দেওয়া হয়। এতে চালের মধ্যে মিষ্টতা, ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণ বাড়ে।
সীমিত উৎপাদন: কিনমেমাই প্রিমিয়াম খুব সীমিত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। প্রতিবছর মাত্র কয়েক শ বাক্স। এর বিশেষত্ব হলো, প্রতিবছর এই চালের মিশ্রণ বদলে যায়। যে বছর যেসব জাতের চাল সবচেয়ে মানসম্পন্ন হয়, সেগুলো বেছে নতুন বার্ষিক ব্লেন্ড তৈরি করা হয়। এই চাল সাধারণত দামি উপহার বা বিশেষ উৎসবে দেওয়া হয়। নির্বাচিত কৃষকদের টোকিওতে ডেকে সম্মান জানানো হয়।
যুদ্ধোত্তর দুর্ভিক্ষ থেকে চালের প্রতি প্রেম
সাইকাকে চালের প্রতি গভীর আগ্রহী করে তুলেছিল শৈশবের এক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন মাকুরাজাকির কারণে চারদিকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বীজ, মাছ, পাখি ইত্যাদি যে যা সংগ্রহ করতে পারতেন, সেগুলো দিয়ে কোনোভাবে দিন পার করতেন। সেই দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা চালের প্রতি তাঁর আবেগ তৈরি করে দেয়। খাবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বাঁচার তাগিদ থেকে জন্ম নেয় তাঁর আজীবনের লক্ষ্য—জাপানি চালকে আরও উন্নত করা।
৯১ বছর বয়সেও প্রতিদিন কারখানায়
৯১ বছর বয়সেও সাইকা আজও প্রতিদিন কাজ করেন। বয়স বাড়লেও তাঁর গতি কমেনি। জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই এখনো একই উদ্যমে তিনি কর্মক্ষেত্রে হাজির হন, নিজের কাজ শেষ করেন এবং আশপাশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যান।
কিনমেমাই প্রিমিয়াম শুধু দামি চাল নয়, এটি একজন মানুষের জীবনের গল্প, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, কৃষকের পরিশ্রম এবং জাপানের চাল-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক।

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম
২০ আগস্ট ২০২১
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৯ মিনিট আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
২ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করার জন্য এখন স্পঞ্জের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়; বিশেষ করে শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে খাবারের নোংরা এই স্পঞ্জের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এগুলোতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। শক্তপোক্ত স্পঞ্জও একসময় পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়। এর চেয়ে খারাপ...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করার জন্য এখন স্পঞ্জের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়; বিশেষ করে শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে খাবারের নোংরা এই স্পঞ্জের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এগুলোতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। শক্তপোক্ত স্পঞ্জও একসময় পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়। এর চেয়ে খারাপ বিষয়টি হলো, অপরিষ্কার স্পঞ্জগুলো জীবাণু ছড়াতে শুরু করে। বাসনপত্র ধোয়ার জন্য যদি আপনি স্পঞ্জের ওপরই ভরসা রাখেন, তবে জেনে রাখুন, কখন এটি পাল্টানো জরুরি। কারণ, বদলানোর এই কাজ সঠিক সময়ে না করলে আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হতে পারেন।
যেসব লক্ষণ দেখলে স্পঞ্জ বদলাতে হবে—
দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কি না
যদি আপনার রান্নাঘরে স্পঞ্জটির কারণে বাজে গন্ধ হয়, তবে বুঝবেন একে বদলানোর সময় এসেছে। এটিই সম্ভবত স্পঞ্জ বদলানোর প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। জার্মস্মার্ট কমার্শিয়াল ক্লিনিংয়ের বিশেষজ্ঞ টেইলর রাইলি বলেন, ‘যদি আপনি ঘন ঘন স্পঞ্জ না পাল্টান, তবে এটি ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক (মোল্ড) এবং ইস্টের আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। সেগুলো আপনার বাসন, কাউন্টার টপ, এমনকি হাতেও ছড়িয়ে যেতে পারে।’

স্পঞ্জ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. শানিনা সি. নাইটন কিছু পরামর্শ দেন। সেগুলো হলো—
স্পঞ্জটি দৃশ্যমান দাগযুক্ত হলে
বাসন ধোয়ার পরেও যদি স্পঞ্জে দাগ থেকে যায়, তবে একে বাদ দেওয়াই ভালো। এলপিন মেইডসের প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস উইলাট বলেছেন, ‘যে বস্তু পরিষ্কার করছেন, তার ময়লা যদি স্পঞ্জে আটকে যায়, তবে সেই ময়লা পরেরবার পরিষ্কার করা পৃষ্ঠেও আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’ এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্পঞ্জ ব্যবহার করার আগে একটি ডিশ স্ক্রাবিং ব্রাশ ব্যবহার করে প্লেট ও প্যান থেকে বেশির ভাগ খাদ্যকণা সরিয়ে নিলে স্পঞ্জে দাগ লাগা এবং ময়লা জমে থাকা কিছুটা কমানো যেতে পারে।
স্পঞ্জটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা ছিঁড়ছে কি না
স্পঞ্জের বড় অসুবিধা হলো, এটি একসময় ভেঙে যেতে শুরু করে, ছিঁড়ে যায় বা আকার হারায়। ফ্রেশ স্পেস ক্লিনিংয়ের কোয়ালিটি লিড ক্লিনার রুন্ডা উইলসন বলেন, ‘যদি এটি ভেঙে যেতে শুরু করে, রং বদলায় বা তার আকৃতি হারায়, তবে বুঝতে হবে, এর আয়ু শেষ।’ একটি জীর্ণ স্পঞ্জ ঠিকমতো পরিষ্কার করতে পারে না।
স্পঞ্জটি পিচ্ছিল বা চটচটে অনুভূত হলে
স্পঞ্জ যদি শামুকের মতো চটচটে বা পিচ্ছিল লাগে, তবে তা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ফ্যান্টাস্টিক সার্ভিসেসের পেটিয়া হোলেভিচ সতর্ক করেন, যদি এটি পিচ্ছিল বা চটচটে মনে হয়, তবে সম্ভবত এর ভেতরে এক স্তরের ময়লা জমে আছে, যা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। আপনি যদি এটি খুব বেশি দিন ব্যবহার করেন, তবে দাগযুক্ত কাউন্টার টপের চেয়ে বেশি ঝুঁকি নিচ্ছেন। পুরোনো স্পঞ্জ ই. কোলাই ও সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে।

কাঁচা মাংস বা ছত্রাকের সংস্পর্শে এসেছে কি না
জীবাণুমুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হলে, কাঁচা মাংস বা ছত্রাকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছু পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্পঞ্জ বদলে ফেলা উচিত। ক্রিস উইলাট সতর্ক করে বলেন, ‘কাঁচা মাংস বা ছত্রাকযুক্ত জিনিসপত্র থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজে আপনার স্পঞ্জে স্থানান্তরিত হয়। সেই ব্যাকটেরিয়া নিশ্চয় আপনি আপনার অন্য প্লেট বা পাত্রে পেতে চান না!’ এই ধরনের নোংরা পরিষ্কার করার সময় একাধিক জিনিসপত্রের দূষণ রোধ করতে স্পঞ্জের পরিবর্তে একবার পেপার টাওয়েল ব্যবহার করুন।
ঘষে পরিষ্কার করার ক্ষমতা নেই
স্পঞ্জ যদি ঘষে পরিষ্কার করতে না পারে, তবে তার কার্যকারিতা কী? ড. শানিনা নাইটন পরামর্শ দেন, এর টেক্সচার নরম হয়ে গেলে সেটি বাসনপত্র ঘষে পরিষ্কার করার অবস্থায় থাকে না। এর রুক্ষ দিকটি মসৃণ হয়ে গেলে বা স্পঞ্জটি আঁশ, গুঁড়া বা ময়লা দিয়ে ভরে গেলে আপনার রান্নাঘরের স্পঞ্জটি বদলে ফেলার সময় এসেছে।
চেষ্টা করুন সপ্তাহে পাল্টানোর
আপনার স্পঞ্জ এক সপ্তাহ ব্যবহারের পর দেখতে যেমনই লাগুক, এটিকে বদলানো জরুরি। ক্রিস উইলাট বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি প্রতি সপ্তাহের শেষে একটি স্পঞ্জ ফেলে দিয়ে নতুন স্পঞ্জ নিতে পরামর্শ দিই। এক সপ্তাহের ময়লা, ব্যাকটেরিয়া এবং নোংরা পরিষ্কার করার পরে একটি নতুন স্পঞ্জ ব্যবহার করা দরকার। এমনকি যদি এটি পরিষ্কারও দেখায়, তবু এক সপ্তাহ পরে এটি ফেলে দেওয়া উচিত।’
সূত্র: হোমস অ্যান্ড গার্ডেনস

রান্নাঘরে থালাবাটি পরিষ্কার করার জন্য এখন স্পঞ্জের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়; বিশেষ করে শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে খাবারের নোংরা এই স্পঞ্জের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এগুলোতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। শক্তপোক্ত স্পঞ্জও একসময় পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়। এর চেয়ে খারাপ বিষয়টি হলো, অপরিষ্কার স্পঞ্জগুলো জীবাণু ছড়াতে শুরু করে। বাসনপত্র ধোয়ার জন্য যদি আপনি স্পঞ্জের ওপরই ভরসা রাখেন, তবে জেনে রাখুন, কখন এটি পাল্টানো জরুরি। কারণ, বদলানোর এই কাজ সঠিক সময়ে না করলে আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হতে পারেন।
যেসব লক্ষণ দেখলে স্পঞ্জ বদলাতে হবে—
দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কি না
যদি আপনার রান্নাঘরে স্পঞ্জটির কারণে বাজে গন্ধ হয়, তবে বুঝবেন একে বদলানোর সময় এসেছে। এটিই সম্ভবত স্পঞ্জ বদলানোর প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। জার্মস্মার্ট কমার্শিয়াল ক্লিনিংয়ের বিশেষজ্ঞ টেইলর রাইলি বলেন, ‘যদি আপনি ঘন ঘন স্পঞ্জ না পাল্টান, তবে এটি ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক (মোল্ড) এবং ইস্টের আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। সেগুলো আপনার বাসন, কাউন্টার টপ, এমনকি হাতেও ছড়িয়ে যেতে পারে।’

স্পঞ্জ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. শানিনা সি. নাইটন কিছু পরামর্শ দেন। সেগুলো হলো—
স্পঞ্জটি দৃশ্যমান দাগযুক্ত হলে
বাসন ধোয়ার পরেও যদি স্পঞ্জে দাগ থেকে যায়, তবে একে বাদ দেওয়াই ভালো। এলপিন মেইডসের প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস উইলাট বলেছেন, ‘যে বস্তু পরিষ্কার করছেন, তার ময়লা যদি স্পঞ্জে আটকে যায়, তবে সেই ময়লা পরেরবার পরিষ্কার করা পৃষ্ঠেও আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’ এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্পঞ্জ ব্যবহার করার আগে একটি ডিশ স্ক্রাবিং ব্রাশ ব্যবহার করে প্লেট ও প্যান থেকে বেশির ভাগ খাদ্যকণা সরিয়ে নিলে স্পঞ্জে দাগ লাগা এবং ময়লা জমে থাকা কিছুটা কমানো যেতে পারে।
স্পঞ্জটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা ছিঁড়ছে কি না
স্পঞ্জের বড় অসুবিধা হলো, এটি একসময় ভেঙে যেতে শুরু করে, ছিঁড়ে যায় বা আকার হারায়। ফ্রেশ স্পেস ক্লিনিংয়ের কোয়ালিটি লিড ক্লিনার রুন্ডা উইলসন বলেন, ‘যদি এটি ভেঙে যেতে শুরু করে, রং বদলায় বা তার আকৃতি হারায়, তবে বুঝতে হবে, এর আয়ু শেষ।’ একটি জীর্ণ স্পঞ্জ ঠিকমতো পরিষ্কার করতে পারে না।
স্পঞ্জটি পিচ্ছিল বা চটচটে অনুভূত হলে
স্পঞ্জ যদি শামুকের মতো চটচটে বা পিচ্ছিল লাগে, তবে তা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ফ্যান্টাস্টিক সার্ভিসেসের পেটিয়া হোলেভিচ সতর্ক করেন, যদি এটি পিচ্ছিল বা চটচটে মনে হয়, তবে সম্ভবত এর ভেতরে এক স্তরের ময়লা জমে আছে, যা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। আপনি যদি এটি খুব বেশি দিন ব্যবহার করেন, তবে দাগযুক্ত কাউন্টার টপের চেয়ে বেশি ঝুঁকি নিচ্ছেন। পুরোনো স্পঞ্জ ই. কোলাই ও সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে।

কাঁচা মাংস বা ছত্রাকের সংস্পর্শে এসেছে কি না
জীবাণুমুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হলে, কাঁচা মাংস বা ছত্রাকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছু পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্পঞ্জ বদলে ফেলা উচিত। ক্রিস উইলাট সতর্ক করে বলেন, ‘কাঁচা মাংস বা ছত্রাকযুক্ত জিনিসপত্র থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজে আপনার স্পঞ্জে স্থানান্তরিত হয়। সেই ব্যাকটেরিয়া নিশ্চয় আপনি আপনার অন্য প্লেট বা পাত্রে পেতে চান না!’ এই ধরনের নোংরা পরিষ্কার করার সময় একাধিক জিনিসপত্রের দূষণ রোধ করতে স্পঞ্জের পরিবর্তে একবার পেপার টাওয়েল ব্যবহার করুন।
ঘষে পরিষ্কার করার ক্ষমতা নেই
স্পঞ্জ যদি ঘষে পরিষ্কার করতে না পারে, তবে তার কার্যকারিতা কী? ড. শানিনা নাইটন পরামর্শ দেন, এর টেক্সচার নরম হয়ে গেলে সেটি বাসনপত্র ঘষে পরিষ্কার করার অবস্থায় থাকে না। এর রুক্ষ দিকটি মসৃণ হয়ে গেলে বা স্পঞ্জটি আঁশ, গুঁড়া বা ময়লা দিয়ে ভরে গেলে আপনার রান্নাঘরের স্পঞ্জটি বদলে ফেলার সময় এসেছে।
চেষ্টা করুন সপ্তাহে পাল্টানোর
আপনার স্পঞ্জ এক সপ্তাহ ব্যবহারের পর দেখতে যেমনই লাগুক, এটিকে বদলানো জরুরি। ক্রিস উইলাট বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি প্রতি সপ্তাহের শেষে একটি স্পঞ্জ ফেলে দিয়ে নতুন স্পঞ্জ নিতে পরামর্শ দিই। এক সপ্তাহের ময়লা, ব্যাকটেরিয়া এবং নোংরা পরিষ্কার করার পরে একটি নতুন স্পঞ্জ ব্যবহার করা দরকার। এমনকি যদি এটি পরিষ্কারও দেখায়, তবু এক সপ্তাহ পরে এটি ফেলে দেওয়া উচিত।’
সূত্র: হোমস অ্যান্ড গার্ডেনস

বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম
২০ আগস্ট ২০২১
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৯ মিনিট আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
২ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৪ ঘণ্টা আগে