Ajker Patrika

ঘুমের মধ্যে ফ্যানের বাতাস সরাসরি গায়ে লাগলে যেসব সমস্যা হতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ঘুমের সময় একদিকে ঠান্ডা বাতাস বেশি লাগলে পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ঘুমের সময় একদিকে ঠান্ডা বাতাস বেশি লাগলে পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

ঘুমানোর সময় অনেকেই ফ্যান চালিয়ে রাখেন। কারও মতে ফ্যানের শীতল বাতাস ও শব্দ দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। তবে এ অভ্যাসের কিছু সুবিধা থাকার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বিশেষ করে ফ্যানের বাতাস সরাসরি গায়ে লাগলে।

ঘুমের সময় ফ্যান চালালে বড় কোনো বিপদের সম্ভাবনা না থাকলেও, কিছু বিরক্তিকর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

১. নাক বন্ধ ও সর্দি-কাশি

ফ্যানের বাতাস মুখ, নাক ও গলা শুকিয়ে ফেলতে পারে। এতে শ্বাসযন্ত্রে অতিরিক্ত মিউকাস (শ্লেষ্মা) তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত মিউকাস মাথাব্যথা, সর্দি, গলা ব্যথা বা নাক ডাকার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকেই সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন, তাহলে ফ্যানের বাতাসে এসব উপসর্গ বাড়তে পারে।

সমাধান: বেশি পানি পান করুন, এবং চাইলে ফ্যানের সঙ্গে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

২. অ্যালার্জি বাড়াতে পারে

ফ্যান বাতাসে থাকা ধুলা ও পরাগ ছড়িয়ে দেয়। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই কণাগুলো ফ্যানের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। এতে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া ফ্যানের ব্লেডেও ধুলা জমে থাকে। এই ধুলা যদি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং আপনি শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, তাহলে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা চুলকানো, হাঁচি, চোখ দিয়ে পানি পড়া বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।

৩. চোখ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে

ফ্যানের বাতাস সরাসরি গায়ে লাগলে ত্বক ও চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

সমাধান: রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ও ডাক্তারের পরামর্শে চোখে আই ড্রপ দিতে পারেন।

৪. পেশির ব্যথা

ঘুমের সময় একদিকে ঠান্ডা বাতাস বেশি লাগলে পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে গা ব্যথা বা ঘাড় ব্যথা হতে পারে।

সমাধান: ফ্যান সরাসরি না তাক করে একটু দূরে বা পাশে রেখে ব্যবহার করুন।

যে ধরনের ফ্যান ব্যবহার করবেন

পোর্টেবল ফ্যান: সহজে সরানো যায়, চাইলে ঘুমানোর সময় দূরে রাখতে পারেন।

অসিলেটিং ফ্যান: বাতাস একদিকে না থেকে ঘুরে ঘুরে আসে, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

টাইমার ফ্যান: নির্দিষ্ট সময় পরে বন্ধ হয়ে যায়, অতিরিক্ত বাতাস লাগা থেকে বাঁচায়।

আর ফ্যানের ব্লেড নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন, যাতে ধুলা জমে না থাকে।

ফ্যান ছাড়াও শরীর ঠান্ডা থাকার কিছু উপায়

বিছানায় কুলিং ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন: এতে শরীরের তাপ বের হয়ে যায়।

সঠিক পোশাক পরুন: হালকা, ঢিলেঢালা, সুতির পোশাক আরামদায়ক পোশাক শরীরকে ঠান্ডা রাখে।

ব্ল্যাকআউট পর্দা ব্যবহার করুন: সূর্যের আলো ঠেকিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখে।

গরম পানি দিয়ে গোসল করুন: শুনতে অদ্ভুত লাগলে এটি ঘুমানোর আগে শরীর ঠান্ডা করে।

ঘরের দরজা খোলা রাখুন: বাতাস চলাচল বাড়বে।

এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন: প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়ক হয়।

ঘুমানোর সময় ফ্যান চালানো ভালো না খারাপ—এটা পুরোপুরি নির্ভর করে ব্যক্তিগত চাহিদা ও স্বাস্থ্যের ওপর। যাদের ত্বক শুষ্ক, অ্যালার্জি বা হাঁপানি আছে, তারা অন্যভাবে ঘর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

ভবদহের দুঃখ ঘোচাতে আসছে সেনাবাহিনী, খনন করবে ৫ নদ-নদীর ৮১.৫ কিমি

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

তাহসান তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন: তসলিমা

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত