শারমিন কচি
চাঁদরাতে ঘটা করে মেহেদি দিয়ে হাত সাজানো হয় প্রায় সব বাড়িতে। আগের দিনের মতো এখন আর শিল-পাটায় মেহেদি পাতা বেটে হাতে লাগানো হয় না। আগে মেহেদি পাতা পাটায় বেটে হাতে প্রলেপ দেওয়া হতো। গাঢ় রং করতে মেহেদি পাতা বাটার সময় ব্যবহার করা হতো খয়ের। তখন নখ, আঙুলের সামনের দিক আর হাতের তালু বা হাতের পিঠে গোলাকৃতির প্রলেপ ছিল মেহেদির নকশা। বাটা মেহেদি হাতে লাগানোর পর সারা রাত ওভাবেই রেখে পরের দিন সকালে হাত ধোয়া হতো। আবার নানি-দাদিদের টিপস ছিল, মেহেদি তুলে হাতে সরষের তেল ঘষে নিলে রং ভালো হয়। এখন বাটা মেহেদির ব্যবহার উঠেই গেছে বলা যায়।
বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের, নানা ব্র্যান্ডের টিউব মেহেদি পাওয়া যায়। প্রয়োজন আর পছন্দ অনুযায়ী যে যার মতো করে কেনেন। আগের আর এখনকার হাতে মেহেদি লাগানোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, এখন মেহেদির নকশাই ফ্যাশনেবল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ নকশাতেও আসে পার্থক্য। কখনো জড়োয়া ভারী নকশা, আবার কখনো হালকা নকশা। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নও প্রাধান্য পাচ্ছে মেহেদির নকশায়। মেহেদির প্যাকেটের ভেতরেই থাকে ফ্রি ডিজাইন বুক। ঈদ উপলক্ষে অনেকে পারলারে গিয়ে নানা নকশায় মেহেদি লাগান।
তবে ঘরে বসে মেহেদি বানিয়ে নিতে চাইলে সেটাও সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন মেহেদি পাউডার, চিনি, কফি পাউডার ও চায়ের লিকার।
মেহেদি বানানোর প্রণালি
মেহেদি পাউডার, চিনি ও কফি পাউডার মিশিয়ে তাতে চায়ের লিকার অল্প অল্প করে দিয়ে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই মিশ্রণ এক ঘণ্টা শক্ত করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পর পলিথিন দিয়ে কোণ বানিয়ে তার ভেতর মেহেদি দিয়ে হাতে পরলেই পেয়ে যাবেন গাঢ় বাদামি রঙের মেহেদি।
মেহেদি লাগানোর আগে পরে
* মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
* হাতে মরা কোষ থাকলে মেনিকিউর করে মেহেদি দিলে রং গাঢ় হবে।
* হাতে মেহেদি দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। না হলে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা হাতে রাখুন।
* সারা রাত রেখে পরের দিন শুকনো মেহেদি ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
* পরিমাণমতো লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিয়ে তুলায় লাগিয়ে আলতোভাবে নকশার ওপরে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তাতে মেহেদির রং গাঢ় ও স্থায়ী হবে। তবে লেবুর রস বেশি লাগানো যাবে না।
* মেহেদি শুকিয়ে গেলে হাত থেকে তুলে নিয়ে সরিষার তেল দিয়ে হাতের তালু ভালোভাবে মালিশ করুন। তেল মালিশ মেহেদির রং গাঢ় ও স্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
চাঁদরাতে ঘটা করে মেহেদি দিয়ে হাত সাজানো হয় প্রায় সব বাড়িতে। আগের দিনের মতো এখন আর শিল-পাটায় মেহেদি পাতা বেটে হাতে লাগানো হয় না। আগে মেহেদি পাতা পাটায় বেটে হাতে প্রলেপ দেওয়া হতো। গাঢ় রং করতে মেহেদি পাতা বাটার সময় ব্যবহার করা হতো খয়ের। তখন নখ, আঙুলের সামনের দিক আর হাতের তালু বা হাতের পিঠে গোলাকৃতির প্রলেপ ছিল মেহেদির নকশা। বাটা মেহেদি হাতে লাগানোর পর সারা রাত ওভাবেই রেখে পরের দিন সকালে হাত ধোয়া হতো। আবার নানি-দাদিদের টিপস ছিল, মেহেদি তুলে হাতে সরষের তেল ঘষে নিলে রং ভালো হয়। এখন বাটা মেহেদির ব্যবহার উঠেই গেছে বলা যায়।
বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের, নানা ব্র্যান্ডের টিউব মেহেদি পাওয়া যায়। প্রয়োজন আর পছন্দ অনুযায়ী যে যার মতো করে কেনেন। আগের আর এখনকার হাতে মেহেদি লাগানোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, এখন মেহেদির নকশাই ফ্যাশনেবল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ নকশাতেও আসে পার্থক্য। কখনো জড়োয়া ভারী নকশা, আবার কখনো হালকা নকশা। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নও প্রাধান্য পাচ্ছে মেহেদির নকশায়। মেহেদির প্যাকেটের ভেতরেই থাকে ফ্রি ডিজাইন বুক। ঈদ উপলক্ষে অনেকে পারলারে গিয়ে নানা নকশায় মেহেদি লাগান।
তবে ঘরে বসে মেহেদি বানিয়ে নিতে চাইলে সেটাও সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন মেহেদি পাউডার, চিনি, কফি পাউডার ও চায়ের লিকার।
মেহেদি বানানোর প্রণালি
মেহেদি পাউডার, চিনি ও কফি পাউডার মিশিয়ে তাতে চায়ের লিকার অল্প অল্প করে দিয়ে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই মিশ্রণ এক ঘণ্টা শক্ত করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পর পলিথিন দিয়ে কোণ বানিয়ে তার ভেতর মেহেদি দিয়ে হাতে পরলেই পেয়ে যাবেন গাঢ় বাদামি রঙের মেহেদি।
মেহেদি লাগানোর আগে পরে
* মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
* হাতে মরা কোষ থাকলে মেনিকিউর করে মেহেদি দিলে রং গাঢ় হবে।
* হাতে মেহেদি দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। না হলে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা হাতে রাখুন।
* সারা রাত রেখে পরের দিন শুকনো মেহেদি ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
* পরিমাণমতো লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিয়ে তুলায় লাগিয়ে আলতোভাবে নকশার ওপরে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তাতে মেহেদির রং গাঢ় ও স্থায়ী হবে। তবে লেবুর রস বেশি লাগানো যাবে না।
* মেহেদি শুকিয়ে গেলে হাত থেকে তুলে নিয়ে সরিষার তেল দিয়ে হাতের তালু ভালোভাবে মালিশ করুন। তেল মালিশ মেহেদির রং গাঢ় ও স্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
৯ ঘণ্টা আগেবিটরুটের সালাদ আর ভাজি তো সব সময় খাওয়া হয়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ইদানীং বিটরুটের জুসও পান করছেন। বেশ ট্রেন্ডে রয়েছে এই জুস। তবে চাইলে বিটরুট দিয়ে ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকস ও ডেজার্ট তৈরি করা যায়।
৯ ঘণ্টা আগেএকজন স্বাস্থ্যবতী নারী যদি বলেন, ‘আমার যা পরতে ভালো লাগে, তা-ই পরব।’ তাহলে আশপাশে মুখ টিপে হাসার মতো মানুষের অভাব হয় না। এখন কথা হচ্ছে, প্লাস সাইজের কোনো মানুষ কি ফ্যাশন নিয়ে ভাববেন না?
৯ ঘণ্টা আগেকারও পছন্দ হাতলওয়ালা চিরুনি আবার কারও পছন্দ চিকন দাঁতের। একসময় হাতির দাঁতের চিরুনি তৈরি হতো। শঙ্খ দিয়ে তৈরি চিরুনির কথাও শোনা যায়। তবে সেসব দিন গত হয়েছে। এখন বেশির ভাগ চিরুনি তৈরি হয় প্লাস্টিক থেকে। কখনো দেখা যায় কাঠের চিরুনিও।
৯ ঘণ্টা আগে