সানজিদা সামরিন

আজ ২২ এপ্রিল; এক বিশেষ দিন। একটু সুন্দর করে উচ্চারণ করতে চাইলে বলতে হবে আজ ধরিত্রী দিবস। মানে পৃথিবী দিবস। ১৯৭০ সালে প্রথম এই ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মার্কিন সিনেটর পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। সারা দেশে তখন সমাবেশ হয়। বছরের শেষ নাগাদ, মার্কিন সরকার পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা গড়ে তোলে। এখন বিশ্বের ১৯৩ টিরও বেশি দেশ প্রতি বছর এই দিবস পালন করে।
চলতি বছর আর্থ ডে বা ধরিত্রী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—আমাদের গ্রহে বিনিয়োগ করুন। পৃথিবীর জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষার্থে এই বিনিয়োগটা কী হতে পারে? বৃক্ষরোপণ তো বটেই পাশাপাশি বিদ্য়ুৎ সাশ্রয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি অপচয় রোধ, ব্যবহার্য জিনিসের পুনর্ব্যবহার এবং বায়ু, মাটি ও পানি দূষণ রোধে সচেতনভাবে কাজ করা।
পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে এখন অনেক তরুণও নানাভাবে কাজ করছেন। মো. সাদিত উজ জামান তাঁদের মধ্যেই একজন। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চার বছর কাজ করেন সাদিত। এর পর নিজের উদ্যোগে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত টি-ব্যাগ, বেভারেজ ক্যান, ওষুধের স্ট্রিপ, চিপসের প্যাকেটের মতো জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল নিয়েও কাজ করছেন।
সাদিত বলেন, ‘আমরা এত বেশি পরিবেশ নোংরা করি! ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে নতুন কী করা যায়, সব সময় তা-ই ভাবতে থাকি, যা কিনা মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেবে যে, আমরা যেন পরিবেশের ক্ষতি না করি এভাবে আবর্জনা ফেলে।’
ব্যবহৃত টি-ব্যাগের ওপর সমকালীন ঘটনা অবলম্বনে ছবি তো আঁকেনই পাশাপাশি জাঙ্ক জার্নিস নামেও তাঁর একটি প্রোজেক্ট রয়েছে। এই প্রোজেক্টের আওতায় বেভারেজ ক্যান, ওষুধের স্ট্রিপ, ম্যাচবক্স, পুরোনো ইনহেলার, বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল নিয়ে কাজ করছেন সাদিত।
এই বৈশাখের আবহে চারপাশে নিভৃতে একটু একটু করে কৃষ্ণচূড়া ফুটছে। অভিনব উপায়ে তারই প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন সাদিত। কোকাকোলা, ফ্যান্টা ও স্প্রাইটের ক্যান কেটে বানিয়েছেন কৃষ্ণচূড়া ফুল ও পাতা। এই রিসাইকেল আর্টের উদ্দেশ্য় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম উদ্দেশ্য় হচ্ছে, আশপাশের সবাইকে সচেতন করা। আমরা চারপাশের পরিবেশ সবচেয়ে বেশি নষ্ট করি চিপসের প্যাকেট, ক্যান ইত্যাদি দিয়েই। ফলে আমার এই রিসাইকেল আর্টগুলো দিয়ে আমি সবাইকে সচেতন করতে চাই এই বলে যে, এগুলো যেখানে-সেখানে ফেলে না দিয়ে আমরা নতুন কিছু তৈরি করতে পারি।’
না, একাই সব বর্জ্যকে ফুলে রূপান্তর করে দেবেন—এমনটা ভাবেন না সাদিত। তবে মনে করেন, এর মাধ্যমে একটা বোধ তৈরি করা যাবে। বললেন, ‘আমরা যতটা পণ্য ব্যবহার করি অতটা রিসাইকেল করতে পারি না, সম্ভবও না। যেমন আমি এই কৃষ্ণচূড়া ফুলটি হয়তো চার-পাঁচটি ক্যান দিয়ে করেছি। কিন্তু এসব পণ্য তো আমি এর চেয়েও অনেক বেশি কিনি। সে ক্ষেত্রে আমার এই কাজটা একটা প্রতীকী মাধ্যম। ফলে যাদের মধ্য়ে সৃজনশীলতা আছে, তারা এ রকম কিছু হয়তো তৈরি করবে। সবাই না। তবে হ্যাঁ, পরিবেশ বাঁচাতে সবাইকেই সৃজনশীল কিছু করতে হবে, তা নয়। আমার কাজ দিয়ে আমি এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছতে চাই যে, আমরা আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে, নির্দিষ্ট জায়গাতেই যেন ফেলি।’
পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের কথা এখন অনেকেই বলেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারেও এ নিয়ে হয় বিস্তর আলাপ। কিন্তু এই পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন আসলে কী? সাদিত বলেন, ‘আমার বাবা বাগান করতে ভালোবাসেন। ফলে সারাক্ষণ সবুজের আবেশেই থাকা হয়। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল নিয়ে যেসব রিসাইকেল আর্টের কাজ করছি, তা পরিবেশের কথা ভেবেই এবং প্রাকৃতিক উপকরণগুলোর ওপর ফোকাস করেই করছি।’
বোঝা গেল সাদিত পরিবেশবান্ধব জীবনের সংজ্ঞা নিজের জীবন দিয়েই নির্ধারণ করেছেন। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা যেমন, তেমনি প্রকৃতির ওপর বাড়তি বর্জ্যভার না চাপিয়ে বরং তা লাঘবের অন্য নামই তাঁর কাছে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন। এই একই বিষয়ে কথা হয়েছিল সাদিকা রুমনের সঙ্গে। যাঁরা অল্প দামে সুন্দর ও টিপটপ গয়না কিনতে চান, তাঁদের কাছে ‘হরপ্পা’ নামটি পরিচিত। বিশেষ করে ফুলের প্রতি যাঁদের আগ্রহ রয়েছে, তাঁরা হরপ্পার গয়না ভালোবাসেন। ফেসবুকে গয়নার পেজ ‘হরপ্পা’ খুললেই পেয়ে যাবেন রঙিন পুঁতির সব মালা, কানের দুল, আংটি ইত্যাদি। সাদিকা রুমন এই হরপ্পার স্বত্বাধিকারী।
সাদিকা রুমন বলেন, ‘পরিবেশের কথা ভেবে সচেতনভাবে যে কয়টা কাজ করার চেষ্টা করি, ব্যবসায়ের কথাই যদি বলি, আমার ব্যবসায়ী উদ্যোগে প্রতিটি পার্সেলের সঙ্গে গাছের বীজ দিই সবুজায়নকে উৎসাহিত করতে। প্যাকেজিং এখনো সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপায়ে করতে না পারলেও ঈদের পর ইচ্ছে আছে পরিবেশবান্ধব পচনশীল বায়োপ্লাস্টিক পলকার তৈরি প্যাকেটে পণ্য ডেলিভারি দিতে। পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যাগ তো পরিবেশবান্ধব না।’
এ ছাড়াও হরপ্পার গয়না তৈরিতে অন্যান্য উপকরণের পাশাপাশি সাদিকা ব্যবহার করেন কাঠের পুঁতি ও কাপড়। নকশায় শোভা পায় ফুলপাতা। ব্যবসায়ের শুরুর দিকে কাপড়ের গয়নায় প্রথম সোনালু ফুলের একটা মালা তৈরি করেন সাদিকা রুমন। এর পর শুধু ফুল আর গাছ দিয়ে একটি সিরিজ করার কথা ভাবেন। কারণ, ফুল ও গাছ প্রকৃতির কথা বলে। হরপ্পার পেজে একটা অ্যালবাম আছে, যার নাম আরণ্যক। এই অ্যালবামের সব গয়নাই কাপড়ের ওপর হাতে সেলাই করে তৈরি। এর বিষয় ফুল ও গাছ।
ব্যক্তিগত সবুজ জীবনযাপন করার বিষয়ে সাদিকা বলেন, ‘একটু একটু করে আমরা সবাই যে যার জায়গা থেকে যদি ভাবি পৃথিবীর সম্পদ মানেই আমার সম্পদ। তাহলে হয়তো পরিবর্তন আসবে। আমরা যদি পানির অপচয় না করার চেষ্টা করি, গ্যাস, বিদ্যুৎ অপচয় না করার চেষ্টা করি, পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার কমাতে পারি, তাহলে সবাই মিলে একটু একটু করে পরিবেশকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারব।’

আজ ২২ এপ্রিল; এক বিশেষ দিন। একটু সুন্দর করে উচ্চারণ করতে চাইলে বলতে হবে আজ ধরিত্রী দিবস। মানে পৃথিবী দিবস। ১৯৭০ সালে প্রথম এই ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মার্কিন সিনেটর পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। সারা দেশে তখন সমাবেশ হয়। বছরের শেষ নাগাদ, মার্কিন সরকার পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা গড়ে তোলে। এখন বিশ্বের ১৯৩ টিরও বেশি দেশ প্রতি বছর এই দিবস পালন করে।
চলতি বছর আর্থ ডে বা ধরিত্রী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—আমাদের গ্রহে বিনিয়োগ করুন। পৃথিবীর জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষার্থে এই বিনিয়োগটা কী হতে পারে? বৃক্ষরোপণ তো বটেই পাশাপাশি বিদ্য়ুৎ সাশ্রয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি অপচয় রোধ, ব্যবহার্য জিনিসের পুনর্ব্যবহার এবং বায়ু, মাটি ও পানি দূষণ রোধে সচেতনভাবে কাজ করা।
পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে এখন অনেক তরুণও নানাভাবে কাজ করছেন। মো. সাদিত উজ জামান তাঁদের মধ্যেই একজন। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চার বছর কাজ করেন সাদিত। এর পর নিজের উদ্যোগে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত টি-ব্যাগ, বেভারেজ ক্যান, ওষুধের স্ট্রিপ, চিপসের প্যাকেটের মতো জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল নিয়েও কাজ করছেন।
সাদিত বলেন, ‘আমরা এত বেশি পরিবেশ নোংরা করি! ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে নতুন কী করা যায়, সব সময় তা-ই ভাবতে থাকি, যা কিনা মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেবে যে, আমরা যেন পরিবেশের ক্ষতি না করি এভাবে আবর্জনা ফেলে।’
ব্যবহৃত টি-ব্যাগের ওপর সমকালীন ঘটনা অবলম্বনে ছবি তো আঁকেনই পাশাপাশি জাঙ্ক জার্নিস নামেও তাঁর একটি প্রোজেক্ট রয়েছে। এই প্রোজেক্টের আওতায় বেভারেজ ক্যান, ওষুধের স্ট্রিপ, ম্যাচবক্স, পুরোনো ইনহেলার, বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল নিয়ে কাজ করছেন সাদিত।
এই বৈশাখের আবহে চারপাশে নিভৃতে একটু একটু করে কৃষ্ণচূড়া ফুটছে। অভিনব উপায়ে তারই প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন সাদিত। কোকাকোলা, ফ্যান্টা ও স্প্রাইটের ক্যান কেটে বানিয়েছেন কৃষ্ণচূড়া ফুল ও পাতা। এই রিসাইকেল আর্টের উদ্দেশ্য় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম উদ্দেশ্য় হচ্ছে, আশপাশের সবাইকে সচেতন করা। আমরা চারপাশের পরিবেশ সবচেয়ে বেশি নষ্ট করি চিপসের প্যাকেট, ক্যান ইত্যাদি দিয়েই। ফলে আমার এই রিসাইকেল আর্টগুলো দিয়ে আমি সবাইকে সচেতন করতে চাই এই বলে যে, এগুলো যেখানে-সেখানে ফেলে না দিয়ে আমরা নতুন কিছু তৈরি করতে পারি।’
না, একাই সব বর্জ্যকে ফুলে রূপান্তর করে দেবেন—এমনটা ভাবেন না সাদিত। তবে মনে করেন, এর মাধ্যমে একটা বোধ তৈরি করা যাবে। বললেন, ‘আমরা যতটা পণ্য ব্যবহার করি অতটা রিসাইকেল করতে পারি না, সম্ভবও না। যেমন আমি এই কৃষ্ণচূড়া ফুলটি হয়তো চার-পাঁচটি ক্যান দিয়ে করেছি। কিন্তু এসব পণ্য তো আমি এর চেয়েও অনেক বেশি কিনি। সে ক্ষেত্রে আমার এই কাজটা একটা প্রতীকী মাধ্যম। ফলে যাদের মধ্য়ে সৃজনশীলতা আছে, তারা এ রকম কিছু হয়তো তৈরি করবে। সবাই না। তবে হ্যাঁ, পরিবেশ বাঁচাতে সবাইকেই সৃজনশীল কিছু করতে হবে, তা নয়। আমার কাজ দিয়ে আমি এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছতে চাই যে, আমরা আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে, নির্দিষ্ট জায়গাতেই যেন ফেলি।’
পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের কথা এখন অনেকেই বলেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারেও এ নিয়ে হয় বিস্তর আলাপ। কিন্তু এই পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন আসলে কী? সাদিত বলেন, ‘আমার বাবা বাগান করতে ভালোবাসেন। ফলে সারাক্ষণ সবুজের আবেশেই থাকা হয়। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি জাঙ্ক ম্যাটেরিয়াল নিয়ে যেসব রিসাইকেল আর্টের কাজ করছি, তা পরিবেশের কথা ভেবেই এবং প্রাকৃতিক উপকরণগুলোর ওপর ফোকাস করেই করছি।’
বোঝা গেল সাদিত পরিবেশবান্ধব জীবনের সংজ্ঞা নিজের জীবন দিয়েই নির্ধারণ করেছেন। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা যেমন, তেমনি প্রকৃতির ওপর বাড়তি বর্জ্যভার না চাপিয়ে বরং তা লাঘবের অন্য নামই তাঁর কাছে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন। এই একই বিষয়ে কথা হয়েছিল সাদিকা রুমনের সঙ্গে। যাঁরা অল্প দামে সুন্দর ও টিপটপ গয়না কিনতে চান, তাঁদের কাছে ‘হরপ্পা’ নামটি পরিচিত। বিশেষ করে ফুলের প্রতি যাঁদের আগ্রহ রয়েছে, তাঁরা হরপ্পার গয়না ভালোবাসেন। ফেসবুকে গয়নার পেজ ‘হরপ্পা’ খুললেই পেয়ে যাবেন রঙিন পুঁতির সব মালা, কানের দুল, আংটি ইত্যাদি। সাদিকা রুমন এই হরপ্পার স্বত্বাধিকারী।
সাদিকা রুমন বলেন, ‘পরিবেশের কথা ভেবে সচেতনভাবে যে কয়টা কাজ করার চেষ্টা করি, ব্যবসায়ের কথাই যদি বলি, আমার ব্যবসায়ী উদ্যোগে প্রতিটি পার্সেলের সঙ্গে গাছের বীজ দিই সবুজায়নকে উৎসাহিত করতে। প্যাকেজিং এখনো সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপায়ে করতে না পারলেও ঈদের পর ইচ্ছে আছে পরিবেশবান্ধব পচনশীল বায়োপ্লাস্টিক পলকার তৈরি প্যাকেটে পণ্য ডেলিভারি দিতে। পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যাগ তো পরিবেশবান্ধব না।’
এ ছাড়াও হরপ্পার গয়না তৈরিতে অন্যান্য উপকরণের পাশাপাশি সাদিকা ব্যবহার করেন কাঠের পুঁতি ও কাপড়। নকশায় শোভা পায় ফুলপাতা। ব্যবসায়ের শুরুর দিকে কাপড়ের গয়নায় প্রথম সোনালু ফুলের একটা মালা তৈরি করেন সাদিকা রুমন। এর পর শুধু ফুল আর গাছ দিয়ে একটি সিরিজ করার কথা ভাবেন। কারণ, ফুল ও গাছ প্রকৃতির কথা বলে। হরপ্পার পেজে একটা অ্যালবাম আছে, যার নাম আরণ্যক। এই অ্যালবামের সব গয়নাই কাপড়ের ওপর হাতে সেলাই করে তৈরি। এর বিষয় ফুল ও গাছ।
ব্যক্তিগত সবুজ জীবনযাপন করার বিষয়ে সাদিকা বলেন, ‘একটু একটু করে আমরা সবাই যে যার জায়গা থেকে যদি ভাবি পৃথিবীর সম্পদ মানেই আমার সম্পদ। তাহলে হয়তো পরিবর্তন আসবে। আমরা যদি পানির অপচয় না করার চেষ্টা করি, গ্যাস, বিদ্যুৎ অপচয় না করার চেষ্টা করি, পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার কমাতে পারি, তাহলে সবাই মিলে একটু একটু করে পরিবেশকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারব।’

প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৩১ মিনিট আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৮ ঘণ্টা আগে
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ক্যানসার প্রতিরোধ
আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।
পুষ্টিতথ্য
১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে
ক্যালরি: ৪৫
চর্বি: ০.৫ গ্রাম
শর্করা: ১০ গ্রাম
আঁশ: ৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১ গ্রাম
সতর্কতা
আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।
খাওয়ার পরামর্শ
সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—
আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।
আমলকী সাপ্লিমেন্ট
আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।
খুশকির সমস্যা কমায়
খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।
শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সূত্র: হেলথ

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ক্যানসার প্রতিরোধ
আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।
পুষ্টিতথ্য
১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে
ক্যালরি: ৪৫
চর্বি: ০.৫ গ্রাম
শর্করা: ১০ গ্রাম
আঁশ: ৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১ গ্রাম
সতর্কতা
আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।
খাওয়ার পরামর্শ
সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—
আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।
আমলকী সাপ্লিমেন্ট
আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।
খুশকির সমস্যা কমায়
খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।
শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সূত্র: হেলথ

পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে এখন অনেক তরুণও নানাভাবে কাজ করছেন। মো. সাদিত উজ জামান তাঁদের মধ্য়েই একজন। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চার বছর কাজ করেন সাদিত। এর পর নিজের উদ্যোগে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত টি
২২ এপ্রিল ২০২২
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৮ ঘণ্টা আগে
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অনেকে।
পুরুষের মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা না হওয়ায় এ সময় উপসর্গগুলো বুঝে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বা আপনার আশেপাশের চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষটির মেনোপজ হয়েছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন যেসব লক্ষণ দেখে তা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো—
১. মেজাজের ওঠানামা ও খিটখিটে হয়ে যাওয়া
২. পেশিতে ভর দেওয়া এবং ব্যায়াম করার সক্ষমতা কমতে থাকা
৩. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের চারপাশে বা বুকের অংশে চর্বি জমা (‘ম্যান বুবস’ বা গাইনোকোম্যাস্টিয়া)
৪. উদ্যম বা শক্তির অভাব
৫. অনিদ্রা বা সব সময় ক্লান্ত বোধ করা
৬. মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি
এসব উপসর্গ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর মূল কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
‘মেল মেনোপজ’কে অ্যান্ড্রোপজ নামেও পরিচিত। তবে এই বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা দেখা যায় অনেক সময়। বলা হয়, পুরুষদের মধ্যবয়সে নারীদের মতো হঠাৎ করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। আসলে তা ঘটে না।
পুরুষদের টেস্টোস্টেরন মাত্রা বয়সের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ করে। এই স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না।
তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, যাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (late-onset hypogonadism) দেখা দিতে পারে। তখন ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, বা মেজাজের পরিবর্তনের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
তবুও অনেক সময় এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে হরমোনের কোনো সম্পর্কই থাকে না। মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, জীবনযাত্রা বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।
পুরুষদের অনেক উপসর্গের পেছনে হরমোন নয়, বরং জীবনযাত্রা বা মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে। যেমন—যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন অক্ষমতা) বা মেজাজের ওঠানামার মতো সমস্যা হতে পারে—চাপ (stress), বিষণ্নতা (depression) ও উদ্বেগ (anxiety)।
তাছাড়া ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণও থাকতে পারে। যেমন—ধূমপান, হৃদ্রোগ বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা।
এ ছাড়া যে মানসিক সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, সেগুলো হলো—কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে উদ্বেগ থেকে।
এছাড়াও অনেক পুরুষ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর মধ্য দিয়ে যান। জীবনের অর্ধেক পথ পার করার পর তাঁরা নিজের সাফল্য, পেশা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভোগেন, যা কখনো কখনো বিষণ্নতার পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।
‘মেল মেনোপজ’-এর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ
অনেক সময় এসব উপসর্গের পেছনে থাকে হরমোন নয়, বরং জীবনযাপনের নানা অভ্যাস। যেমন—পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।
লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (Late-onset hypogonadism)
সব সময় জীবনযাত্রার ধরন বা মানসিক সমস্যাই যে কারণ হবে তাও নয়। এর পেছনে থাকতে পারে হাইপোগোনাডিজম নামের একটি শারীরিক অবস্থা। এ অবস্থায় টেস্টিস পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন (বিশেষত টেস্টোস্টেরন) উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয়।
হাইপোগোনাডিজমের ধরন বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।
জন্মগত (congenital) : জন্ম থেকেই থাকে, ফলে কৈশোরে দেরিতে যৌবনাগমন বা ছোট আকারের টেস্টিসের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
অর্জিত বা পরবর্তীকালে হওয়া (acquired) : জীবনের পরে কোনো পর্যায়ে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে স্থূলতা (obesity) বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস–এ আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে।
এই অবস্থাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম, যা ‘মেল মেনোপজ’-এর মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
তবে এটি খুবই বিরল এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও সমাধান হয়।
এটি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত চিকিৎসক আপনার উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন।
যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা জরুরি। চিকিৎসক সাধারণত আপনার কাজের পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেন বোঝা যায় উপসর্গগুলো স্ট্রেস বা উদ্বেগজনিত কি না।
যদি মানসিক কারণ থাকে তাহলে ওষুধ, টকিং থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন টেকনিকও কার্যকর।
পাশাপাশি আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল যাচাই করতে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে, তাহলে আপনাকে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (হরমোন বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠানো হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ যদি নিশ্চিত করেন, এটি হরমোনজনিত সমস্যা তাহলে টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে। যা হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো কমিয়ে আনে। এই চিকিৎসা সাধারণত ইনজেকশন বা জেল আকারে দেওয়া হয়।
সূত্র: ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।

নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অনেকে।
পুরুষের মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা না হওয়ায় এ সময় উপসর্গগুলো বুঝে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বা আপনার আশেপাশের চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষটির মেনোপজ হয়েছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন যেসব লক্ষণ দেখে তা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো—
১. মেজাজের ওঠানামা ও খিটখিটে হয়ে যাওয়া
২. পেশিতে ভর দেওয়া এবং ব্যায়াম করার সক্ষমতা কমতে থাকা
৩. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের চারপাশে বা বুকের অংশে চর্বি জমা (‘ম্যান বুবস’ বা গাইনোকোম্যাস্টিয়া)
৪. উদ্যম বা শক্তির অভাব
৫. অনিদ্রা বা সব সময় ক্লান্ত বোধ করা
৬. মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি
এসব উপসর্গ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর মূল কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
‘মেল মেনোপজ’কে অ্যান্ড্রোপজ নামেও পরিচিত। তবে এই বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা দেখা যায় অনেক সময়। বলা হয়, পুরুষদের মধ্যবয়সে নারীদের মতো হঠাৎ করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। আসলে তা ঘটে না।
পুরুষদের টেস্টোস্টেরন মাত্রা বয়সের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ করে। এই স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না।
তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, যাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (late-onset hypogonadism) দেখা দিতে পারে। তখন ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, বা মেজাজের পরিবর্তনের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
তবুও অনেক সময় এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে হরমোনের কোনো সম্পর্কই থাকে না। মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, জীবনযাত্রা বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।
পুরুষদের অনেক উপসর্গের পেছনে হরমোন নয়, বরং জীবনযাত্রা বা মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে। যেমন—যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন অক্ষমতা) বা মেজাজের ওঠানামার মতো সমস্যা হতে পারে—চাপ (stress), বিষণ্নতা (depression) ও উদ্বেগ (anxiety)।
তাছাড়া ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণও থাকতে পারে। যেমন—ধূমপান, হৃদ্রোগ বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা।
এ ছাড়া যে মানসিক সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, সেগুলো হলো—কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে উদ্বেগ থেকে।
এছাড়াও অনেক পুরুষ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর মধ্য দিয়ে যান। জীবনের অর্ধেক পথ পার করার পর তাঁরা নিজের সাফল্য, পেশা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভোগেন, যা কখনো কখনো বিষণ্নতার পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।
‘মেল মেনোপজ’-এর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ
অনেক সময় এসব উপসর্গের পেছনে থাকে হরমোন নয়, বরং জীবনযাপনের নানা অভ্যাস। যেমন—পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।
লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (Late-onset hypogonadism)
সব সময় জীবনযাত্রার ধরন বা মানসিক সমস্যাই যে কারণ হবে তাও নয়। এর পেছনে থাকতে পারে হাইপোগোনাডিজম নামের একটি শারীরিক অবস্থা। এ অবস্থায় টেস্টিস পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন (বিশেষত টেস্টোস্টেরন) উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয়।
হাইপোগোনাডিজমের ধরন বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।
জন্মগত (congenital) : জন্ম থেকেই থাকে, ফলে কৈশোরে দেরিতে যৌবনাগমন বা ছোট আকারের টেস্টিসের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
অর্জিত বা পরবর্তীকালে হওয়া (acquired) : জীবনের পরে কোনো পর্যায়ে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে স্থূলতা (obesity) বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস–এ আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে।
এই অবস্থাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম, যা ‘মেল মেনোপজ’-এর মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
তবে এটি খুবই বিরল এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও সমাধান হয়।
এটি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত চিকিৎসক আপনার উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন।
যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা জরুরি। চিকিৎসক সাধারণত আপনার কাজের পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেন বোঝা যায় উপসর্গগুলো স্ট্রেস বা উদ্বেগজনিত কি না।
যদি মানসিক কারণ থাকে তাহলে ওষুধ, টকিং থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন টেকনিকও কার্যকর।
পাশাপাশি আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল যাচাই করতে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে, তাহলে আপনাকে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (হরমোন বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠানো হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ যদি নিশ্চিত করেন, এটি হরমোনজনিত সমস্যা তাহলে টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে। যা হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো কমিয়ে আনে। এই চিকিৎসা সাধারণত ইনজেকশন বা জেল আকারে দেওয়া হয়।
সূত্র: ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।

পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে এখন অনেক তরুণও নানাভাবে কাজ করছেন। মো. সাদিত উজ জামান তাঁদের মধ্য়েই একজন। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চার বছর কাজ করেন সাদিত। এর পর নিজের উদ্যোগে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত টি
২২ এপ্রিল ২০২২
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৩১ মিনিট আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৮ ঘণ্টা আগে
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২০ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না। যদি ঠোঁটের রং স্বাভাবিকভাবেই গোলাপি করে তুলতে চান এবং ঠোঁটের নমনীয়তা ফিরে পেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়েও তা সম্ভব।
বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে ঠোঁটকে স্থায়ীভাবে গোলাপি করে তোলা যায়। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, তাহলে কিছুদিনের মধ্য়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি।
যেসব প্রাকৃতিক উপাদান গোলাপি ঠোঁট পেতে সাহায্য় করবে
টমেটো
টমেটোতে সেলেনিয়াম থাকে, যা আপনার ঠোঁটকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করবে। প্রতিদিন এটি সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। যাঁরা রোজ বাইরে বের হন বা যাঁদের দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হয়, তাঁরা টমেটোবাটা ঠোঁটে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
নারকেল ও ডাবের পানি
সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিনের কোনো একটি খাবারে নারকেল যোগ করুন। এতে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও কোমল থাকবে। এ ছাড়াও মুখ ও ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
আখরোট
আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পারে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত এসব খাবার খান। এমনকি আপনার ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ এবং ঠোঁট গোলাপি রাখার জন্য একটি আখরোট দিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করতে পারেন।
টক দই
টক দই ও দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ফাটা প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন টক দই খেলে এই উপকার পাওয়া যাবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে স্নানের সময় একটু টক দই ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলে কয়েক দিনের মধ্য়ে ভালো ফল চোখে পড়বে।

মধু
মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। প্রতিদিন এক চা-চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে পেলব ঠোঁট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু মেখে নিলে ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠবে। মধুতে ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ঠোঁটের রং বিবর্ণ হওয়া রোধ করে।
কালচে ঠোঁটে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে দু-তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
লেবু
যদি আপনি সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করার পাশাপাশি ঠোঁটেও গোলাপি ভাব এনে দেবে। যেহেতু লেবুতে ব্লিচিংয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই ঠোঁটে লেবুর রস লাগাতে পারেন। চাইলে চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করে নেওয়া যায়।

বিটরুট
ডায়াবেটিস না থাকলে ঠোঁট গোলাপি করতে আপনার নিয়মিত এ সবজিটি খাওয়া উচিত। এতে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি ত্বকের বার্ধক্য ও বিবর্ণতা রোধ করে। তাই রং হালকা করতে ও ত্বককে আর্দ্র রাখতে বিটরুটের রস ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।
যা মেনে চলতে হবে
রাসায়নিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করে তুলতে চাইলে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যদিও এ টিপসটি মেকআপপ্রেমীদের জন্য গ্রহণ করা কঠিন। তবে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন ডালিম, বিটরুট বা স্ট্রবেরির রস যদি ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়, তাহলে ঠোঁটে গোলাপি আভার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে।

লিপস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে আগে ঠোঁট প্রাইম করতে হবে
লিপস্টিক লাগানোর আগে বাদাম বা নারকেল তেল দিয়ে হালকাভাবে ঠোঁট ব্রাশ করে নেওয়া ভালো। এগুলো ব্যবহার করার পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে তারপর লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এসব তেলের পরিবর্তে লিপ বামও ব্যবহার করা যেতে পারে। তেল বা লিপবামের এই কোট একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে ও ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। ফলে লিপস্টিকের কারণে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে না।
গোলাপি ঠোঁট পেতে যা এড়িয়ে চলতে হবে
এখন সবার কাছে লং লাস্টিং লিপস্টিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা ঠোঁটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, কিন্তু টানা ব্যবহার করতে থাকলে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে শুরু করে।
যত রাতে বাড়ি ফিরুন বা যতই ক্লান্ত থাকুন, ঘুমানোর আগে সব সময় লিপস্টিক ভালোভাবে তুলে তারপর বিছানায় যাবেন। লিপস্টিক তোলার পর ঠোঁটকে আর্দ্র করার জন্য লিপবাম বা প্রাকৃতিক যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন।
রক্তে পুষ্টি উপাদান পৌঁছানোর জন্য নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।
ঠোঁট গোলাপি রাখতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে। ধূমপানের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া।

শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না। যদি ঠোঁটের রং স্বাভাবিকভাবেই গোলাপি করে তুলতে চান এবং ঠোঁটের নমনীয়তা ফিরে পেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়েও তা সম্ভব।
বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে ঠোঁটকে স্থায়ীভাবে গোলাপি করে তোলা যায়। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, তাহলে কিছুদিনের মধ্য়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি।
যেসব প্রাকৃতিক উপাদান গোলাপি ঠোঁট পেতে সাহায্য় করবে
টমেটো
টমেটোতে সেলেনিয়াম থাকে, যা আপনার ঠোঁটকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করবে। প্রতিদিন এটি সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। যাঁরা রোজ বাইরে বের হন বা যাঁদের দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হয়, তাঁরা টমেটোবাটা ঠোঁটে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
নারকেল ও ডাবের পানি
সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিনের কোনো একটি খাবারে নারকেল যোগ করুন। এতে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও কোমল থাকবে। এ ছাড়াও মুখ ও ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
আখরোট
আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পারে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত এসব খাবার খান। এমনকি আপনার ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ এবং ঠোঁট গোলাপি রাখার জন্য একটি আখরোট দিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করতে পারেন।
টক দই
টক দই ও দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ফাটা প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন টক দই খেলে এই উপকার পাওয়া যাবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে স্নানের সময় একটু টক দই ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলে কয়েক দিনের মধ্য়ে ভালো ফল চোখে পড়বে।

মধু
মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। প্রতিদিন এক চা-চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে পেলব ঠোঁট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু মেখে নিলে ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠবে। মধুতে ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ঠোঁটের রং বিবর্ণ হওয়া রোধ করে।
কালচে ঠোঁটে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে দু-তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
লেবু
যদি আপনি সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করার পাশাপাশি ঠোঁটেও গোলাপি ভাব এনে দেবে। যেহেতু লেবুতে ব্লিচিংয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই ঠোঁটে লেবুর রস লাগাতে পারেন। চাইলে চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাবও তৈরি করে নেওয়া যায়।

বিটরুট
ডায়াবেটিস না থাকলে ঠোঁট গোলাপি করতে আপনার নিয়মিত এ সবজিটি খাওয়া উচিত। এতে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি ত্বকের বার্ধক্য ও বিবর্ণতা রোধ করে। তাই রং হালকা করতে ও ত্বককে আর্দ্র রাখতে বিটরুটের রস ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।
যা মেনে চলতে হবে
রাসায়নিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করে তুলতে চাইলে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যদিও এ টিপসটি মেকআপপ্রেমীদের জন্য গ্রহণ করা কঠিন। তবে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন ডালিম, বিটরুট বা স্ট্রবেরির রস যদি ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়, তাহলে ঠোঁটে গোলাপি আভার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে।

লিপস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে আগে ঠোঁট প্রাইম করতে হবে
লিপস্টিক লাগানোর আগে বাদাম বা নারকেল তেল দিয়ে হালকাভাবে ঠোঁট ব্রাশ করে নেওয়া ভালো। এগুলো ব্যবহার করার পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে তারপর লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এসব তেলের পরিবর্তে লিপ বামও ব্যবহার করা যেতে পারে। তেল বা লিপবামের এই কোট একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে ও ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। ফলে লিপস্টিকের কারণে ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে না।
গোলাপি ঠোঁট পেতে যা এড়িয়ে চলতে হবে
এখন সবার কাছে লং লাস্টিং লিপস্টিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা ঠোঁটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, কিন্তু টানা ব্যবহার করতে থাকলে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে শুরু করে।
যত রাতে বাড়ি ফিরুন বা যতই ক্লান্ত থাকুন, ঘুমানোর আগে সব সময় লিপস্টিক ভালোভাবে তুলে তারপর বিছানায় যাবেন। লিপস্টিক তোলার পর ঠোঁটকে আর্দ্র করার জন্য লিপবাম বা প্রাকৃতিক যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন।
রক্তে পুষ্টি উপাদান পৌঁছানোর জন্য নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।
ঠোঁট গোলাপি রাখতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে। ধূমপানের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া।

পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে এখন অনেক তরুণও নানাভাবে কাজ করছেন। মো. সাদিত উজ জামান তাঁদের মধ্য়েই একজন। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চার বছর কাজ করেন সাদিত। এর পর নিজের উদ্যোগে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত টি
২২ এপ্রিল ২০২২
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৩১ মিনিট আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
লাল শাপলা ২ আঁটি, ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ ১টি করে, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটা, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি
লাল শাপলা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিন। এরপর কষানোর জন্য পানি দিন। কষানো মসলায় মাছের মাথা, লেজ ও শাপলা দিন। এবার ফুটে উঠলে ঢাকনাসহ রান্না করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শেষে সরিষাবাটা আর কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশ।

বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
লাল শাপলা ২ আঁটি, ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ ১টি করে, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটা, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি
লাল শাপলা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিন। এরপর কষানোর জন্য পানি দিন। কষানো মসলায় মাছের মাথা, লেজ ও শাপলা দিন। এবার ফুটে উঠলে ঢাকনাসহ রান্না করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শেষে সরিষাবাটা আর কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশ।

পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে এখন অনেক তরুণও নানাভাবে কাজ করছেন। মো. সাদিত উজ জামান তাঁদের মধ্য়েই একজন। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চার বছর কাজ করেন সাদিত। এর পর নিজের উদ্যোগে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত টি
২২ এপ্রিল ২০২২
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৩১ মিনিট আগে
নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অ
১৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে, আর এর মধ্য়েই ঠোঁট কালচে হয়ে উঠেছে। তাই হয়তো ইদানীং বাইরে বের হওয়ার সময় একটু গাঢ়রঙা লিপস্টিক পরে বের হচ্ছেন। রং দিয়ে বিবর্ণ ঠোঁট ঢেকে তো রাখছেন, কিন্তু মন থেকে কি হাসতে পারছেন? মনে হয় না।
১৮ ঘণ্টা আগে