মন্টি বৈষ্ণব
শৈশব থেকে আমরা বড় হয়েছি রবীন্দ্রনাথের গান শুনে। ছোটবেলাতেই তাঁকে চিনতে শিখেছি ‘আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি, নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান’ গানের মাধ্যমে। এই গানে একসাথে চলার একটা ইঙ্গিত ছিল। এই গান ছোটবেলায় কত শতবার গেয়েছি, তার কোনো হিসেব নেই। এই গানের একটা লাইন ছিল ‘আন তবে বীণা, সপ্তম সুরে বাঁধ তবে তান’। গানের কথাতে সংগীতের সাতটি সুরের কথা কতই না অনায়াসে বলেছেন তিনি।
তখন তো এখনকার মতো ছিল না মোবাইল বা কম্পিউটার। গান শুনতাম রেডিওতে। প্রতিদিন সকালে থেকেই শুনতাম রবীন্দ্রনাথের গান। তাঁর গান শুনেই আমরা বড় হয়েছি। তাই রবীন্দ্রনাথকে কখনও দূরের কেউ মনে হয়নি। ছোটবেলায় বাড়িতে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতবিতান যে কতবার ওল্টানো হয়েছে কে জানে। যতবারই গীতবিতানের পৃষ্ঠা দেখেছি ততবার ভেবেছি, এতগুলো গান কীভাবে একজন লিখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ মানে মনে হয় একটা ঘোর। ছোটবেলা থেকেই তাঁকে জেনেছি, বুঝেছি তাঁর একেক সময়ে তাঁর ভিন্ন ভিন্ন গানের মাধ্যমে। এজন্যই কখনও রবীন্দ্রনাথকে চেনা জগতের বাইরের কেউ বলে মনে হয়নি। রবীন্দ্রনাথ যাদের জীবনে থাকেন, তাঁদেরকে দুঃখ, কষ্ট মনে হয় খুব বেশি ছুঁতে পারে না।
যখন হারমোনিয়ামে প্রথম স্বরলিপি বাজাতে শিখলাম ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’ গানটির মানে কী বুঝতাম না। যখন গানের অর্থ বুঝতে শিখলাম, তখন বুঝলাম এই গান মনকে খুশি করার গান। এই গানের শেষের দুই লাইনে আছে ‘সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে, যাই ভেসে দূর দিশে, পরীর দেশে বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে’। অথাৎ মনের খুশির জন্য তিনি এক পর্য়ায়ে সাত সাগর ঘুরে আসতে বলেছেন।
এরপর যখন প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তখন প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে স্কুলের মাঠে গাইতাম জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। এই গান যখন প্রাইমারি স্কুলে গাইতাম, তখন তেমন কিছু বুঝতাম না। কিন্তু এই গান যখন কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে গাইতাম, তখন গায়ে কাঁটা দিত। বিশেষ করে,
‘মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে,
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে,
ওমা, আমি নয়নজলে ভাসি’।
পুরো গানের পাশাপাশি এই লাইনগুলো গাওয়ার সময় অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করতো। এরপর স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দলবেঁধে গাইতাম ‘আলো আমার আলো ওগো, আলোর ভুবন-ভরা। আলোর নয়ন ধোয়া আমার, আলোর হৃদয় হরা। অথবা ‘আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলবে কি সত্বে, আমরা সবাই রাজা’। মাথার দুই বেণী দুলিয়ে এই গানগুলো গাইতে তখন বেশ ভালোই লাগতো।
স্কুলের গণ্ডি পার হয়ে যখন কলেজে পড়তে গেলাম। সেখানে রবীন্দ্রনাথকে জানতে শুরু করলাম নতুন রূপে। কলেজের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সবাই মিলে গাইলাম ‘সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান, সঙ্কটের কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মান। মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়’ গানটি। এই গানের এক জায়গাতে আছে ‘দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো। আরেক এক লাইনে উল্লেখ আছে, দুরূহ কাজে নিজেরে দিয়ো কঠিন পরিচয়’। এই গানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুরূহ কাজে নিজেকে কঠিন পরিচয় দিয়ে মানুষকে শিরদাঁড় উঁচু করে বাঁচতে বলেছেন।
এরপর লেখাপড়ার শেষ সীমানাতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে পেলাম একেবারেই অন্যরূপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা ক্লাসরুমে অথবা ঝুপড়িতে গলা ছেড়ে গাইতাম ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী’ অথবা ‘সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে শোনো শোনো পিতা, কহো কানে শোনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা’। আবার বর্ষার কোনো দিনে শাটল ট্রেনে দুলতে দুলতে গেয়েছি ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি'। এই গানের একটি লাইন হচ্ছে ‘কেন এ হিংসাদ্বেষ, কেন এ ছদ্মবেশ, কেন এ মান অভিমান’। অথাৎ রবী ঠাকুর হিংসা, ছদ্মবেশ ছেড়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে বলেছেন।
এরপর মন খারাপের দিনেও রবীন্দ্রনাথকে ভুলতে পারিনি। তাই মনকে শান্ত করতে গুন গুন করে বহুবার গেয়েছি ‘আজি গোধূলিলগনে এই বাদলগগনে’ আবার নিজের অহংকার চূর্ণ বিচূর্ণ করতে গেয়েছি ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে, সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জ্বলে, নিজেরে করিতে গৌরব দাস, নিজেরে কেবলি করি অপমান’। অথবা মনের প্রশান্তির জন্য টানা গেয়েছি ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে, দিনরজনী কত অমৃতরস উথলি যায় অনন্ত গগনে’। আবার বাড়ি থেকে ঢাকা আসার সময় যাত্রাপথে গুন গুন করেছি ‘দূরে কোথাও’ গানটি। আবার কাছের মানুষদের হারিয়ে অজস্রবার গেয়েছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পূণ্য করো দহন দানে’ গানটি’।
এমনি করে রবী ঠাকুরের গানে আমার নিত্য বেঁচে থাকা। রবীন্দ্রনাথ মানুষের জীবনে কোথায় নেই? মানুষের অস্তিত্বের যে ধমনী, সেখানে ধাবিত তাঁর গান। আমি ঠিক জানি না রবীন্দ্রনাথের গান না শুনে, কেউ বেঁচে থাকতে পারেন কিনা। তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টিশীল কাজে।
গত এক বছরের বেশি সময় আমরা অদৃশ্য এক ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছি। করোনার শুরুর দিকে সবার মন ছিল অনেক বেশি অস্থির। কে বাচঁবে আর কে মারা যাবে, এই ভয় ছিল সবার মনে। আমি করোনার দুঃসময়ে প্রতিনিয়ত মনকে স্থির রেখেছি রবীন্দ্রনাথের গান শুনে। এই সময়টাতে তাঁর অনেক গানের মধ্যে ‘আকাশভরা সূর্য তারা, বিশ্বভরা প্রাণ, তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান’ এই গানটি শুনে বহুবার নিজেকে শান্ত রেখেছি। এই গানের অন্তরাতে আছে ‘অসীম কালের যে হিল্লোলে জোয়ার ভাটার ভুবন দোলে, নাড়িতে মোর রক্তধারায় লেগেছে তার টান’, অদ্ভূত একটা কথা। এই গানেতে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে। কারণ গানটি যখন গুন গুন করতে থাকি, তখন গানের কথার মতো মনে হয়, আমি নিজেই ঘাসে ঘাসে পা ফেলে বনের পথে চলে যাচ্ছি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সকল সংকটের অনুপ্রেরণা। রবী ঠাকুরের গানের প্রতি আমার ভালোবাসা থাকবে আজীবন। রবীন্দ্রনাথ আমার শেষ আশ্রয়।
শৈশব থেকে আমরা বড় হয়েছি রবীন্দ্রনাথের গান শুনে। ছোটবেলাতেই তাঁকে চিনতে শিখেছি ‘আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি, নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান’ গানের মাধ্যমে। এই গানে একসাথে চলার একটা ইঙ্গিত ছিল। এই গান ছোটবেলায় কত শতবার গেয়েছি, তার কোনো হিসেব নেই। এই গানের একটা লাইন ছিল ‘আন তবে বীণা, সপ্তম সুরে বাঁধ তবে তান’। গানের কথাতে সংগীতের সাতটি সুরের কথা কতই না অনায়াসে বলেছেন তিনি।
তখন তো এখনকার মতো ছিল না মোবাইল বা কম্পিউটার। গান শুনতাম রেডিওতে। প্রতিদিন সকালে থেকেই শুনতাম রবীন্দ্রনাথের গান। তাঁর গান শুনেই আমরা বড় হয়েছি। তাই রবীন্দ্রনাথকে কখনও দূরের কেউ মনে হয়নি। ছোটবেলায় বাড়িতে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতবিতান যে কতবার ওল্টানো হয়েছে কে জানে। যতবারই গীতবিতানের পৃষ্ঠা দেখেছি ততবার ভেবেছি, এতগুলো গান কীভাবে একজন লিখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ মানে মনে হয় একটা ঘোর। ছোটবেলা থেকেই তাঁকে জেনেছি, বুঝেছি তাঁর একেক সময়ে তাঁর ভিন্ন ভিন্ন গানের মাধ্যমে। এজন্যই কখনও রবীন্দ্রনাথকে চেনা জগতের বাইরের কেউ বলে মনে হয়নি। রবীন্দ্রনাথ যাদের জীবনে থাকেন, তাঁদেরকে দুঃখ, কষ্ট মনে হয় খুব বেশি ছুঁতে পারে না।
যখন হারমোনিয়ামে প্রথম স্বরলিপি বাজাতে শিখলাম ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’ গানটির মানে কী বুঝতাম না। যখন গানের অর্থ বুঝতে শিখলাম, তখন বুঝলাম এই গান মনকে খুশি করার গান। এই গানের শেষের দুই লাইনে আছে ‘সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে, যাই ভেসে দূর দিশে, পরীর দেশে বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে’। অথাৎ মনের খুশির জন্য তিনি এক পর্য়ায়ে সাত সাগর ঘুরে আসতে বলেছেন।
এরপর যখন প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তখন প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে স্কুলের মাঠে গাইতাম জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। এই গান যখন প্রাইমারি স্কুলে গাইতাম, তখন তেমন কিছু বুঝতাম না। কিন্তু এই গান যখন কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে গাইতাম, তখন গায়ে কাঁটা দিত। বিশেষ করে,
‘মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে,
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে,
ওমা, আমি নয়নজলে ভাসি’।
পুরো গানের পাশাপাশি এই লাইনগুলো গাওয়ার সময় অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করতো। এরপর স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দলবেঁধে গাইতাম ‘আলো আমার আলো ওগো, আলোর ভুবন-ভরা। আলোর নয়ন ধোয়া আমার, আলোর হৃদয় হরা। অথবা ‘আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলবে কি সত্বে, আমরা সবাই রাজা’। মাথার দুই বেণী দুলিয়ে এই গানগুলো গাইতে তখন বেশ ভালোই লাগতো।
স্কুলের গণ্ডি পার হয়ে যখন কলেজে পড়তে গেলাম। সেখানে রবীন্দ্রনাথকে জানতে শুরু করলাম নতুন রূপে। কলেজের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সবাই মিলে গাইলাম ‘সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান, সঙ্কটের কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মান। মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়’ গানটি। এই গানের এক জায়গাতে আছে ‘দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো। আরেক এক লাইনে উল্লেখ আছে, দুরূহ কাজে নিজেরে দিয়ো কঠিন পরিচয়’। এই গানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুরূহ কাজে নিজেকে কঠিন পরিচয় দিয়ে মানুষকে শিরদাঁড় উঁচু করে বাঁচতে বলেছেন।
এরপর লেখাপড়ার শেষ সীমানাতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে পেলাম একেবারেই অন্যরূপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা ক্লাসরুমে অথবা ঝুপড়িতে গলা ছেড়ে গাইতাম ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী’ অথবা ‘সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে শোনো শোনো পিতা, কহো কানে শোনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা’। আবার বর্ষার কোনো দিনে শাটল ট্রেনে দুলতে দুলতে গেয়েছি ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি'। এই গানের একটি লাইন হচ্ছে ‘কেন এ হিংসাদ্বেষ, কেন এ ছদ্মবেশ, কেন এ মান অভিমান’। অথাৎ রবী ঠাকুর হিংসা, ছদ্মবেশ ছেড়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে বলেছেন।
এরপর মন খারাপের দিনেও রবীন্দ্রনাথকে ভুলতে পারিনি। তাই মনকে শান্ত করতে গুন গুন করে বহুবার গেয়েছি ‘আজি গোধূলিলগনে এই বাদলগগনে’ আবার নিজের অহংকার চূর্ণ বিচূর্ণ করতে গেয়েছি ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে, সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জ্বলে, নিজেরে করিতে গৌরব দাস, নিজেরে কেবলি করি অপমান’। অথবা মনের প্রশান্তির জন্য টানা গেয়েছি ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে, দিনরজনী কত অমৃতরস উথলি যায় অনন্ত গগনে’। আবার বাড়ি থেকে ঢাকা আসার সময় যাত্রাপথে গুন গুন করেছি ‘দূরে কোথাও’ গানটি। আবার কাছের মানুষদের হারিয়ে অজস্রবার গেয়েছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পূণ্য করো দহন দানে’ গানটি’।
এমনি করে রবী ঠাকুরের গানে আমার নিত্য বেঁচে থাকা। রবীন্দ্রনাথ মানুষের জীবনে কোথায় নেই? মানুষের অস্তিত্বের যে ধমনী, সেখানে ধাবিত তাঁর গান। আমি ঠিক জানি না রবীন্দ্রনাথের গান না শুনে, কেউ বেঁচে থাকতে পারেন কিনা। তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টিশীল কাজে।
গত এক বছরের বেশি সময় আমরা অদৃশ্য এক ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছি। করোনার শুরুর দিকে সবার মন ছিল অনেক বেশি অস্থির। কে বাচঁবে আর কে মারা যাবে, এই ভয় ছিল সবার মনে। আমি করোনার দুঃসময়ে প্রতিনিয়ত মনকে স্থির রেখেছি রবীন্দ্রনাথের গান শুনে। এই সময়টাতে তাঁর অনেক গানের মধ্যে ‘আকাশভরা সূর্য তারা, বিশ্বভরা প্রাণ, তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান’ এই গানটি শুনে বহুবার নিজেকে শান্ত রেখেছি। এই গানের অন্তরাতে আছে ‘অসীম কালের যে হিল্লোলে জোয়ার ভাটার ভুবন দোলে, নাড়িতে মোর রক্তধারায় লেগেছে তার টান’, অদ্ভূত একটা কথা। এই গানেতে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে। কারণ গানটি যখন গুন গুন করতে থাকি, তখন গানের কথার মতো মনে হয়, আমি নিজেই ঘাসে ঘাসে পা ফেলে বনের পথে চলে যাচ্ছি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সকল সংকটের অনুপ্রেরণা। রবী ঠাকুরের গানের প্রতি আমার ভালোবাসা থাকবে আজীবন। রবীন্দ্রনাথ আমার শেষ আশ্রয়।
মা-বাবা বা লালন-পালনকারীর প্রতিক্রিয়া দেখে শিশুদের ভয় বা নিরাপত্তাবোধ গড়ে ওঠে। কোনো ব্যক্তি যদি সাপ দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়, তাহলে শিশু সেই ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া দেখেই বস্তুটিকে ভীতিকর কিছু হিসেবে শনাক্ত করতে শেখে। তবে পাশের কেউ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া না দেখালে শিশুরা সাধারণত সাপকে কৌতূহলসহকারে পর্যবেক্ষ
৭ ঘণ্টা আগেরবিঠাকুরের মেজ বউদি জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর ‘পুরাতনী’ নামের বই থেকে জানা যায়, তাঁর শাশুড়ি সারদা দেবী নাকি নিজে বসে থেকে কাজের মেয়েদের দিয়ে পুত্রবধূদের গায়ে বিভিন্ন ধরনের উপটান মাখাতেন। বোঝাই যাচ্ছে, ঠাকুরবাড়িতে রূপচর্চার গুরুত্ব ছিল। শুধু বাড়ির মেয়ে–বউয়েরা কেন, বাড়ির ছেলেরাও ত্বক ও চুলের যত্ন নিতেন খুব
২ দিন আগেঢাকা থেকে বন্ধুরা বলে দিয়েছিল, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বললেই যেকোনো ট্যাক্সিওয়ালা চোখ বুজে নিয়ে যাবেন রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। কলকাতায় এসে বুঝলাম, চোখ বুজে ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার দিন শেষ। দু-তিনজন ক্যাবচালক ‘ঠিকানা জানি না’ বলে জানালেন। কলকাতার ট্যাক্সিচালকেরা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি খুব একটা চেনেন না।
২ দিন আগেনেপাল সরকার এভারেস্ট অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে হলে অবশ্যই আগে নেপালের অন্তত একটি ৭ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার পর্বত জয় করার প্রমাণ দিতে হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো এভারেস্টে অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ...
২ দিন আগে