Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকতে হবে

উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকতে হবে

দেশে বাড়ছে প্লাস্টিক দূষণ, কমছে প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার। এমন বাস্তবতায় টেকসই জীবনের বার্তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল হোসেন সৈকত। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞান, পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আর নতুন কিছু করার স্বপ্ন থেকে তিনি গড়ে তুলেছেন পরিবেশ সচেতনতা ও সবুজ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ‘ইকোইন’। এখানে বাঁশের তৈরি আধুনিক পণ্যে মিলেছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন। তাঁর লক্ষ্য শুধু ব্যবসা নয়; বরং এমন এক দেশ গড়া, যেখানে প্রতিটি ঘরে থাকবে পরিবেশবান্ধব পণ্য। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান

মো. আশিকুর রহমান

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পেছনে অনুপ্রেরণা কী ছিল?

সত্যি বলতে, চাকরি করার অনেক সহজ সহজ পথ ছিল। কিন্তু আমি সব সময় চেয়েছি এমন কিছু করতে, যা সমাজ ও পরিবেশ—দুয়ের জন্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমি বিশ্বাস করি, উদ্যোক্তা হওয়া মানে শুধু লাভ নয়, পরিবর্তনের পথ তৈরি করা। তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞানকে ব্যবহার করে টেকসই কিছু গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম।

প্লাস্টিক দূষণ এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। এ সংকট ‘ইকোইন’-এর ধারণাকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে?

দেশে বছরে প্রায় চার লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার মাত্র ২০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। বাকিটা নদী, নালা, মাটি ও সমুদ্রে গিয়ে জমে থাকে। এ বাস্তবতাই আমাকে নাড়া দেয়। আমি ভাবলাম দেশীয় উপকরণ দিয়েই কি এ সমস্যার সমাধান করা যায় না? তখনই বাঁশের কথা মাথায় আসে। বাঁশ প্রাকৃতিক, পরিবেশবান্ধব এবং শতভাগ টেকসই।

বাঁশ আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হলেও আধুনিক জীবনযাত্রায় তা অনেকটাই হারিয়ে গেছে। আপনি কীভাবে এ ঐতিহ্যকে নতুনভাবে উপস্থাপন করলেন?

বাঁশের জিনিস আগে খুব ব্যবহার হতো। কিন্তু দ্রুত নষ্ট হওয়া, ছত্রাক আর ঘুণপোকার কারণে মানুষ ধীরে ধীরে তা এড়িয়ে গেছে। দীর্ঘ দুই বছরের গবেষণার মাধ্যমে আমি এমন একটি বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছি, যা বাঁশকে আরও টেকসই করে তোলে। ফলে বাঁশের জিনিস ৫-৭ বছর পর্যন্ত টেকে। সঙ্গে আধুনিক ডিজাইন যোগ করেছি, যাতে তরুণ প্রজন্মও এ পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়।

বর্তমানে ‘ইকোইন’-এ কী ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে এবং বাজারে এর প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

আমরা এখন প্রায় ৩০ ধরনের পণ্য তৈরি করছি। এর মধ্যে ঘরের সাজসজ্জা, রান্নাঘরের সামগ্রী, অফিস সরঞ্জাম ও উপহারসামগ্রীসহ নানা কিছু। সব পণ্যই টেকসই ও পরিবেশবান্ধব। বাজারে চমৎকার সাড়া পাচ্ছি, কারণ মানুষ এখন সচেতন এবং বিকল্প খুঁজছে।

আপনার উদ্যোগে স্থানীয় কারিগরেরা কীভাবে যুক্ত হয়েছেন?

আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো স্থানীয় কারিগরেরা। তাঁদের হাতেই ‘ইকোইন’-এর প্রাণ। বাঁশকে আধুনিক পণ্যে রূপ দেওয়ার পেছনে যে শিল্প ও সৃজনশীলতা, তার মূল উৎস এ মানুষগুলো। আগে অনেকেই কাজের অভাবে হতাশ ছিলেন। এখন তাঁরা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন, আয়ও বেড়েছে। আমরা চাই প্রতিটি কারিগর ‘ইকোইন’-এর অংশীদার হয়ে উঠুক। যেন তাঁরা বুঝতে পারেন এই উদ্যোগ শুধু পণ্য বিক্রির জন্য নয়, তাঁদের জীবনমান উন্নয়নের জন্যও। তাঁদের হাসিমুখ, সন্তানের শিক্ষায় পরিবর্তন—এগুলোই আমাদের আসল প্রাপ্তি।

সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায় ‘ইকোইন’ কোথায় দাঁড়িয়ে?

আমি কখনোই ‘ইকোইন’কে কেবল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাবিনি। আমার কাছে এটি সামাজিক পরিবর্তনের এক অংশ, একটি চিন্তা, একটি আন্দোলন। আমরা এমন সময়ে বাস করছি, যখন পরিবেশ ও অর্থনীতি দুটো বিষয়কে একসঙ্গে চিন্তা করাই টেকসই ভবিষ্যতের শর্ত। এ কারণেই আমরা পরিকল্পনা করেছি স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে কর্মশালা আয়োজনের, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে জানবে টেকসই জীবন মানে কী। কীভাবে তারা দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের বিকল্প বেছে নিতে পারে এবং কেন পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা ভবিষ্যতের জন্য জরুরি।

বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী?

দেশের উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হলো প্রচলিত ধ্যান-ধারণা এবং ভয়। আমাদের সমাজে এখনো ‘নিরাপদ চাকরিকেই সফলতার মানদণ্ড মনে করা হয়। তাই উদ্যোক্তা হওয়ার ঝুঁকি নিতে অনেকে ভয় পান। আবার ব্যর্থতার ভয়ও বড় বাধা। কিন্তু প্রকৃত উদ্যোক্তা মানে হলো ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকা, নতুন কিছু ভাবা। আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই সে সাহস আছে। যদি তারা ব্যর্থতাকে শেখার অংশ হিসেবে গ্রহণ করে, তবে দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি আরও শক্ত ভিত্তি পাবে।

এখন পর্যন্ত আপনার উদ্যোক্তা জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য কী?

আমার কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পেরেছি। উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজ নয়। কখনো মনে হয়েছে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে, আবার কখনো মনে হয়েছে ঠিক ছুঁয়ে ফেলেছি। কিন্তু যখন দেখি, কারিগরেরা নিয়মিত আয় করছেন, তাঁদের সন্তানেরা স্কুলে যাচ্ছে, তখন বুঝি, পরিশ্রমটা সার্থক হয়েছে। আমার কাজ যদি একটুও মানুষকে সচেতন করে, পরিবেশের জন্য ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করে, তাহলেই সেটা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। লাভ নয়, প্রভাবই আমার কাছে আসল মানদণ্ড।

আগামী দিনের জন্য ‘ইকোইন’-এর লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কী?

আমার স্বপ্ন একদিন পৃথিবীর প্রতিটি ঘরে থাকবে বাংলাদেশে তৈরি একটি বাঁশের পণ্য—যার গায়ে লেখা থাকবে ‘Made in Bangladesh’। আমি চাই, মানুষ যখন কোনো টেকসই বা পরিবেশবান্ধব পণ্যের কথা ভাববে, তখন বাংলাদেশের নামটি সেখানে উচ্চারিত হবে গর্বের সঙ্গে। আমাদের প্রতিটি পণ্যের ভেতরে রয়েছে বাংলাদেশের গল্প, কারিগরের হাতের উষ্ণতা, মাটির গন্ধ, আর পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

পল্লব শাহরিয়ার
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৭
নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

বাংলাদেশে ক্যারিয়ার মানে অনেক পরিবারের চোখে কেবল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারকে মনে করা হয়। মা-বাবার স্বপ্ন, সমাজের আশা, আত্মীয়দের উপদেশ—সবই যেন ঘুরেফিরে এ দুটি পেশায় সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমাদের মানতে হবে, পৃথিবী আর সে জায়গায় নেই। সময় বদলেছে, প্রযুক্তি বদলেছে, মানুষের চাহিদাও বদলেছে। আজকের পৃথিবীতে এমনসব পেশার উদ্ভব হচ্ছে, যেগুলোর নাম ১০ বছর আগেও শোনা যায়নি। চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন যুগের এমন ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা, যেখানে আগামী দিনের বাংলাদেশ খুঁজে পেতে পারে নিজের ভবিষ্যৎ।

ডেটাবিজ্ঞানী

ডেটা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেটে ক্লিক, সার্চ, কেনাকাটা, ভ্রমণ, ভোট যা করছে—সবই জমছে বিশাল তথ্যভান্ডারে। এ তথ্যকে অর্থপূর্ণ করে তুলছেন যাঁরা, তাঁরা হচ্ছেন ডেটাবিজ্ঞানী। তাঁরা তথ্য থেকে বের করেন ভবিষ্যতে কোন পণ্য বেশি বিক্রি হবে, কোন রোগ বাড়বে, কোথায় বন্যার ঝুঁকি। একজন দক্ষ ডেটাবিজ্ঞানী একই সঙ্গে বিশ্লেষক, প্রোগ্রামার এবং গল্পকার, যিনি সংখ্যার ভেতর লুকিয়ে থাকা জীবনের গল্পটি বুঝতে পারেন। দেশেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ

যে যুগে যন্ত্র নিজের মতো করে শিখছে, চিনছে, সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সে যুগের কেন্দ্রে রয়েছে এআই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন কেবল গুগল বা আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি ঢুকে পড়েছে চিকিৎসা, কৃষি, শিক্ষা এমনকি আইন পর্যন্ত। এআই বিশেষজ্ঞদের কাজ হলো মেশিনকে শেখানো, কীভাবে ডেটা থেকে শেখা যায়। দেশেও এ ক্ষেত্র ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা ও ক্লাউড প্রযুক্তিবিদ

যখন ব্যাংক, চিকিৎসা, শিক্ষা এমনকি সরকারি প্রশাসনও চলে যাচ্ছে অনলাইনে, তখন ‘নিরাপত্তাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন’। একটি তথ্য ফাঁস, একটি হ্যাকিং, একটি ভুল সিদ্ধান্ত পুরো প্রতিষ্ঠানকে অচল করে দিতে পারে। এই নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করেন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টরা। আর ক্লাউড ইঞ্জিনিয়াররা দেখছেন, কীভাবে কোটি কোটি তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়। এমন পেশাগুলো আগামী দিনে ডিজিটাল রাষ্ট্র ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড হয়ে উঠবে।

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিশেষজ্ঞ

বিশ্বজুড়ে এখন ‘সবুজ বিপ্লব’ চলছে। জ্বালানি তেলের দাম, পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন—সব মিলিয়ে মানুষ এখন খুঁজছে পরিচ্ছন্ন শক্তির বিকল্প। সোলার, উইন্ড, হাইড্রো এসবের সমন্বয় ঘটাতে কাজ করছেন নবায়নযোগ্য শক্তি বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে সোলার প্রজেক্ট, বায়ুবিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস এসব খাতে নতুন নতুন উদ্যোগ আসছে। এ খাতে প্রয়োজন এমন তরুণ, যাঁরা পরিবেশ ও প্রযুক্তি—দুটোই বোঝেন।

এডটেক পেশাজীবী

ক্লাসরুম এখন শুধু চার দেয়ালের ভেতরে নয়। একটি স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটই হতে পারে বিশ্বমানের শিক্ষার দরজা। এই নতুন শিক্ষাবিপ্লব চালাচ্ছেন এডটেক উদ্যোক্তারা। যাঁরা প্রযুক্তি ও শিক্ষা একসঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের তৈরি অনলাইন কোর্স, লার্নিং অ্যাপ, ভার্চুয়াল ল্যাব—সবকিছুই বদলে দিচ্ছে শেখার ধারা। দেশেও অনেক তরুণ এ খাতে কাজ করছেন, তৈরি করছেন বাংলা ভাষায় শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম।

টেলিমেডিসিন ও স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ

চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ঘটছে বড় পরিবর্তন। এখন ডাক্তার আর রোগীর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দিচ্ছে প্রযুক্তি। গ্রামের মানুষ ভিডিও কলেই পাচ্ছেন শহরের চিকিৎসক। অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের রোগের রিপোর্ট পৌঁছে যাচ্ছে নিজেদের হাতে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন টেলিমেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসা এবং প্রযুক্তি দুটো ভাষাই তাঁরা জানেন। স্বাস্থ্য খাতে এখন তৈরি হচ্ছে ওয়্যারেবল ডিভাইস, হেলথ অ্যাপ, অ্যালগোরিদমভিত্তিক রোগ নির্ণয়—এসবের পেছনেও কাজ করছেন নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তিবিদেরা।

ডিজিটাল মার্কেটিং ও ই-কমার্স ম্যানেজার

যে যুগে বাজার মানেই অনলাইন, সে যুগে বিপণনের ভাষাও বদলে গেছে। একটি ব্র্যান্ড এখন টিকে থাকে ‘অ্যালগোরিদম’ আর ‘অ্যানালাইটিকস’-এর ওপর। সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট, সার্চ রেজাল্ট, ইউটিউবের ভিডিও সবকিছুই আজ এক বিশাল মার্কেটিং জগৎ। ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা বুঝে নেন দর্শক কোথায়, কখন, কীভাবে ভাবছে। তাঁরা তৈরি করেন অনলাইন বিক্রির কৌশল, ডেটাভিত্তিক বিজ্ঞাপন এবং ব্র্যান্ড পরিচিতি। দেশে ই-কমার্সের যে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটছে, তা এ খাতকে আগামী দিনের অন্যতম শক্তিশালী কর্মক্ষেত্রে পরিণত করবে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিস্ট

একসময় লেখক মানে ছিল বইয়ের পাতা; এখন লেখক মানে হতে পারে ইউটিউবের পর্দা বা ইনস্টাগ্রামের রিল। ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আজ এক নতুন সমাজ তৈরি করছেন। যেখানে বিনোদন, শিক্ষা, তথ্য, মতামত—সবই একসঙ্গে প্রবাহিত হয়। তাঁরা শুধু ভিডিও বানান না, বরং তৈরি করেন প্রভাব। একটি ভালো কনটেন্ট কখনো প্রচলিত সংবাদকেও ছাড়িয়ে যায়, ছুঁয়ে ফেলে লাখো মানুষকে। এ পেশা এখন শুধু সৃজনশীলতার জায়গা নয়, এটা এক পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক খাত।

কৃষিপ্রযুক্তি ও খাদ্য উদ্ভাবন বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এই কৃষিও এখন প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে। স্মার্ট সেচব্যবস্থা, ড্রোনে জমির পর্যবেক্ষণ, সেন্সর দিয়ে মাটির বিশ্লেষণ—এসবই এখন বাস্তবতা। এ খাতে কাজ করছেন অ্যাগ্রিটেক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের চেষ্টায় কৃষি হচ্ছে আধুনিক, উৎপাদন হচ্ছে দক্ষ, আর কৃষক পাচ্ছেন প্রকৃত দামের নিশ্চয়তা। আগামী দিনে খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের লড়াইয়ে এ পেশার গুরুত্ব বহুগুণে বাড়বে।

ডিজিটাল নীতি, নৈতিকতা ও সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ

প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে, ততই বেড়ে যাচ্ছে নৈতিকতা ও আইনের প্রশ্ন। ডেটা গোপনীয়তা, অনলাইন হয়রানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার—এসবের সমাধানে দরকার এমন মানুষ, যাঁরা বোঝেন আইন ও প্রযুক্তি দুই-ই। ডিজিটাল রেগুলেশন বিশেষজ্ঞরা এই নতুন বিশ্বের শৃঙ্খলা তৈরিতে কাজ করেন। এ পেশা হয়তো কম আলোচিত, কিন্তু এটি ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর একটি হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেসকোতে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
ডেসকোতে চাকরির সুযোগ

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ডেসকোর ২ ক্যাটাগরির পদে মোট ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২৮ অক্টোবর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন

পদের নাম ও সংখ্যা: উপসহকারী প্রকৌশলী (কম্পিউটার), ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার বা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বা ডেটা টেলিযোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিংয়ে কমপক্ষে ডিপ্লোমা ডিগ্রি।

বেতন: ৩৯,০০০ টাকা।

পদের নাম: সিকিউরিটি গার্ড, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ অথবা অষ্টম শ্রেণিসহ ৩ বছরের অভিজ্ঞতা।

বেতন: ১৭,০০০ টাকা।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর। তবে অভ্যন্তরীণ কর্মীদের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

আবেদন ফি: প্রকৌশলী পদের জন্য ১০০০ এবং সিকিউরিটি গার্ডের জন্য ৫০০ টাকা।

সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের ৫০-৬০% হারে বাড়িভাড়া, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, গ্রুপ বিমা, অর্জিত ছুটির নগদীকরণ এবং কোম্পানির প্রযোজ্য নিয়ম অনুসারে গ্র্যাচুইটি, চিকিৎসা ভাতা, পরিবহন ভাতা এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়া হবে।

শর্তাবলি: নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যেকোনো পদ প্রত্যাখ্যান করার, যেকোনো আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার এবং যথাযথ মনে হলে পদ বা পদ সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস করার অধিকার সংরক্ষণ করে এবং আবেদনকারীকে এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে না। নিরাপত্তাপ্রহরী পদের জন্য পুরুষ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীদের ডেসকোর ওয়েবসাইট অফিশিয়াল (www.desco.gov.bd) থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর ডেসকো প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মী নেবে সজীব গ্রুপ, ৩৫ বছরেও করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
কর্মী নেবে সজীব গ্রুপ, ৩৫ বছরেও করা যাবে আবেদন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান সজীব গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৭ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: জোনাল সেলস ইনচার্জ, জেডএসআই (ফুড অ্যান্ড বেভারেজ)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ অথবা এমবিএ।

অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ০২ থেকে ০৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম।

প্রার্থীর ধরন: আগ্রহী নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

বয়সসীমা: ২৫–৩৫ বছর।

কর্মস্থল: বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অফিসার পদে নিয়োগ দেবে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল

চাকরি ডেস্ক 
অফিসার পদে নিয়োগ দেবে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দ্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘মেডিকেল প্রমোশন অফিসার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৮ অক্টোবর অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: মেডিকেল প্রমোশন অফিসার।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/সমমানের ডিগ্রি।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম।

প্রার্থীর ধরন: আগ্রহী শুধু পুরুষ পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

বয়সসীমা: ২২ থেকে ৩২ বছর ।

কর্মস্থল: বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী টি/এ, মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, কর্মক্ষমতা বোনাস, লাভের ভাগ, প্রভিডেন্ট তহবিল, গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত