এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করুন
যেকোনো কাজ শুরু করার আগে সে কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করাটা জরুরি। কত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে, তা যদি আগে থেকে জানা যায়, তাহলে কাজে গতি বাড়ে। সময় বেঁধে দেওয়া থাকলে নিজের মন অবচেতনে একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটা শেষ করার জন্য মন তাড়াহুড়া করে। মনে রাখতে হবে, কাজের মধ্যে বারবার ঘড়ি দেখলেও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।
কাজের তালিকা আগেই তৈরি
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো আগেই ঠিক করে নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ তালিকার প্রথম দিকে রাখতে হবে। তারপর একটু কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এভাবে পর্যায়ক্রমে তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ বাকি থাকবে না। আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো যদি আগেই ঠিক করে রাখা যায়, তাহলে কাজের গতি ঠিক থাকে। মনোযোগও ঠিক থাকে। অন্যদিকে সময়ও বাঁচানো যায়। যদি এক দিন আগে কাজের শিডিউল তৈরি করা সম্ভব না হয়; তাহলে ঘুম থেকে উঠে সকালে প্রথম গুরুত্ব অনুসারে কাজের তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। কাজটা করতে কত সময় লাগবে, সেটাও লিখে রাখতে হবে।
কাজের মাঝে কিছু বিরতি
একটানা অধিক সময় কাজ করলে কাজে মনোযোগ না থাকারই কথা। কারণ, একটানা অনেক সময় কাজ করলে স্বাভাবিকভাবে মানব মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায়। কাজের গতি কমে যায়। তাই কাজের গতি ঠিক রাখা এবং কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কাজের মাঝে ৪-৫ মিনিটের বিরতি নিন। এতে সতেজতা আসবে। আর কাজেও গতি, মনোযোগ—দুটোই থাকবে।
একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়
আমরা অনেকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে চাই। ফলে কোনো কাজই ঠিকঠাকমতো হয়ে ওঠে না। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় সেই নির্দিষ্ট কাজটিই একমনে করতে হবে। অন্যদিকে মন দেওয়া যাবে না। কম্পিউটার একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারলেও মানুষের মস্তিষ্ক একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনো দিকেই ফোকাস ঠিক রাখা যায় না। তাই যে কাজ করছেন, শুধু সে কাজই করুন। সেই কাজের প্রতি ফোকাস রাখুন। সেই কাজটি শেষ হলে অন্য কাজে হাত দিন।
কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন
ভালোভাবে কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য সে কাজের অনুকূল পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ যতটা থাকবে, কাজটা তত অল্প সময়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে। তাই কাজ করার সময় কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন। কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাশে রাখুন।
সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন আমাদের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। কিছু সময় পরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করতে না পারলে যেন অস্থির হয়ে যাই। কিন্তু কাজের সময় ঘন ঘন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করলে কাজে নির্ঘাত ব্যাঘাত ঘটবে। তাই কাজ করার সময় যথাসম্ভব ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো প্রভৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে। হাতের স্মার্টফোনটিও একটু দূরে রাখতে হবে; যাতে ঘন ঘন চোখে না পড়ে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নোটিফিকেশন চেক করার জন্য ব্যস্ত হয়ে না উঠি।
কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজুন
কাজের মধ্যে অনুপ্রেরণা খুঁজুন। অনুপ্রেরণা পেলে কাজটি করার জন্য আপনার আগ্রহ, উদ্যম বেড়ে যাবে। আর যখনই আপনার কাজের আগ্রহ, উদ্যমে বেড়ে যাবে, তখনই কাজে পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন। আর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা আপনার জন্য সহজ হবে। তাই যেকোনো কাজ করার সময় অনুপ্রেরণা নিয়ে, আগ্রহ নিয়ে, কাজটি ভালোবেসে করুন।
শরীর সুস্থ রাখুন
কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য শরীর সুস্থ রাখা অন্যতম শর্ত। শরীর সুস্থ না থাকলে কোনো কাজেই মন বসানো যায় না। শরীর সুস্থ রাখার জন্য পরিমিত খাবার খান, পানি পান করুন, ব্যায়াম করুন। মনে রাখতে হবে, দেহঘড়িটা ঠিকমতো সায় দিলে মনঘড়িটাও ঠিকমতো সংকেত দেবে। আর শরীর-মন ঠিক থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
আরও কিছু কৌশল
কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাবার খান। আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন, প্রার্থনা করুন। প্রার্থনায় মন সতেজ থাকে আর যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে তো মনই আপনাকে তাড়না করে। তাই আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন। হয়ে উঠুন সফল সুন্দর মানুষ।
কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করুন
যেকোনো কাজ শুরু করার আগে সে কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করাটা জরুরি। কত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে, তা যদি আগে থেকে জানা যায়, তাহলে কাজে গতি বাড়ে। সময় বেঁধে দেওয়া থাকলে নিজের মন অবচেতনে একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটা শেষ করার জন্য মন তাড়াহুড়া করে। মনে রাখতে হবে, কাজের মধ্যে বারবার ঘড়ি দেখলেও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।
কাজের তালিকা আগেই তৈরি
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো আগেই ঠিক করে নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ তালিকার প্রথম দিকে রাখতে হবে। তারপর একটু কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এভাবে পর্যায়ক্রমে তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ বাকি থাকবে না। আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো যদি আগেই ঠিক করে রাখা যায়, তাহলে কাজের গতি ঠিক থাকে। মনোযোগও ঠিক থাকে। অন্যদিকে সময়ও বাঁচানো যায়। যদি এক দিন আগে কাজের শিডিউল তৈরি করা সম্ভব না হয়; তাহলে ঘুম থেকে উঠে সকালে প্রথম গুরুত্ব অনুসারে কাজের তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। কাজটা করতে কত সময় লাগবে, সেটাও লিখে রাখতে হবে।
কাজের মাঝে কিছু বিরতি
একটানা অধিক সময় কাজ করলে কাজে মনোযোগ না থাকারই কথা। কারণ, একটানা অনেক সময় কাজ করলে স্বাভাবিকভাবে মানব মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায়। কাজের গতি কমে যায়। তাই কাজের গতি ঠিক রাখা এবং কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কাজের মাঝে ৪-৫ মিনিটের বিরতি নিন। এতে সতেজতা আসবে। আর কাজেও গতি, মনোযোগ—দুটোই থাকবে।
একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়
আমরা অনেকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে চাই। ফলে কোনো কাজই ঠিকঠাকমতো হয়ে ওঠে না। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় সেই নির্দিষ্ট কাজটিই একমনে করতে হবে। অন্যদিকে মন দেওয়া যাবে না। কম্পিউটার একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারলেও মানুষের মস্তিষ্ক একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনো দিকেই ফোকাস ঠিক রাখা যায় না। তাই যে কাজ করছেন, শুধু সে কাজই করুন। সেই কাজের প্রতি ফোকাস রাখুন। সেই কাজটি শেষ হলে অন্য কাজে হাত দিন।
কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন
ভালোভাবে কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য সে কাজের অনুকূল পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ যতটা থাকবে, কাজটা তত অল্প সময়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে। তাই কাজ করার সময় কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন। কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাশে রাখুন।
সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন আমাদের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। কিছু সময় পরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করতে না পারলে যেন অস্থির হয়ে যাই। কিন্তু কাজের সময় ঘন ঘন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করলে কাজে নির্ঘাত ব্যাঘাত ঘটবে। তাই কাজ করার সময় যথাসম্ভব ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো প্রভৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে। হাতের স্মার্টফোনটিও একটু দূরে রাখতে হবে; যাতে ঘন ঘন চোখে না পড়ে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নোটিফিকেশন চেক করার জন্য ব্যস্ত হয়ে না উঠি।
কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজুন
কাজের মধ্যে অনুপ্রেরণা খুঁজুন। অনুপ্রেরণা পেলে কাজটি করার জন্য আপনার আগ্রহ, উদ্যম বেড়ে যাবে। আর যখনই আপনার কাজের আগ্রহ, উদ্যমে বেড়ে যাবে, তখনই কাজে পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন। আর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা আপনার জন্য সহজ হবে। তাই যেকোনো কাজ করার সময় অনুপ্রেরণা নিয়ে, আগ্রহ নিয়ে, কাজটি ভালোবেসে করুন।
শরীর সুস্থ রাখুন
কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য শরীর সুস্থ রাখা অন্যতম শর্ত। শরীর সুস্থ না থাকলে কোনো কাজেই মন বসানো যায় না। শরীর সুস্থ রাখার জন্য পরিমিত খাবার খান, পানি পান করুন, ব্যায়াম করুন। মনে রাখতে হবে, দেহঘড়িটা ঠিকমতো সায় দিলে মনঘড়িটাও ঠিকমতো সংকেত দেবে। আর শরীর-মন ঠিক থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
আরও কিছু কৌশল
কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাবার খান। আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন, প্রার্থনা করুন। প্রার্থনায় মন সতেজ থাকে আর যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে তো মনই আপনাকে তাড়না করে। তাই আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন। হয়ে উঠুন সফল সুন্দর মানুষ।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৩ ধরনের বেসামরিক শূন্য পদে মোট ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৭ জুন এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেবেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ দিক, আবেদনের পদ্ধতি, যোগ্যতা, পছন্দের কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম এনটিআরসিএ...
৩ ঘণ্টা আগেবেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে (এনজিও) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। শুক্রবার (২০ জুন) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
২০ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে শূন্য থাকা ১ লাখ ৮২২টি পদে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের সুপারিশ পাওয়া আগ্রহী প্রার্থীরা রোববার (২২ জুন) থেকে আবেদন জমা দিতে পারছেন।
২১ ঘণ্টা আগে