কাউসার লাবীব
ঐতিহাসিক এক নদ সিন্ধু। কত স্মৃতি, কত ইতিহাস রয়েছে এই নদকে ঘিরে। এটি পাকিস্তানের জাতীয় নদ। এই নদের এক সেতুর গোড়ায় রয়েছে কিছু সবুজ গাছ। গাছগুলোর পাশ ঘেঁষে চলে গেছে মহাসড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। গরমের প্রচণ্ডতায় কখনো কখনো তাদের ভেতর হাহাকার তৈরি হয়। সেই হাহাকার কমাতে মানুষকে ৩০ বছর ধরে শীতল পানি পান করান গুলজার আহমদ। প্রতিদিন শত শত মানুষ তাঁর পান করানো ঠান্ডা পানি দিয়ে হৃদয় শীতল করে।
৬০ বছর বয়সী গুলজার তাঁর জীবনের অর্ধেক সময় ব্যয় করেছেন পানি পান করানোর এই মানবিক কাজে। আর এটি তিনি করে যাচ্ছেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে। শুরুর দিকে তিনি মহররম মাসে পথের ধারে পানি পান করাতেন। একটি মাটির মটকা এবং পানপাত্র ছিল তাঁর সঙ্গী। সময়ের পরিক্রমায় তাঁর মনে এল—‘এই ভালো কাজটি নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া উচিত।’ পরে ধীরে ধীরে তা এখন গুলজারের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে তাঁর এই মানবিক কার্যক্রম। বছরের ১২ মাসই এখন তিনি পথচারীদের বিনা মূল্যে পানি পান করান। গরমকালের আট মাস তিনি ঠান্ডা পানি বিতরণ করেন। আর শীতে পানি রাখেন মাটির পাত্রে, যেন পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
গুলজারের ভাষায়, ‘এই পথ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসা-যাওয়া করে। কেউ রিকশায়, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউবা হেঁটে। সবাইকেই পানি দিই। পরিচিত কিংবা অপরিচিত—সবার পিপাসা মেটানো আমার কর্তব্য মনে করি। এটি আমি করি একমাত্র আল্লাহর জন্য। যখন সেতুর ওপর জ্যাম হয় এবং গাড়ির লাইন দীর্ঘ হয়ে যায়, তখন মানুষ গরমে অস্থির হয়ে আমার এখানে ছুটে আসে। গাছের ছায়ায় পানি পান করে। আমার জন্য দোয়া করে। তাদের দোয়াই আমার পারিশ্রমিক। আমার কখনো ক্লান্ত অনুভব হয় না। বরং তাদের দোয়া পেয়ে আমার মনে আনন্দ জেগে ওঠে।’
যে গাছগুলোর নিচে দাঁড়িয়ে তিনি পথচারীদের পানি পান করান, সেগুলো অনেক বছর আগে তাঁর হাতেই লাগানো। মায়া-মমতা মিশিয়ে তিনি এগুলো লাগিয়ে ছিলেন। তাঁর আদর-যত্নে এগুলো এখন ছায়াদার বড় গাছে রূপ নিয়েছে। গাছগুলোর ছায়ায় পথচারীরা পানি পান করেন। গ্রীষ্মকালে বিশ্রাম নেন।
গুলজারের এই মানবিক কাজ ইতিমধ্যেই মানুষের মাঝে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। পথচারীদের ভাষায়, ‘সময়ের ব্যবধানে এখন সবকিছুই দামি ও কঠিন হয়ে গেছে। কেউ আর কাউকে নিজের লাভ ছাড়া কিছু দেয় না। এমন একসময়ে এসে তিনি এই কাজের মাধ্যমে নিজেই এক উপমা তৈরি করেছেন। এটি তাঁর এক নিঃশব্দ বিপ্লব।’
পথচারীদের পানি পান করাতে গুলজারের প্রতিদিন খরচ হয় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার রুপি, যা তিনি নিজের পকেট থেকেই খরচ করেন। তবে মাঝে মাঝে কিছু পথচারীও তাঁর এই মহৎ কাজে অংশ নেন। তখন তিনি সেই অর্থও এই কাজেই ব্যয় করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয় গুলজারের। জীবন যায় অভাবে। টানাপোড়েনে চলে তাঁর সংসার। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে প্রতিদিন তিনি পথের ধারে উপস্থিত হন। মানুষের হৃদয় শীতল করেন। মন জয় করেন। তাঁর পরে তাঁর সন্তানেরাও এই কাজ চালিয়ে যাবে—এমনটাই প্রত্যাশা গুলজারের।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট উর্দু
ঐতিহাসিক এক নদ সিন্ধু। কত স্মৃতি, কত ইতিহাস রয়েছে এই নদকে ঘিরে। এটি পাকিস্তানের জাতীয় নদ। এই নদের এক সেতুর গোড়ায় রয়েছে কিছু সবুজ গাছ। গাছগুলোর পাশ ঘেঁষে চলে গেছে মহাসড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। গরমের প্রচণ্ডতায় কখনো কখনো তাদের ভেতর হাহাকার তৈরি হয়। সেই হাহাকার কমাতে মানুষকে ৩০ বছর ধরে শীতল পানি পান করান গুলজার আহমদ। প্রতিদিন শত শত মানুষ তাঁর পান করানো ঠান্ডা পানি দিয়ে হৃদয় শীতল করে।
৬০ বছর বয়সী গুলজার তাঁর জীবনের অর্ধেক সময় ব্যয় করেছেন পানি পান করানোর এই মানবিক কাজে। আর এটি তিনি করে যাচ্ছেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে। শুরুর দিকে তিনি মহররম মাসে পথের ধারে পানি পান করাতেন। একটি মাটির মটকা এবং পানপাত্র ছিল তাঁর সঙ্গী। সময়ের পরিক্রমায় তাঁর মনে এল—‘এই ভালো কাজটি নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া উচিত।’ পরে ধীরে ধীরে তা এখন গুলজারের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে তাঁর এই মানবিক কার্যক্রম। বছরের ১২ মাসই এখন তিনি পথচারীদের বিনা মূল্যে পানি পান করান। গরমকালের আট মাস তিনি ঠান্ডা পানি বিতরণ করেন। আর শীতে পানি রাখেন মাটির পাত্রে, যেন পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
গুলজারের ভাষায়, ‘এই পথ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসা-যাওয়া করে। কেউ রিকশায়, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউবা হেঁটে। সবাইকেই পানি দিই। পরিচিত কিংবা অপরিচিত—সবার পিপাসা মেটানো আমার কর্তব্য মনে করি। এটি আমি করি একমাত্র আল্লাহর জন্য। যখন সেতুর ওপর জ্যাম হয় এবং গাড়ির লাইন দীর্ঘ হয়ে যায়, তখন মানুষ গরমে অস্থির হয়ে আমার এখানে ছুটে আসে। গাছের ছায়ায় পানি পান করে। আমার জন্য দোয়া করে। তাদের দোয়াই আমার পারিশ্রমিক। আমার কখনো ক্লান্ত অনুভব হয় না। বরং তাদের দোয়া পেয়ে আমার মনে আনন্দ জেগে ওঠে।’
যে গাছগুলোর নিচে দাঁড়িয়ে তিনি পথচারীদের পানি পান করান, সেগুলো অনেক বছর আগে তাঁর হাতেই লাগানো। মায়া-মমতা মিশিয়ে তিনি এগুলো লাগিয়ে ছিলেন। তাঁর আদর-যত্নে এগুলো এখন ছায়াদার বড় গাছে রূপ নিয়েছে। গাছগুলোর ছায়ায় পথচারীরা পানি পান করেন। গ্রীষ্মকালে বিশ্রাম নেন।
গুলজারের এই মানবিক কাজ ইতিমধ্যেই মানুষের মাঝে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। পথচারীদের ভাষায়, ‘সময়ের ব্যবধানে এখন সবকিছুই দামি ও কঠিন হয়ে গেছে। কেউ আর কাউকে নিজের লাভ ছাড়া কিছু দেয় না। এমন একসময়ে এসে তিনি এই কাজের মাধ্যমে নিজেই এক উপমা তৈরি করেছেন। এটি তাঁর এক নিঃশব্দ বিপ্লব।’
পথচারীদের পানি পান করাতে গুলজারের প্রতিদিন খরচ হয় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার রুপি, যা তিনি নিজের পকেট থেকেই খরচ করেন। তবে মাঝে মাঝে কিছু পথচারীও তাঁর এই মহৎ কাজে অংশ নেন। তখন তিনি সেই অর্থও এই কাজেই ব্যয় করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয় গুলজারের। জীবন যায় অভাবে। টানাপোড়েনে চলে তাঁর সংসার। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে প্রতিদিন তিনি পথের ধারে উপস্থিত হন। মানুষের হৃদয় শীতল করেন। মন জয় করেন। তাঁর পরে তাঁর সন্তানেরাও এই কাজ চালিয়ে যাবে—এমনটাই প্রত্যাশা গুলজারের।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট উর্দু
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে