নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর প্রিয় ইবাদতগুলোর একটি। তবে কখনো কখনো তিনি বান্দার নামাজে অসন্তুষ্ট হন।
এখানে তেমনই তিনটি নামাজের কথা তুলে ধরা হলো:
এক. অলসভাবে আদায়কৃত নামাজ: অনেক মুসল্লিকে দেখা যায়, নামাজের ব্যাপারে তারা খুবই উদাসীন; সময়মতো নামাজ আদায় করে না। আবার অনেকে সময়মতো আদায় করলেও নামাজের বিধানগুলো যথাযথভাবে পালন করে না। এ ধরনের নামাজ আল্লাহ তাআলার ভীষণ অপছন্দের। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরপর দুর্ভোগ ওই সব মুসল্লির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫)
দুই. দায়সারা নামাজ: এক শ্রেণির মানুষ আছে, যারা দায়সারা নামাজ পড়ে। নামাজের সময় তারা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঠিকমতো রুকু-সিজদা করার সময়টুকুও পায় না। নামাজের প্রতিটি বিধান ধীরস্থিরে আদায়ের ক্ষেত্রে যত্নবান হয় না। রাসুল (সা.) এ ধরনের লোকদের নামাজ চোর বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় চোর ওই ব্যক্তি, যে তার নামাজ চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সে কীভাবে নামাজ চুরি করে?’ তিনি বললেন, ‘সে নামাজে রুকু ও সিজদা পূর্ণ করে না।’ (মুসনাদে আহমদ)
তিন. লোকদেখানো নামাজ: কিছু লোক আছে, যারা নামাজ তো ঠিকভাবে পড়ে, কিন্তু তাদের মনে রিয়া থাকে। তারা মানুষের সামনে নিজেকে নামাজি হিসেবে জাহির করার জন্য নামাজ পড়ে, মনের ভেতরে অহংকারের বীজ বপন করে। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, তাদের জন্য মহা দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(এরপর দুর্ভোগ ওই সব মুসল্লির জন্য) যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৬)
মুফতি জুনাইদ আবদুল্লাহ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর প্রিয় ইবাদতগুলোর একটি। তবে কখনো কখনো তিনি বান্দার নামাজে অসন্তুষ্ট হন।
এখানে তেমনই তিনটি নামাজের কথা তুলে ধরা হলো:
এক. অলসভাবে আদায়কৃত নামাজ: অনেক মুসল্লিকে দেখা যায়, নামাজের ব্যাপারে তারা খুবই উদাসীন; সময়মতো নামাজ আদায় করে না। আবার অনেকে সময়মতো আদায় করলেও নামাজের বিধানগুলো যথাযথভাবে পালন করে না। এ ধরনের নামাজ আল্লাহ তাআলার ভীষণ অপছন্দের। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরপর দুর্ভোগ ওই সব মুসল্লির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫)
দুই. দায়সারা নামাজ: এক শ্রেণির মানুষ আছে, যারা দায়সারা নামাজ পড়ে। নামাজের সময় তারা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঠিকমতো রুকু-সিজদা করার সময়টুকুও পায় না। নামাজের প্রতিটি বিধান ধীরস্থিরে আদায়ের ক্ষেত্রে যত্নবান হয় না। রাসুল (সা.) এ ধরনের লোকদের নামাজ চোর বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় চোর ওই ব্যক্তি, যে তার নামাজ চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সে কীভাবে নামাজ চুরি করে?’ তিনি বললেন, ‘সে নামাজে রুকু ও সিজদা পূর্ণ করে না।’ (মুসনাদে আহমদ)
তিন. লোকদেখানো নামাজ: কিছু লোক আছে, যারা নামাজ তো ঠিকভাবে পড়ে, কিন্তু তাদের মনে রিয়া থাকে। তারা মানুষের সামনে নিজেকে নামাজি হিসেবে জাহির করার জন্য নামাজ পড়ে, মনের ভেতরে অহংকারের বীজ বপন করে। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, তাদের জন্য মহা দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(এরপর দুর্ভোগ ওই সব মুসল্লির জন্য) যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৬)
মুফতি জুনাইদ আবদুল্লাহ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে