আবদুল আযীয কাসেমি
তারুণ্যই সব বিপ্লবের প্রাণভোমরা। দৃঢ়তা, বীরত্ব, ঝুঁকি নেওয়া এবং আত্মত্যাগে তারুণ্যের কোনো তুলনা নেই। তারুণ্য মানেই উচ্ছ্বাস, উচ্ছলতা এবং প্রবল আলোড়ন। পৃথিবীতে যেকোনো পরিবর্তনে তারুণ্যের ভূমিকাই প্রধান। তারুণ্যই যুগে যুগে রুখে দিয়েছে জালিমের উত্থান। তারুণ্যের হাত ধরেই এসেছে সত্য-ন্যায়ের জয়গান।
ইসলামের সূচনাকালে এই তারুণ্যই হাতে তুলে নিয়েছিল ইসলামের বিজয়ের ঝান্ডা। মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বে পৃথিবী যে মহাবিপ্লবের সাক্ষী হয়েছিল, সেই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তরুণেরাই। নবীজির সাহাবিদের অধিকাংশই ছিলেন যুবক শ্রেণির। যখন বুড়োরা নবীজিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল, তখন যুবকেরাই এগিয়ে এসেছিলেন নবীজিকে হাত ধরে এগিয়ে নিতে। আবু হামজা আল খারেজি যথার্থ বলেছেন, ‘নবীজির সাহাবিরা তো সবাই ছিলেন তরুণ-যুবা।’
আমরা যখন নবীজির সিরাত গ্রন্থগুলো পাঠ করি, তখন দেখতে পাই নবীজির অধিকাংশ সাহাবিই ছিলেন তরুণ-যুবক। সূচনাকালে সবচেয়ে বয়স্ক সাহাবি ছিলেন আবু বকর (রা.)। তাঁর ইসলাম গ্রহণের সময় বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। এবার ছোট সাহাবিদের কথা ভেবে দেখুন। হজরত আলী, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস, জুবাইর ইবনুল আওয়াম, আবু জান্দাল, আবু বাসির, হাসান, হুসাইন, আবু হুরাইরা, আয়েশা (রা.) প্রমুখের কথা ভেবে দেখুন।
ইসলাম ও ইসলামের পথে সংগ্রামের বার্তা বহনে তরুণ সাহাবিদের ভূমিকা কেমন ছিল তা বুঝতে আমরা বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ ‘সিরাতে ইবনে হিশামের’ একটি উদ্ধৃতি পাঠ করতে পারি। ‘উহুদ যুদ্ধের দিন নবীজি (সা.) সামুরা বিন জুন্দুব ও রাফে বিন খাদিজকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। দুজনেরই বয়স হয়েছিল ১৫ বছর। নবীজি প্রথমে দুজনকেই ফেরত দিয়েছিলেন। তখন কেউ নবীজিকে বলল, রাফে ভালো তিরন্দাজ। তাকে নেওয়া যেতে পারে। নবীজি তার বিষয়টি অনুমোদন করলেন। রাফেকে যখন অনুমতি দেওয়া হলো, কেউ নবীজিকে বললেন, সামুরা রাফেকে লড়াইয়ে পরাজিত করতে সক্ষম। তাদের লড়াইয়ের পর নবীজি সামুরা (রা.)কে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন।’
তারুণ্যের প্রতি নবীজি কেমন আস্থাশীল ছিলেন এটা বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে প্রায় যুদ্ধেই নবীজি (সা.) হজরত আলী (রা.)কে যুদ্ধ পরিচালনার ঝান্ডা তুলে দিয়েছিলেন। বিখ্যাত মুতার যুদ্ধে তিনজন নবীন সাহাবি হজরত জাফর বিন আবু তালিব, আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা ও যায়েদ বিন সাবেত (রা.)। এই তিনজনের শাহাদাতের পর আরেক টগবগে তরুণ খালেদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বেই মুসলিমরা জয়লাভ করে।
নবীজির জীবনের সর্বশেষ অভিযানের জন্য যে সাহাবিকে তিনি যুদ্ধের প্রধান কমান্ডারের দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন, তাঁর নাম ওসামা বিন যায়েদ (রা.)। এমনকি আবু বকর (রা.) খলিফা হওয়ার পরও তাঁকে নেতৃত্বে বহাল রেখেছিলেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
তারুণ্যই সব বিপ্লবের প্রাণভোমরা। দৃঢ়তা, বীরত্ব, ঝুঁকি নেওয়া এবং আত্মত্যাগে তারুণ্যের কোনো তুলনা নেই। তারুণ্য মানেই উচ্ছ্বাস, উচ্ছলতা এবং প্রবল আলোড়ন। পৃথিবীতে যেকোনো পরিবর্তনে তারুণ্যের ভূমিকাই প্রধান। তারুণ্যই যুগে যুগে রুখে দিয়েছে জালিমের উত্থান। তারুণ্যের হাত ধরেই এসেছে সত্য-ন্যায়ের জয়গান।
ইসলামের সূচনাকালে এই তারুণ্যই হাতে তুলে নিয়েছিল ইসলামের বিজয়ের ঝান্ডা। মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বে পৃথিবী যে মহাবিপ্লবের সাক্ষী হয়েছিল, সেই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তরুণেরাই। নবীজির সাহাবিদের অধিকাংশই ছিলেন যুবক শ্রেণির। যখন বুড়োরা নবীজিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল, তখন যুবকেরাই এগিয়ে এসেছিলেন নবীজিকে হাত ধরে এগিয়ে নিতে। আবু হামজা আল খারেজি যথার্থ বলেছেন, ‘নবীজির সাহাবিরা তো সবাই ছিলেন তরুণ-যুবা।’
আমরা যখন নবীজির সিরাত গ্রন্থগুলো পাঠ করি, তখন দেখতে পাই নবীজির অধিকাংশ সাহাবিই ছিলেন তরুণ-যুবক। সূচনাকালে সবচেয়ে বয়স্ক সাহাবি ছিলেন আবু বকর (রা.)। তাঁর ইসলাম গ্রহণের সময় বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। এবার ছোট সাহাবিদের কথা ভেবে দেখুন। হজরত আলী, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস, জুবাইর ইবনুল আওয়াম, আবু জান্দাল, আবু বাসির, হাসান, হুসাইন, আবু হুরাইরা, আয়েশা (রা.) প্রমুখের কথা ভেবে দেখুন।
ইসলাম ও ইসলামের পথে সংগ্রামের বার্তা বহনে তরুণ সাহাবিদের ভূমিকা কেমন ছিল তা বুঝতে আমরা বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ ‘সিরাতে ইবনে হিশামের’ একটি উদ্ধৃতি পাঠ করতে পারি। ‘উহুদ যুদ্ধের দিন নবীজি (সা.) সামুরা বিন জুন্দুব ও রাফে বিন খাদিজকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। দুজনেরই বয়স হয়েছিল ১৫ বছর। নবীজি প্রথমে দুজনকেই ফেরত দিয়েছিলেন। তখন কেউ নবীজিকে বলল, রাফে ভালো তিরন্দাজ। তাকে নেওয়া যেতে পারে। নবীজি তার বিষয়টি অনুমোদন করলেন। রাফেকে যখন অনুমতি দেওয়া হলো, কেউ নবীজিকে বললেন, সামুরা রাফেকে লড়াইয়ে পরাজিত করতে সক্ষম। তাদের লড়াইয়ের পর নবীজি সামুরা (রা.)কে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন।’
তারুণ্যের প্রতি নবীজি কেমন আস্থাশীল ছিলেন এটা বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে প্রায় যুদ্ধেই নবীজি (সা.) হজরত আলী (রা.)কে যুদ্ধ পরিচালনার ঝান্ডা তুলে দিয়েছিলেন। বিখ্যাত মুতার যুদ্ধে তিনজন নবীন সাহাবি হজরত জাফর বিন আবু তালিব, আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা ও যায়েদ বিন সাবেত (রা.)। এই তিনজনের শাহাদাতের পর আরেক টগবগে তরুণ খালেদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বেই মুসলিমরা জয়লাভ করে।
নবীজির জীবনের সর্বশেষ অভিযানের জন্য যে সাহাবিকে তিনি যুদ্ধের প্রধান কমান্ডারের দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন, তাঁর নাম ওসামা বিন যায়েদ (রা.)। এমনকি আবু বকর (রা.) খলিফা হওয়ার পরও তাঁকে নেতৃত্বে বহাল রেখেছিলেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
২ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
৭ ঘণ্টা আগেকোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১ দিন আগে