ইসলাম ডেস্ক
মানবজীবনের যত ধরনের উত্তম গুণাবলি রয়েছে, সেসবের মধ্যে লজ্জাশীলতা এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এটি কেবল একটি মানবীয় গুণ নয়, বরং মুমিন নারী ও পুরুষের ইমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এ সংক্ষিপ্ত বাণীই লজ্জার গুরুত্বকে স্পষ্ট করে তোলে। এটি সেই অদৃশ্য ঢাল, যা মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সমাজে তার সম্মান রক্ষা করে।
আরবিতে ‘হায়া’ শব্দের অর্থ হলো লজ্জা, সংকোচ বা ইতস্ততবোধ। এটি এমন এক মানবিক অনুভূতি, যা মানুষকে জনসম্মুখে বা গোপনে কোনো গর্হিত কাজ করতে বাধা দেয়। লজ্জা দুই ধরনের—স্বভাবগত ও অর্জিত। আল্লাহ প্রদত্তভাবে মানুষের মধ্যে যে সহজাত লজ্জা থাকে, তা হলো স্বভাবগত লজ্জা। যেমন—উলঙ্গ হতে লজ্জাবোধ করা। কিন্তু এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো অর্জিত লজ্জা। মহান আল্লাহর প্রতি ইমান আনার পর দ্বীন, আদব ও শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে যে লজ্জাবোধ সৃষ্টি হয়, তা-ই অর্জিত লজ্জা। এ লজ্জাই মূলত একজন মুমিনকে যাবতীয় অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
লজ্জার সঙ্গে ইমানের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি দ্বীনেরই একটা চরিত্র রয়েছে, আর ইসলামের মূল চরিত্র হলো লজ্জাশীলতা।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)।
যার লজ্জানুভূতি যত বেশি, তার ইমান তত বেশি শক্তিশালী। এ লজ্জাবোধ তাকে পাপের পথ থেকে দূরে রাখে এবং সে পরিশুদ্ধ জীবন যাপন করতে পারে। এ কারণেই নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘লাজুকতা কেবল কল্যাণই বয়ে আনে।’ (সহিহ্ বুখারি)
অন্যদিকে লজ্জাহীনতা হলো দুর্বল ইমানের লক্ষণ। যার লজ্জাবোধ যত কম, তার ইমানের জোর তত কম। লজ্জাহীন ব্যক্তি কোনো কাজ করার আগে তার ভালো-মন্দ বিচার করে না, ফলে সে সহজেই মন্দ পথে ধাবিত হয়। এ বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর একটি সতর্কবাণী রয়েছে—‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। এ হাদিস যেন লজ্জাহীনতার চরম পরিণতিকে তুলে ধরে।
লজ্জাহীনতার কারণে মানুষ নানা ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে অশ্লীলতাকে কঠোরভাবে হারাম করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসুল,) বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব অশ্লীলতা হারাম করেছেন। চাই তা প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে।’ (সুরা আরাফ: ৩৩)
লজ্জা ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করে জান্নাতের পথে চালিত করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারদের স্থান জান্নাত। অন্যদিকে নির্লজ্জতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)।
অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘লজ্জা ও অল্প কথা বলা ইমানের দুটি শাখা। আর অশ্লীলতা ও অতিরিক্ত কথা মুনাফেকির দুটি শাখা।’ (জামে তিরমিজি)
লজ্জা দুর্বলতা নয়, এটি মনের শক্তি ও নৈতিকতার পরিচায়ক। আমাদের উচিত, নিজেদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে এ মূল্যবান গুণটি প্রতিষ্ঠা করা। একমাত্র লজ্জাশীলতার মাধ্যমে একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে যাবতীয় অনাচার ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
লেখক: শামসুন্নাহার সুমনা, প্রাবন্ধিক
মানবজীবনের যত ধরনের উত্তম গুণাবলি রয়েছে, সেসবের মধ্যে লজ্জাশীলতা এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এটি কেবল একটি মানবীয় গুণ নয়, বরং মুমিন নারী ও পুরুষের ইমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এ সংক্ষিপ্ত বাণীই লজ্জার গুরুত্বকে স্পষ্ট করে তোলে। এটি সেই অদৃশ্য ঢাল, যা মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সমাজে তার সম্মান রক্ষা করে।
আরবিতে ‘হায়া’ শব্দের অর্থ হলো লজ্জা, সংকোচ বা ইতস্ততবোধ। এটি এমন এক মানবিক অনুভূতি, যা মানুষকে জনসম্মুখে বা গোপনে কোনো গর্হিত কাজ করতে বাধা দেয়। লজ্জা দুই ধরনের—স্বভাবগত ও অর্জিত। আল্লাহ প্রদত্তভাবে মানুষের মধ্যে যে সহজাত লজ্জা থাকে, তা হলো স্বভাবগত লজ্জা। যেমন—উলঙ্গ হতে লজ্জাবোধ করা। কিন্তু এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো অর্জিত লজ্জা। মহান আল্লাহর প্রতি ইমান আনার পর দ্বীন, আদব ও শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে যে লজ্জাবোধ সৃষ্টি হয়, তা-ই অর্জিত লজ্জা। এ লজ্জাই মূলত একজন মুমিনকে যাবতীয় অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
লজ্জার সঙ্গে ইমানের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি দ্বীনেরই একটা চরিত্র রয়েছে, আর ইসলামের মূল চরিত্র হলো লজ্জাশীলতা।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)।
যার লজ্জানুভূতি যত বেশি, তার ইমান তত বেশি শক্তিশালী। এ লজ্জাবোধ তাকে পাপের পথ থেকে দূরে রাখে এবং সে পরিশুদ্ধ জীবন যাপন করতে পারে। এ কারণেই নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘লাজুকতা কেবল কল্যাণই বয়ে আনে।’ (সহিহ্ বুখারি)
অন্যদিকে লজ্জাহীনতা হলো দুর্বল ইমানের লক্ষণ। যার লজ্জাবোধ যত কম, তার ইমানের জোর তত কম। লজ্জাহীন ব্যক্তি কোনো কাজ করার আগে তার ভালো-মন্দ বিচার করে না, ফলে সে সহজেই মন্দ পথে ধাবিত হয়। এ বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর একটি সতর্কবাণী রয়েছে—‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। এ হাদিস যেন লজ্জাহীনতার চরম পরিণতিকে তুলে ধরে।
লজ্জাহীনতার কারণে মানুষ নানা ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে অশ্লীলতাকে কঠোরভাবে হারাম করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসুল,) বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব অশ্লীলতা হারাম করেছেন। চাই তা প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে।’ (সুরা আরাফ: ৩৩)
লজ্জা ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করে জান্নাতের পথে চালিত করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারদের স্থান জান্নাত। অন্যদিকে নির্লজ্জতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)।
অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘লজ্জা ও অল্প কথা বলা ইমানের দুটি শাখা। আর অশ্লীলতা ও অতিরিক্ত কথা মুনাফেকির দুটি শাখা।’ (জামে তিরমিজি)
লজ্জা দুর্বলতা নয়, এটি মনের শক্তি ও নৈতিকতার পরিচায়ক। আমাদের উচিত, নিজেদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে এ মূল্যবান গুণটি প্রতিষ্ঠা করা। একমাত্র লজ্জাশীলতার মাধ্যমে একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে যাবতীয় অনাচার ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
লেখক: শামসুন্নাহার সুমনা, প্রাবন্ধিক
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত...
৮ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন আমরা চরম অসহায়ত্ব অনুভব করি। তখন সব চেষ্টা ব্যর্থ মনে হয় এবং একমাত্র মহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। ইসলাম এমন পরিস্থিতিতে মুমিনকে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার নির্দেশ দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। কিবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করা এর অন্যতম ফরজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতাআলা কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ আদায়ের আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরাও এবং তোমরা যেখানেই থাকো, ওই দিকে মুখ ফেরাও।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
১২ ঘণ্টা আগেপারস্পরিক যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে রাস্তার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রগতি বহুলাংশে নির্ভর করে তার উন্নত যাতায়াতব্যবস্থার ওপর। রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বস্তু সরিয়ে ফেলা একটি মহৎ কাজ, যা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ হিসেবে গণ্য।
২০ ঘণ্টা আগে