ইসলাম ডেস্ক
মানবজীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন আমরা চরম অসহায়ত্ব অনুভব করি। তখন সব চেষ্টা ব্যর্থ মনে হয় এবং একমাত্র মহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। ইসলাম এমন পরিস্থিতিতে মুমিনকে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার নির্দেশ দেয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আল্লাহর সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম।
এই বিশেষ প্রয়োজনের মুহূর্তে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার জন্য ইসলামে এক বিশেষ নামাজের বিধান রয়েছে, যা ‘সালাতুল হাজত’ বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’ নামে পরিচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি পরিপূর্ণ অজু করে সুন্দরভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা তিনি দান করবেন—তা দ্রুত হোক অথবা দেরিতে।’ (মুসনাদে আহমদ)
সালাতুল হাজত আদায়ের নিয়ম
সালাতুল হাজত আদায়ের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এই নামাজ আদায়ের জন্য প্রথমে ভালোভাবে অজু করতে হবে। এরপর সাধারণ নিয়মে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজ শেষে আল্লাহর হামদ-সানা (প্রশংসা) ও দরুদ শরিফ পাঠ করার পর হাদিসে শিখিয়ে দেওয়া বিশেষ দোয়াটি পাঠ করতে হবে।
রাসুল (সা.) এই নামাজের জন্য যে দোয়াটি শিখিয়েছেন, তা হলো: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা, ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিকা, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিন, ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন। লা তাদালি জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু, ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু, ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কাদাইতাহা, ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু। সব দোষত্রুটি থেকে তিনি পবিত্র। সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতিপালক। হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার রহমত, ক্ষমা ও মাগফিরাত আবশ্যককারী সব বিষয়ের অসিলায় সব ভালো কাজে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের পাপ থেকে নিরাপত্তা লাভের জন্য প্রার্থনা করছি। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু, আমার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। আমার সব সমস্যা সমাধান করে দিন। আমার এমন সব প্রয়োজন পূরণ করে দিন, যার প্রতি আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে।’ (জামে তিরমিজি, সুনানে ইবনে মাজাহ)
এই দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহর কাছে বিনয়ের সঙ্গে নিজের প্রয়োজন তুলে ধরতে হবে। এই হাদিসই সালাতুল হাজত আদায়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। এটি প্রমাণ করে যে, জীবনের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি, বিপদ বা প্রয়োজনে হতাশ না হয়ে সরাসরি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত। এই নামাজ আমাদের ইমান ও নির্ভরতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
মানবজীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন আমরা চরম অসহায়ত্ব অনুভব করি। তখন সব চেষ্টা ব্যর্থ মনে হয় এবং একমাত্র মহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। ইসলাম এমন পরিস্থিতিতে মুমিনকে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার নির্দেশ দেয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আল্লাহর সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম।
এই বিশেষ প্রয়োজনের মুহূর্তে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার জন্য ইসলামে এক বিশেষ নামাজের বিধান রয়েছে, যা ‘সালাতুল হাজত’ বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’ নামে পরিচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি পরিপূর্ণ অজু করে সুন্দরভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা তিনি দান করবেন—তা দ্রুত হোক অথবা দেরিতে।’ (মুসনাদে আহমদ)
সালাতুল হাজত আদায়ের নিয়ম
সালাতুল হাজত আদায়ের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এই নামাজ আদায়ের জন্য প্রথমে ভালোভাবে অজু করতে হবে। এরপর সাধারণ নিয়মে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজ শেষে আল্লাহর হামদ-সানা (প্রশংসা) ও দরুদ শরিফ পাঠ করার পর হাদিসে শিখিয়ে দেওয়া বিশেষ দোয়াটি পাঠ করতে হবে।
রাসুল (সা.) এই নামাজের জন্য যে দোয়াটি শিখিয়েছেন, তা হলো: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা, ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিকা, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিন, ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন। লা তাদালি জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু, ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু, ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কাদাইতাহা, ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু। সব দোষত্রুটি থেকে তিনি পবিত্র। সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতিপালক। হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার রহমত, ক্ষমা ও মাগফিরাত আবশ্যককারী সব বিষয়ের অসিলায় সব ভালো কাজে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের পাপ থেকে নিরাপত্তা লাভের জন্য প্রার্থনা করছি। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু, আমার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। আমার সব সমস্যা সমাধান করে দিন। আমার এমন সব প্রয়োজন পূরণ করে দিন, যার প্রতি আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে।’ (জামে তিরমিজি, সুনানে ইবনে মাজাহ)
এই দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহর কাছে বিনয়ের সঙ্গে নিজের প্রয়োজন তুলে ধরতে হবে। এই হাদিসই সালাতুল হাজত আদায়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। এটি প্রমাণ করে যে, জীবনের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি, বিপদ বা প্রয়োজনে হতাশ না হয়ে সরাসরি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত। এই নামাজ আমাদের ইমান ও নির্ভরতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
মানবজীবনের যত ধরনের উত্তম গুণাবলি রয়েছে, সেসবের মধ্যে লজ্জাশীলতা এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এটি কেবল একটি মানবীয় গুণ নয়, বরং মুমিন নারী ও পুরুষের ইমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘লজ্জা ও অল্প কথা বলা ইমানের দুটি শাখা। আর অশ্লীলতা ও অতিরিক্ত কথা মুনাফেকির দুটি শাখা।’ (জামে তিরমিজি)
৮ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত...
৮ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। কিবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করা এর অন্যতম ফরজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতাআলা কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ আদায়ের আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরাও এবং তোমরা যেখানেই থাকো, ওই দিকে মুখ ফেরাও।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
১২ ঘণ্টা আগেপারস্পরিক যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে রাস্তার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রগতি বহুলাংশে নির্ভর করে তার উন্নত যাতায়াতব্যবস্থার ওপর। রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বস্তু সরিয়ে ফেলা একটি মহৎ কাজ, যা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ হিসেবে গণ্য।
২০ ঘণ্টা আগে