কাউসার লাবীব

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
ইসলাম আজ আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। দেশটিতে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে ইতিমধ্যেই ইসলাম জায়গা করে নিয়েছে। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে আয়ারল্যান্ডে মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এই ফিচারে সেই অসংখ্য মসজিদের মধ্য কয়েকটির বর্ণনা তুলে ধরা হলো। তবে এ তালিকাটি কোনো নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সাজানো হয়নি।

১. ডাবলিন মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। যা ডাবলিনের দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের পাশে অবস্থিত। এটিই হলো আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর।
মসজিদের আগে এখানে একটি গির্জা ছিল। ১৩শ শতাব্দীর ইংরেজ গির্জার শৈলীতে ১৮৬০-এর দশকে ডোনোর প্রেসবিটারিয়ান গির্জাটি নির্মিত হয়। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের এ ভবনটি আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিনে নেয় এবং মসজিদে রূপান্তরিত করে। এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৫০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।

২. ব্ল্যাকপিটস মসজিদ: আয়ারল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইসমাইল খোটওয়াল এই মসজিদের ইমাম। ১৯৯২ সালে প্রথম এই মসজিদটি একটি গুদামঘরে চালু হলেও, বর্তমানে এটি একই স্থানে নবনির্মিত একটি ভবনের নিচতলায় রয়েছে। ওপরের তলাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লিই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। যারা মসজিদের আশপাশে বসবাস করেন। এটি ডাবলিনের ব্ল্যাকপিটস, মার্চেন্ট কায়ে অবস্থিত।

৩. কর্ক মসজিদ: ২০১৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন হওয়া এই মসজিদটি বেশ বড় এবং প্রায়ই এটিকে ‘মেগা মসজিদ’ বলা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় বহন করেছে কাতার সরকার। এটি শুধু উপাসনার স্থান নয়, বরং ধর্মীয় জ্ঞান ও এর শিক্ষা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও এক প্রাণবন্ত কেন্দ্র। কর্কের অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এটি বেশ জনপ্রিয় এবং টারামোর রোড টার্নার্স ক্রসে অবস্থিত।

৪. বালিহাউনিস মসজিদ: এটি ডাবলিনের বাইরে আয়ারল্যান্ডের প্রথম মসজিদ; যা ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়। শের রফিক নামে এক মুসলিম ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেছিলেন। যিনি একটি হালাল মাংস কারখানার মালিক ছিলেন। এর সবুজ গম্বুজের জন্য মসজিদটি সহজেই চোখে পড়ে। ভেতরে প্রায় ১৫০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি ব্লেয়ার রোডের কাছে অবস্থিত।

৫. ক্লোনস্কে মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের বৃহত্তম মসজিদ। ১৯৯৬ সালে দুবাইয়ের হামদান বিন রশিদ আল মাকতুম এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুন্নি মতাদর্শের এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি একটি বৃহৎ ইসলামিক কমপ্লেক্সের অংশ, যেখানে নামাজের স্পেস, একটি লাইব্রেরি, মিটিং রুম, ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি রেস্তোরাঁ, একটি দোকান, লন্ড্রি সুবিধা, প্রশাসনিক অফিস এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এটি ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডাবলিনের পাশে ফ্রিয়ারল্যান্ডে অবস্থিত।

৬. বেলফাস্ট ইসলামিক সেন্টার: উত্তর আয়ারল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই প্রার্থনা কেন্দ্রটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কেবল ইবাদতের স্থান নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষা, বিয়ে, জানাজা এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। এটি বেলফাস্টের ওয়েলিংটন পার্কে অবস্থিত এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ছয়টি মসজিদের মধ্যে অন্যতম।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ট্রায়েঙ্গেল, উইকিপিডিয়া

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
ইসলাম আজ আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। দেশটিতে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে ইতিমধ্যেই ইসলাম জায়গা করে নিয়েছে। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে আয়ারল্যান্ডে মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এই ফিচারে সেই অসংখ্য মসজিদের মধ্য কয়েকটির বর্ণনা তুলে ধরা হলো। তবে এ তালিকাটি কোনো নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সাজানো হয়নি।

১. ডাবলিন মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। যা ডাবলিনের দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের পাশে অবস্থিত। এটিই হলো আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর।
মসজিদের আগে এখানে একটি গির্জা ছিল। ১৩শ শতাব্দীর ইংরেজ গির্জার শৈলীতে ১৮৬০-এর দশকে ডোনোর প্রেসবিটারিয়ান গির্জাটি নির্মিত হয়। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সার্কুলার সড়কের এ ভবনটি আয়ারল্যান্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিনে নেয় এবং মসজিদে রূপান্তরিত করে। এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৫০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।

২. ব্ল্যাকপিটস মসজিদ: আয়ারল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইসমাইল খোটওয়াল এই মসজিদের ইমাম। ১৯৯২ সালে প্রথম এই মসজিদটি একটি গুদামঘরে চালু হলেও, বর্তমানে এটি একই স্থানে নবনির্মিত একটি ভবনের নিচতলায় রয়েছে। ওপরের তলাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লিই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। যারা মসজিদের আশপাশে বসবাস করেন। এটি ডাবলিনের ব্ল্যাকপিটস, মার্চেন্ট কায়ে অবস্থিত।

৩. কর্ক মসজিদ: ২০১৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন হওয়া এই মসজিদটি বেশ বড় এবং প্রায়ই এটিকে ‘মেগা মসজিদ’ বলা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় বহন করেছে কাতার সরকার। এটি শুধু উপাসনার স্থান নয়, বরং ধর্মীয় জ্ঞান ও এর শিক্ষা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও এক প্রাণবন্ত কেন্দ্র। কর্কের অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এটি বেশ জনপ্রিয় এবং টারামোর রোড টার্নার্স ক্রসে অবস্থিত।

৪. বালিহাউনিস মসজিদ: এটি ডাবলিনের বাইরে আয়ারল্যান্ডের প্রথম মসজিদ; যা ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়। শের রফিক নামে এক মুসলিম ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেছিলেন। যিনি একটি হালাল মাংস কারখানার মালিক ছিলেন। এর সবুজ গম্বুজের জন্য মসজিদটি সহজেই চোখে পড়ে। ভেতরে প্রায় ১৫০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি ব্লেয়ার রোডের কাছে অবস্থিত।

৫. ক্লোনস্কে মসজিদ: এটি আয়ারল্যান্ডের বৃহত্তম মসজিদ। ১৯৯৬ সালে দুবাইয়ের হামদান বিন রশিদ আল মাকতুম এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুন্নি মতাদর্শের এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি একটি বৃহৎ ইসলামিক কমপ্লেক্সের অংশ, যেখানে নামাজের স্পেস, একটি লাইব্রেরি, মিটিং রুম, ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি রেস্তোরাঁ, একটি দোকান, লন্ড্রি সুবিধা, প্রশাসনিক অফিস এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এটি ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডাবলিনের পাশে ফ্রিয়ারল্যান্ডে অবস্থিত।

৬. বেলফাস্ট ইসলামিক সেন্টার: উত্তর আয়ারল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই প্রার্থনা কেন্দ্রটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কেবল ইবাদতের স্থান নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষা, বিয়ে, জানাজা এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। এটি বেলফাস্টের ওয়েলিংটন পার্কে অবস্থিত এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ছয়টি মসজিদের মধ্যে অন্যতম।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ট্রায়েঙ্গেল, উইকিপিডিয়া

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১২ দিন আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১২ দিন আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে ইসলামের আগমন ১৯৫০-এর দশকে। শান্তির ধর্ম ইসলাম এর পর থেকে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এখানে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইসলামিক সোসাইটি এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম মসজিদ। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় আইরিশ কাউন্সিল অব ইমামস।
১২ দিন আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে