Ajker Patrika

ইবাদত হোক রিয়ামুক্ত

মুফতি খালিদ কাসেমি
ইবাদত হোক রিয়ামুক্ত

যেসব ইবাদত কেবল আল্লাহর জন্য করা উচিত, তা যদি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়, সেটিকে ইসলামের পরিভাষায় ‘রিয়া’ বলা হয়। রিয়াযুক্ত ইবাদত সম্পূর্ণ হারাম। বান্দার ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র সত্তা হচ্ছেন মহান আল্লাহ। ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর আর কোনো অংশীদার নেই। ইবাদত হতে হবে সম্পূর্ণ লোকদেখানোর মানসিকতা থেকে মুক্ত।

এক হাদিসে রিয়াযুক্ত ইবাদতকে গোপন শিরক বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ে অবহিত করব না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য মসিহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর?’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘গোপন শিরক। মানুষ নামাজ পড়তে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে নামাজ পড়ে।’ (ইবনে মাজাহ) অন্য হাদিসে রিয়াযুক্ত ইবাদতকে ছোট শিরক বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের ব্যাপারে আমার সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হচ্ছে ছোট শিরক—রিয়া (অর্থাৎ মানুষের প্রশংসা পেতে ইবাদত করা)।’ (বুলুগুল মারাম)

রিয়াযুক্ত ইবাদতকারীর পরিণাম হবে ভয়াবহ। মহান আল্লাহ এমন ইবাদতকারীর ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর, যারা তা লোকদেখানোর জন্য করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)

কিয়ামতের দিন রিয়াযুক্ত ইবাদতের কোনো সওয়াব দেওয়া হবে না। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কিয়ামতের দিন—যেদিনের আগমনে কোনো সন্দেহ নেই—পূর্বাপর সবাইকে একত্র করবেন, তখন একজন ঘোষক ঘোষণা করবে—যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে গিয়ে এর মধ্যে কাউকে শরিক করেছে, সে যেন তাদের কাছে নিজের সওয়াব চেয়ে নেয়। কেননা মহান আল্লাহ শিরককারীর শিরক থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’ (ইবনে মাজাহ)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত