ড. মো. শাহজাহান কবীর
ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘তাহারাহ’ শব্দের অর্থ পবিত্রতা। এ শব্দটি কুফরি থেকে মুক্ত হওয়ার কথা যেমন বলে, তেমনি তা সব ধরনের বাহ্যিক অপরিচ্ছন্নতা থেকে মুক্ত হওয়াকেও বোঝায়। বাহ্যিক পবিত্রতা একজন মুমিনের নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত। জান্নাতের চাবি যেমন নামাজ, তেমনি নামাজের চাবি পবিত্রতা।
আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা: ১০৮) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)
হাদিসে পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ইমানের অংশ বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম) ইসলামে ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা, ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিপার্শের পরিচ্ছন্নতা—কোনোটাই বাদ যায়নি। কারও জন্য গোসল ফরজ না হলেও শরীরে ঘাম ও ধুলোবালি ইত্যাদি লাগার কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে, তাই অন্তত সাত দিনে একবার হলেও গোসল করতে বলা হয়েছে।
দাঁত ও মুখের যত্নে মিসওয়াক ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। চুলের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায়ও ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি নখ কাটা, গোঁফ ছোট করা, বাহুর নিচের চুল ওপড়ানো এমনকি গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করাসহ কোনোটিই বাদ যায়নি। নিজের স্বাস্থ্য রক্ষায় এর বিকল্প নেই।
ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হাদিসে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্রকে পছন্দ করেন। আল্লাহ পরিচ্ছন্ন। তিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। আল্লাহ মহৎ। তিনি মহত্ব পছন্দ করেন। আল্লাহ বদান্য। তিনি বদান্যতা পছন্দ করেন। অতএব তোমরা তোমাদের উঠানগুলো পরিচ্ছন্ন রাখবে।’ (তিরমিজি)
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘তাহারাহ’ শব্দের অর্থ পবিত্রতা। এ শব্দটি কুফরি থেকে মুক্ত হওয়ার কথা যেমন বলে, তেমনি তা সব ধরনের বাহ্যিক অপরিচ্ছন্নতা থেকে মুক্ত হওয়াকেও বোঝায়। বাহ্যিক পবিত্রতা একজন মুমিনের নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত। জান্নাতের চাবি যেমন নামাজ, তেমনি নামাজের চাবি পবিত্রতা।
আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা: ১০৮) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)
হাদিসে পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ইমানের অংশ বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম) ইসলামে ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা, ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিপার্শের পরিচ্ছন্নতা—কোনোটাই বাদ যায়নি। কারও জন্য গোসল ফরজ না হলেও শরীরে ঘাম ও ধুলোবালি ইত্যাদি লাগার কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে, তাই অন্তত সাত দিনে একবার হলেও গোসল করতে বলা হয়েছে।
দাঁত ও মুখের যত্নে মিসওয়াক ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। চুলের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায়ও ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি নখ কাটা, গোঁফ ছোট করা, বাহুর নিচের চুল ওপড়ানো এমনকি গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করাসহ কোনোটিই বাদ যায়নি। নিজের স্বাস্থ্য রক্ষায় এর বিকল্প নেই।
ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হাদিসে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্রকে পছন্দ করেন। আল্লাহ পরিচ্ছন্ন। তিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। আল্লাহ মহৎ। তিনি মহত্ব পছন্দ করেন। আল্লাহ বদান্য। তিনি বদান্যতা পছন্দ করেন। অতএব তোমরা তোমাদের উঠানগুলো পরিচ্ছন্ন রাখবে।’ (তিরমিজি)
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে