মুহাম্মাদ হাবীব আনওয়ার

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রুম: ৪১)
এই গরমে অনেকে বাসা-বাড়ি থেকে বের হতেই সাহস পাচ্ছে না। থেমে গেছে অনেকের কাজকর্মও। মুমিন ব্যক্তি কখনো অলস সময় পার করেন না। যখন যেভাবে সম্ভব হয়, তাঁকে আল্লাহর আনুগত্য ও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হয়। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে মানুষ মূলত আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার করে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করে। প্রচণ্ড গরমে খুব সহজে করা যায় এবং অসংখ্য সওয়াবের মালিক হওয়া যায়—এমন কয়েকটি আমলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
১. তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
পরিচিত-অপরিচিত অসংখ্য মানুষ আমাদের বাড়ি, দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে চলাচল করে। এই গরমে তাদের তৃষ্ণা নিবারণে আমরা পানি পান করাতে পারি। কারণ তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো বড় সওয়াবের কাজ। হজরত সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা ইন্তেকাল করেছেন, আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, পানি পান করানো। (সুনানে নাসায়ি: ৩৬৬৪)
২. পশুপাখির প্রতি দয়া
এই গরমে পশুপাখির যত্ন নেওয়া উচিত। গৃহপালিত পশুপাখির তো নিতেই হবে, ঘরবাড়ির আশপাশে বাস করা মুক্ত পশুপাখিরও খোঁজখবর রাখা উচিত। তাদের জন্য ঘরের ছাদে বা বারান্দা-বেলকনিতে ছোট বাটিতে কিছু পানি বা খাদ্য রাখুন। এটি বড় সওয়াবের কাজ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে ওপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তাআলা তার আমল কবুল করলেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সওয়াব হবে?’ তিনি বললেন, ‘প্রতিটি প্রাণীর উপকার করাতেই সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি: ২৩৬৩)
৩. পরিবেশ রক্ষায় যত্নবান হওয়া
গাছের ছেড়ে দেওয়া নির্মল বাতাস মানবজীবনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। গাছ ও মানুষ একে অপরের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই গাছপালার প্রতি দয়ার্দ্র হতে হবে। রাস্তার ধারে বা খোলা ময়দানে যথাসময়ে গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। সেই গাছ অক্সিজেন ও ফল দেবে। হাদিসের ভাষায় যা সদকা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায় আর তা থেকে পাখি বা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায়, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (বুখারি: ২৩২০)

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রুম: ৪১)
এই গরমে অনেকে বাসা-বাড়ি থেকে বের হতেই সাহস পাচ্ছে না। থেমে গেছে অনেকের কাজকর্মও। মুমিন ব্যক্তি কখনো অলস সময় পার করেন না। যখন যেভাবে সম্ভব হয়, তাঁকে আল্লাহর আনুগত্য ও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হয়। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে মানুষ মূলত আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার করে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করে। প্রচণ্ড গরমে খুব সহজে করা যায় এবং অসংখ্য সওয়াবের মালিক হওয়া যায়—এমন কয়েকটি আমলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
১. তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
পরিচিত-অপরিচিত অসংখ্য মানুষ আমাদের বাড়ি, দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে চলাচল করে। এই গরমে তাদের তৃষ্ণা নিবারণে আমরা পানি পান করাতে পারি। কারণ তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো বড় সওয়াবের কাজ। হজরত সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা ইন্তেকাল করেছেন, আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, পানি পান করানো। (সুনানে নাসায়ি: ৩৬৬৪)
২. পশুপাখির প্রতি দয়া
এই গরমে পশুপাখির যত্ন নেওয়া উচিত। গৃহপালিত পশুপাখির তো নিতেই হবে, ঘরবাড়ির আশপাশে বাস করা মুক্ত পশুপাখিরও খোঁজখবর রাখা উচিত। তাদের জন্য ঘরের ছাদে বা বারান্দা-বেলকনিতে ছোট বাটিতে কিছু পানি বা খাদ্য রাখুন। এটি বড় সওয়াবের কাজ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে ওপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তাআলা তার আমল কবুল করলেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সওয়াব হবে?’ তিনি বললেন, ‘প্রতিটি প্রাণীর উপকার করাতেই সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি: ২৩৬৩)
৩. পরিবেশ রক্ষায় যত্নবান হওয়া
গাছের ছেড়ে দেওয়া নির্মল বাতাস মানবজীবনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। গাছ ও মানুষ একে অপরের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই গাছপালার প্রতি দয়ার্দ্র হতে হবে। রাস্তার ধারে বা খোলা ময়দানে যথাসময়ে গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। সেই গাছ অক্সিজেন ও ফল দেবে। হাদিসের ভাষায় যা সদকা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায় আর তা থেকে পাখি বা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায়, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (বুখারি: ২৩২০)
মুহাম্মাদ হাবীব আনওয়ার

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রুম: ৪১)
এই গরমে অনেকে বাসা-বাড়ি থেকে বের হতেই সাহস পাচ্ছে না। থেমে গেছে অনেকের কাজকর্মও। মুমিন ব্যক্তি কখনো অলস সময় পার করেন না। যখন যেভাবে সম্ভব হয়, তাঁকে আল্লাহর আনুগত্য ও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হয়। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে মানুষ মূলত আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার করে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করে। প্রচণ্ড গরমে খুব সহজে করা যায় এবং অসংখ্য সওয়াবের মালিক হওয়া যায়—এমন কয়েকটি আমলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
১. তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
পরিচিত-অপরিচিত অসংখ্য মানুষ আমাদের বাড়ি, দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে চলাচল করে। এই গরমে তাদের তৃষ্ণা নিবারণে আমরা পানি পান করাতে পারি। কারণ তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো বড় সওয়াবের কাজ। হজরত সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা ইন্তেকাল করেছেন, আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, পানি পান করানো। (সুনানে নাসায়ি: ৩৬৬৪)
২. পশুপাখির প্রতি দয়া
এই গরমে পশুপাখির যত্ন নেওয়া উচিত। গৃহপালিত পশুপাখির তো নিতেই হবে, ঘরবাড়ির আশপাশে বাস করা মুক্ত পশুপাখিরও খোঁজখবর রাখা উচিত। তাদের জন্য ঘরের ছাদে বা বারান্দা-বেলকনিতে ছোট বাটিতে কিছু পানি বা খাদ্য রাখুন। এটি বড় সওয়াবের কাজ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে ওপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তাআলা তার আমল কবুল করলেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সওয়াব হবে?’ তিনি বললেন, ‘প্রতিটি প্রাণীর উপকার করাতেই সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি: ২৩৬৩)
৩. পরিবেশ রক্ষায় যত্নবান হওয়া
গাছের ছেড়ে দেওয়া নির্মল বাতাস মানবজীবনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। গাছ ও মানুষ একে অপরের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই গাছপালার প্রতি দয়ার্দ্র হতে হবে। রাস্তার ধারে বা খোলা ময়দানে যথাসময়ে গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। সেই গাছ অক্সিজেন ও ফল দেবে। হাদিসের ভাষায় যা সদকা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায় আর তা থেকে পাখি বা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায়, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (বুখারি: ২৩২০)

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রুম: ৪১)
এই গরমে অনেকে বাসা-বাড়ি থেকে বের হতেই সাহস পাচ্ছে না। থেমে গেছে অনেকের কাজকর্মও। মুমিন ব্যক্তি কখনো অলস সময় পার করেন না। যখন যেভাবে সম্ভব হয়, তাঁকে আল্লাহর আনুগত্য ও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হয়। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে মানুষ মূলত আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার করে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করে। প্রচণ্ড গরমে খুব সহজে করা যায় এবং অসংখ্য সওয়াবের মালিক হওয়া যায়—এমন কয়েকটি আমলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
১. তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
পরিচিত-অপরিচিত অসংখ্য মানুষ আমাদের বাড়ি, দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে চলাচল করে। এই গরমে তাদের তৃষ্ণা নিবারণে আমরা পানি পান করাতে পারি। কারণ তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো বড় সওয়াবের কাজ। হজরত সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা ইন্তেকাল করেছেন, আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, পানি পান করানো। (সুনানে নাসায়ি: ৩৬৬৪)
২. পশুপাখির প্রতি দয়া
এই গরমে পশুপাখির যত্ন নেওয়া উচিত। গৃহপালিত পশুপাখির তো নিতেই হবে, ঘরবাড়ির আশপাশে বাস করা মুক্ত পশুপাখিরও খোঁজখবর রাখা উচিত। তাদের জন্য ঘরের ছাদে বা বারান্দা-বেলকনিতে ছোট বাটিতে কিছু পানি বা খাদ্য রাখুন। এটি বড় সওয়াবের কাজ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে ওপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তাআলা তার আমল কবুল করলেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সওয়াব হবে?’ তিনি বললেন, ‘প্রতিটি প্রাণীর উপকার করাতেই সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি: ২৩৬৩)
৩. পরিবেশ রক্ষায় যত্নবান হওয়া
গাছের ছেড়ে দেওয়া নির্মল বাতাস মানবজীবনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। গাছ ও মানুষ একে অপরের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই গাছপালার প্রতি দয়ার্দ্র হতে হবে। রাস্তার ধারে বা খোলা ময়দানে যথাসময়ে গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। সেই গাছ অক্সিজেন ও ফল দেবে। হাদিসের ভাষায় যা সদকা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায় আর তা থেকে পাখি বা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায়, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (বুখারি: ২৩২০)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্
২৬ এপ্রিল ২০২৪
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্
২৬ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্
২৬ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আমাদের দায় সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্
২৬ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে