ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
মানুষ আল্লাহর সেরা সৃষ্টি হিসেবে তাদের মহান স্রষ্টাকে স্মরণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই স্মরণ করাই হলো জিকির। এটি সর্বোত্তম ইবাদত। সব সময়ই নানাভাবে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আবৃত্তি করো কিতাব থেকে, যা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। আর নামাজ কায়েম করো। নামাজ অবশ্যই অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা জানেন।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
জিকিরের অনন্য ফজিলত
মহান আল্লাহ বেশি বেশি জিকির করার আহ্বান করেছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। তিনি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোয় আনার জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। আর তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু।’ (সুরা আহজাব: ৪১-৪৩)
জিকির আল্লাহর রহমত, ফেরেশতাদের দোয়া, হেদায়ত ও জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ, অধিক স্মরণকারী নারী—এদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।’ (সুরা আহজাব: ৩৫)
এ ছাড়া মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)-কে তাদের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন, যারা আল্লাহকে স্মরণ করে। এরশাদ হয়েছে, ‘ধৈর্য ধরে তুমি তাদের সংসর্গে থাকবে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। আর পার্থিব জীবনের লোভ কামনা করে তুমি তাদের থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না। তার আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে।’ (সুরা কাহফ: ২৮)
আল্লাহর স্মরণই মানুষের মন প্রশান্ত করতে পারে। এরশাদ হয়েছে, ‘তারাই ইমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
জিকিরের কয়েকটি পদ্ধতি
বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়। এখানে কয়েকটি পদ্ধতির কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
চিন্তা-ভাবনা: আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিজগৎ নিয়ে এমনভাবে চিন্তাভাবনা করা, যার মাধ্যমে তাঁর পরিচয়, বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের বিষয় ফুটে ওঠে। তাঁর কুদরত ও সৃষ্টির রহস্য উপলব্ধি করে তাঁর প্রতি ইমানের মাত্রা বেড়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং দিন ও রাতের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন লোকের জন্য, যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে ও বলে—হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি তা নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র, আপনি আমাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৯০-১৯১)
নামাজ: নামাজ অন্যতম আল্লাহর জিকির। তবে যে নামাজ নামাজিকে আল্লাহর স্মরণে জাগ্রত করে তোলে এবং যে নামাজে নামাজি আল্লাহকে মনে মনে দেখতে পায় অথবা আল্লাহ তাকে দেখছেন—এমন বিশ্বাস রাখতে পারে—সেটিই মূলত আল্লাহর জিকিরে সমৃদ্ধ আলোকিত নামাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। অতএব, আমার ইবাদত করো এবং আমার স্মরণে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা তোয়াহা: ১৪)
কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং এর মাধ্যমে ইমানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরআন তিলাওয়াতকে সর্বোত্তম জিকির আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিন তো তারাই, যাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহর জিকির করা হয়। আর যখন তার আয়াত তাদের কাছে পাঠ করা হয়, তখন তা তাদের ইমান বাড়ায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের ওপরই নির্ভর করে।’ (সুরা আনফাল: ২)
মাসনুন দোয়া: মানুষ দৈনন্দিন জীবনে যেসব কাজকর্ম করে, সেগুলো আল্লাহর নামে শুরু করা এবং সমাপ্তির পর আল্লাহর প্রশংসা করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এসব দোয়া আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলোতে অভ্যস্ত হলে পুরো কাজই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। মানুষ প্রতিদিনের একটি বড় অংশ ঘুমে কাটায়। অবশিষ্ট সময়ে কমপক্ষে তিনবার খাবার গ্রহণ, পাঁচবার টয়লেট এবং পাঁচবার মসজিদে যায়। এই দোয়াগুলো পাঠ করার অভ্যাস গড়ে উঠলে জীবনের এক বড় সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে ব্যয় হবে।
তাসবিহ পাঠ: প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর এবং সকাল-বিকেল ও রাতের একাংশে নিয়মিতভাবে কিছু তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি একবার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ করা। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতি ফরজ নামাজের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না।’ (নাসায়ি: ১০০)
কাআব ইবনে উজরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজের পর কিছু বাক্য পাঠ করা হয়, যার পাঠকারী কখনো বঞ্চিত হয় না। বাক্যগুলো হলো—প্রতি ওয়াক্ত নামাজের শেষে সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার ও আল্লাহু আকবার ৩৪ বার।’ (মুসলিম: ৫৯৬)
এ ছাড়া সকাল-বিকেল ও রাতের কিছু অংশে কালিমা, দরুদ, ইস্তিগফার অন্যান্য তাসবিহ আদায় করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা প্রতিপালকের নাম স্মরণ করো সকালে ও সন্ধ্যায়। আর রাতের কিয়দংশে তাঁর প্রতি সিজদাবনত হও এবং রাতের দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।’ (সুরা দাহর: ২৫-২৬)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মানুষ আল্লাহর সেরা সৃষ্টি হিসেবে তাদের মহান স্রষ্টাকে স্মরণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই স্মরণ করাই হলো জিকির। এটি সর্বোত্তম ইবাদত। সব সময়ই নানাভাবে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আবৃত্তি করো কিতাব থেকে, যা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। আর নামাজ কায়েম করো। নামাজ অবশ্যই অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা জানেন।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
জিকিরের অনন্য ফজিলত
মহান আল্লাহ বেশি বেশি জিকির করার আহ্বান করেছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। তিনি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোয় আনার জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। আর তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু।’ (সুরা আহজাব: ৪১-৪৩)
জিকির আল্লাহর রহমত, ফেরেশতাদের দোয়া, হেদায়ত ও জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ, অধিক স্মরণকারী নারী—এদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।’ (সুরা আহজাব: ৩৫)
এ ছাড়া মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)-কে তাদের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন, যারা আল্লাহকে স্মরণ করে। এরশাদ হয়েছে, ‘ধৈর্য ধরে তুমি তাদের সংসর্গে থাকবে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। আর পার্থিব জীবনের লোভ কামনা করে তুমি তাদের থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না। তার আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে।’ (সুরা কাহফ: ২৮)
আল্লাহর স্মরণই মানুষের মন প্রশান্ত করতে পারে। এরশাদ হয়েছে, ‘তারাই ইমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
জিকিরের কয়েকটি পদ্ধতি
বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়। এখানে কয়েকটি পদ্ধতির কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
চিন্তা-ভাবনা: আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিজগৎ নিয়ে এমনভাবে চিন্তাভাবনা করা, যার মাধ্যমে তাঁর পরিচয়, বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের বিষয় ফুটে ওঠে। তাঁর কুদরত ও সৃষ্টির রহস্য উপলব্ধি করে তাঁর প্রতি ইমানের মাত্রা বেড়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং দিন ও রাতের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন লোকের জন্য, যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে ও বলে—হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি তা নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র, আপনি আমাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৯০-১৯১)
নামাজ: নামাজ অন্যতম আল্লাহর জিকির। তবে যে নামাজ নামাজিকে আল্লাহর স্মরণে জাগ্রত করে তোলে এবং যে নামাজে নামাজি আল্লাহকে মনে মনে দেখতে পায় অথবা আল্লাহ তাকে দেখছেন—এমন বিশ্বাস রাখতে পারে—সেটিই মূলত আল্লাহর জিকিরে সমৃদ্ধ আলোকিত নামাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। অতএব, আমার ইবাদত করো এবং আমার স্মরণে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা তোয়াহা: ১৪)
কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং এর মাধ্যমে ইমানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরআন তিলাওয়াতকে সর্বোত্তম জিকির আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিন তো তারাই, যাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহর জিকির করা হয়। আর যখন তার আয়াত তাদের কাছে পাঠ করা হয়, তখন তা তাদের ইমান বাড়ায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের ওপরই নির্ভর করে।’ (সুরা আনফাল: ২)
মাসনুন দোয়া: মানুষ দৈনন্দিন জীবনে যেসব কাজকর্ম করে, সেগুলো আল্লাহর নামে শুরু করা এবং সমাপ্তির পর আল্লাহর প্রশংসা করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এসব দোয়া আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলোতে অভ্যস্ত হলে পুরো কাজই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। মানুষ প্রতিদিনের একটি বড় অংশ ঘুমে কাটায়। অবশিষ্ট সময়ে কমপক্ষে তিনবার খাবার গ্রহণ, পাঁচবার টয়লেট এবং পাঁচবার মসজিদে যায়। এই দোয়াগুলো পাঠ করার অভ্যাস গড়ে উঠলে জীবনের এক বড় সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে ব্যয় হবে।
তাসবিহ পাঠ: প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর এবং সকাল-বিকেল ও রাতের একাংশে নিয়মিতভাবে কিছু তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি একবার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ করা। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতি ফরজ নামাজের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না।’ (নাসায়ি: ১০০)
কাআব ইবনে উজরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজের পর কিছু বাক্য পাঠ করা হয়, যার পাঠকারী কখনো বঞ্চিত হয় না। বাক্যগুলো হলো—প্রতি ওয়াক্ত নামাজের শেষে সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার ও আল্লাহু আকবার ৩৪ বার।’ (মুসলিম: ৫৯৬)
এ ছাড়া সকাল-বিকেল ও রাতের কিছু অংশে কালিমা, দরুদ, ইস্তিগফার অন্যান্য তাসবিহ আদায় করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা প্রতিপালকের নাম স্মরণ করো সকালে ও সন্ধ্যায়। আর রাতের কিয়দংশে তাঁর প্রতি সিজদাবনত হও এবং রাতের দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।’ (সুরা দাহর: ২৫-২৬)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
২ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৩ দিন আগে