Ajker Patrika

কিবলার দিক জানা না থাকলে করণীয়

মুফতি আবু দারদা
কিবলার দিক জানা না থাকলে করণীয়

কিবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করা নামাজের অন্যতম ফরজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করার আদেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরাও এবং তোমরা যেখানেই থাকো, ওই দিকে মুখ ফেরাও।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪) তবে নতুন কোনো জায়গায় গেলে কিবলার দিক নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।

অনেক সময় বুঝে ওঠা যায় না কোন দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতে হবে। এমন অবস্থায় কিবলার দিক সম্পর্কে জানে এমন কাউকে না পেলে কীভাবে নামাজ আদায় করতে হবে—এ বিষয়ে ইসলামে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনি যে জায়গায় গিয়েছেন, সেখানে যদি কিবলার দিক নির্ণয় করতে ব্যর্থ হন, তবে আপনার কর্তব্য হলো—প্রথমে ভালোভাবে খোঁজখবর নেওয়া। এরপর কারও কাছে জানতে না পারলে নিজে চিন্তাভাবনা করে দেখতে হবে। যেই দিককে কিবলা মনে হবে, সেদিকে ফিরে নামাজ আদায় করতে হবে।

আর নামাজ আদায় করার সময় যদি কেউ এসে কিবলার সঠিক দিক সম্পর্কে জানায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে যেতে হবে। আর নামাজ শেষ করার পর যদি জানতে পারেন যে আপনি ভুল কিবলার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন, তবে আপনার কোনো দায় নেই; আপনার নামাজ সঠিক বলে ধরে নেওয়া হবে। সুতরাং নামাজ আবার আদায় করতে হবে না। তবে ভালোভাবে খোঁজখবর না নিয়ে এবং চিন্তাভাবনা না করে নামাজ আদায় করলে এবং নামাজ শেষে কিবলা ভুল প্রমাণিত হলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। আবার তা আদায় করতে হবে।

সূত্র: ফাতওয়ায়ে শামি: ২ / ১১৫-১১৬; ফাতওয়ায়ে আলমগিরি: ১ / ৬৪; আল বাহরুর রায়েক: ২ / ২৮৭; ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ৯ / ২৩৩

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধৈর্য আর মমতায় গড়ে ওঠে সুখের সংসার

ইসলাম ডেস্ক 
ক্যারিয়ারের প্রশ্নে বিয়ের আগেই খোলামেলা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। ছবি: ফ্রিপিক
ক্যারিয়ারের প্রশ্নে বিয়ের আগেই খোলামেলা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। ছবি: ফ্রিপিক

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।

পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।

আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)

পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৩ নভেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫২
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৪: ৫২ মিনিট
ফজর০৪: ৫৩ মিনিট০৬: ১০ মিনিট
জোহর১১: ৪৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩০ মিনিট
এশা০৬: ৩১ মিনিট০৪: ৫২ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোরআন তিলাওয়াত মুমিনের হৃদয়ে আনে প্রশান্তি

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।

আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)

আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)

যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।

কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:

  • ক. আল্লাহর পরিবারভুক্ত হওয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কয়েকজন আল্লাহর পরিবার-পরিজন।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, তারা কারা?’ তিনি বললেন, ‘কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২১৯)
  • খ. প্রতি হরফে ১০ নেকি লাভ: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ লাম মিম মিলে একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মিম আরও একটি হরফ।’ (জামে তিরমিজি: ২৯১০)
  • গ. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত: আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণ উত্তম, স্বাদও উত্তম।...’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৪২৭)
  • ঘ. কিয়ামতের দিনে উচ্চ মর্যাদা: কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে—‘তুমি তা পাঠ করতে থাকো এবং ওপরে চড়তে (উঠতে) থাকো। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেরূপ তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা, তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) ওটিই, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৬৪)
  • ঙ. কোরআন সুপারিশকারী: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, ‘কোরআন এমন সুপারিশকারী, যার সুপারিশ (তিলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী, যার বিতর্ক (তিলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্রহণ করা হবে। অতএব, যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তিলাওয়াত করবে ও তদনুযায়ী আমল করবে), কোরআন তাঁকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পেছনে রাখবে (তিলাওয়াত করবে না ও তদনুযায়ী আমল করবে না), কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।’ (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
  • চ. কোরআন শেখা ও শেখানো: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’ (জামে তিরমিজি: ২৯০৯)
  • ছ. মর্যাদা বৃদ্ধি ও সম্মান: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কয়েক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কয়েককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২১৮)

উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।

কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।

লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঋণের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে যে দোয়া পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’

একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)

আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় তাকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’

আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩) ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত