ইসলাম ডেস্ক
কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে