মুফতি আবু দারদা
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোরবানির মাংস ভাগ করে নেওয়াই কোরবানির প্রধান শিক্ষা। সমাজের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করতে উৎসাহ দেয় ইসলাম। এ জন্যই কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে, এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ নিজের ও পরিবারের জন্য রাখা উত্তম। হাদিসে এমনটিই নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
তবে কেউ যদি কোরবানির মাংস পুরোটা কাউকে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখে, তাও জায়েজ হবে। ফিকহের কিতাবে বলা হয়েছে, ‘পুরো মাংস জমিয়ে রাখলেও অসুবিধা নেই।’ (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, আলমগিরি: ৫/৩০০) গরিব-মিসকিনদের দেওয়ার পর বাকি মাংস সংরক্ষণ করে রাখলেও কোনো অসুবিধা নেই। তা নিশ্চিন্তে রাখা যাবে। (মুয়াত্তা মালেক: ১/৩১৮)
ইসলামের প্রথম যুগে কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করার অনুমতি ছিল না। কারণ রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘তোমরা তিন দিন পর্যন্ত কোরবানির মাংস রাখতে পারো। এরপর অবশিষ্ট যা থাকে, সদকা করে দাও।’ তবে পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দরিদ্র আগন্তুকদের কথা বিবেচনা করে আমি সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা নিজে খাও, অন্যকে খাওয়াও; সংরক্ষণও করতে পারো।’ (মুসলিম: ১৯৭১)
ইবনু আবদিল বার (রহ.) লিখেছেন, আলিমগণ এ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তিন দিনের পরেও কোরবানির গোশত সংরক্ষণের অবকাশ রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাটি রহিত হয়ে গেছে। (আত-তামহিদ: ৩/২১৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোরবানির মাংস ভাগ করে নেওয়াই কোরবানির প্রধান শিক্ষা। সমাজের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করতে উৎসাহ দেয় ইসলাম। এ জন্যই কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে, এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ নিজের ও পরিবারের জন্য রাখা উত্তম। হাদিসে এমনটিই নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
তবে কেউ যদি কোরবানির মাংস পুরোটা কাউকে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখে, তাও জায়েজ হবে। ফিকহের কিতাবে বলা হয়েছে, ‘পুরো মাংস জমিয়ে রাখলেও অসুবিধা নেই।’ (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, আলমগিরি: ৫/৩০০) গরিব-মিসকিনদের দেওয়ার পর বাকি মাংস সংরক্ষণ করে রাখলেও কোনো অসুবিধা নেই। তা নিশ্চিন্তে রাখা যাবে। (মুয়াত্তা মালেক: ১/৩১৮)
ইসলামের প্রথম যুগে কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করার অনুমতি ছিল না। কারণ রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘তোমরা তিন দিন পর্যন্ত কোরবানির মাংস রাখতে পারো। এরপর অবশিষ্ট যা থাকে, সদকা করে দাও।’ তবে পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দরিদ্র আগন্তুকদের কথা বিবেচনা করে আমি সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা নিজে খাও, অন্যকে খাওয়াও; সংরক্ষণও করতে পারো।’ (মুসলিম: ১৯৭১)
ইবনু আবদিল বার (রহ.) লিখেছেন, আলিমগণ এ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তিন দিনের পরেও কোরবানির গোশত সংরক্ষণের অবকাশ রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাটি রহিত হয়ে গেছে। (আত-তামহিদ: ৩/২১৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
৪ ঘণ্টা আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ দিন আগে