আহমেদ সাব্বির
মাদক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় মাদক। শরীরের জন্যও এটি মারাত্মক ক্ষতিকর—ধ্বংস করে দেয় মস্তিষ্ক, লিভার, হৃদ্যন্ত্রসহ নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মাদক গ্রহণে মানুষের নৈতিকতা নষ্ট হয়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিবেক-বুদ্ধি। ফলাফল হিসেবে জন্ম নেয় অপরাধ, সহিংসতা, পরিবারে অশান্তি ও সম্পর্কের ভাঙন। মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয়, পুরো সমাজ গ্রাস করে। তাই মাদক থেকে দূরে থাকা এবং অন্যদের সচেতন করার প্রতি নির্দেশ দেয় ইসলাম।
ইসলামে মাদক গ্রহণ, এর ব্যবসা করা, এ কাজে সাহায্য করা এবং এ কাজের জন্য বাড়িঘর ও দোকান ভাড়া দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ বা হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-দেবী ও ভাগ্যনির্ধারক তিরগুলো নাপাক, শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা মায়েদা: ৯০)। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘মদ পান করা, তা বিক্রি এবং এ থেকে উপহার গ্রহণ হারাম।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২২৩)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যা পান করা হারাম, তার ক্রয়-বিক্রয়ও হারাম।’ (সহিহ্ মুসলিম)
মাদকদ্রব্যকে ইসলামে উম্মুল খাবায়েস বা সব জঘন্যতার মূল বলে অভিহিত করা হয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজের জীবন যেমন নষ্ট করে, তেমনি পরিবারে আনে অশান্তি ও সংকট। তরুণেরা যখন মাদকের ফাঁদে পড়ে, তখন তারা হারায় স্বপ্ন, লক্ষ্য ও নৈতিকতা। চুরি, ছিনতাই, খুনসহ নানা অপরাধের পেছনে মাদকের প্রভাব প্রকট। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মদ পান করল, সে যেন আপন মা, খালা ও ফুফুর সঙ্গে অপকর্মে লিপ্ত হলো।’ (আল-মুজামুস সাগির লিত্ তাবরানি)। এই হাদিস জানার পর কোনো মুসলমানের পক্ষে কি মাদক সেবন করা সম্ভব?
মাদক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয়। এটি শরীর ও মনের ওপর চেপে থাকা বিষাক্ত বোঝা দূর করে। পরিবার ফিরে পায় হাসিমুখের প্রিয়জন, আর সমাজ পায় একজন সুস্থ, সচেতন নাগরিক। মাদকমুক্ত জীবন মানে সম্ভাবনায় ভরা ভবিষ্যৎ।
মাদক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় মাদক। শরীরের জন্যও এটি মারাত্মক ক্ষতিকর—ধ্বংস করে দেয় মস্তিষ্ক, লিভার, হৃদ্যন্ত্রসহ নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মাদক গ্রহণে মানুষের নৈতিকতা নষ্ট হয়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিবেক-বুদ্ধি। ফলাফল হিসেবে জন্ম নেয় অপরাধ, সহিংসতা, পরিবারে অশান্তি ও সম্পর্কের ভাঙন। মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয়, পুরো সমাজ গ্রাস করে। তাই মাদক থেকে দূরে থাকা এবং অন্যদের সচেতন করার প্রতি নির্দেশ দেয় ইসলাম।
ইসলামে মাদক গ্রহণ, এর ব্যবসা করা, এ কাজে সাহায্য করা এবং এ কাজের জন্য বাড়িঘর ও দোকান ভাড়া দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ বা হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-দেবী ও ভাগ্যনির্ধারক তিরগুলো নাপাক, শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা মায়েদা: ৯০)। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘মদ পান করা, তা বিক্রি এবং এ থেকে উপহার গ্রহণ হারাম।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২২৩)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যা পান করা হারাম, তার ক্রয়-বিক্রয়ও হারাম।’ (সহিহ্ মুসলিম)
মাদকদ্রব্যকে ইসলামে উম্মুল খাবায়েস বা সব জঘন্যতার মূল বলে অভিহিত করা হয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজের জীবন যেমন নষ্ট করে, তেমনি পরিবারে আনে অশান্তি ও সংকট। তরুণেরা যখন মাদকের ফাঁদে পড়ে, তখন তারা হারায় স্বপ্ন, লক্ষ্য ও নৈতিকতা। চুরি, ছিনতাই, খুনসহ নানা অপরাধের পেছনে মাদকের প্রভাব প্রকট। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মদ পান করল, সে যেন আপন মা, খালা ও ফুফুর সঙ্গে অপকর্মে লিপ্ত হলো।’ (আল-মুজামুস সাগির লিত্ তাবরানি)। এই হাদিস জানার পর কোনো মুসলমানের পক্ষে কি মাদক সেবন করা সম্ভব?
মাদক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয়। এটি শরীর ও মনের ওপর চেপে থাকা বিষাক্ত বোঝা দূর করে। পরিবার ফিরে পায় হাসিমুখের প্রিয়জন, আর সমাজ পায় একজন সুস্থ, সচেতন নাগরিক। মাদকমুক্ত জীবন মানে সম্ভাবনায় ভরা ভবিষ্যৎ।
মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত...
৬ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে এমন একজন মানুষ আছেন, যিনি না নির্বাচনে অংশ নেন, না জাতিসংঘে নিয়মিত ভাষণ দেন—তবুও তাঁর একটি সিদ্ধান্ত পুরো অঞ্চল কাঁপিয়ে দিতে পারে। তিনি ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনি। যাঁকে বলা হয় সুপ্রিম লিডার অব ইরান।
২ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো ইমানের সঙ্গে মৃত্যু লাভ করা। দুনিয়ার সব অর্জন, খ্যাতি কিংবা সম্পদ মৃত্যুর পর মূল্যহীন হয়ে যায়, যদি ইমান না থাকে। একজন মোমিনের কামনা হওয়া উচিত—জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আল্লাহর একাত্ববাদে বিশ্বাস রেখে মৃত্যু হওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা...
৩ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চির শত্রু। প্রতিটি মুহূর্তে তার সঙ্গে শত্রুর মতোই আচরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু, অতএব তোমরাও তাকে শত্রু হিসেবেই গণ্য কর।’ (সুরা ফাতির: ৬)। যদি কোনো মোমিন বান্দা নিজের অনিয়ন্ত্রিত নফসের প্ররোচনায় গুনাহে লিপ্ত হয় এবং পরক্ষণেই নিজের কৃত ভুলের জন্য...
৪ ঘণ্টা আগে