আবদুল আযীয কাসেমি
প্রশ্ন: আজকাল অনেক স্থানে ওজন করে কোরবানির পশু বিক্রি করতে দেখা যায়। এটি কি ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক জায়েজ? শামীম জামান, ঢাকা
উত্তর: কোরবানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির সময় এলে মুসলমানদের মধ্যে কোরবানির পশু কেনার আমেজ লক্ষ করা যায়। নানা উপায়ে চলে কোরবানির পশুর বেচাবিক্রি। আমাদের দেশের সাধারণ নিয়ম হলো, ব্যবসায়ীরা গরুর আকার অনুমান করে একটা দাম হাঁকান। ক্রেতারা তাঁদের বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী সেটা কিনে থাকেন। তবে কোথাও কোথাও পশুকে ওজন করে বিক্রি করার প্রচলন দেখা যায়। এই প্রচলনও শরিয়তবিরোধী নয়। এই প্রক্রিয়ায় কোরবানির পশুর বেচাকেনা সম্পূর্ণ বৈধ। তাই এই পদ্ধতিতে কেনা পশু দিয়ে কোরবানি করতে কোনো অসুবিধা নেই।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিখ্যাত ফতোয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আজকাল বিভিন্ন জায়গায় ওজন করে পশু বেচাকেনার প্রচলন দেখা যায়। এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় সাধারণত ভোক্তাদের মধ্যে ঝগড়ার কারণ হয় না।
অতএব, এভাবে ক্রয়-বিক্রয় করতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে শর্ত হলো, বেচাকেনা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে। পাশাপাশি টাকা পয়সা বা গোশত ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে বিনিময় প্রদান করবে। (অর্থাৎ, জীবিত গরুকে গোশতের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাবে না।) ওজন করে কেনা পশু দিয়ে কোরবানি আদায় করলে কোরবানি হয়ে যাবে। তবে শর্ত হলো, ওজন করে কেনার সময় গোশত পাওয়াটাই একমাত্র উদ্দেশ্য না হতে হবে। বরং মুখ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।’ (ফতোয়া নং: ১৪৪৩১০১০০৫১৮)
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ বিন বাজ (রহ.) বলেন, ‘যেসব প্রাণীর বেচাকেনা বৈধ যেমন—গরু, ছাগল, উট, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া—এসব ওজন করে বেচাকেনা করলে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো অসুবিধা আছে বলে মনে করি না। কেননা, আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে ব্যবসাকে হালাল বলেছেন এবং সুদকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন। এ ছাড়া এখানে পণ্যে ও মূল্যে কোনো অস্পষ্টতা বা ধোঁকার বিষয় নেই।’ (ফাতাওয়াল বুয়ু ফিল ইসলাম, পৃ: ৪০)
উত্তর দিয়েছেন: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
প্রশ্ন: আজকাল অনেক স্থানে ওজন করে কোরবানির পশু বিক্রি করতে দেখা যায়। এটি কি ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক জায়েজ? শামীম জামান, ঢাকা
উত্তর: কোরবানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির সময় এলে মুসলমানদের মধ্যে কোরবানির পশু কেনার আমেজ লক্ষ করা যায়। নানা উপায়ে চলে কোরবানির পশুর বেচাবিক্রি। আমাদের দেশের সাধারণ নিয়ম হলো, ব্যবসায়ীরা গরুর আকার অনুমান করে একটা দাম হাঁকান। ক্রেতারা তাঁদের বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী সেটা কিনে থাকেন। তবে কোথাও কোথাও পশুকে ওজন করে বিক্রি করার প্রচলন দেখা যায়। এই প্রচলনও শরিয়তবিরোধী নয়। এই প্রক্রিয়ায় কোরবানির পশুর বেচাকেনা সম্পূর্ণ বৈধ। তাই এই পদ্ধতিতে কেনা পশু দিয়ে কোরবানি করতে কোনো অসুবিধা নেই।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিখ্যাত ফতোয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আজকাল বিভিন্ন জায়গায় ওজন করে পশু বেচাকেনার প্রচলন দেখা যায়। এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় সাধারণত ভোক্তাদের মধ্যে ঝগড়ার কারণ হয় না।
অতএব, এভাবে ক্রয়-বিক্রয় করতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে শর্ত হলো, বেচাকেনা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে। পাশাপাশি টাকা পয়সা বা গোশত ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে বিনিময় প্রদান করবে। (অর্থাৎ, জীবিত গরুকে গোশতের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাবে না।) ওজন করে কেনা পশু দিয়ে কোরবানি আদায় করলে কোরবানি হয়ে যাবে। তবে শর্ত হলো, ওজন করে কেনার সময় গোশত পাওয়াটাই একমাত্র উদ্দেশ্য না হতে হবে। বরং মুখ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।’ (ফতোয়া নং: ১৪৪৩১০১০০৫১৮)
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ বিন বাজ (রহ.) বলেন, ‘যেসব প্রাণীর বেচাকেনা বৈধ যেমন—গরু, ছাগল, উট, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া—এসব ওজন করে বেচাকেনা করলে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো অসুবিধা আছে বলে মনে করি না। কেননা, আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে ব্যবসাকে হালাল বলেছেন এবং সুদকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন। এ ছাড়া এখানে পণ্যে ও মূল্যে কোনো অস্পষ্টতা বা ধোঁকার বিষয় নেই।’ (ফাতাওয়াল বুয়ু ফিল ইসলাম, পৃ: ৪০)
উত্তর দিয়েছেন: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
পবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
৯ ঘণ্টা আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১২ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১২ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
১২ ঘণ্টা আগে