ড. মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাকওয়ার প্রমাণ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে তা তো তার হৃদয়ের তাকওয়া-সঞ্জাত।’ (সুরা হজ: ৩২)
ইসলামের যেসব আমলে হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার চাষ হয়, তার মধ্যে ঈদুল আজহা উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রে ‘কোরবানি’ শব্দটিও বহুল প্রচলিত। ঈদুল আজহাকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। ‘কোরবান’ মানে নৈকট্য। যে বস্তু কারও নৈকট্যলাভের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তা-ই কোরবানি। তবে পরিভাষায় জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে যে আচার পালন করা হয়, তা-ই কোরবানি। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছাকাছি আসে, প্রিয় থেকে প্রিয়তর হয়। এতে মানুষের নৈতিক জীবন সবচেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট হয়।
প্রাণের বদলে পশু কোরবানির বিধান দিয়ে আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি রহম করেছেন। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার নামে দেওয়া কোরবানি মানবপ্রাণের জন্য ফিদইয়া বা কাফফারাস্বরূপ। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন—আমি প্রতিটি উম্মতের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ পশু জবাই করার সময় তাঁর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪) তাই কোরবানির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহ তাআলার আদেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। পৃথিবীর আদি মানব হজরত আদম (আ.)-এর পুত্রদ্বয়ের কোরবানির ঘটনা সুবিদিত। সেখানেও তাকওয়া ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাঁর শেষ নবীকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আপনি তাদের আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত যথাযথভাবে পাঠ করে শোনান। যখন তারা উভয়েই কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব। অপরজন বলল, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
বোঝা গেল, তাকওয়াহীন কোরবানি আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত। অন্যভাবে বললে, কোরবানি কেবল রক্ত ঝরানো বা গোশত ভক্ষণের নাম নয়; বরং তাকওয়াই এখানে মুখ্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলোর গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানি মুসলিম উম্মাহর পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কর্মপন্থা। তাঁর ইমান ছিল অনন্য উচ্চতায় উন্নীত। আল্লাহ তাআলার প্রতি গভীর আনুগত্য ও তাঁর রাহে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের যে নজির তিনি স্থাপন করেছেন, ঈদুল আজহা তারই স্মারক। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবরাহিম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সন্তানের জবাবও ছিল কত চমৎকার—‘আব্বাজান, আপনি যে বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে আদিষ্ট হয়েছেন, তা পূর্ণ করুন। ইনশা আল্লাহ আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২)
কোরবানি এমনই হওয়া চাই। শুধু কোরবানিই কেন, আল্লাহ জীবনের যে স্তরে যে নির্দেশ দেন, সেখানে কোনো কারণ না খুঁজে বিনা বাক্যব্যয়ে তা পালনে রাজি হয়ে যাওয়াই ইমান ও তাকওয়া। ইসলাম নির্দেশিত পথে মানবতার কল্যাণে নিজের জানমাল উৎসর্গ করারই শিক্ষা দেয় কোরবানি। তাই আমাদের কোরবানি যেন হয় তাকওয়াচর্চার উত্তম উপলক্ষ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করা নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনেরও শিক্ষা দেয়। কারণ নৈতিকতা না থাকলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়। নিজের ভেতরের পশুত্ব বিনাশে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে হুঁশিয়ারি এসেছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম)।
কোরবানির ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, মানবিক নানা কল্যাণকর দিক রয়েছে। কোরবানির গোশতের অংশ আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রের মধ্যে বিতরণ করা সুন্নত, যাতে তারাও ঈদের আনন্দ সমভাবে ভোগ করতে পারে। এটি সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানোর দারুণ মাধ্যমও। তাই সামর্থ্য অনুসারে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দসওগাত পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া তাকওয়ার দাবি। এটিই ঈদুল আজহার মূল প্রাণ। এ জন্য কোরবানির এত বেশি সওয়াব। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিন বনি আদমের কাজসমূহের মধ্যে আল্লাহর নামে কোরবানি করার চেয়ে প্রিয় কাজ আর নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু শিং, চুল খুরসহ উপস্থিত হবে। আর কোরবানির পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। কাজেই তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
লেখক: সৌদিপ্রবাসী ইসলামি চিন্তাবিদ

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাকওয়ার প্রমাণ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে তা তো তার হৃদয়ের তাকওয়া-সঞ্জাত।’ (সুরা হজ: ৩২)
ইসলামের যেসব আমলে হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার চাষ হয়, তার মধ্যে ঈদুল আজহা উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রে ‘কোরবানি’ শব্দটিও বহুল প্রচলিত। ঈদুল আজহাকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। ‘কোরবান’ মানে নৈকট্য। যে বস্তু কারও নৈকট্যলাভের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তা-ই কোরবানি। তবে পরিভাষায় জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে যে আচার পালন করা হয়, তা-ই কোরবানি। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছাকাছি আসে, প্রিয় থেকে প্রিয়তর হয়। এতে মানুষের নৈতিক জীবন সবচেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট হয়।
প্রাণের বদলে পশু কোরবানির বিধান দিয়ে আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি রহম করেছেন। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার নামে দেওয়া কোরবানি মানবপ্রাণের জন্য ফিদইয়া বা কাফফারাস্বরূপ। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন—আমি প্রতিটি উম্মতের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ পশু জবাই করার সময় তাঁর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪) তাই কোরবানির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহ তাআলার আদেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। পৃথিবীর আদি মানব হজরত আদম (আ.)-এর পুত্রদ্বয়ের কোরবানির ঘটনা সুবিদিত। সেখানেও তাকওয়া ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাঁর শেষ নবীকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আপনি তাদের আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত যথাযথভাবে পাঠ করে শোনান। যখন তারা উভয়েই কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব। অপরজন বলল, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
বোঝা গেল, তাকওয়াহীন কোরবানি আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত। অন্যভাবে বললে, কোরবানি কেবল রক্ত ঝরানো বা গোশত ভক্ষণের নাম নয়; বরং তাকওয়াই এখানে মুখ্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলোর গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানি মুসলিম উম্মাহর পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কর্মপন্থা। তাঁর ইমান ছিল অনন্য উচ্চতায় উন্নীত। আল্লাহ তাআলার প্রতি গভীর আনুগত্য ও তাঁর রাহে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের যে নজির তিনি স্থাপন করেছেন, ঈদুল আজহা তারই স্মারক। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবরাহিম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সন্তানের জবাবও ছিল কত চমৎকার—‘আব্বাজান, আপনি যে বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে আদিষ্ট হয়েছেন, তা পূর্ণ করুন। ইনশা আল্লাহ আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২)
কোরবানি এমনই হওয়া চাই। শুধু কোরবানিই কেন, আল্লাহ জীবনের যে স্তরে যে নির্দেশ দেন, সেখানে কোনো কারণ না খুঁজে বিনা বাক্যব্যয়ে তা পালনে রাজি হয়ে যাওয়াই ইমান ও তাকওয়া। ইসলাম নির্দেশিত পথে মানবতার কল্যাণে নিজের জানমাল উৎসর্গ করারই শিক্ষা দেয় কোরবানি। তাই আমাদের কোরবানি যেন হয় তাকওয়াচর্চার উত্তম উপলক্ষ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করা নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনেরও শিক্ষা দেয়। কারণ নৈতিকতা না থাকলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়। নিজের ভেতরের পশুত্ব বিনাশে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে হুঁশিয়ারি এসেছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম)।
কোরবানির ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, মানবিক নানা কল্যাণকর দিক রয়েছে। কোরবানির গোশতের অংশ আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রের মধ্যে বিতরণ করা সুন্নত, যাতে তারাও ঈদের আনন্দ সমভাবে ভোগ করতে পারে। এটি সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানোর দারুণ মাধ্যমও। তাই সামর্থ্য অনুসারে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দসওগাত পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া তাকওয়ার দাবি। এটিই ঈদুল আজহার মূল প্রাণ। এ জন্য কোরবানির এত বেশি সওয়াব। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিন বনি আদমের কাজসমূহের মধ্যে আল্লাহর নামে কোরবানি করার চেয়ে প্রিয় কাজ আর নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু শিং, চুল খুরসহ উপস্থিত হবে। আর কোরবানির পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। কাজেই তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
লেখক: সৌদিপ্রবাসী ইসলামি চিন্তাবিদ

শীতকাল ইবাদতে আগ্রহী মুমিনের জন্য বিশেষ উপহার। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘মুমিনের বসন্তকাল’। বসন্তকালে যেমন প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি শীতকাল মুমিন বান্দাকে ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মিক উন্নতি সাধনের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকাল ইবাদতে আগ্রহী মুমিনের জন্য বিশেষ উপহার। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘মুমিনের বসন্তকাল’। বসন্তকালে যেমন প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি শীতকাল মুমিন বান্দাকে ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মিক উন্নতি সাধনের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। বছরের অন্যান্য সময়ে যেসব ইবাদত আদায় করা কষ্টসাধ্য, শীতে তা পালন করা সহজ ও আরামদায়ক।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যেমন বলেছেন, ‘শীতকালকে মোবারকবাদ। এতে বরকতের ঝরনাধারা নাজিল হয়। রাত দীর্ঘ হয় তাহাজ্জুদের জন্য। আর দিন ছোট হয় রোজা রাখার জন্য।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ: পৃ. ৩২৭)
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (শুআবুল ইমান: ৩৯৪০)।
এই বরকতময় সময়ে নফল ইবাদতের পাশাপাশি রমজানের কাজা রোজা আদায় করার জন্যও সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ বছরের অন্যান্য ঋতুতে প্রচণ্ড গরমের কারণে রোজা রাখা তুলনামূলক কঠিন হয়। আল্লাহ তাআলা কাজা রোজা আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে (কাজা আদায় করবে)। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
যেহেতু কাজা রোজা আদায় করা ফরজ, তাই এই শীতল ও ছোট দিনের সুযোগ গ্রহণ করে বিগত বছরগুলোতে কারও রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা দ্রুত আদায় করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

শীতকাল ইবাদতে আগ্রহী মুমিনের জন্য বিশেষ উপহার। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘মুমিনের বসন্তকাল’। বসন্তকালে যেমন প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি শীতকাল মুমিন বান্দাকে ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মিক উন্নতি সাধনের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। বছরের অন্যান্য সময়ে যেসব ইবাদত আদায় করা কষ্টসাধ্য, শীতে তা পালন করা সহজ ও আরামদায়ক।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যেমন বলেছেন, ‘শীতকালকে মোবারকবাদ। এতে বরকতের ঝরনাধারা নাজিল হয়। রাত দীর্ঘ হয় তাহাজ্জুদের জন্য। আর দিন ছোট হয় রোজা রাখার জন্য।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ: পৃ. ৩২৭)
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (শুআবুল ইমান: ৩৯৪০)।
এই বরকতময় সময়ে নফল ইবাদতের পাশাপাশি রমজানের কাজা রোজা আদায় করার জন্যও সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ বছরের অন্যান্য ঋতুতে প্রচণ্ড গরমের কারণে রোজা রাখা তুলনামূলক কঠিন হয়। আল্লাহ তাআলা কাজা রোজা আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে (কাজা আদায় করবে)। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
যেহেতু কাজা রোজা আদায় করা ফরজ, তাই এই শীতল ও ছোট দিনের সুযোগ গ্রহণ করে বিগত বছরগুলোতে কারও রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা দ্রুত আদায় করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৯ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫০ মিনিট | ০৬: ০৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৯ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫০ মিনিট | ০৬: ০৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
শীতকাল ইবাদতে আগ্রহী মুমিনের জন্য বিশেষ উপহার। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘মুমিনের বসন্তকাল’। বসন্তকালে যেমন প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি শীতকাল মুমিন বান্দাকে ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মিক উন্নতি সাধনের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
শীতকাল ইবাদতে আগ্রহী মুমিনের জন্য বিশেষ উপহার। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘মুমিনের বসন্তকাল’। বসন্তকালে যেমন প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি শীতকাল মুমিন বান্দাকে ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মিক উন্নতি সাধনের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
শীতকাল ইবাদতে আগ্রহী মুমিনের জন্য বিশেষ উপহার। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘মুমিনের বসন্তকাল’। বসন্তকালে যেমন প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি শীতকাল মুমিন বান্দাকে ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মিক উন্নতি সাধনের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১ দিন আগে