মুনীরুল ইসলাম
একটি অভিশপ্ত ও ঘৃণিত সামাজিক আচারের নাম যৌতুক। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় ভেঙে গেছে হাজার ঘর-সংসার। হারিয়ে গেছে অসংখ্য প্রাণ। যৌতুক দিতে না পারায় হত্যার স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য নারী। অত্যাচারিত হয়েছেন দিনের পর দিন। শুধু স্বামীই নন, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদসহ অনেককেই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে দেখা যায়। ইসলাম ধর্মে বিয়েতে যৌতুক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামি দর্শন মতে, বিয়েতে কোনো পক্ষই আল্লাহ তাআলা এবং রাসুল (সা.)-এর নির্ধারণ করে দেওয়া দেনা-পাওনা ছাড়া অন্য কোনো দাবি-দাওয়া করতে পারে না। একজন মুসলমান তাঁর সীমারেখার মধ্যেই জীবন পরিচালনা করবে। দুর্বলতার সুযোগে জোরপূর্বক অন্যায্য দাবি আদায় করলে আল্লাহ কঠিন শাস্তি দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি সীমা লঙ্ঘন করে অন্যায্যভাবে তা করবে, তাকে আগুনে পোড়ানো হবে, এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।’ (সুরা নিসা: ৩০)
ইসলামি বিধান ও সংস্কৃতিতে বিয়ের সময় কনেপক্ষ থেকে বরের কোনো পাওনা থাকে না। বরং কন্যার দেনমোহর পরিশোধ করা এবং ভরণপোষণ দেওয়ার দায়িত্ব বরের ওপরই বর্তায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বিয়ের আগ পর্যন্ত বাবার ওপর মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব।’ (সুরা বাকারা: ২৩৩)। আর বিয়ের সময় থেকে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর ওপর। বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর দেওয়ার দায়িত্বও স্বামীর।
আজকাল অনেক অভিভাবককে শুধু যৌতুকের শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণে বিয়ে ভেঙে দিতে দেখা যায়। এ কারণে অনেক ঘরে তরুণী মেয়ের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। অনেক সময় যৌতুক দিতে না পারার কারণে দাম্পত্যজীবন নষ্ট হচ্ছে। দেশে যৌতুকবিরোধী কড়া আইন থাকলেও এর যথাযথ প্রয়োগের অভাব রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
একটি অভিশপ্ত ও ঘৃণিত সামাজিক আচারের নাম যৌতুক। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় ভেঙে গেছে হাজার ঘর-সংসার। হারিয়ে গেছে অসংখ্য প্রাণ। যৌতুক দিতে না পারায় হত্যার স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য নারী। অত্যাচারিত হয়েছেন দিনের পর দিন। শুধু স্বামীই নন, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদসহ অনেককেই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে দেখা যায়। ইসলাম ধর্মে বিয়েতে যৌতুক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামি দর্শন মতে, বিয়েতে কোনো পক্ষই আল্লাহ তাআলা এবং রাসুল (সা.)-এর নির্ধারণ করে দেওয়া দেনা-পাওনা ছাড়া অন্য কোনো দাবি-দাওয়া করতে পারে না। একজন মুসলমান তাঁর সীমারেখার মধ্যেই জীবন পরিচালনা করবে। দুর্বলতার সুযোগে জোরপূর্বক অন্যায্য দাবি আদায় করলে আল্লাহ কঠিন শাস্তি দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি সীমা লঙ্ঘন করে অন্যায্যভাবে তা করবে, তাকে আগুনে পোড়ানো হবে, এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।’ (সুরা নিসা: ৩০)
ইসলামি বিধান ও সংস্কৃতিতে বিয়ের সময় কনেপক্ষ থেকে বরের কোনো পাওনা থাকে না। বরং কন্যার দেনমোহর পরিশোধ করা এবং ভরণপোষণ দেওয়ার দায়িত্ব বরের ওপরই বর্তায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বিয়ের আগ পর্যন্ত বাবার ওপর মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব।’ (সুরা বাকারা: ২৩৩)। আর বিয়ের সময় থেকে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর ওপর। বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর দেওয়ার দায়িত্বও স্বামীর।
আজকাল অনেক অভিভাবককে শুধু যৌতুকের শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণে বিয়ে ভেঙে দিতে দেখা যায়। এ কারণে অনেক ঘরে তরুণী মেয়ের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। অনেক সময় যৌতুক দিতে না পারার কারণে দাম্পত্যজীবন নষ্ট হচ্ছে। দেশে যৌতুকবিরোধী কড়া আইন থাকলেও এর যথাযথ প্রয়োগের অভাব রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
৭ ঘণ্টা আগেহৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ...
১০ ঘণ্টা আগেপ্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
১ দিন আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ দিন আগে