ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার সহজ হয়েছে। উপকারী এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু আদব রয়েছে। এখানে কিছু আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
সালাম দিয়ে কথা শুরু করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে কথা শুরু করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালামের আগে কথা শুরু করে, তার কথার উত্তর দিয়ো না।’ (সহিহুল জামে)। একইভাবে একজনের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই সালাম বিনিময় করা এবং কথা শেষে সালাম দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিশে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মজলিশ থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ (আবু দাউদ)
নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা
সালামের পর নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাবির (রা.) বলেন, ‘আমি আমার বাবার ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লাম। তিনি বললেন, “কে?” আমি বললাম, “আমি।” তখন তিনি ধমকের সুরে বললেন, “আমি আমি?” মনে হয় তিনি এটা অপছন্দ করেন। (বুখারি)
অনুমতি নিয়ে কথা বলা
কোনো কোনো লোক মোবাইল করেই কথা বলা শুরু করেন। এমন না করে কথা বলার জন্য অনুমতি নেওয়া বা তার কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, জেনে কথা বলা ভদ্রতা। এরপর প্রয়োজনীয় কথা দ্রুত সেরে নেওয়া ভদ্রতা।
নিচু স্বরে কথা বলা
এমনভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্য প্রান্তের মানুষ শুনতে পায়। কোনোভাবেই রুক্ষভাবে উচ্চ আওয়াজে কথা বলা সমীচীন নয়। কেননা, এমন আওয়াজ গাধার আওয়াজের সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি পদচারণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয়ই সবচেয়ে অপছন্দের স্বর হলো গাধার স্বর।’ (সুরা লুকমান: ১৯)
প্রয়োজনীয় কথা বলা
ফোন বা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার যন্ত্র নয়। বরং এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে বলতে হবে। কেননা, অধিক কথা বলতে গেলে পাপসংশ্লিষ্ট কথাও হতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাই শ্রেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হলো, তার অনর্থক বিষয় পরিহার করা।’ (ইবনে মাজাহ)
ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত, যাতে অন্য প্রান্তের শ্রোতা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে কথা বোঝার জন্য ফের বলতে হবে। আনাস (রা.) বলেন, যখন মহানবী (সা.) কথা বলতেন, তখন তিনি তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) এমনভাবে কথা বলতেন, কোনো গণনাকারী তা গুনতে চাইলে গণনা করতে পারতেন।’ (বুখারি)
হাসিমুখে কথা বলা
কারও সঙ্গে মুখ ভার করে অথবা গোমড়ামুখে কথা বলা উচিত নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাই কল্যাণকর। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ও গাঢ় হয়, তেমনি তাতে সওয়াবও রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি)
মর্যাদা অনুসারে কথা বলা
যাঁর কাছে কল করা হচ্ছে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মান পাওয়ার হকদার, তাঁকে ততটুকু সম্মান দিয়ে শালীনতা বজায় রাখা ইসলামের দাবি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের মানুষের পদমর্যাদা অনুসারে স্থান দিতে আদেশ করেছেন।’ (মুসলিম)
নামাজ ও ঘুমের সময় কল না দেওয়া
দিনে-রাতে পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় কাউকে কল দেওয়া বা মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। এতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং পার্শ্ববর্তী মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুম আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। সারা দিনের কর্মক্লান্তি শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, সেই ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কাউকে কল দেওয়া অনুচিত।
মিথ্যা তথ্য পরিবেশন না করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা আবশ্যক। কথা বলার সময় কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তা অন্যের কাছে পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক স্থানের নাম না বলে অন্য স্থানের নাম বললে তা-ও মিথ্যাচারের শামিল। আর জেনেশুনে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ।
ইচ্ছাকৃত কল রিসিভ না করা অনুচিত
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করেন না, অথচ অন্য প্রান্ত থেকে বারবার কল হয়েই যাচ্ছে। একইভাবে কেউ কেউ মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখেন। ফলে তাঁকে কল করে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। উভয় অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। কারণ যিনি কল করছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ পাঠাতে চাইছেন। কিন্তু তা না পাঠানোর কারণে কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটির যেমন নানাবিধ উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সুন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার সহজ হয়েছে। উপকারী এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু আদব রয়েছে। এখানে কিছু আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
সালাম দিয়ে কথা শুরু করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে কথা শুরু করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালামের আগে কথা শুরু করে, তার কথার উত্তর দিয়ো না।’ (সহিহুল জামে)। একইভাবে একজনের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই সালাম বিনিময় করা এবং কথা শেষে সালাম দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিশে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মজলিশ থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ (আবু দাউদ)
নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা
সালামের পর নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাবির (রা.) বলেন, ‘আমি আমার বাবার ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লাম। তিনি বললেন, “কে?” আমি বললাম, “আমি।” তখন তিনি ধমকের সুরে বললেন, “আমি আমি?” মনে হয় তিনি এটা অপছন্দ করেন। (বুখারি)
অনুমতি নিয়ে কথা বলা
কোনো কোনো লোক মোবাইল করেই কথা বলা শুরু করেন। এমন না করে কথা বলার জন্য অনুমতি নেওয়া বা তার কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, জেনে কথা বলা ভদ্রতা। এরপর প্রয়োজনীয় কথা দ্রুত সেরে নেওয়া ভদ্রতা।
নিচু স্বরে কথা বলা
এমনভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্য প্রান্তের মানুষ শুনতে পায়। কোনোভাবেই রুক্ষভাবে উচ্চ আওয়াজে কথা বলা সমীচীন নয়। কেননা, এমন আওয়াজ গাধার আওয়াজের সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি পদচারণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয়ই সবচেয়ে অপছন্দের স্বর হলো গাধার স্বর।’ (সুরা লুকমান: ১৯)
প্রয়োজনীয় কথা বলা
ফোন বা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার যন্ত্র নয়। বরং এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে বলতে হবে। কেননা, অধিক কথা বলতে গেলে পাপসংশ্লিষ্ট কথাও হতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাই শ্রেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হলো, তার অনর্থক বিষয় পরিহার করা।’ (ইবনে মাজাহ)
ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত, যাতে অন্য প্রান্তের শ্রোতা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে কথা বোঝার জন্য ফের বলতে হবে। আনাস (রা.) বলেন, যখন মহানবী (সা.) কথা বলতেন, তখন তিনি তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) এমনভাবে কথা বলতেন, কোনো গণনাকারী তা গুনতে চাইলে গণনা করতে পারতেন।’ (বুখারি)
হাসিমুখে কথা বলা
কারও সঙ্গে মুখ ভার করে অথবা গোমড়ামুখে কথা বলা উচিত নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাই কল্যাণকর। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ও গাঢ় হয়, তেমনি তাতে সওয়াবও রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি)
মর্যাদা অনুসারে কথা বলা
যাঁর কাছে কল করা হচ্ছে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মান পাওয়ার হকদার, তাঁকে ততটুকু সম্মান দিয়ে শালীনতা বজায় রাখা ইসলামের দাবি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের মানুষের পদমর্যাদা অনুসারে স্থান দিতে আদেশ করেছেন।’ (মুসলিম)
নামাজ ও ঘুমের সময় কল না দেওয়া
দিনে-রাতে পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় কাউকে কল দেওয়া বা মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। এতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং পার্শ্ববর্তী মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুম আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। সারা দিনের কর্মক্লান্তি শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, সেই ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কাউকে কল দেওয়া অনুচিত।
মিথ্যা তথ্য পরিবেশন না করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা আবশ্যক। কথা বলার সময় কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তা অন্যের কাছে পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক স্থানের নাম না বলে অন্য স্থানের নাম বললে তা-ও মিথ্যাচারের শামিল। আর জেনেশুনে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ।
ইচ্ছাকৃত কল রিসিভ না করা অনুচিত
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করেন না, অথচ অন্য প্রান্ত থেকে বারবার কল হয়েই যাচ্ছে। একইভাবে কেউ কেউ মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখেন। ফলে তাঁকে কল করে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। উভয় অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। কারণ যিনি কল করছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ পাঠাতে চাইছেন। কিন্তু তা না পাঠানোর কারণে কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটির যেমন নানাবিধ উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সুন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার সহজ হয়েছে। উপকারী এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু আদব রয়েছে। এখানে কিছু আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
সালাম দিয়ে কথা শুরু করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে কথা শুরু করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালামের আগে কথা শুরু করে, তার কথার উত্তর দিয়ো না।’ (সহিহুল জামে)। একইভাবে একজনের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই সালাম বিনিময় করা এবং কথা শেষে সালাম দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিশে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মজলিশ থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ (আবু দাউদ)
নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা
সালামের পর নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাবির (রা.) বলেন, ‘আমি আমার বাবার ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লাম। তিনি বললেন, “কে?” আমি বললাম, “আমি।” তখন তিনি ধমকের সুরে বললেন, “আমি আমি?” মনে হয় তিনি এটা অপছন্দ করেন। (বুখারি)
অনুমতি নিয়ে কথা বলা
কোনো কোনো লোক মোবাইল করেই কথা বলা শুরু করেন। এমন না করে কথা বলার জন্য অনুমতি নেওয়া বা তার কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, জেনে কথা বলা ভদ্রতা। এরপর প্রয়োজনীয় কথা দ্রুত সেরে নেওয়া ভদ্রতা।
নিচু স্বরে কথা বলা
এমনভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্য প্রান্তের মানুষ শুনতে পায়। কোনোভাবেই রুক্ষভাবে উচ্চ আওয়াজে কথা বলা সমীচীন নয়। কেননা, এমন আওয়াজ গাধার আওয়াজের সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি পদচারণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয়ই সবচেয়ে অপছন্দের স্বর হলো গাধার স্বর।’ (সুরা লুকমান: ১৯)
প্রয়োজনীয় কথা বলা
ফোন বা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার যন্ত্র নয়। বরং এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে বলতে হবে। কেননা, অধিক কথা বলতে গেলে পাপসংশ্লিষ্ট কথাও হতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাই শ্রেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হলো, তার অনর্থক বিষয় পরিহার করা।’ (ইবনে মাজাহ)
ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত, যাতে অন্য প্রান্তের শ্রোতা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে কথা বোঝার জন্য ফের বলতে হবে। আনাস (রা.) বলেন, যখন মহানবী (সা.) কথা বলতেন, তখন তিনি তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) এমনভাবে কথা বলতেন, কোনো গণনাকারী তা গুনতে চাইলে গণনা করতে পারতেন।’ (বুখারি)
হাসিমুখে কথা বলা
কারও সঙ্গে মুখ ভার করে অথবা গোমড়ামুখে কথা বলা উচিত নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাই কল্যাণকর। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ও গাঢ় হয়, তেমনি তাতে সওয়াবও রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি)
মর্যাদা অনুসারে কথা বলা
যাঁর কাছে কল করা হচ্ছে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মান পাওয়ার হকদার, তাঁকে ততটুকু সম্মান দিয়ে শালীনতা বজায় রাখা ইসলামের দাবি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের মানুষের পদমর্যাদা অনুসারে স্থান দিতে আদেশ করেছেন।’ (মুসলিম)
নামাজ ও ঘুমের সময় কল না দেওয়া
দিনে-রাতে পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় কাউকে কল দেওয়া বা মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। এতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং পার্শ্ববর্তী মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুম আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। সারা দিনের কর্মক্লান্তি শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, সেই ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কাউকে কল দেওয়া অনুচিত।
মিথ্যা তথ্য পরিবেশন না করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা আবশ্যক। কথা বলার সময় কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তা অন্যের কাছে পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক স্থানের নাম না বলে অন্য স্থানের নাম বললে তা-ও মিথ্যাচারের শামিল। আর জেনেশুনে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ।
ইচ্ছাকৃত কল রিসিভ না করা অনুচিত
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করেন না, অথচ অন্য প্রান্ত থেকে বারবার কল হয়েই যাচ্ছে। একইভাবে কেউ কেউ মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখেন। ফলে তাঁকে কল করে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। উভয় অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। কারণ যিনি কল করছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ পাঠাতে চাইছেন। কিন্তু তা না পাঠানোর কারণে কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটির যেমন নানাবিধ উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সুন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার সহজ হয়েছে। উপকারী এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু আদব রয়েছে। এখানে কিছু আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
সালাম দিয়ে কথা শুরু করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে কথা শুরু করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালামের আগে কথা শুরু করে, তার কথার উত্তর দিয়ো না।’ (সহিহুল জামে)। একইভাবে একজনের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই সালাম বিনিময় করা এবং কথা শেষে সালাম দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিশে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মজলিশ থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ (আবু দাউদ)
নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা
সালামের পর নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাবির (রা.) বলেন, ‘আমি আমার বাবার ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লাম। তিনি বললেন, “কে?” আমি বললাম, “আমি।” তখন তিনি ধমকের সুরে বললেন, “আমি আমি?” মনে হয় তিনি এটা অপছন্দ করেন। (বুখারি)
অনুমতি নিয়ে কথা বলা
কোনো কোনো লোক মোবাইল করেই কথা বলা শুরু করেন। এমন না করে কথা বলার জন্য অনুমতি নেওয়া বা তার কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, জেনে কথা বলা ভদ্রতা। এরপর প্রয়োজনীয় কথা দ্রুত সেরে নেওয়া ভদ্রতা।
নিচু স্বরে কথা বলা
এমনভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্য প্রান্তের মানুষ শুনতে পায়। কোনোভাবেই রুক্ষভাবে উচ্চ আওয়াজে কথা বলা সমীচীন নয়। কেননা, এমন আওয়াজ গাধার আওয়াজের সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি পদচারণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয়ই সবচেয়ে অপছন্দের স্বর হলো গাধার স্বর।’ (সুরা লুকমান: ১৯)
প্রয়োজনীয় কথা বলা
ফোন বা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার যন্ত্র নয়। বরং এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে বলতে হবে। কেননা, অধিক কথা বলতে গেলে পাপসংশ্লিষ্ট কথাও হতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাই শ্রেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হলো, তার অনর্থক বিষয় পরিহার করা।’ (ইবনে মাজাহ)
ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত, যাতে অন্য প্রান্তের শ্রোতা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে কথা বোঝার জন্য ফের বলতে হবে। আনাস (রা.) বলেন, যখন মহানবী (সা.) কথা বলতেন, তখন তিনি তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) এমনভাবে কথা বলতেন, কোনো গণনাকারী তা গুনতে চাইলে গণনা করতে পারতেন।’ (বুখারি)
হাসিমুখে কথা বলা
কারও সঙ্গে মুখ ভার করে অথবা গোমড়ামুখে কথা বলা উচিত নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাই কল্যাণকর। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ও গাঢ় হয়, তেমনি তাতে সওয়াবও রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি)
মর্যাদা অনুসারে কথা বলা
যাঁর কাছে কল করা হচ্ছে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মান পাওয়ার হকদার, তাঁকে ততটুকু সম্মান দিয়ে শালীনতা বজায় রাখা ইসলামের দাবি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের মানুষের পদমর্যাদা অনুসারে স্থান দিতে আদেশ করেছেন।’ (মুসলিম)
নামাজ ও ঘুমের সময় কল না দেওয়া
দিনে-রাতে পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় কাউকে কল দেওয়া বা মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। এতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং পার্শ্ববর্তী মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুম আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। সারা দিনের কর্মক্লান্তি শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, সেই ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কাউকে কল দেওয়া অনুচিত।
মিথ্যা তথ্য পরিবেশন না করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা আবশ্যক। কথা বলার সময় কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তা অন্যের কাছে পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক স্থানের নাম না বলে অন্য স্থানের নাম বললে তা-ও মিথ্যাচারের শামিল। আর জেনেশুনে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ।
ইচ্ছাকৃত কল রিসিভ না করা অনুচিত
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করেন না, অথচ অন্য প্রান্ত থেকে বারবার কল হয়েই যাচ্ছে। একইভাবে কেউ কেউ মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখেন। ফলে তাঁকে কল করে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। উভয় অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। কারণ যিনি কল করছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ পাঠাতে চাইছেন। কিন্তু তা না পাঠানোর কারণে কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটির যেমন নানাবিধ উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সুন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৯ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫০ মিনিট | ০৬: ০৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৯ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫০ মিনিট | ০৬: ০৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে