আমজাদ ইউনুস

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি আজও তাঁর নাম অম্লান রেখেছে, তা মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।
আল-মুসতানসির ১২২৭ সালে ধর্মশিক্ষার জন্য এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নির্মাতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণে ৭ লাখ স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করা হয়েছিল। আল-মুসতানসির নিজেই ১২২৬ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ ছয় বছর।
মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসার স্থাপত্যশৈলী বহু খিলানবিশিষ্ট। খিলানগুলোর মধ্যে ছিল ছোট ছোট কক্ষ। পরে মুসতানসিরিয়ার অনুকরণে অনেক মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল। সামারা ও বুখারার অনেক মাদ্রাসায়ও মুসতানসিরিয়ার নির্মাণকৌশল অনুসৃত হয়। বহিরঙ্গের মনোহারিত্বে, কারুকার্য সুষমায়, অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্যে মুসলিম জাহানের এক অনন্য স্থাপত্য এটি। খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সে যুগে মুসতানসিরিয়া ছিল অনন্য।
মাদ্রাসায় ফিকহি মাজহাবগুলোর জন্য ছিল স্বতন্ত্র অনুষদ। ছিল চার মাজহাবের জন্য চারটি পৃথক মসজিদ ও লেকচার হল। প্রতিটি অনুষদের পরিচালনার ভার ন্যস্ত ছিল একজন অধ্যাপকের ওপর। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকত ৭৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক একটি করে স্বর্ণমুদ্রা বৃত্তি হিসেবে বরাদ্দ ছিল। চার অধ্যাপক ছাড়া আরও দুজন শিক্ষক থাকতেন। তাঁদের একজন কোরআন এবং অন্যজন হাদিস পাঠদান করতেন।
মুসতানসিরিয়ার গ্রন্থাগারে ছিল ধর্ম, সাহিত্য, চিকিৎসা, গণিত, ইসলামি আইন ও বিজ্ঞানের সব শাখার অমূল্য সংগ্রহ। উদ্বোধনের দিনেই খলিফা আল-মুসতানসির নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ এখানে দান করেছিলেন। রাজপ্রাসাদের গ্রন্থাগার থেকে ১৩০ গাধাবোঝাই বই এই গ্রন্থাগারে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এই গ্রন্থাগারে ৮০ হাজার বই ছিল। এর সুখ্যাতি পুরো মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
মুসতানসিরিয়া বহুকাল বাগদাদ নগরীর সংস্কৃতির কেন্দ্ররূপে কাজ করেছিল। হালাকু খাঁর নেতৃত্বে মোগলরা ১২৫৮ সালে বাগদাদ আক্রমণ করলে পুরো নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে মুসতানসিরিয়ার অধিকাংশ বই হালাকুর হাত থেকে রেহাই পায়নি।
বাগদাদ ধ্বংসের ৭ দশক পর বিশ্বখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা ইরাক ভ্রমণ করেন। মুসতানসিরিয়ার একটি বিবরণ তিনি তাঁর বিখ্যাত ভ্রমণগ্রন্থ ‘আর-রিহলা’য় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাগদাদের পূর্ব পাশে কিছু চমৎকার বাজার আছে।
এসব বাজারের মধ্যে সুক আস-সালামাহ ছিল অন্যতম। এরই কেন্দ্র ছিল বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসা এবং শেষ প্রান্তে ছিল মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।’
১৯৬৩ সালে মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এটি বর্তমানে ইরাকের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি।
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি আজও তাঁর নাম অম্লান রেখেছে, তা মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।
আল-মুসতানসির ১২২৭ সালে ধর্মশিক্ষার জন্য এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নির্মাতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণে ৭ লাখ স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করা হয়েছিল। আল-মুসতানসির নিজেই ১২২৬ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ ছয় বছর।
মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসার স্থাপত্যশৈলী বহু খিলানবিশিষ্ট। খিলানগুলোর মধ্যে ছিল ছোট ছোট কক্ষ। পরে মুসতানসিরিয়ার অনুকরণে অনেক মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল। সামারা ও বুখারার অনেক মাদ্রাসায়ও মুসতানসিরিয়ার নির্মাণকৌশল অনুসৃত হয়। বহিরঙ্গের মনোহারিত্বে, কারুকার্য সুষমায়, অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্যে মুসলিম জাহানের এক অনন্য স্থাপত্য এটি। খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সে যুগে মুসতানসিরিয়া ছিল অনন্য।
মাদ্রাসায় ফিকহি মাজহাবগুলোর জন্য ছিল স্বতন্ত্র অনুষদ। ছিল চার মাজহাবের জন্য চারটি পৃথক মসজিদ ও লেকচার হল। প্রতিটি অনুষদের পরিচালনার ভার ন্যস্ত ছিল একজন অধ্যাপকের ওপর। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকত ৭৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক একটি করে স্বর্ণমুদ্রা বৃত্তি হিসেবে বরাদ্দ ছিল। চার অধ্যাপক ছাড়া আরও দুজন শিক্ষক থাকতেন। তাঁদের একজন কোরআন এবং অন্যজন হাদিস পাঠদান করতেন।
মুসতানসিরিয়ার গ্রন্থাগারে ছিল ধর্ম, সাহিত্য, চিকিৎসা, গণিত, ইসলামি আইন ও বিজ্ঞানের সব শাখার অমূল্য সংগ্রহ। উদ্বোধনের দিনেই খলিফা আল-মুসতানসির নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ এখানে দান করেছিলেন। রাজপ্রাসাদের গ্রন্থাগার থেকে ১৩০ গাধাবোঝাই বই এই গ্রন্থাগারে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এই গ্রন্থাগারে ৮০ হাজার বই ছিল। এর সুখ্যাতি পুরো মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
মুসতানসিরিয়া বহুকাল বাগদাদ নগরীর সংস্কৃতির কেন্দ্ররূপে কাজ করেছিল। হালাকু খাঁর নেতৃত্বে মোগলরা ১২৫৮ সালে বাগদাদ আক্রমণ করলে পুরো নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে মুসতানসিরিয়ার অধিকাংশ বই হালাকুর হাত থেকে রেহাই পায়নি।
বাগদাদ ধ্বংসের ৭ দশক পর বিশ্বখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা ইরাক ভ্রমণ করেন। মুসতানসিরিয়ার একটি বিবরণ তিনি তাঁর বিখ্যাত ভ্রমণগ্রন্থ ‘আর-রিহলা’য় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাগদাদের পূর্ব পাশে কিছু চমৎকার বাজার আছে।
এসব বাজারের মধ্যে সুক আস-সালামাহ ছিল অন্যতম। এরই কেন্দ্র ছিল বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসা এবং শেষ প্রান্তে ছিল মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।’
১৯৬৩ সালে মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এটি বর্তমানে ইরাকের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি।
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
আমজাদ ইউনুস

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি আজও তাঁর নাম অম্লান রেখেছে, তা মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।
আল-মুসতানসির ১২২৭ সালে ধর্মশিক্ষার জন্য এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নির্মাতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণে ৭ লাখ স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করা হয়েছিল। আল-মুসতানসির নিজেই ১২২৬ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ ছয় বছর।
মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসার স্থাপত্যশৈলী বহু খিলানবিশিষ্ট। খিলানগুলোর মধ্যে ছিল ছোট ছোট কক্ষ। পরে মুসতানসিরিয়ার অনুকরণে অনেক মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল। সামারা ও বুখারার অনেক মাদ্রাসায়ও মুসতানসিরিয়ার নির্মাণকৌশল অনুসৃত হয়। বহিরঙ্গের মনোহারিত্বে, কারুকার্য সুষমায়, অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্যে মুসলিম জাহানের এক অনন্য স্থাপত্য এটি। খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সে যুগে মুসতানসিরিয়া ছিল অনন্য।
মাদ্রাসায় ফিকহি মাজহাবগুলোর জন্য ছিল স্বতন্ত্র অনুষদ। ছিল চার মাজহাবের জন্য চারটি পৃথক মসজিদ ও লেকচার হল। প্রতিটি অনুষদের পরিচালনার ভার ন্যস্ত ছিল একজন অধ্যাপকের ওপর। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকত ৭৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক একটি করে স্বর্ণমুদ্রা বৃত্তি হিসেবে বরাদ্দ ছিল। চার অধ্যাপক ছাড়া আরও দুজন শিক্ষক থাকতেন। তাঁদের একজন কোরআন এবং অন্যজন হাদিস পাঠদান করতেন।
মুসতানসিরিয়ার গ্রন্থাগারে ছিল ধর্ম, সাহিত্য, চিকিৎসা, গণিত, ইসলামি আইন ও বিজ্ঞানের সব শাখার অমূল্য সংগ্রহ। উদ্বোধনের দিনেই খলিফা আল-মুসতানসির নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ এখানে দান করেছিলেন। রাজপ্রাসাদের গ্রন্থাগার থেকে ১৩০ গাধাবোঝাই বই এই গ্রন্থাগারে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এই গ্রন্থাগারে ৮০ হাজার বই ছিল। এর সুখ্যাতি পুরো মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
মুসতানসিরিয়া বহুকাল বাগদাদ নগরীর সংস্কৃতির কেন্দ্ররূপে কাজ করেছিল। হালাকু খাঁর নেতৃত্বে মোগলরা ১২৫৮ সালে বাগদাদ আক্রমণ করলে পুরো নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে মুসতানসিরিয়ার অধিকাংশ বই হালাকুর হাত থেকে রেহাই পায়নি।
বাগদাদ ধ্বংসের ৭ দশক পর বিশ্বখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা ইরাক ভ্রমণ করেন। মুসতানসিরিয়ার একটি বিবরণ তিনি তাঁর বিখ্যাত ভ্রমণগ্রন্থ ‘আর-রিহলা’য় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাগদাদের পূর্ব পাশে কিছু চমৎকার বাজার আছে।
এসব বাজারের মধ্যে সুক আস-সালামাহ ছিল অন্যতম। এরই কেন্দ্র ছিল বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসা এবং শেষ প্রান্তে ছিল মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।’
১৯৬৩ সালে মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এটি বর্তমানে ইরাকের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি।
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি আজও তাঁর নাম অম্লান রেখেছে, তা মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।
আল-মুসতানসির ১২২৭ সালে ধর্মশিক্ষার জন্য এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নির্মাতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণে ৭ লাখ স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করা হয়েছিল। আল-মুসতানসির নিজেই ১২২৬ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ ছয় বছর।
মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসার স্থাপত্যশৈলী বহু খিলানবিশিষ্ট। খিলানগুলোর মধ্যে ছিল ছোট ছোট কক্ষ। পরে মুসতানসিরিয়ার অনুকরণে অনেক মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল। সামারা ও বুখারার অনেক মাদ্রাসায়ও মুসতানসিরিয়ার নির্মাণকৌশল অনুসৃত হয়। বহিরঙ্গের মনোহারিত্বে, কারুকার্য সুষমায়, অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্যে মুসলিম জাহানের এক অনন্য স্থাপত্য এটি। খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সে যুগে মুসতানসিরিয়া ছিল অনন্য।
মাদ্রাসায় ফিকহি মাজহাবগুলোর জন্য ছিল স্বতন্ত্র অনুষদ। ছিল চার মাজহাবের জন্য চারটি পৃথক মসজিদ ও লেকচার হল। প্রতিটি অনুষদের পরিচালনার ভার ন্যস্ত ছিল একজন অধ্যাপকের ওপর। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকত ৭৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক একটি করে স্বর্ণমুদ্রা বৃত্তি হিসেবে বরাদ্দ ছিল। চার অধ্যাপক ছাড়া আরও দুজন শিক্ষক থাকতেন। তাঁদের একজন কোরআন এবং অন্যজন হাদিস পাঠদান করতেন।
মুসতানসিরিয়ার গ্রন্থাগারে ছিল ধর্ম, সাহিত্য, চিকিৎসা, গণিত, ইসলামি আইন ও বিজ্ঞানের সব শাখার অমূল্য সংগ্রহ। উদ্বোধনের দিনেই খলিফা আল-মুসতানসির নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ এখানে দান করেছিলেন। রাজপ্রাসাদের গ্রন্থাগার থেকে ১৩০ গাধাবোঝাই বই এই গ্রন্থাগারে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এই গ্রন্থাগারে ৮০ হাজার বই ছিল। এর সুখ্যাতি পুরো মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
মুসতানসিরিয়া বহুকাল বাগদাদ নগরীর সংস্কৃতির কেন্দ্ররূপে কাজ করেছিল। হালাকু খাঁর নেতৃত্বে মোগলরা ১২৫৮ সালে বাগদাদ আক্রমণ করলে পুরো নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে মুসতানসিরিয়ার অধিকাংশ বই হালাকুর হাত থেকে রেহাই পায়নি।
বাগদাদ ধ্বংসের ৭ দশক পর বিশ্বখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা ইরাক ভ্রমণ করেন। মুসতানসিরিয়ার একটি বিবরণ তিনি তাঁর বিখ্যাত ভ্রমণগ্রন্থ ‘আর-রিহলা’য় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাগদাদের পূর্ব পাশে কিছু চমৎকার বাজার আছে।
এসব বাজারের মধ্যে সুক আস-সালামাহ ছিল অন্যতম। এরই কেন্দ্র ছিল বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসা এবং শেষ প্রান্তে ছিল মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা।’
১৯৬৩ সালে মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এটি বর্তমানে ইরাকের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি।
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

সভ্যতার উৎসভূমি ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা ৮ শতকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। আব্বাসি খলিফা আল-মুসতানসির বিল্লাহ আবু জাফর সিংহাসনে আরোহণের পর নানা জনহিতকর কাজ করেছিলেন। মসজিদ নির্মাণ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে