মুফতি উবায়দুল হক খান

প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে। এমতাবস্থায় আমাদের উচিত বৃক্ষ রোপণ করা।
একটি বৃক্ষ মানে শুধু একটি গাছ নয়, এটি একটি জীবনের প্রতীক। একটি বৃক্ষ যখন জন্ম নেয়, তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ভবিষ্যতের অনেক আশা। সে বৃক্ষ বড় হলে ছায়া দেয়, ফুল দেয়, ফল দেয়, কাঠ দেয়, এমনকি নিশ্বাসের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও দেয়। আমাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণগুলো বৃক্ষের মাধ্যমেই আসে। অথচ আমরা প্রায়ই তা অবহেলা করি, বৃক্ষ কাটার পরিণতি না ভেবেই প্রকৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করি।
বৃক্ষরোপণ মানে শুধু একটি চারাগাছ পুঁতে দেওয়া নয়, এটি একটি স্বপ্ন বোনা। একটি সুন্দর আগামী গড়ে তোলার শপথ। যখন একটি শিশু বৃক্ষরোপণ করে, তখন সে ভবিষ্যতের দিকে একটি সবুজ বার্তা পাঠায়। যখন আমরা পারিবারিক বা সামাজিক উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ করি, তখন প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রতিটি গাছ যেন আমাদের আত্মার অংশ হয়ে ওঠে।
বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, তা আমাদের মানসিক প্রশান্তির উৎসও। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে একটি বৃক্ষের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া অথবা বর্ষার দিনে পাতায় পাতায় বৃষ্টির টিপটিপ শব্দ শুনে মন হারিয়ে যাওয়া, এ সবই জীবনের এক অমূল্য অনুভূতি। এই অনুভূতি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি, যদি সবাই মিলে বৃক্ষ রোপণ করি।
বৃক্ষরোপণ ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত পুণ্যময় ও সওয়াবের কাজ হিসেবে বিবেচিত। গাছ লাগানোর অনেক ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।
সদকায়ে জারিয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গাছ রোপণ করে, এরপর সে গাছ থেকে মানুষ, পশুপাখি খায়, তাহলে তা ওই ব্যক্তির জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাছ যত দিন বেঁচে থাকবে এবং উপকারে আসবে, রোপণকারী তত দিন সওয়াব পেতে থাকবে।
নবীজির উপদেশ পালন
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কারও হাতে যদি কোনো গাছের চারা থাকে এবং সে কিয়ামত শুরু হওয়ার সময়ও যদি তা রোপণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমদ)। এই হাদিস গাছ লাগানোর গুরুত্ব এবং তা শেষ সময়েও পরিত্যাগ না করার উৎসাহ দেয়।
মানুষ, পশু ও পরিবেশ রক্ষা
গাছ বাতাস বিশুদ্ধ করে, ছায়া দেয়, ফল দেয় এবং পরিবেশ বাসযোগ্য রাখে। গাছের মাধ্যমে মানুষ ও পশুর জন্য পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। গাছ আমাদের জলবায়ু ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।
আজ আমাদের সামনে প্রকৃতি রক্ষার যে চ্যালেঞ্জ, তার একমাত্র উত্তর হতে পারে বৃক্ষরোপণ। আসুন, আমরা শহর হোক কিংবা গ্রাম, আমাদের বাড়ির ছাদ হোক কিংবা রাস্তার পাশ, সর্বত্র গাছ লাগাই। আমাদের সন্তানদের শেখাই গাছ ভালোবাসতে, গাছকে বন্ধু ভাবতে।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর

প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে। এমতাবস্থায় আমাদের উচিত বৃক্ষ রোপণ করা।
একটি বৃক্ষ মানে শুধু একটি গাছ নয়, এটি একটি জীবনের প্রতীক। একটি বৃক্ষ যখন জন্ম নেয়, তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ভবিষ্যতের অনেক আশা। সে বৃক্ষ বড় হলে ছায়া দেয়, ফুল দেয়, ফল দেয়, কাঠ দেয়, এমনকি নিশ্বাসের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও দেয়। আমাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণগুলো বৃক্ষের মাধ্যমেই আসে। অথচ আমরা প্রায়ই তা অবহেলা করি, বৃক্ষ কাটার পরিণতি না ভেবেই প্রকৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করি।
বৃক্ষরোপণ মানে শুধু একটি চারাগাছ পুঁতে দেওয়া নয়, এটি একটি স্বপ্ন বোনা। একটি সুন্দর আগামী গড়ে তোলার শপথ। যখন একটি শিশু বৃক্ষরোপণ করে, তখন সে ভবিষ্যতের দিকে একটি সবুজ বার্তা পাঠায়। যখন আমরা পারিবারিক বা সামাজিক উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ করি, তখন প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রতিটি গাছ যেন আমাদের আত্মার অংশ হয়ে ওঠে।
বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, তা আমাদের মানসিক প্রশান্তির উৎসও। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে একটি বৃক্ষের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া অথবা বর্ষার দিনে পাতায় পাতায় বৃষ্টির টিপটিপ শব্দ শুনে মন হারিয়ে যাওয়া, এ সবই জীবনের এক অমূল্য অনুভূতি। এই অনুভূতি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি, যদি সবাই মিলে বৃক্ষ রোপণ করি।
বৃক্ষরোপণ ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত পুণ্যময় ও সওয়াবের কাজ হিসেবে বিবেচিত। গাছ লাগানোর অনেক ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।
সদকায়ে জারিয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গাছ রোপণ করে, এরপর সে গাছ থেকে মানুষ, পশুপাখি খায়, তাহলে তা ওই ব্যক্তির জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাছ যত দিন বেঁচে থাকবে এবং উপকারে আসবে, রোপণকারী তত দিন সওয়াব পেতে থাকবে।
নবীজির উপদেশ পালন
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কারও হাতে যদি কোনো গাছের চারা থাকে এবং সে কিয়ামত শুরু হওয়ার সময়ও যদি তা রোপণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমদ)। এই হাদিস গাছ লাগানোর গুরুত্ব এবং তা শেষ সময়েও পরিত্যাগ না করার উৎসাহ দেয়।
মানুষ, পশু ও পরিবেশ রক্ষা
গাছ বাতাস বিশুদ্ধ করে, ছায়া দেয়, ফল দেয় এবং পরিবেশ বাসযোগ্য রাখে। গাছের মাধ্যমে মানুষ ও পশুর জন্য পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। গাছ আমাদের জলবায়ু ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।
আজ আমাদের সামনে প্রকৃতি রক্ষার যে চ্যালেঞ্জ, তার একমাত্র উত্তর হতে পারে বৃক্ষরোপণ। আসুন, আমরা শহর হোক কিংবা গ্রাম, আমাদের বাড়ির ছাদ হোক কিংবা রাস্তার পাশ, সর্বত্র গাছ লাগাই। আমাদের সন্তানদের শেখাই গাছ ভালোবাসতে, গাছকে বন্ধু ভাবতে।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১৪ ঘণ্টা আগে
সফর মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রয়োজনে মানুষ সফর করে। এই ধারা পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ার পর থেকেই চলে আসছে। সফর এক ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। ইসলামে সফর, অর্থাৎ ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৫ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৫ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে।
১১ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১৪ ঘণ্টা আগে
সফর মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রয়োজনে মানুষ সফর করে। এই ধারা পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ার পর থেকেই চলে আসছে। সফর এক ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। ইসলামে সফর, অর্থাৎ ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে সপরিবারে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাল-সবুজ রঙের একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়ে তিনি রওনা হন পূর্বাচলের ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চের দিকে।
এদিনের প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফ্রেমে। দেশে ফেরা উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বেলা ২টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সাতটি পোস্ট দেন তারেক রহমান। প্রতিটি পোস্টে ফুটে ওঠে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার অনুভূতি, আবেগ ও কৃতজ্ঞতার ভাষা।
পূর্বাচলের ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছার আগ মুহূর্তে আজ বেলা ৩টা ১৭ মিনিটে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি জনতাকে উদ্দেশ্য করে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এর ক্যাপশনে তিনি উল্লেখ করেন পবিত্র কোরআনের সুরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত—‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ্! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে সপরিবারে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাল-সবুজ রঙের একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়ে তিনি রওনা হন পূর্বাচলের ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চের দিকে।
এদিনের প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফ্রেমে। দেশে ফেরা উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বেলা ২টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সাতটি পোস্ট দেন তারেক রহমান। প্রতিটি পোস্টে ফুটে ওঠে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার অনুভূতি, আবেগ ও কৃতজ্ঞতার ভাষা।
পূর্বাচলের ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছার আগ মুহূর্তে আজ বেলা ৩টা ১৭ মিনিটে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি জনতাকে উদ্দেশ্য করে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এর ক্যাপশনে তিনি উল্লেখ করেন পবিত্র কোরআনের সুরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত—‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ্! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’

প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে।
১১ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
সফর মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রয়োজনে মানুষ সফর করে। এই ধারা পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ার পর থেকেই চলে আসছে। সফর এক ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। ইসলামে সফর, অর্থাৎ ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
১৮ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

সফর মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রয়োজনে মানুষ সফর করে। এই ধারা পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ার পর থেকেই চলে আসছে। সফর এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। ইসলামে সফর, অর্থাৎ ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো।’ (সুরা রুম: ৪২)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না—তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভেতর যে হৃদয় আছে তা অন্ধ।’ (সুরা হজ: ৪৬)
আমাদের নবী করিম (সা.) একেবারে ছেলেবেলা থেকেই ভ্রমণ করেছেন দূরদেশে। এরপর ব্যবসায়িক কাজে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন কাফেলা নিয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াত প্রাপ্তির পরও এই ধারা অব্যাহত ছিল। ইসলামের জন্য হিজরত করেছেন মক্কা থেকে মদিনায়। আল্লাহর পথে লড়াইয়ের জন্য সফর করেছেন। নানা কাজে ভ্রমণ করেছেন বিভিন্ন জায়গায়।
নবীজি (সা.)-এর সুন্নত ছিল, তিনি সফর থেকে ফিরে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। সফর নিরাপদে শেষ করতে পারায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন। দোয়া পড়তেন। এরপর পরিবারের কাছে যেতেন।
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) সফর থেকে যখন ফিরতেন, তখন একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো, ‘আয়িবুনা ইনশা আল্লাহু তায়িবুনা আবিদুনা লি-রাব্বিনা হামিদুন।’
অর্থ: আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতকারী নিজ রবের প্রশংসাকারী। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৯৭, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৪৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশ্যে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, এরপর এই দোয়াটি পাঠ করতেন—‘সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফারিনা হাজাল বিররা ওয়াত তাকওয়া। ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা। আল্লাহুম্মা হাওয়িন আলাইনা সাফারানা হাজা ওয়াত্উই আন্না বু’দাহু। আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ওয়াছাইস সাফারি ওয়া কাআবাতিল মানজারি ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল মালি ওয়াল আহলি।’
অর্থ: ‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ, এই সফরে আমরা তোমার নিকট কল্যাণ, তাকওয়া এবং তোমার সন্তুষ্টি অর্জন হয় এমন কাজের সামর্থ্য চাই। হে আল্লাহ, আমাদের এই সফর সহজ করে দাও এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ, তুমিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ, তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক দৃশ্য এবং ফিরে এসে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষতিকর পরিবর্তন থেকে।’
এরপর তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখনো উপরিউক্ত দোয়া পড়তেন এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতেন, ‘আইবুনা তাইবুনা আবিদুনা লিরাব্বিনা হামিদুন।’ অর্থ: ‘আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, আমাদের প্রতিপালকের ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৪২)

সফর মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রয়োজনে মানুষ সফর করে। এই ধারা পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ার পর থেকেই চলে আসছে। সফর এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। ইসলামে সফর, অর্থাৎ ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো।’ (সুরা রুম: ৪২)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না—তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভেতর যে হৃদয় আছে তা অন্ধ।’ (সুরা হজ: ৪৬)
আমাদের নবী করিম (সা.) একেবারে ছেলেবেলা থেকেই ভ্রমণ করেছেন দূরদেশে। এরপর ব্যবসায়িক কাজে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন কাফেলা নিয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াত প্রাপ্তির পরও এই ধারা অব্যাহত ছিল। ইসলামের জন্য হিজরত করেছেন মক্কা থেকে মদিনায়। আল্লাহর পথে লড়াইয়ের জন্য সফর করেছেন। নানা কাজে ভ্রমণ করেছেন বিভিন্ন জায়গায়।
নবীজি (সা.)-এর সুন্নত ছিল, তিনি সফর থেকে ফিরে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। সফর নিরাপদে শেষ করতে পারায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন। দোয়া পড়তেন। এরপর পরিবারের কাছে যেতেন।
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) সফর থেকে যখন ফিরতেন, তখন একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো, ‘আয়িবুনা ইনশা আল্লাহু তায়িবুনা আবিদুনা লি-রাব্বিনা হামিদুন।’
অর্থ: আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতকারী নিজ রবের প্রশংসাকারী। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৯৭, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৪৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশ্যে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, এরপর এই দোয়াটি পাঠ করতেন—‘সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফারিনা হাজাল বিররা ওয়াত তাকওয়া। ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা। আল্লাহুম্মা হাওয়িন আলাইনা সাফারানা হাজা ওয়াত্উই আন্না বু’দাহু। আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ওয়াছাইস সাফারি ওয়া কাআবাতিল মানজারি ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল মালি ওয়াল আহলি।’
অর্থ: ‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ, এই সফরে আমরা তোমার নিকট কল্যাণ, তাকওয়া এবং তোমার সন্তুষ্টি অর্জন হয় এমন কাজের সামর্থ্য চাই। হে আল্লাহ, আমাদের এই সফর সহজ করে দাও এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ, তুমিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ, তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক দৃশ্য এবং ফিরে এসে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষতিকর পরিবর্তন থেকে।’
এরপর তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখনো উপরিউক্ত দোয়া পড়তেন এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতেন, ‘আইবুনা তাইবুনা আবিদুনা লিরাব্বিনা হামিদুন।’ অর্থ: ‘আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, আমাদের প্রতিপালকের ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৪২)

প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে।
১১ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১৪ ঘণ্টা আগে
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
১৮ ঘণ্টা আগেহুসাইন আহমদ

ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
হেরা গুহায় নবী (সা.) প্রথমবার যখন হজরত জিবরাইল (আ.)-কে দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হজরত খাদিজা (রা.)-এর কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি তাঁকে যেসব কথা বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, এর মধ্যে মেহমানদারি অন্যতম। খাদিজা (রা.) বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, কখনোই নয়। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায়-দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা নিজের ওপর অন্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যদিও নিজেরা ক্ষুধার্ত থাকে। আর যারা স্বভাবজাত লোভ-লালসা ও কামনা থেকে মুক্তি লাভ করে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে মেহমানদারি করা হয়, উটের কুঁজের মাংস কাটার উদ্দেশ্যে ছুরি যত দ্রুত অগ্রসর হয়, সে ঘরে বরকত তার চেয়েও দ্রুত প্রবেশ করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
অন্যত্র মেহমানদারির প্রতি উৎসাহিত করে নবী (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি)
প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত, মেহমানদারির হক ও নিয়মগুলো মেনে চলা। কোরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো অর্জন করা। অযথা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা উম্মাহকে মেহমানদারির হকগুলো যথাযথ আদায় ও ফজিলতসমূহ লাভ করার তাওফিক দান করুন।

ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
হেরা গুহায় নবী (সা.) প্রথমবার যখন হজরত জিবরাইল (আ.)-কে দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হজরত খাদিজা (রা.)-এর কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি তাঁকে যেসব কথা বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, এর মধ্যে মেহমানদারি অন্যতম। খাদিজা (রা.) বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, কখনোই নয়। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায়-দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা নিজের ওপর অন্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যদিও নিজেরা ক্ষুধার্ত থাকে। আর যারা স্বভাবজাত লোভ-লালসা ও কামনা থেকে মুক্তি লাভ করে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে মেহমানদারি করা হয়, উটের কুঁজের মাংস কাটার উদ্দেশ্যে ছুরি যত দ্রুত অগ্রসর হয়, সে ঘরে বরকত তার চেয়েও দ্রুত প্রবেশ করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
অন্যত্র মেহমানদারির প্রতি উৎসাহিত করে নবী (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি)
প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত, মেহমানদারির হক ও নিয়মগুলো মেনে চলা। কোরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো অর্জন করা। অযথা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা উম্মাহকে মেহমানদারির হকগুলো যথাযথ আদায় ও ফজিলতসমূহ লাভ করার তাওফিক দান করুন।

প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে।
১১ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১৪ ঘণ্টা আগে
সফর মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রয়োজনে মানুষ সফর করে। এই ধারা পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ার পর থেকেই চলে আসছে। সফর এক ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। ইসলামে সফর, অর্থাৎ ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে