মুফতি উবায়দুল হক খান
প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে। এমতাবস্থায় আমাদের উচিত বৃক্ষ রোপণ করা।
একটি বৃক্ষ মানে শুধু একটি গাছ নয়, এটি একটি জীবনের প্রতীক। একটি বৃক্ষ যখন জন্ম নেয়, তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ভবিষ্যতের অনেক আশা। সে বৃক্ষ বড় হলে ছায়া দেয়, ফুল দেয়, ফল দেয়, কাঠ দেয়, এমনকি নিশ্বাসের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও দেয়। আমাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণগুলো বৃক্ষের মাধ্যমেই আসে। অথচ আমরা প্রায়ই তা অবহেলা করি, বৃক্ষ কাটার পরিণতি না ভেবেই প্রকৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করি।
বৃক্ষরোপণ মানে শুধু একটি চারাগাছ পুঁতে দেওয়া নয়, এটি একটি স্বপ্ন বোনা। একটি সুন্দর আগামী গড়ে তোলার শপথ। যখন একটি শিশু বৃক্ষরোপণ করে, তখন সে ভবিষ্যতের দিকে একটি সবুজ বার্তা পাঠায়। যখন আমরা পারিবারিক বা সামাজিক উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ করি, তখন প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রতিটি গাছ যেন আমাদের আত্মার অংশ হয়ে ওঠে।
বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, তা আমাদের মানসিক প্রশান্তির উৎসও। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে একটি বৃক্ষের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া অথবা বর্ষার দিনে পাতায় পাতায় বৃষ্টির টিপটিপ শব্দ শুনে মন হারিয়ে যাওয়া, এ সবই জীবনের এক অমূল্য অনুভূতি। এই অনুভূতি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি, যদি সবাই মিলে বৃক্ষ রোপণ করি।
বৃক্ষরোপণ ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত পুণ্যময় ও সওয়াবের কাজ হিসেবে বিবেচিত। গাছ লাগানোর অনেক ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।
সদকায়ে জারিয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গাছ রোপণ করে, এরপর সে গাছ থেকে মানুষ, পশুপাখি খায়, তাহলে তা ওই ব্যক্তির জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাছ যত দিন বেঁচে থাকবে এবং উপকারে আসবে, রোপণকারী তত দিন সওয়াব পেতে থাকবে।
নবীজির উপদেশ পালন
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কারও হাতে যদি কোনো গাছের চারা থাকে এবং সে কিয়ামত শুরু হওয়ার সময়ও যদি তা রোপণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমদ)। এই হাদিস গাছ লাগানোর গুরুত্ব এবং তা শেষ সময়েও পরিত্যাগ না করার উৎসাহ দেয়।
মানুষ, পশু ও পরিবেশ রক্ষা
গাছ বাতাস বিশুদ্ধ করে, ছায়া দেয়, ফল দেয় এবং পরিবেশ বাসযোগ্য রাখে। গাছের মাধ্যমে মানুষ ও পশুর জন্য পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। গাছ আমাদের জলবায়ু ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।
আজ আমাদের সামনে প্রকৃতি রক্ষার যে চ্যালেঞ্জ, তার একমাত্র উত্তর হতে পারে বৃক্ষরোপণ। আসুন, আমরা শহর হোক কিংবা গ্রাম, আমাদের বাড়ির ছাদ হোক কিংবা রাস্তার পাশ, সর্বত্র গাছ লাগাই। আমাদের সন্তানদের শেখাই গাছ ভালোবাসতে, গাছকে বন্ধু ভাবতে।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর
প্রকৃতি আমাদের জীবনের পরম সহচর। তার বিস্তীর্ণ অরণ্য, সবুজের ছায়া, ফুলের সৌরভ, ফলের মাধুর্য আর বাতাসের বিশুদ্ধতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ব্যস্ততা, নগরায়ণের বেপরোয়া ছুটে চলা এবং বনভূমি নিধনের অমানবিক প্রবণতা আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ করে চলেছে। এমতাবস্থায় আমাদের উচিত বৃক্ষ রোপণ করা।
একটি বৃক্ষ মানে শুধু একটি গাছ নয়, এটি একটি জীবনের প্রতীক। একটি বৃক্ষ যখন জন্ম নেয়, তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ভবিষ্যতের অনেক আশা। সে বৃক্ষ বড় হলে ছায়া দেয়, ফুল দেয়, ফল দেয়, কাঠ দেয়, এমনকি নিশ্বাসের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও দেয়। আমাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণগুলো বৃক্ষের মাধ্যমেই আসে। অথচ আমরা প্রায়ই তা অবহেলা করি, বৃক্ষ কাটার পরিণতি না ভেবেই প্রকৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করি।
বৃক্ষরোপণ মানে শুধু একটি চারাগাছ পুঁতে দেওয়া নয়, এটি একটি স্বপ্ন বোনা। একটি সুন্দর আগামী গড়ে তোলার শপথ। যখন একটি শিশু বৃক্ষরোপণ করে, তখন সে ভবিষ্যতের দিকে একটি সবুজ বার্তা পাঠায়। যখন আমরা পারিবারিক বা সামাজিক উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ করি, তখন প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রতিটি গাছ যেন আমাদের আত্মার অংশ হয়ে ওঠে।
বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, তা আমাদের মানসিক প্রশান্তির উৎসও। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে একটি বৃক্ষের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া অথবা বর্ষার দিনে পাতায় পাতায় বৃষ্টির টিপটিপ শব্দ শুনে মন হারিয়ে যাওয়া, এ সবই জীবনের এক অমূল্য অনুভূতি। এই অনুভূতি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি, যদি সবাই মিলে বৃক্ষ রোপণ করি।
বৃক্ষরোপণ ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত পুণ্যময় ও সওয়াবের কাজ হিসেবে বিবেচিত। গাছ লাগানোর অনেক ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।
সদকায়ে জারিয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গাছ রোপণ করে, এরপর সে গাছ থেকে মানুষ, পশুপাখি খায়, তাহলে তা ওই ব্যক্তির জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাছ যত দিন বেঁচে থাকবে এবং উপকারে আসবে, রোপণকারী তত দিন সওয়াব পেতে থাকবে।
নবীজির উপদেশ পালন
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কারও হাতে যদি কোনো গাছের চারা থাকে এবং সে কিয়ামত শুরু হওয়ার সময়ও যদি তা রোপণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমদ)। এই হাদিস গাছ লাগানোর গুরুত্ব এবং তা শেষ সময়েও পরিত্যাগ না করার উৎসাহ দেয়।
মানুষ, পশু ও পরিবেশ রক্ষা
গাছ বাতাস বিশুদ্ধ করে, ছায়া দেয়, ফল দেয় এবং পরিবেশ বাসযোগ্য রাখে। গাছের মাধ্যমে মানুষ ও পশুর জন্য পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। গাছ আমাদের জলবায়ু ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।
আজ আমাদের সামনে প্রকৃতি রক্ষার যে চ্যালেঞ্জ, তার একমাত্র উত্তর হতে পারে বৃক্ষরোপণ। আসুন, আমরা শহর হোক কিংবা গ্রাম, আমাদের বাড়ির ছাদ হোক কিংবা রাস্তার পাশ, সর্বত্র গাছ লাগাই। আমাদের সন্তানদের শেখাই গাছ ভালোবাসতে, গাছকে বন্ধু ভাবতে।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
৪ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
৬ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
৭ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগে