ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান
সহনশীলতা একটি মহৎ গুণ। সহনশীলতা অর্থ সহ্য করার ক্ষমতা। প্রতিকূল অবস্থায় আবেগ-উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা এবং শক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ না নিয়ে ধৈর্য ধরাই সহনশীলতা। প্রত্যেক নবী-রাসুলই সহনশীল ও ক্ষমাশীল ছিলেন। মহান আল্লাহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেলে তাঁদের সহনশীল ও ধৈর্যশীল করে তুলেছেন।
সহনশীলতা এক অনুপম আদর্শ। মানবজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সার্বিক উন্নতির জন্য সহনশীলতা খুবই প্রয়োজন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মানুষ যখন জুলমের প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ক্ষমা করে দেয়, তখন আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।’ মহানবী (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ (মুসলিম)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সহনশীলতা অবলম্বন করো। আল্লাহ সহনশীলদের সঙ্গেই থাকেন।’ (সুরা আনফাল: ৪৬)।
ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, ‘ইমানের পর বিবেকের দাবি হলো, মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা, প্রত্যেক সৎ ও অসৎ লোকের প্রতি অনুগ্রহ করা, সবার সঙ্গে হাসি-খুশি থাকা এবং নম্রভাবে কথা বলা।’
মহানবী (সা.) সাহাবিদের প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কি জানো, জাহান্নাম কার জন্য হারাম?’ তারা বললেন, ‘আল্লাহ ও রাসুলই ভালো জানেন।’ তিনি বললেন, ‘তার জন্য জাহান্নাম হারাম, যিনি ভদ্র ও নম্র আচরণ করেন।’
সহনশীলতার পুরস্কার প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কেবল সহনশীলদেরই তাদের প্রতিদান কোনো হিসাব ছাড়া পূর্ণরূপে দেওয়া হবে।’ (সুরা যুমার: ১০)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘সহনশীলতার প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।’
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সহনশীলতা একটি মহৎ গুণ। সহনশীলতা অর্থ সহ্য করার ক্ষমতা। প্রতিকূল অবস্থায় আবেগ-উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা এবং শক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ না নিয়ে ধৈর্য ধরাই সহনশীলতা। প্রত্যেক নবী-রাসুলই সহনশীল ও ক্ষমাশীল ছিলেন। মহান আল্লাহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেলে তাঁদের সহনশীল ও ধৈর্যশীল করে তুলেছেন।
সহনশীলতা এক অনুপম আদর্শ। মানবজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সার্বিক উন্নতির জন্য সহনশীলতা খুবই প্রয়োজন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মানুষ যখন জুলমের প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ক্ষমা করে দেয়, তখন আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।’ মহানবী (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ (মুসলিম)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সহনশীলতা অবলম্বন করো। আল্লাহ সহনশীলদের সঙ্গেই থাকেন।’ (সুরা আনফাল: ৪৬)।
ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, ‘ইমানের পর বিবেকের দাবি হলো, মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা, প্রত্যেক সৎ ও অসৎ লোকের প্রতি অনুগ্রহ করা, সবার সঙ্গে হাসি-খুশি থাকা এবং নম্রভাবে কথা বলা।’
মহানবী (সা.) সাহাবিদের প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কি জানো, জাহান্নাম কার জন্য হারাম?’ তারা বললেন, ‘আল্লাহ ও রাসুলই ভালো জানেন।’ তিনি বললেন, ‘তার জন্য জাহান্নাম হারাম, যিনি ভদ্র ও নম্র আচরণ করেন।’
সহনশীলতার পুরস্কার প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কেবল সহনশীলদেরই তাদের প্রতিদান কোনো হিসাব ছাড়া পূর্ণরূপে দেওয়া হবে।’ (সুরা যুমার: ১০)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘সহনশীলতার প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।’
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
২ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৩ দিন আগে