রায়হান রাশেদ
মুসলিম মনীষীদের তালিকায় বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর নাম সুবিদিত। ইতিহাসের পাতায় এই মহামানবের আলোকিত জীবন সোনার হরফে লেখা আছে। এই নাম আকাশে অঙ্কিত। এই নামের স্লোগানে মানুষ ইসলামের মিছিলে যায়। ভালোবাসার গান গায়। হৃদয় উৎসর্গ করে।
আবদুল কাদের জিলানি ছিলেন সুফিবাদের জনক। সুফিরা তাঁকে বড়পীর বলে মানেন। গাউসুল আজম হিসেবে সমধিক পরিচিত তিনি। সুফিবাদের কাদেরিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। জন্মেছেন ৪৭০ হিজরি সনে। ইরানের জিলান শহরে। পিতা আবু সালেহ মুসা ছিলেন ইমাম হাসান (রা.)-এর বংশধর। মা সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা ছিলেন ইমাম হোসাইন (রা.)-এর বংশধর।
জিলান শহরের কাসপিয়ান গ্রামে তাঁর শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। কথিত আছে, শিক্ষকের মুখে ‘আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ’ শুনে পবিত্র কোরআনের আঠারো পারা মুখস্থ শুনিয়ে দেন তিনি। শিক্ষক বেশ চমকে ওঠেন। তিনি জানান, মায়ের গর্ভে থাকতে মা নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করতেন। মায়ের আঠারো পারা তিলাওয়াত হওয়ার পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গর্ভে থাকার সময় মুখস্থ করেন।
কাসপিয়ানে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য বাগদাদে যান। শায়খ আবু জাকারিয়া তাবরিজি (রহ.)-এর কাছে হাদিস ও আরবি সাহিত্যের গভীর জ্ঞান লাভ করেন। তাঁর যোগ্যতা ও প্রতিভার গভীরতায় মুগ্ধ হয়ে শায়খ তাবরিজি তাঁকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তিনি মাদ্রাসার উন্নতি ও উৎকর্ষের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। হাদিস, তাফসির, ফিকহ ও আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দিতে থাকেন। এর মধ্যে মাদ্রাসার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাতে থাকে।
তাঁর গুণে সবাই মুগ্ধ ছিল। তাঁর প্রেমে সবাই বেচইন ছিল। তাঁর হাত ধরে অসংখ্য মানুষ ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়েছে। পথভোলা মানুষ পথ পেয়েছে; নামাজি হয়েছে। তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের তৎকালীন সেরা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শুধু তাই নয়, কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল বিষয়েও পণ্ডিত ছিলেন। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। ফাতহুল গাইব, গুনিয়াতুত তালেবিন, আলফাতহুর রাব্বানি ও কাসিদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য।
তিনি ছিলেন সত্যবাদিতার প্রবাদপুরুষ। কখনো মিথ্যা বলতেন না। একবার বাগদাদ শহরে পড়তে যান। সে সময় পথে ডাকাতের বিড়ম্বনা ছিল বেশি। ডাকাতের ভয়ে মা তাঁর পাজামার ভেতরাংশে দিনার দিয়ে সেলাই করে দেন। নৌকায় ডাকাত দলের কবলে পড়েন তিনি। ডাকাতেরা তাঁর কাছে টাকা আছে কি না, পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজে। তারা খুঁজে ব্যর্থ হয়। তিনি তখন পাজামার ভেতরে সেলাইকৃত টাকা খুলে দেন। ডাকাতেরা অভিভূত হয়ে যায়। তাঁর সত্যবাদিতা দেখে মুগ্ধ হয়। ডাকাতি ছেড়ে দেয়।
হিজরি ৫৬১ সালের ১১ রবিউস সানি ৯১ বছর বয়সে এই মহান ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুসলিম মনীষীদের তালিকায় বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর নাম সুবিদিত। ইতিহাসের পাতায় এই মহামানবের আলোকিত জীবন সোনার হরফে লেখা আছে। এই নাম আকাশে অঙ্কিত। এই নামের স্লোগানে মানুষ ইসলামের মিছিলে যায়। ভালোবাসার গান গায়। হৃদয় উৎসর্গ করে।
আবদুল কাদের জিলানি ছিলেন সুফিবাদের জনক। সুফিরা তাঁকে বড়পীর বলে মানেন। গাউসুল আজম হিসেবে সমধিক পরিচিত তিনি। সুফিবাদের কাদেরিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। জন্মেছেন ৪৭০ হিজরি সনে। ইরানের জিলান শহরে। পিতা আবু সালেহ মুসা ছিলেন ইমাম হাসান (রা.)-এর বংশধর। মা সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা ছিলেন ইমাম হোসাইন (রা.)-এর বংশধর।
জিলান শহরের কাসপিয়ান গ্রামে তাঁর শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। কথিত আছে, শিক্ষকের মুখে ‘আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ’ শুনে পবিত্র কোরআনের আঠারো পারা মুখস্থ শুনিয়ে দেন তিনি। শিক্ষক বেশ চমকে ওঠেন। তিনি জানান, মায়ের গর্ভে থাকতে মা নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করতেন। মায়ের আঠারো পারা তিলাওয়াত হওয়ার পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গর্ভে থাকার সময় মুখস্থ করেন।
কাসপিয়ানে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য বাগদাদে যান। শায়খ আবু জাকারিয়া তাবরিজি (রহ.)-এর কাছে হাদিস ও আরবি সাহিত্যের গভীর জ্ঞান লাভ করেন। তাঁর যোগ্যতা ও প্রতিভার গভীরতায় মুগ্ধ হয়ে শায়খ তাবরিজি তাঁকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তিনি মাদ্রাসার উন্নতি ও উৎকর্ষের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। হাদিস, তাফসির, ফিকহ ও আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দিতে থাকেন। এর মধ্যে মাদ্রাসার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাতে থাকে।
তাঁর গুণে সবাই মুগ্ধ ছিল। তাঁর প্রেমে সবাই বেচইন ছিল। তাঁর হাত ধরে অসংখ্য মানুষ ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়েছে। পথভোলা মানুষ পথ পেয়েছে; নামাজি হয়েছে। তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের তৎকালীন সেরা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শুধু তাই নয়, কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল বিষয়েও পণ্ডিত ছিলেন। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। ফাতহুল গাইব, গুনিয়াতুত তালেবিন, আলফাতহুর রাব্বানি ও কাসিদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য।
তিনি ছিলেন সত্যবাদিতার প্রবাদপুরুষ। কখনো মিথ্যা বলতেন না। একবার বাগদাদ শহরে পড়তে যান। সে সময় পথে ডাকাতের বিড়ম্বনা ছিল বেশি। ডাকাতের ভয়ে মা তাঁর পাজামার ভেতরাংশে দিনার দিয়ে সেলাই করে দেন। নৌকায় ডাকাত দলের কবলে পড়েন তিনি। ডাকাতেরা তাঁর কাছে টাকা আছে কি না, পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজে। তারা খুঁজে ব্যর্থ হয়। তিনি তখন পাজামার ভেতরে সেলাইকৃত টাকা খুলে দেন। ডাকাতেরা অভিভূত হয়ে যায়। তাঁর সত্যবাদিতা দেখে মুগ্ধ হয়। ডাকাতি ছেড়ে দেয়।
হিজরি ৫৬১ সালের ১১ রবিউস সানি ৯১ বছর বয়সে এই মহান ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার এক গভীর সংযোগের মাধ্যম। এই ইবাদত আদায়ের সময় আমাদের উচিত সর্বোচ্চ মনোযোগ ও বিনয় বজায় রাখা। তাই নামাজের মধ্যে কোনো কিছু বিঘ্ন ঘটলে তা থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য।
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
২১ ঘণ্টা আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
২১ ঘণ্টা আগেনিঃসঙ্গ কফিনটি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়িত্ব আর অনিশ্চয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার। মনে করিয়ে দেয় সেই হাদিসটির কথা, যে হাদিসে নবীজি (সা.) পৃথিবীতে মুসাফিরের মতো বসবাস করার নসিহত করছেন। সত্যিই, পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা সবাই মুসাফির। মুসাফিরের পথচলা একদিন শেষ হবে আর তাকে...
১ দিন আগে