তানবিরুল হক আবিদ
কোরবানি ইসলামে নির্ধারিত কিছু পশু দ্বারা আদায় করা আবশ্যক। ইসলামে দ্বিতীয় হিজরিতে কোরবানির বিধান যুক্ত হয়। মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২)
এই আয়াতের মাধ্যমে সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোরবানি না দেয়, তাঁর ব্যাপারে নবী করিম (সা.) কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার সামর্থ্য আছে, তবুও সে কোরবানি করল না, (অর্থাৎ কোরবানি করার সংকল্প তাঁর নেই), সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ)
কোরবানির অনেক সওয়াব ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে কোনো গরিব ব্যক্তির কোরবানি করার সামর্থ্য না থাকলে, তিনি কি মুরগি দিয়ে কোরবানি দিতে পারবেন—এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের মনে।
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না, এর জন্য ইসলামের কিছু নির্ধারিত পশু রয়েছে। কোরবানির পশু হিসেবে গৃহপালিত গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, মহিষ, উট ব্যবহার করা যায়।
এ ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে এক বছর, গরু-মহিষ দুই বছর এবং উটের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু, যেমন ঘোড়া, হরিণ, বন্য গরু ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তদ্রূপ হাঁস-মুরগি বা কোনো পাখি দিয়েও কোরবানি আদায় হয় না।
তাই ঈদুল আজহার দিন কোনো গরিব ব্যক্তি যদি কোরবানির নিয়তে মুরগি জবাই করেন—তা মাকরুহ বা অনুচিত হবে। এমনটি করা ঠিক নয়।
গরিব ব্যক্তিকে আল্লাহ যখন সামর্থ্য দেবেন—তখন ইসলামের নির্ধারিত পশু দিয়ে কোরবানি দেবেন। (বাদায়েউস সানায়ে: ৬/৬৪, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২৬৮, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৪/১০৫)
আরও পড়ুন:
কোরবানি ইসলামে নির্ধারিত কিছু পশু দ্বারা আদায় করা আবশ্যক। ইসলামে দ্বিতীয় হিজরিতে কোরবানির বিধান যুক্ত হয়। মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২)
এই আয়াতের মাধ্যমে সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোরবানি না দেয়, তাঁর ব্যাপারে নবী করিম (সা.) কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার সামর্থ্য আছে, তবুও সে কোরবানি করল না, (অর্থাৎ কোরবানি করার সংকল্প তাঁর নেই), সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ)
কোরবানির অনেক সওয়াব ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে কোনো গরিব ব্যক্তির কোরবানি করার সামর্থ্য না থাকলে, তিনি কি মুরগি দিয়ে কোরবানি দিতে পারবেন—এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের মনে।
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না, এর জন্য ইসলামের কিছু নির্ধারিত পশু রয়েছে। কোরবানির পশু হিসেবে গৃহপালিত গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, মহিষ, উট ব্যবহার করা যায়।
এ ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে এক বছর, গরু-মহিষ দুই বছর এবং উটের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু, যেমন ঘোড়া, হরিণ, বন্য গরু ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তদ্রূপ হাঁস-মুরগি বা কোনো পাখি দিয়েও কোরবানি আদায় হয় না।
তাই ঈদুল আজহার দিন কোনো গরিব ব্যক্তি যদি কোরবানির নিয়তে মুরগি জবাই করেন—তা মাকরুহ বা অনুচিত হবে। এমনটি করা ঠিক নয়।
গরিব ব্যক্তিকে আল্লাহ যখন সামর্থ্য দেবেন—তখন ইসলামের নির্ধারিত পশু দিয়ে কোরবানি দেবেন। (বাদায়েউস সানায়ে: ৬/৬৪, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২৬৮, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৪/১০৫)
আরও পড়ুন:
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে